নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে—এটাই স্বাভাবিক। এমন যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়েই ইসি গঠিত হওয়ার কথা; কিন্তু প্রচলিত ধারা অনুসরণ করে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও দলীয়করণের অভিযোগ বহু পুরনো। গত ইসি বিএনপি ভাঙার পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রমাণ রেখেছে। বর্তমান ইসিও নানাভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে চলেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে এমন অভিযোগ উঠেছে বারবার। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসি সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে নিজেদের প্রকৃত অবস্থান জানান দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলসহ প্রায় সব মহল থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়—জানিয়ে দেয়া হলেও ক্ষমতাসীনদের হুঁশ ফেরেনি। সবার আস্থা ও নিরপেক্ষতা অর্জনে সচেষ্ট না হয়ে দলীয় ব্যক্তিদেরই নতুন করে ইসিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। দল ও সরকারের স্বার্থরক্ষায় মারমুখী হয়ে উঠেছেন নির্বাচন কমিশনারের মতো ব্যক্তিও।
মিডিয়ার খবর, সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে দিশা হারিয়ে ফেলেছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। তিনি সাংবাদিকদের অশোভন ভাষায় গালাগাল করেও নিজেকে সংযত করতে পারেননি। আইন ও সংবিধান না পড়ে বিতর্কিত এক লেখিকার বই পড়ার উপদেশ দেয়ার দৃষ্টতা দেখিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ শেষে গত পরশু এই ইসির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অশোভন ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা। গতকালের সংলাপ অনুষ্ঠান বর্জন এবং কমিশন চত্বরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এক স্মারকলিপি দিলে তিনি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান। বিষয়টিকে তিনি যে যথেষ্ট হালকাভাবে নিয়েছেন, এতে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা হজমের এ চেষ্টা থেকেই সিইসির পুরনো অবস্থানই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
উপরোল্লিখিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সংবিধানের ১২৩-এর ৩ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সিইসিকে প্রশ্ন করা হলে। গত ২৮ নভেম্বর ইসির সংলাপে মহাজোটের শরিক একটি দলের পক্ষ থেকে উপরোক্ত অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছিল—সংসদ সদস্য পদে বহাল থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিধান থাকলে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে না। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেয় দলটি। অর্থাত্ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সিইসিকে প্রশ্ন করা হলেও সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে ইসি আবদুল মোবারক উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রতি অসদাচরণে প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর আগে সংলাপ চলাকালে বেশিরভাগ সময় তাকে মোবাইলে গেমস খেলায় লিপ্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল। কাপাসিয়া উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়া নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী একটি দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তখনও তিনি হঠাত্ করে তাদের ওপরও চড়াও হন। কারণ তাদের পক্ষ থেকে দলের গঠনতন্ত্র না মানা ও অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও তোলা হয়েছিল। এটাই ক্ষিপ্ত করে তোলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিতর্কিত জনতার মঞ্চে ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তা আবদুল মোবারককে। এ ধরনের চিহ্নিত ব্যক্তিকে ইসির কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে সরকার আবারও প্রমাণ করেছে সঙ্কীর্ণ স্বার্থ উদ্ধারে দলীয়করণের নীতিই তাদের পছন্দ।
অথচ দলীয়করণমুক্ত প্রশাসন ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মতো কত কথাই না বলা হয়েছে এই সরকারের পক্ষ থেকে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও এমন কথা বলা হয়েছিল। ক্ষমতায় বসে সেসব ঝেড়ে ফেলে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ আর দুর্নীতিকে বেছে নিয়েছে বলেই এখন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বিকল্প কিছু ভাবতে পারছে না। এতে নির্বাচন নিয়ে বিপজ্জনক খেলা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কায় চারদিকে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো নির্বাচন কমিশনেও দলীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়ানো
হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা থেকে নিরপেক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা পুরোপুরি মুছে গেছে।
মিডিয়ার খবর, সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে দিশা হারিয়ে ফেলেছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। তিনি সাংবাদিকদের অশোভন ভাষায় গালাগাল করেও নিজেকে সংযত করতে পারেননি। আইন ও সংবিধান না পড়ে বিতর্কিত এক লেখিকার বই পড়ার উপদেশ দেয়ার দৃষ্টতা দেখিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ শেষে গত পরশু এই ইসির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অশোভন ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা। গতকালের সংলাপ অনুষ্ঠান বর্জন এবং কমিশন চত্বরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এক স্মারকলিপি দিলে তিনি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান। বিষয়টিকে তিনি যে যথেষ্ট হালকাভাবে নিয়েছেন, এতে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা হজমের এ চেষ্টা থেকেই সিইসির পুরনো অবস্থানই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
উপরোল্লিখিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সংবিধানের ১২৩-এর ৩ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সিইসিকে প্রশ্ন করা হলে। গত ২৮ নভেম্বর ইসির সংলাপে মহাজোটের শরিক একটি দলের পক্ষ থেকে উপরোক্ত অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছিল—সংসদ সদস্য পদে বহাল থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিধান থাকলে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে না। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেয় দলটি। অর্থাত্ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সিইসিকে প্রশ্ন করা হলেও সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে ইসি আবদুল মোবারক উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রতি অসদাচরণে প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর আগে সংলাপ চলাকালে বেশিরভাগ সময় তাকে মোবাইলে গেমস খেলায় লিপ্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল। কাপাসিয়া উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়া নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী একটি দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তখনও তিনি হঠাত্ করে তাদের ওপরও চড়াও হন। কারণ তাদের পক্ষ থেকে দলের গঠনতন্ত্র না মানা ও অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও তোলা হয়েছিল। এটাই ক্ষিপ্ত করে তোলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিতর্কিত জনতার মঞ্চে ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তা আবদুল মোবারককে। এ ধরনের চিহ্নিত ব্যক্তিকে ইসির কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে সরকার আবারও প্রমাণ করেছে সঙ্কীর্ণ স্বার্থ উদ্ধারে দলীয়করণের নীতিই তাদের পছন্দ।
অথচ দলীয়করণমুক্ত প্রশাসন ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মতো কত কথাই না বলা হয়েছে এই সরকারের পক্ষ থেকে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও এমন কথা বলা হয়েছিল। ক্ষমতায় বসে সেসব ঝেড়ে ফেলে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ আর দুর্নীতিকে বেছে নিয়েছে বলেই এখন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বিকল্প কিছু ভাবতে পারছে না। এতে নির্বাচন নিয়ে বিপজ্জনক খেলা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কায় চারদিকে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো নির্বাচন কমিশনেও দলীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়ানো
হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা থেকে নিরপেক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা পুরোপুরি মুছে গেছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন