রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। বর্তমান মহাজোট সরকারের কাণ্ডকারখানায় একথাটি একেবারেই যথার্থ। জুভেনাইল ডেলিঙ্কোয়েন্ট এই সরকার যে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেই বেশি আনন্দ পায় তা তাদের রাষ্ট্রবিনাশী একের পর এক সিদ্ধান্তে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তাদের দেশপ্রেমবর্জিত এইসব সিদ্ধান্তে মনে হয় অন্য কোনো রাষ্ট্রের ছায়াসরকার তারা। বিশেষ করে ট্রানজিট তথা করিডোর ইস্যুতে জনগণকে অন্ধকারে রেখে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা যেভাবে কোমর বেঁধে নেমেছে তাতে সেই অশুভ ছায়া বার বার ফুটে উঠছে। তার সর্বশেষ নজির হিসেবে মহাজোট সরকার গৃহীত এ সংক্রান্ত যে রিপোর্ট গতকাল আমার দেশ-এ ছাপা হয়েছে তাতে জাতি হিসেবে দেয়ালে কপাল ঠুকানোর মতো যথেষ্ট কারণ আমাদের সামনে রয়েছে।
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে সরকার এখন আশুগঞ্জের জমি অধিগ্রহণের পাঁয়তারা করছে। এরই মধ্যে তারা খাদ্য, রেল ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট নৌ মন্ত্রণালয় আহূত গতকালের বৈঠকের আমন্ত্রণপত্রেও নৌবন্দর বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ/বরাদ্দের কার্যক্রমের বিষয়টিও একমাত্র এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্প ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে যে অবস্থান নিয়েছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তাদের ভূমিকায় আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। কেননা, জমি বরাদ্দের প্রশ্নে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাইলো কেপিআইগুলো নিরাপদ নয়। জমি অধিগ্রহণের ফলে এগুলোর কার্যক্ষমতাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত জমিতে রেলওয়ের দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের যোগাযোগ ও আর্থিক খাতে যে যুগান্তকারী বিপ্লবের সূচনা হবে তা কি ভারতকে নৌবন্দর সুবিধা দেয়ার জন্য বিসর্জন দিতে হবে? জমি অধিগ্রহণ হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বার্ষিক ৬শ’ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে। এসব বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অবস্থান যথাযথ বলে আমরা মনে করি।
এ বন্দর নির্মিত হলে ভারতের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। কিন্তু বাংলাদেশের কী লাভ হবে? বাস্তবতা বলে, ভারতকে একতরফা ট্রানজিট এবং করিডোর দেয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশের লাভের খাতা শূন্য। বরং নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। উপরন্তু ভারতীয় যন্ত্রপাতি ও গাড়িঘোড়ার চলাচল প্রশ্নে বাংলাদেশের রাস্তাঘাটগুলোর পরিবহনযোগ্যতা আদৌ যাচাই করে দেখা হয়নি। ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের রাস্তা দিয়ে অতিকায় স্থলযানে করে যে বিশাল যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিল, তাতে রাস্তাঘাটের অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে, এতে জীবন্ত নদী তিতাসের যে ক্ষতি হয়েছে তা আদৌ নিরাময় হবে কিনা, সে ব্যাপারে আমরা সংশয়মুক্ত থাকতে পারছি না। ভারত নিজের দেশে শত শত বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য আমরা নিজেদের বহমান নদীর মৃত্যুঘণ্টা বাজাবো কেন? এই নৌবন্দর (কন্টেইনার টার্মিনাল) স্থাপিত হলে বাংলাদেশ ক্ষতির মুখে পড়বে অন্যভাবেও। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের আগুন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাটিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
সরকারের আচরণে মনে হয় দেশটাকে তারা করদরাজ্য বানিয়ে ছাড়তে চায়। সেবাদাস হিসেবে দিল্লির উচ্ছিষ্ট ভক্ষণেই তুষ্ট তারা। কিন্তু এদেশের আমজনতা ঠিকই সজাগ আছে। প্রবল গণবিরোধিতার মুখে তিতাসের ওপর থেকে বাঁধ কেটে ফেলতে সরকার যেমন বাধ্য হয়েছিল, আশুগঞ্জের জমি অধিগ্রহণে তাদের ষড়যন্ত্রও ঠিক একইভাবে নস্যাত্ হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপনির্বাচনে, সর্বশেষ ঘাটাইলের উপনির্বাচনে দেশপ্রেমিক জনগণ সে জবাব দিয়ে দিয়েছে
।
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে সরকার এখন আশুগঞ্জের জমি অধিগ্রহণের পাঁয়তারা করছে। এরই মধ্যে তারা খাদ্য, রেল ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট নৌ মন্ত্রণালয় আহূত গতকালের বৈঠকের আমন্ত্রণপত্রেও নৌবন্দর বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ/বরাদ্দের কার্যক্রমের বিষয়টিও একমাত্র এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্প ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে যে অবস্থান নিয়েছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তাদের ভূমিকায় আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। কেননা, জমি বরাদ্দের প্রশ্নে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাইলো কেপিআইগুলো নিরাপদ নয়। জমি অধিগ্রহণের ফলে এগুলোর কার্যক্ষমতাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত জমিতে রেলওয়ের দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের যোগাযোগ ও আর্থিক খাতে যে যুগান্তকারী বিপ্লবের সূচনা হবে তা কি ভারতকে নৌবন্দর সুবিধা দেয়ার জন্য বিসর্জন দিতে হবে? জমি অধিগ্রহণ হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বার্ষিক ৬শ’ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে। এসব বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অবস্থান যথাযথ বলে আমরা মনে করি।
এ বন্দর নির্মিত হলে ভারতের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। কিন্তু বাংলাদেশের কী লাভ হবে? বাস্তবতা বলে, ভারতকে একতরফা ট্রানজিট এবং করিডোর দেয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশের লাভের খাতা শূন্য। বরং নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। উপরন্তু ভারতীয় যন্ত্রপাতি ও গাড়িঘোড়ার চলাচল প্রশ্নে বাংলাদেশের রাস্তাঘাটগুলোর পরিবহনযোগ্যতা আদৌ যাচাই করে দেখা হয়নি। ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের রাস্তা দিয়ে অতিকায় স্থলযানে করে যে বিশাল যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিল, তাতে রাস্তাঘাটের অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে, এতে জীবন্ত নদী তিতাসের যে ক্ষতি হয়েছে তা আদৌ নিরাময় হবে কিনা, সে ব্যাপারে আমরা সংশয়মুক্ত থাকতে পারছি না। ভারত নিজের দেশে শত শত বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য আমরা নিজেদের বহমান নদীর মৃত্যুঘণ্টা বাজাবো কেন? এই নৌবন্দর (কন্টেইনার টার্মিনাল) স্থাপিত হলে বাংলাদেশ ক্ষতির মুখে পড়বে অন্যভাবেও। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের আগুন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাটিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
সরকারের আচরণে মনে হয় দেশটাকে তারা করদরাজ্য বানিয়ে ছাড়তে চায়। সেবাদাস হিসেবে দিল্লির উচ্ছিষ্ট ভক্ষণেই তুষ্ট তারা। কিন্তু এদেশের আমজনতা ঠিকই সজাগ আছে। প্রবল গণবিরোধিতার মুখে তিতাসের ওপর থেকে বাঁধ কেটে ফেলতে সরকার যেমন বাধ্য হয়েছিল, আশুগঞ্জের জমি অধিগ্রহণে তাদের ষড়যন্ত্রও ঠিক একইভাবে নস্যাত্ হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপনির্বাচনে, সর্বশেষ ঘাটাইলের উপনির্বাচনে দেশপ্রেমিক জনগণ সে জবাব দিয়ে দিয়েছে
।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন