নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিশেষ মিশন নিয়ে এসেছেন, সেটা এখন পরিষ্কার। এই দায়িত্ব পেয়েই তিনি দলীয় নেতাদের মতো সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তাদের কঠোর হাতে দমনের হুমকিও দেন। শেষে ছাত্রলীগ-যুবলীগের প্রতি তিনি প্রকাশ্যে আহ্বান জানান আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধ করতে। যুবলীগ নেতৃত্ব এর বিরোধিতা করলেও ছাত্রলীগ ঠিকই মাঠে নামে। পুলিশের পাশাপাশি তারা বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ ভাঙতে লাঠিসোটা, চাপাতি, কিরিচ হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে। ফলে রাজনীতিতে সহিংসতা-সংঘাত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার পরিণতিতেই ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন খুদে ব্যবসায়ী বিশ্বজিত্ দাস। প্রকাশ্যে এমন নৃশংসতায় মানুষের হৃদয় কেঁপে ওঠে। সেই লগিবৈঠা আন্দোলনের নামে পল্টনে মানুষ খুন ও লাশের ওপর লাফালাফির ভয়াবহ দৃশ্য আবারও মনে পড়ে যায়। এমন অমানবিকতা পশুত্বকেও হার মানায়। বিশ্বজিতের মৃত্যু মানুষের ভয়ডর ভেঙে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার মানুষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায়, চাঁদাবাজিসহ নানান ধরনের উত্পাতে ভীতসন্ত্রস্ত থাকলেও এখন তারা রুঁখে দাঁড়িয়েছে বলে শুক্রবারের আমার দেশ জানিয়েছে।
সরকারদলীয় লোকজনের ক্রমবর্ধমান অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী, দোকানদার, সাধারণ মানুষ বিশ্বজিত্ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় দুটি থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত চার বছর ধরে ছাত্রলীগের নামে কী না হয়েছে! বিভিন্ন মার্কেটে, দোকানে, রেস্টুরেন্টে তারা একের পর এক হামলা চালিয়েছে। চাহিদামত চাঁদা না পেয়ে বা পছন্দসই পণ্য ফ্রি না পেয়ে অথবা ফাও খেতে না পেলেই মারমুখী হয়ে ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এ ধরনের হামলা বার বার হলেও কেউই এগিয়ে আসেনি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ছাড়াও কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের মদতের কারণেই এতদিন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানানোর সাহস না পেলেও সবার মনে ক্ষোভ জমে উঠেছে। বিশ্বজিত্ নিহত হওয়ার ঘটনায় সে ক্ষোভ ফেটে পড়েছে মাত্র। ফলে সর্বশেষ হরতালের সময় ছাত্রলীগ পুঙ্গবদের সে এলাকায় দেখা যায়নি। জনরোষে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তারা ‘বীরের’ মতো গর্তে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছে।
এদিকে শুক্রবার প্রকাশিত এক খবরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে সরকার ও শাসক দলের বেকায়দা অবস্থা জানাজানি হয়ে গেছে। গত তিন বছরে প্রায় ৯৫ জন নেতাকর্মীকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ কাগজে-কলমে বহিষ্কার করলেও তাদের সঙ্গে মাখামাখি বন্ধ থাকেনি। সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তাদের সমানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। গত রোববারের অবরোধবিরোধী ছাত্রলীগের মিছিলেও তাদের সক্রিয় দেখা গেছে। এরাই বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরেছে বিশ্বজিেক। এই মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় এখন ওই হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে গলা ফাটানো হচ্ছে। অন্যদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও তাদের বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগার ঘটনা চোখে পড়ার মতো। ফলে নাটক জমে উঠেছে তাদের গ্রেফতার নিয়েও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পুলিশের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চোখে আঙুল দিয়ে সরকারের প্রকৃত অবস্থার জানান দিচ্ছে। তবে সব অপচেষ্টার শেষ ফল কী হবে, সেটা এখনই বলা না গেলেও জনগণ যে আর এক মুহূর্তও দুঃশাসন মানতে রাজি নয়—সেটা পরিষ্কারভাবে পুরান ঢাকাবাসী দেখিয়ে দিয়েছে। শুধু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নয়, ক্ষমতাসীনদের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধে দেশবাসীও তৈরি, একথা বলার সময় এসেছে।
সরকারদলীয় লোকজনের ক্রমবর্ধমান অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী, দোকানদার, সাধারণ মানুষ বিশ্বজিত্ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় দুটি থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত চার বছর ধরে ছাত্রলীগের নামে কী না হয়েছে! বিভিন্ন মার্কেটে, দোকানে, রেস্টুরেন্টে তারা একের পর এক হামলা চালিয়েছে। চাহিদামত চাঁদা না পেয়ে বা পছন্দসই পণ্য ফ্রি না পেয়ে অথবা ফাও খেতে না পেলেই মারমুখী হয়ে ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এ ধরনের হামলা বার বার হলেও কেউই এগিয়ে আসেনি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ছাড়াও কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের মদতের কারণেই এতদিন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানানোর সাহস না পেলেও সবার মনে ক্ষোভ জমে উঠেছে। বিশ্বজিত্ নিহত হওয়ার ঘটনায় সে ক্ষোভ ফেটে পড়েছে মাত্র। ফলে সর্বশেষ হরতালের সময় ছাত্রলীগ পুঙ্গবদের সে এলাকায় দেখা যায়নি। জনরোষে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তারা ‘বীরের’ মতো গর্তে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছে।
এদিকে শুক্রবার প্রকাশিত এক খবরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে সরকার ও শাসক দলের বেকায়দা অবস্থা জানাজানি হয়ে গেছে। গত তিন বছরে প্রায় ৯৫ জন নেতাকর্মীকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ কাগজে-কলমে বহিষ্কার করলেও তাদের সঙ্গে মাখামাখি বন্ধ থাকেনি। সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তাদের সমানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। গত রোববারের অবরোধবিরোধী ছাত্রলীগের মিছিলেও তাদের সক্রিয় দেখা গেছে। এরাই বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরেছে বিশ্বজিেক। এই মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় এখন ওই হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে গলা ফাটানো হচ্ছে। অন্যদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও তাদের বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগার ঘটনা চোখে পড়ার মতো। ফলে নাটক জমে উঠেছে তাদের গ্রেফতার নিয়েও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পুলিশের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চোখে আঙুল দিয়ে সরকারের প্রকৃত অবস্থার জানান দিচ্ছে। তবে সব অপচেষ্টার শেষ ফল কী হবে, সেটা এখনই বলা না গেলেও জনগণ যে আর এক মুহূর্তও দুঃশাসন মানতে রাজি নয়—সেটা পরিষ্কারভাবে পুরান ঢাকাবাসী দেখিয়ে দিয়েছে। শুধু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নয়, ক্ষমতাসীনদের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধে দেশবাসীও তৈরি, একথা বলার সময় এসেছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন