ব দ রু দ্দী ন উ ম র
আওয়ামী লীগ ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় এটা তাদের কথাবার্তা ও কার্যকলাপ থেকে ঠিক মনে হয় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে তো সব শেষ। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর শেষ চাওয়ার পরিবর্তে এই ইস্যুটিকে ঝুলিয়ে রেখে তার রাজনৈতিক চালবাজি চালিয়ে নিতে চায়, এমনটাই এখন দেখে-শুনে মনে হচ্ছে। এদিক দিয়ে যত গর্জে তত বর্ষে না—এটাই আওয়ামী লীগের অবস্থা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির বিষয়ে সরকারি লোকজন যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে মনে হয় এদের ধারণা শাস্তির সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিচারকদের সঙ্গে বন্দোবস্ত করে এখন শুধু কোনো রকমে বিচার সেরে শাস্তি কার্যকর করার অপেক্ষা! মাত্র কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের দফতরবিহীন পরগাছা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই ১৪ জন বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দেয়া হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারাধীন মামলার রায়ের ব্যাপারে এ ধরনের কথাবার্তা বলা যে শাস্তিযোগ্য কাজ, এটা সবাই জানে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নাকি একজন বিজ্ঞ আইন বিশেষজ্ঞ! তা সত্ত্বেও তিনি এমন কথা বলছেন এটা তার স্থির বিশ্বাস থেকেই যে, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী মহল যেভাবেই হোক, বিচারাধীন ব্যক্তিদের ফাঁসি চান, এমনকি আদালতকে প্রভাবিত করে হলেও তারা এ কাজ সম্পন্ন করবেন! এটা এতই স্থূল যে, তার এই বক্তব্য প্রদানের পর আদালতেরও টনক নড়েছে এবং তারা এই পরগাছা মন্ত্রীকে এর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু এই মন্ত্রীই নয়, আওয়ামী লীগের কিছু ভূঁইফোড় নেতা ও তাদের সরকারি জোটের নেতা এখন প্রায় প্রতিদিনই এ বিষয়ে এমন সব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা একটি বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বলা চলে না। তারা নিজেরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই চাইতে পারেন এবং তার মধ্যে ন্যায্যতা আছে। কিন্তু এই বিচারাধীন মামলায় বিচারপতিরা কী রায় দেবেন তা নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান তারা করতে পারেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার ঘরানার লোকরা এসবের কোনো পরোয়া করেন না। ক্ষমতার জোরে তারা বেপরোয়া। তাদের দুই মহিলা নেত্রীর জবানও এদিক দিয়ে লক্ষ্য করার মতো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমাপ্তি ও কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিদের শাস্তির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের আগাম স্ট্র্যাটেজি যাই হোক, এ নিয়ে জোর প্রচারের ক্ষেত্রে তারা নিজেদের যত রকম শক্তি আছে তা প্রদর্শনের চেষ্টায় এখন নিযুক্ত আছেন। এজন্য সম্প্রতি তাদের দেখা গেছে তাদের ঘরানার বামপন্থী দল ও বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে ‘আন্দোলন’ করতে। প্রথমোক্তরা এই উদ্দেশ্যে এক সরকার সমর্থিত হরতাল ডেকে মস্তবড় কেলেঙ্কারি করেছেন এবং দ্বিতীয়োক্তরা সাম্প্রদায়িকতার নামে এক ভুয়া ‘জাতীয়’ সম্মেলন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুকেই সামনে এনেছেন। তাদের সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সম্মেলনের আসল লক্ষ্য এর মাধ্যমে তারা প্রকটিত করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ঘোর অমাবস্যা। এই অমাবস্যার অবস্থায় এখন অন্ধকারের জীবদেরই রাজত্ব। চোর, দুর্নীতিবাজ, লুণ্ঠনজীবী ও দস্যুরাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির নির্ধারক শক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং জনগণের জীবনে এক অভিশাপের মতো নেমে এসেছে। এ সবই যুক্ত আছে এদের সাংস্কৃতিক নিম্নমান, রুচিহীনতা ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে। এদের সাংস্কৃতিক নিম্নমান ও রুচিহীনতার যে প্রতিফলন এদের নানা বক্তব্যের মধ্যে প্রতিফলিত হয় তার থেকে পীড়াদায়ক ব্যাপার কমই আছে। এ বিষয়টি নিয়ে কাউকে বিশেষ কথাবার্তা ও আলোচনা করতে দেখা যায় না। কিন্তু নিম্ন সাংস্কৃতিক মান ও রুচিহীনতা যে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতার সঙ্গে যুক্ত, এটা এক প্রমাণিত সত্য।
শুধু বিচার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণীই নয়, অন্য অনেকভাবেই আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘরানার রংবেরঙের লোকজন যেসব কথা বলছে ও কাজ করছে, তাতে এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়, অন্য কোনো মূল উদ্দেশ্যে তারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এত মাতামাতি করছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একেবারে ভরাডুবি হবে। শুধু ঢাকা নয়, দেশের সর্বত্রই এ অবস্থা। বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে তারা যতই ভাড়া করা লোক নামিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করুক, তাদের পায়ের তলায় আর মাটি নেই। এ উপলব্ধি তাদের যতই হচ্ছে ততই তারা মরিয়া হয়ে এমন সব কাজ ও কাণ্ড করছে, যার মধ্যে কাণ্ডজ্ঞান বলেও কিছু নেই।
এদের নিম্ন সাংস্কৃতিক মান ও রুচিহীনতার যে কথা আগে বলেছি তার প্রমাণ এরা প্রায় প্রতিদিনই নানাভাবে দিয়ে যাচ্ছে। এর সাম্প্রতিকতম হাস্যকর দৃষ্টান্ত হলো—কিছুদিন আগে জাতিসংঘে শান্তি বিষয়ক শেখ হাসিনার এক প্রস্তাব গৃহীত হওয়া নিয়ে তাদের প্রচারণা। বলা দরকার, এ ধরনের প্রস্তাবের ও প্রস্তাব পাস হওয়ার কোনো গুরুত্ব বাস্তবত নেই। এমন প্রস্তাবের অভাব জাতিসংঘে নেই, যেগুলো পাস হওয়ার পর অবহেলায় পড়ে থাকে। এগুলো অনেকটা কথার কথার মতো। কিন্তু এ তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আওয়ামী মহলে এখন তোলপাড় চলছে। হাসিনাকে ‘বিশ্ব শান্তি মডেলের রূপকার’ আখ্যায় ভূষিত করে তার দলের লোকরা ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছে। এ নিয়ে তারা মিছিল করছে, জনসভা করে বিশ্ব নেত্রী হিসেবে হাসিনার গুণকীর্তন করে গলা ফাটাচ্ছে! এসবই হচ্ছে নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রুচির প্রতিফলন। কিন্তু হায়! এ নিয়ে তারা যতই প্রচার-প্রচারণা ও মাতামাতি করুক জনগণের মধ্যে তাদের সম্পর্কে ধারণা মোটেই পরিবর্তিত হচ্ছে না। ভোটের বাজারে তাদের দর বৃদ্ধি হচ্ছে না। উপরন্তু আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন লেজেগোবরে হচ্ছে।
দেশের সংবাদপত্রগুলো এ নিয়ে রিপোর্ট প্রদান ও লেখালেখি প্রকাশ করছে। টিভি চ্যানেলগুলোও পিছিয়ে নেই। সমালোচনা তো বটেই, এমনকি তাদের নিজেদের কাণ্ড-কারখানার রিপোর্টও তাদের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। কিন্তু এসবের হিসেব করে কথাবার্তা বলা ও কাজ করার কোনো ব্যাপারই আওয়ামী লীগ, তাদের শরিক দলগুলো ও তাদের ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। অদমিতভাবে এ লাইনে কাজ করে যাওয়ার থেকে একটি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে আত্মঘাতী আর কী হতে পারে?
লেখক : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির বিষয়ে সরকারি লোকজন যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে মনে হয় এদের ধারণা শাস্তির সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিচারকদের সঙ্গে বন্দোবস্ত করে এখন শুধু কোনো রকমে বিচার সেরে শাস্তি কার্যকর করার অপেক্ষা! মাত্র কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের দফতরবিহীন পরগাছা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই ১৪ জন বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দেয়া হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারাধীন মামলার রায়ের ব্যাপারে এ ধরনের কথাবার্তা বলা যে শাস্তিযোগ্য কাজ, এটা সবাই জানে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নাকি একজন বিজ্ঞ আইন বিশেষজ্ঞ! তা সত্ত্বেও তিনি এমন কথা বলছেন এটা তার স্থির বিশ্বাস থেকেই যে, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী মহল যেভাবেই হোক, বিচারাধীন ব্যক্তিদের ফাঁসি চান, এমনকি আদালতকে প্রভাবিত করে হলেও তারা এ কাজ সম্পন্ন করবেন! এটা এতই স্থূল যে, তার এই বক্তব্য প্রদানের পর আদালতেরও টনক নড়েছে এবং তারা এই পরগাছা মন্ত্রীকে এর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু এই মন্ত্রীই নয়, আওয়ামী লীগের কিছু ভূঁইফোড় নেতা ও তাদের সরকারি জোটের নেতা এখন প্রায় প্রতিদিনই এ বিষয়ে এমন সব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা একটি বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বলা চলে না। তারা নিজেরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই চাইতে পারেন এবং তার মধ্যে ন্যায্যতা আছে। কিন্তু এই বিচারাধীন মামলায় বিচারপতিরা কী রায় দেবেন তা নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান তারা করতে পারেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার ঘরানার লোকরা এসবের কোনো পরোয়া করেন না। ক্ষমতার জোরে তারা বেপরোয়া। তাদের দুই মহিলা নেত্রীর জবানও এদিক দিয়ে লক্ষ্য করার মতো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমাপ্তি ও কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিদের শাস্তির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের আগাম স্ট্র্যাটেজি যাই হোক, এ নিয়ে জোর প্রচারের ক্ষেত্রে তারা নিজেদের যত রকম শক্তি আছে তা প্রদর্শনের চেষ্টায় এখন নিযুক্ত আছেন। এজন্য সম্প্রতি তাদের দেখা গেছে তাদের ঘরানার বামপন্থী দল ও বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে ‘আন্দোলন’ করতে। প্রথমোক্তরা এই উদ্দেশ্যে এক সরকার সমর্থিত হরতাল ডেকে মস্তবড় কেলেঙ্কারি করেছেন এবং দ্বিতীয়োক্তরা সাম্প্রদায়িকতার নামে এক ভুয়া ‘জাতীয়’ সম্মেলন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুকেই সামনে এনেছেন। তাদের সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সম্মেলনের আসল লক্ষ্য এর মাধ্যমে তারা প্রকটিত করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ঘোর অমাবস্যা। এই অমাবস্যার অবস্থায় এখন অন্ধকারের জীবদেরই রাজত্ব। চোর, দুর্নীতিবাজ, লুণ্ঠনজীবী ও দস্যুরাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির নির্ধারক শক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং জনগণের জীবনে এক অভিশাপের মতো নেমে এসেছে। এ সবই যুক্ত আছে এদের সাংস্কৃতিক নিম্নমান, রুচিহীনতা ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে। এদের সাংস্কৃতিক নিম্নমান ও রুচিহীনতার যে প্রতিফলন এদের নানা বক্তব্যের মধ্যে প্রতিফলিত হয় তার থেকে পীড়াদায়ক ব্যাপার কমই আছে। এ বিষয়টি নিয়ে কাউকে বিশেষ কথাবার্তা ও আলোচনা করতে দেখা যায় না। কিন্তু নিম্ন সাংস্কৃতিক মান ও রুচিহীনতা যে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতার সঙ্গে যুক্ত, এটা এক প্রমাণিত সত্য।
শুধু বিচার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণীই নয়, অন্য অনেকভাবেই আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘরানার রংবেরঙের লোকজন যেসব কথা বলছে ও কাজ করছে, তাতে এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়, অন্য কোনো মূল উদ্দেশ্যে তারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এত মাতামাতি করছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একেবারে ভরাডুবি হবে। শুধু ঢাকা নয়, দেশের সর্বত্রই এ অবস্থা। বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে তারা যতই ভাড়া করা লোক নামিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করুক, তাদের পায়ের তলায় আর মাটি নেই। এ উপলব্ধি তাদের যতই হচ্ছে ততই তারা মরিয়া হয়ে এমন সব কাজ ও কাণ্ড করছে, যার মধ্যে কাণ্ডজ্ঞান বলেও কিছু নেই।
এদের নিম্ন সাংস্কৃতিক মান ও রুচিহীনতার যে কথা আগে বলেছি তার প্রমাণ এরা প্রায় প্রতিদিনই নানাভাবে দিয়ে যাচ্ছে। এর সাম্প্রতিকতম হাস্যকর দৃষ্টান্ত হলো—কিছুদিন আগে জাতিসংঘে শান্তি বিষয়ক শেখ হাসিনার এক প্রস্তাব গৃহীত হওয়া নিয়ে তাদের প্রচারণা। বলা দরকার, এ ধরনের প্রস্তাবের ও প্রস্তাব পাস হওয়ার কোনো গুরুত্ব বাস্তবত নেই। এমন প্রস্তাবের অভাব জাতিসংঘে নেই, যেগুলো পাস হওয়ার পর অবহেলায় পড়ে থাকে। এগুলো অনেকটা কথার কথার মতো। কিন্তু এ তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আওয়ামী মহলে এখন তোলপাড় চলছে। হাসিনাকে ‘বিশ্ব শান্তি মডেলের রূপকার’ আখ্যায় ভূষিত করে তার দলের লোকরা ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছে। এ নিয়ে তারা মিছিল করছে, জনসভা করে বিশ্ব নেত্রী হিসেবে হাসিনার গুণকীর্তন করে গলা ফাটাচ্ছে! এসবই হচ্ছে নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রুচির প্রতিফলন। কিন্তু হায়! এ নিয়ে তারা যতই প্রচার-প্রচারণা ও মাতামাতি করুক জনগণের মধ্যে তাদের সম্পর্কে ধারণা মোটেই পরিবর্তিত হচ্ছে না। ভোটের বাজারে তাদের দর বৃদ্ধি হচ্ছে না। উপরন্তু আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন লেজেগোবরে হচ্ছে।
দেশের সংবাদপত্রগুলো এ নিয়ে রিপোর্ট প্রদান ও লেখালেখি প্রকাশ করছে। টিভি চ্যানেলগুলোও পিছিয়ে নেই। সমালোচনা তো বটেই, এমনকি তাদের নিজেদের কাণ্ড-কারখানার রিপোর্টও তাদের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। কিন্তু এসবের হিসেব করে কথাবার্তা বলা ও কাজ করার কোনো ব্যাপারই আওয়ামী লীগ, তাদের শরিক দলগুলো ও তাদের ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। অদমিতভাবে এ লাইনে কাজ করে যাওয়ার থেকে একটি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে আত্মঘাতী আর কী হতে পারে?
লেখক : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন