দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পুঁজি পাচার এবং সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী নাগরিকদের গচ্ছিত অর্থ সংক্রান্ত। দু’টি খবরই বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ও সুশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ভয়াবহ।
ইউএনডিপির এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পণ্যের আমদানি রফতানী মূল্যের আন্ডারইনভয়সিং, ওভারইনভয়সিং, রেমিটেন্স ও হুন্ডির মাধ্যমে এ যাবত তিন লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই টাকা দেশে থাকলে কৃষির আধুনিকায়ন, শিল্পায়ন, রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, সেতু প্রভৃতিসহ অবকাঠামো তৈরীর গতি ত্বরান্বিত হতো এবং বিদেশী সাহায্যের উপর দেশের নির্ভরশীলতা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পেতো। জনগণের জীবন যাত্রার মানও অনেক বৃদ্ধি পেতো। কেননা এর সাথে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ইউএনডিপি তথা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী তার সমীক্ষা রিপোর্টে আটটি উন্নয়নশীল দেশের তথ্য পরিবেশন করেছে। এর মধ্যে অর্থ পাচারের দিক থেকে আইভরিকোস্ট এর স্থান শীর্ষে দেখানো হয়েছে (বার্ষিক ১০৮৪২ কোটি টাকা), বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয় (৬২৪০ কোটি টাকা), এরপর রয়েছে জাম্বিয়া (৩১২০ কোটি), বলিভিয়া (৩১২০ কোটি), তানজানিয়া (২৭৩০ কোটি) এবং নেপাল (২৩৪০ কোটি টাকা)।
রিপোর্টে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে তার পাচারকৃত অর্থ দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০.৪ শতাংশ। প্রতি বছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে ৮০ কোটি ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬২৪০ কোটি টাকার মতো।
পক্ষান্তরে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসএনবি সম্প্রতি Banks in Switzerland 2013 শীর্ষক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৩১৬২.৩৭ কোটি টাকা। ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৯০৮ কোটি টাকা। বাহ্যিক এই পরিসংখ্যান থেকে মনে হয় যে ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী নাগরিকদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ১২৫৪.৩৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা তা থেকে ভিন্ন। সুইস ব্যাংক তাদের রিপোর্টে গচ্ছিত অর্থের যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা বছর শেষের ব্যালেন্স, সারা বছরের লেনদেন নয়। সারা বছর সংশ্লিষ্ট আমানতকারীরা কত টাকা জমা করেছেন এবং কত টাকা উত্তোলন করেছেন সে সম্পর্কে কোন বিবরণী তারা দেননি। এই প্রেক্ষিতে অনুমান করা যায় যে তাদের গচ্ছিত অর্থ ও লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশী এবং রিপোর্টে বিন্দুতে সিন্দু দর্শনের মত একটি তথ্যই শুধু তারা প্রদর্শন করেছেন। সুইস ব্যাংক ছাড়াও এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরিত বাংলাদেশীদের অর্থ সম্পর্কে আমদের হাতে কোনও তথ্য নেই। অবশ্য বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের একজন শীর্ষ রাজনীতিকের সন্তানের নামে-বেনামে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রাপ্ত সম্পদের একটি হিসাব পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বাড়ীঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক ব্যালেন্স মিলিয়ে এই সম্পদের পরিমাণ ধরা হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। রিপোর্টটি প্রকাশের পর সরকারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া যেমন আসেনি তেমনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও তদন্তের ব্যবস্থাও করেননি।
ইউএনডিপির রিপোর্ট, সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্ট এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থা বিশ্লেষণ করলে আমাদের সামনে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের এক ভয়াবহ অবস্থা ফুটে উঠে।
দেশবাসীর সামনে এখন একথাটি অত্যন্ত পরিষ্কার যে বর্তমান সরকারের গত সাড়ে পাঁচ বছরের দুর্নীতি দুঃশাসনে দেশের সবগুলো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ও তার অংগ সংগঠনের নেতা কর্মী, মন্ত্রী এমপিদের দৌরাত্ম্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ ফতুর হয়ে গেছে। তারা নামে-বেনামে লোন নিয়ে আত্মসাৎ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় মূলধন শূন্য করে ফেলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধারের কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে মূলধন ভর্তুকী দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে ৩২ হাজার কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ অবলোপন করেছেন। এই ঋণ আর আদায় করা হবে না। আবার ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফশীলিকরণ করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের জন্য এই ব্যবস্থাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক। বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্ককারী, সোনালী, রূপালী, জনতা, পূবালী ও বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারীর যারা হোতা তাদের কোনও শাস্তি হয়নি, শেয়ার মার্কেট থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যারা ৩৫ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েছেন তাদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে সরকার পুরস্কৃত করেছেন। রেলমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘুষ কেলেঙ্কারী, শিক্ষামন্ত্রী ও এমপিদের এমপিও বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতার চাঁদা বাণিজ্য, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী, পদ্মাসেতু দুর্নীতি প্রভৃতি সরকারের একটির পর একটি কেলেঙ্কারী দেশের মানুষকে একদিকে যেমন অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে অপরদিকে তাদের স্মৃতিকে বিভ্রান্ত করে দৃষ্টিকে বিপথগামী করার চেষ্টাও করেছে।
আমি বিদেশে পুঁজি পাচার ও সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ গচ্ছিত রাখা প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম। বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের, এটা তাদের স্বপ্ন ভংগের একটি অংশও। পাকিস্তান আমলে এ দেশের পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে সাধারণ যে অভিযোগ ছিল তা হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানে পুঁজিপাচার। আমরা আশা করেছিলাম স্বাধীন বাংলাদেশে এই পাচার বন্ধ হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাচারের গতি আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকরা আমাদের উপর নির্যাতন করেছে, আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে দেয়নি, আমাদের জেল, জুলুম ও অত্যাচারের শিকার বানিয়েছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। নির্যাতিত রাজনীতিবিদরা তখন জেলখানায় রাজবন্দী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন তারা ক্রিমিনাল হিসেবে পরিচিত। হাতকড়া-ডা-াবেড়ি পরিয়ে তাদের আদালতে আনা হয়। আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ভোটার ছাড়াই নির্বাচন হয় এবং প্রতিবাদী জনতার উপর কথায় কথায় পুলিশ গুলি করে। শুধু তাই নয় পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলার এলিট বাহিনী টাকা নিয়ে মানুষ খুন করে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখন শত্রু হিসেবে পরিগণিত হয়। এর কোনটাই এদেশের মানুষের স্বপ্নের অন্তর্ভুক্ত ছিল না । এর জন্য যারা দায়ী তাদের মানুষ চেনেন। তাদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউএনডিপি ও সুইস ব্যাংকের রিপোর্ট নিয়ে অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরা গণমাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংসদের ভেতরে এবং বাইরে এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা অবশ্যই ফেরৎ আনা হবে। তার অভিযোগ বিএনপির শীর্ষ নেতারা টাকা পাচার করেছেন। আরো স্পষ্ট করে তিনি বলেছেন যে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান উভয়েই সুইস ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রেখেছেন এবং তারা নিশ্চিতভাবেই ধরা পড়বেন।
কে ধরা পড়বেন এবং কে ধরা পড়বেন না আমার কাছে তা মুখ্য বিষয় নয়। আমি যে বিষয়টিকে মুখ্য বলে মনে করি সেটি হচ্ছে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয় প্রকৃত অর্থে যারা অপরাধী তারা চিহ্নিত হোক এবং শাস্তি পাক। অপরাধী চিহ্নিত করার দু’টি পন্থা আছে। একটি হচ্ছে Documentary Proof বা দালিলিক প্রমাণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে Circumstantial evidence বা পরিবেশগত সাক্ষ্য। গত প্রায় ছয় বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এই সময়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, ছোট নেতা, বড় নেতা, তাদের অংগ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগসহ লীগ পরিবারের সদস্যরা কি করেছেন, না করেছেন দেশবাসী তা অবহিত আছেন। তাদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি , দখলবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, সীট বাণিজ্য, অপহরণ বাণিজ্য, ঘুষ বাণিজ্য, ঘাট বাণিজ্য, চাকুরি বাণিজ্য সাধারণ মানুষকে অতীষ্ঠ করে তুলেছে। পাঁচ বছর আগে একজন তৃতীয় শ্রেণীর ঠিকাদার ব্যবসায়ী অথবা বেকার আওয়ামী লীগকর্মী এখন কোটিপতি। দলটির পদ-পদবী এখন এতই লাভজনক যে লক্ষ লক্ষ টাকায় তা বিক্রি হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান এই সরকারকে বাজিকরের সরকার বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। স্বনামধন্য একটি ইংরেজী সাপ্তাহিক ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ ও বাণিজ্যখাত, পরিবহন ও টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, বেসামরিক বিমান, রেলওয়েসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি-আত্মসাতের একটি হিসাব প্রকাশ করেছিলেন। ঐ হিসাব অনুযায়ী এই সময়ে চার লক্ষ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেহাত হয়েছে। কোন কোন মন্ত্রী, এমপিদের ৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ গুণ থেকে ২৮০০ গুণ পর্যন্ত। মজার ব্যাপার হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে গত জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের আগে এমপি প্রার্থীদের পেশ করা সম্পদ বিবরণী যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ শুরু হয় তখন তা দেখে সারা দেশের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যায়। এতে এতই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় যে শেষ পর্যন্ত সরকাির নির্দেশে নির্বাচন কমিশন এই তথ্য প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে দলীয় দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে শুধু পঙ্গু করে দেননি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপি ও দলীয় নেতাদের দশ সহস্রাধিক মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে দুর্নীতিবাজরা আরো উৎসাহিত হয়েছে এবং দলটি খুনী-দুর্ণীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে অনেকেই এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য বলে মনে করেন। এই দলটিই এখন তাদের আশ্রয়স্থল। পুলিশের সাথে শেয়ার করে আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে যে শত শত কোটি টাকা কামাচ্ছেন যে অভিযোগ রয়েছে তা আমি উল্লেখ করলাম না। যারা অর্থ পাচার করেছেন তাদের আমি চিনি না। তাদের চিহ্নিত করার জন্য যে ডকুমেন্ট দরকার তা হয়ত সহজে পাওয়া যাবে না তবে উপরোক্ত পারিপার্শ্বিক তথ্যগুলো মাথায় রাখলে কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। বিএনপি-জামায়াত অথবা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা গত সাত বছর ধরেই বেহাল অবস্থায় আছেন। তাদের স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ও তারা চালাতে পারছেন না। বেগম জিয়াকে বাড়িছাড়া করা হয়েছে। তার ব্যাংক একাউন্ট জব্দ ও সরাকারী নিয়ন্ত্রণে। তারেক রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী তারা যদি পাচার সংশ্লিষ্ট থাকেন তা হলে শিগগির তা প্রকাশ করা দরকার।
অবস্থা যাই হোক সরকারের উচিত অবিলম্বে পুঁজি পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায় দায়িত্ব তাদের উপরই বর্তাবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন