দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। আওয়ামী মহাজোট সরকার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে এসে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকল্পটি হাতে নিলেও ঝুলে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি পদ্মা সেতু প্রকল্পও। এর সঙ্গে সরকারের কাছের লোকদের নাম প্রকাশ পেতে শুরু করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ কানে না তোলায় শেষ পর্যন্ত ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। ক্ষমতাসীনদের লোক দেখানো লাফালাফি আর হম্বিতম্বিতে সময়ক্ষেপণের পর নিরুপায় হয়ে আবার বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হতেও বাধেনি তাদের। সব শর্ত মেনে দুর্নীতির তদন্ত শুরু না করে আর কোনো পথ খুঁজে পায়নি তারা। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধানের পর দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিপোর্ট বিবেচনায় বিশ্বব্যাংকের বিশেষ প্যানেলের সঙ্গে বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টির খবর গতকালের আমার দেশসহ সব পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ করেছে। এর ফলে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কাই বড় হয়ে উঠেছে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঋণদাতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, সেখানে দুদকের ভূমিকায় সঙ্কট দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনে গুরুতর কারণ না থেকে পারে না। তাদের অনুসন্ধান রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে কি-না, সেটাই সমস্যা বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও দফায় দফায় ৩০ জনেরও বেশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর যে ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে মন্ত্রী-উপদেষ্টাসহ প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়র নাম থাকায় সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ওপরই এখন সবকিছু নির্ভর করছে। তাদের বাদ দিয়ে মামলা করার প্রস্তাব বাতিলে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল অনড় থাকলে বিষয়টি সরকারকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেবে সন্দেহ নেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অনেক বড় বড় কথাই শুনিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সস্তা বাহবা নেয়ার পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বলে রাজনৈতিক চমক সৃষ্টির চেষ্টাও নিয়েছিলেন। পদ্মা সেতুর নামে তোলা চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে সহিংসতার এক ছাত্রলীগ কর্মী খুন হওয়ার পর সে চেষ্টা থেমে যায়। তার কথায় যারা মাথা ও লেজ নেড়েছিল, তাদের এখন অবশ্য মুখ চেপে রাখতেই দেখা যাচ্ছে। যে মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছিল দুদক, এখন সেই ‘দেশপ্রেমিক’-এর নামই অভিযুক্তদের শীর্ষে শোভা পাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের নজরদারির ফলে দুদকের জারিজুরি কাজে আসেনি। তাকেসহ অন্য বিশিষ্টজনদের বাঁচাতে দুদকের শেষ চেষ্টার পেছনে সরকারের ভূমিকা কী—সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে শীর্ষ মহলের কলকাঠিতে কাজ না হলে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ হিসেবে যাদের আসামির কাঠগড়ায় দেখা যাবে, তারা মোটেই অচেনা কেউ নয়। স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ সময় ধরে এরাই নানাভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। দেশকে দুর্নীতির অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। দুদকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও যে তাদেরকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেটা নতুন করে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারের বড় মুখে সফলতার দাবি মূল্যহীন হয়ে উঠেছে। ক্ষমতার শেষ সময়ে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা মহাজোট সরকার কীভাবে করে সেটাই এখন দেখার।
খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঋণদাতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, সেখানে দুদকের ভূমিকায় সঙ্কট দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনে গুরুতর কারণ না থেকে পারে না। তাদের অনুসন্ধান রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে কি-না, সেটাই সমস্যা বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও দফায় দফায় ৩০ জনেরও বেশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর যে ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে মন্ত্রী-উপদেষ্টাসহ প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়র নাম থাকায় সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ওপরই এখন সবকিছু নির্ভর করছে। তাদের বাদ দিয়ে মামলা করার প্রস্তাব বাতিলে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল অনড় থাকলে বিষয়টি সরকারকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেবে সন্দেহ নেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অনেক বড় বড় কথাই শুনিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সস্তা বাহবা নেয়ার পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বলে রাজনৈতিক চমক সৃষ্টির চেষ্টাও নিয়েছিলেন। পদ্মা সেতুর নামে তোলা চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে সহিংসতার এক ছাত্রলীগ কর্মী খুন হওয়ার পর সে চেষ্টা থেমে যায়। তার কথায় যারা মাথা ও লেজ নেড়েছিল, তাদের এখন অবশ্য মুখ চেপে রাখতেই দেখা যাচ্ছে। যে মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছিল দুদক, এখন সেই ‘দেশপ্রেমিক’-এর নামই অভিযুক্তদের শীর্ষে শোভা পাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের নজরদারির ফলে দুদকের জারিজুরি কাজে আসেনি। তাকেসহ অন্য বিশিষ্টজনদের বাঁচাতে দুদকের শেষ চেষ্টার পেছনে সরকারের ভূমিকা কী—সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে শীর্ষ মহলের কলকাঠিতে কাজ না হলে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ হিসেবে যাদের আসামির কাঠগড়ায় দেখা যাবে, তারা মোটেই অচেনা কেউ নয়। স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ সময় ধরে এরাই নানাভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। দেশকে দুর্নীতির অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। দুদকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও যে তাদেরকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেটা নতুন করে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারের বড় মুখে সফলতার দাবি মূল্যহীন হয়ে উঠেছে। ক্ষমতার শেষ সময়ে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা মহাজোট সরকার কীভাবে করে সেটাই এখন দেখার।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন