পুলিশের উপস্থিতিকেও পরোয়া করছে না আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। পুলিশও এসময় যথারীতি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনে গাফিলতি করছে না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনে ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার ডকুমেন্ট ছিনতাইয়ের সময়ও পুলিশের একই ভূমিকা দেখা গেছে। রাজউকের উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্পের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময়ের ঘটনা এটি। এর সঙ্গে জড়িত যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামও এসেছে পত্রিকায়। আর এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে নাম এসেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে, যিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাও। কেন পুলিশ ছিনতাইয়ের সময় এগিয়ে আসেনি, এরপর সেটা আর বুঝতে কারও বাকি থাকার কথা নয়। সমগ্র বিষয়টি রাজউক ও মন্ত্রণালয়ের লোকজনও নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে গতকালের আমার দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকা।
বেশ কিছুদিন থেকেই রাজউক ভবনে খোলা জিপ বাহিনীর উত্পাত লক্ষ্য করা গেলেও কেউই কিছু করার গরজ দেখায়নি। এরাই টেন্ডার ছিনতাই করেছে। ২৫ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৮টি টেন্ডার শিডিউল বিক্রি হলেও নির্ধারিত সময়ে বেশিরভাগই জমা পড়েনি। রাজউক ভবনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনেকেই সাহস পাননি টেন্ডার জমা দিতে। প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড এসবকে পরোয়া না করে শিডিউল জমা দিতে গেলে লিফটের ভেতরেই তাদের ফাইলপত্র কেড়ে নেয়া হয়। এসময় তাদের লোকজন অভিযোগ জানাতে গেলে দেখা যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই বোর্ড মিটিং নিয়ে ব্যস্ত! টেন্ডার জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পরই বোর্ড মিটিংও শেষ হয়। তখন পর্যন্ত মাত্র দুটি শিডিউল জমা পড়েছে, যার একটি মন্ত্রীর ভাগ্নের প্রতিষ্ঠানের। বোর্ড মিটিংয়ে সভাপতিত্বকারী রাজউক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে ছিনতাই বা এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করে টেন্ডার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ ও নিয়মের মধ্যেই হয়েছে বলে জানান। এমনই স্বস্তির কথা এখন বেশি বেশি শোনা যায় ক্ষমতাসীন ও সরকারি কর্তাদের মুখে। সব সময়ই তাদের সুশাসন, আইনের শাসন আর নিজেদের সাফল্য নিয়ে সরব থাকতে দেখা যায়।
শেয়ারবাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, রেলওয়ে বা পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি অথবা বিশ্বজিেক কুপিয়ে হত্যার মতো সব ঘটনাতেই তারা নিজেদের দায়দায়িত্ব জোর গলায় অস্বীকার করেন। শেষে বাধ্য হলে দায় চাপাতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট অন্যদের ঘাড়ে। নিজেরা সব যেন ধোয়া তুলসী পাতা। সরকারি লোকজন, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও পরিস্থিতি বুঝে চাকরি রক্ষাতেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার এই কুঅভ্যাসের ফলেই এখন পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন নামের লীগ পরিচয়ধারীরা এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, কেউ কোনো রাখঢাকের প্রয়োজন বোধ করছে না। রাজউক ভবনে ছিনতাইয়ে তাদের বুকটান করা ভূমিকা থেকেই এটা পরিষ্কার। মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে অপরাধজনক কাজে মেতে ওঠার পেছনেও ভিন্ন কারণ নেই। এক্ষেত্রে মন্ত্রী, এমপি, নেতা-নেত্রীদের ছেলে, ভাগ্নে, ভাস্তেরাও পিছিয়ে নেই। বেলা শেষের আগে সবাই সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দু’হাতে যা পাওয়া যায় কামিয়ে নিতে। টেন্ডার ছিনতাইয়ের সুযোগ যাদের নেই তারা আর কিছু না হোক ফেনসিডিল বা তদবির নিয়ে মেতে উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে এমনই দুর্নীতি, অপরাধের মচ্ছব। এসব চাপা দিতেই সমানভাবে গণতন্ত্র, সুশাসন, আইনের শাসন ইত্যাদির কলরব তোলা ক্ষমতাসীনদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ই বটে!
বেশ কিছুদিন থেকেই রাজউক ভবনে খোলা জিপ বাহিনীর উত্পাত লক্ষ্য করা গেলেও কেউই কিছু করার গরজ দেখায়নি। এরাই টেন্ডার ছিনতাই করেছে। ২৫ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৮টি টেন্ডার শিডিউল বিক্রি হলেও নির্ধারিত সময়ে বেশিরভাগই জমা পড়েনি। রাজউক ভবনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনেকেই সাহস পাননি টেন্ডার জমা দিতে। প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড এসবকে পরোয়া না করে শিডিউল জমা দিতে গেলে লিফটের ভেতরেই তাদের ফাইলপত্র কেড়ে নেয়া হয়। এসময় তাদের লোকজন অভিযোগ জানাতে গেলে দেখা যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই বোর্ড মিটিং নিয়ে ব্যস্ত! টেন্ডার জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পরই বোর্ড মিটিংও শেষ হয়। তখন পর্যন্ত মাত্র দুটি শিডিউল জমা পড়েছে, যার একটি মন্ত্রীর ভাগ্নের প্রতিষ্ঠানের। বোর্ড মিটিংয়ে সভাপতিত্বকারী রাজউক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে ছিনতাই বা এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করে টেন্ডার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ ও নিয়মের মধ্যেই হয়েছে বলে জানান। এমনই স্বস্তির কথা এখন বেশি বেশি শোনা যায় ক্ষমতাসীন ও সরকারি কর্তাদের মুখে। সব সময়ই তাদের সুশাসন, আইনের শাসন আর নিজেদের সাফল্য নিয়ে সরব থাকতে দেখা যায়।
শেয়ারবাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, রেলওয়ে বা পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি অথবা বিশ্বজিেক কুপিয়ে হত্যার মতো সব ঘটনাতেই তারা নিজেদের দায়দায়িত্ব জোর গলায় অস্বীকার করেন। শেষে বাধ্য হলে দায় চাপাতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট অন্যদের ঘাড়ে। নিজেরা সব যেন ধোয়া তুলসী পাতা। সরকারি লোকজন, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও পরিস্থিতি বুঝে চাকরি রক্ষাতেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার এই কুঅভ্যাসের ফলেই এখন পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন নামের লীগ পরিচয়ধারীরা এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, কেউ কোনো রাখঢাকের প্রয়োজন বোধ করছে না। রাজউক ভবনে ছিনতাইয়ে তাদের বুকটান করা ভূমিকা থেকেই এটা পরিষ্কার। মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে অপরাধজনক কাজে মেতে ওঠার পেছনেও ভিন্ন কারণ নেই। এক্ষেত্রে মন্ত্রী, এমপি, নেতা-নেত্রীদের ছেলে, ভাগ্নে, ভাস্তেরাও পিছিয়ে নেই। বেলা শেষের আগে সবাই সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দু’হাতে যা পাওয়া যায় কামিয়ে নিতে। টেন্ডার ছিনতাইয়ের সুযোগ যাদের নেই তারা আর কিছু না হোক ফেনসিডিল বা তদবির নিয়ে মেতে উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে এমনই দুর্নীতি, অপরাধের মচ্ছব। এসব চাপা দিতেই সমানভাবে গণতন্ত্র, সুশাসন, আইনের শাসন ইত্যাদির কলরব তোলা ক্ষমতাসীনদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ই বটে!
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন