একে একে বিশ্ব জয় করে ফেলছেন
বাংলাদেশের মহামান্য শেখ হাসিনা। তিনি ভারত জয় করেছিলেন। চীন, জাপান জয় করেছেন। মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র জয় করেছেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
ডেকে এনে (ফল কী হয়েছে জানি না) কম্বোডিয়া জয় করেছেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ভুটান গিয়ে
তোফায়েল আহমদ ভুটান বিজয় সম্পন্ন করেছেন। আর এখন রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সরকারি পয়সায় বিভিন্ন
বিলবোর্ড স্থাপিত হয়েছে। তাতে শেখ হাসিনা ভারতের সাথে সমুদ্র বিজয় করে ফেলেছেন। যদিও
এটি কংগ্রেসের সাথে এক ধরনের আপসের খেলা ছিল। তালপট্টি নিয়ে ভারতের সাথে যে সমুদ্রসীমা
বিরোধ সেটি শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবের শাসনকাল থেকেই। শেখ মুজিব বিষয়টি নিয়ে আলোচনার
জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান তালপট্টি
দ্বীপের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অত্যধিক সক্রিয় ছিলেন। এ নিয়ে এক ধরনের সঙ্ঘাতময়
পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। ভারত এসে তালপট্টি দ্বীপে তাদের পতাকা
উড়িয়ে দিয়েছিল; কিন্তু তালপট্টি দ্বীপের ওপর কার্যত ন্যায়সঙ্গত অধিকার ছিল বাংলাদেশেরই।
এসব বিতর্কের এক পর্যায়ে
ভারত এ
কথা প্রচার করতে শুরু করল যে, তালপট্টি দ্বীপের কার্যত কোনো অস্তিত্বই নেই। যদি
তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে যেভাবে সীমানা নির্ধারিত
হয়েছে তারচেয়ে অনেক বেশি এলাকা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হতো।
আর ওই
দ্বীপাঞ্চলে যে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে, তার মালিক হতো বাংলাদেশ; কিন্তু ভারতের কংগ্রেস সরকারকে সুবিধা দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার সরকার যেসব গোপন
চুক্তি করেছে, যেভাবে বিনামূল্যে ট্রানজিট করিডোর দিয়েছে, ঠিক একইভাবে কংগ্রেস সরকারকে খুুশি করার জন্য স্বীকার করে নিয়েছে যে, তালপট্টি দ্বীপের কোনো অস্তিত্ব নেই। অবশ্য গুগল বা গুগল আর্থ প্রভৃতি ওয়েবসাইটে
সব সময়ই দেখানো হয়েছে, তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব রয়েছে। যখন শেখ হাসিনা
বড়াই করে বললেন যে, যারা বলছেন তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব আছে, তারা দেখান কোথায় সে তালপট্টি দ্বীপ। আর তার পর দিনই একাধিক সংবাদপত্র চোখে
আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো, তালপট্টি দ্বীপ কোথায় এবং কত ডিগ্রি অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশে
এর অবস্থান। এরপর অবশ্য সরকারের ফটর ফটর ভাব অনেকখানি কমে এসেছে।
তালপট্টি
দ্বীপ নিয়ে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার যে বিরোধ, সেটি নিষ্পত্তির উপযুক্ত জায়গা
ছিল আন্তর্জাতিক আদালত, যেখানে বিচারকের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি; কিন্তু ভারত কিছুতেই সেই আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে রাজি হয়নি। তারা এই নিষ্পত্তির জন্য
আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতকে পছন্দ করেছে। সালিসি আদালতের রায় ভারতের অনুকূলে গেছে এবং
ভারত সানন্দে তা মেনে নিয়েছে। আর শেখ হাসিনার সরকার এই বলে আনন্দে বগল বাজাচ্ছে যে, ভারতের সাথে সীমানা বিরোধেও তারা সমুদ্র জয় করে ফেলেছে। শেখ হাসিনা তো গর্ব
করে বলেই ফেলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রহসন না হলে এই বিজয় অর্জন করা সম্ভব হতো
না।
তেমনিভাবে
এবার তিনি বিলাত বিজয় করে ফিরলেন। যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব কন্যাশিশু
সম্মেলন। সে সম্মেলনে শিশু ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী যোগ দিলেই যথেষ্ট হতো; কিন্তু অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের সাথে একটি
সৌজন্য সাক্ষাতের আশায় শেখ হাসিনা নিজেই লন্ডন গিয়ে হাজির হলেন। এর আগের সরকারে শেখ
হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এভাবে নিষ্ফলা সফরে অর্ধেক সময় ব্যয় করেছেন।
যেখানে পররাষ্ট্র সচিব বা ওই মন্ত্রণালয়ের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গেলেই চলে, সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি নিজেই লাফ দিয়ে বিমানে উঠে পড়েছেন। গিয়ে
বহু নেতার সাথে ছবি তুলেছেন। তাদের অটোগ্রাফ নিয়েছেন। যেন তিনি এ দেশের এক চঞ্চলা কিশোরী।
তাতে অর্জন তো কিছু হয়ইনি, বরং বাংলাদেশের সুনাম ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। এবার শেখ
হাসিনাও তেমনি কাঙালপনার পরিচয় দিলেন। ওই কন্যাশিশু সম্মেলনে পৃথিবীর আর কোনো দেশের
সরকার প্রধান যোগদান করেননি। শুধু গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কেন? ডেভিড ক্যামেরনের সাথে সম্ভবত একটি ছবি
তোলার
জন্য।
এ বছর
৫ জানুয়ারির নির্বাচন সারা পৃথিবী প্রত্যাখ্যান করেছে। ও রকম একটি খেলো ও হাস্যকর নির্বাচন
না করার জন্য সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার সরকারকে অনুরোধ করেছিল। তারা বলেছিল যে, বিরোধী দলবিহীন এ রকম নির্বাচন হলে বা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তা সারা
পৃথিবীর কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জাতিসঙ্ঘ এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য আন্ডার সেক্রেটারি
তারানকোকে এখানে পাঠিয়েছিল। তারানকো উভয় দলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। ফলাফল শূন্য।
খালি হাতে এক বুক হতাশা নিয়েই ফিরে গেছেন তারানকো; কিন্তু ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস
সরকার এ রকম একদলীয় নির্বাচনকে কাছাখোলা সমর্থন দিয়ে গেছে। এমনকি শেখ হাসিনার চার দশকের
আপনজন এরশাদও যখন নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিলেন, তখন ভারত তাদের পররাষ্ট্র সচিব
সুজাতা সিংকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন এরশাদকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। এরশাদ যখন
তাতেও রাজি হচ্ছিলেন না, তখন সুজাতা সিং এরশাদকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি যদি রাজি না হন, তাহলে মৌলবাদীরা ক্ষমতা দখল করে নেবে। এরশাদ তখন
বলেছিলেন, সে দায় সরকারের ওপর বর্তায়, তার ওপর নয়। তারপর অনেক ভানুমতির
ভোজবাজির খেলা হলো। এরশাদকে সিএমএইচ-এ নিয়ে বন্দী করা হলো। এরশাদ এ কথা জানাতে কসুর
করেননি যে, তিনি কার্যত বন্দী।
ইতোমধ্যে
প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়। ফলে মাত্র ৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে
৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ভোটারের বদলে বুথগুলোতে দেখা গেছে
কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগি রোদ পোহাচ্ছে। পুলিশ আনসাররা আলস্যে
চেয়ারে বসে আছে। পোলিং অফিসার ভোটারের অভাবে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। এমনকি
সে নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরাও বর্জন করেছিল। কারণ ৪৯টি ভোটকেন্দ্রে একজন
লোকও ভোট দেয়নি। নিশ্চয়ই সেখানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের সমর্থক ছিল; কিন্তু তারাও ভোট দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের
মধ্যে ১৫৪টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না। তারা একাই প্রার্থী ছিলেন। আর নির্বাচন
কমিশনও তাদের জয় বাংলা বলে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। ফলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সারা পৃথিবীতে
হাসির উদ্রেক করেছে। এবং তখন থেকেই জাতিসঙ্ঘসহ গোটা পৃথিবী বলতে শুরু করেছে যে, অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণমূলক আর একটি নির্বাচন দেয়া হোক।
আর ভারতীয়
পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের কথার সূত্র ধরে বলা যায়, তিনি বাংলাদেশে মৌলবাদের জুজু দেখাতে এসেছিলেন? ভারতের মৌলবাদীরা নির্বাচনে কংগ্রেস সরকারকে একেবারে তুষ বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪৪টি আসন। এমনকি এখন তারা বিরোধী দলের
আসনও অলঙ্কৃত করতে পারছে না। তার জন্য দরকার ছিল কমপক্ষে ৫৫টি আসন। সুজাতা সিংয়ের দোষ
নেই। তিনি সরকারি কর্মচারী তখনো ছিলেন। এখনো আছেন। এমনকি বর্তমান মোদি সরকার যদি তাকে
এই মিশন দিয়ে বাংলাদেশে পাঠায়, অমুককে গিয়ে বোঝাও যে অমুক দলকে অবশ্যই সমর্থন দিতে
হবে। তা না হলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ক্ষমতায় এসে যাবে। সরকারি চাকরি করতে চাইলে সুজাতা
সিংকে অবশ্যই মৌলবাদী বিজেপি সরকারের সে নির্দেশ মানতে হবে।
এই প্রেক্ষাপটেই
আসে প্রধানমন্ত্রীর বিলাত বিজয় প্রসঙ্গ। সফর থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ
আলী একেবারে গদগদ হয়ে বলেছেন, বর্তমান সরকার সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অবস্থান
পাল্টেছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পাল্টেছে, এটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন এখন অতীত।
যুক্তরাজ্য ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চায়। আগামী দিনে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয়
সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চায়। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ
সরকার বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে।’ কিন্তু ২৪ জুলাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন যে, রক্ষণশীল দলীয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন
বাংলাদেশের গত ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে তাদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্স এবং ইউরোপীয়
পার্লামেন্ট এক সপ্তাহের ব্যবধানে নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছিল। সাধারণভাবে
বলা হয়ে থাকে, ভারত, চীন ও রাশিয়া ছাড়া অবশিষ্ট বিশ্ব নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য
বলে মনে করে না। তবে অনেকের মতে, ওই নির্বাচন সম্পর্কে শীর্ষ পর্যায়ের কোনো আলোচনায়
সরাসরি অনাস্থা ব্যক্ত করার কোনো খবর ওয়েস্টমিন্সটার গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেন থেকেই
এলো। অতএব মিথ্যাবাদী হলেন এ এইচ মাহমুদ আলী।
১০ নম্বর
ড্রাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র অলস্টার ক্যাম্পবেল তার বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচন, যা অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পন্ন হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। তারা একটি উন্মুক্ত সমাজ ও রাজনৈতিক
অংশগ্রহণ এবং মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা নিশ্চিত হবে, সে বিষয়ে একমত হন।’ ডেভিড ক্যামেরন কার্যত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রশ্নে
এর আগে হাউজ অব কমন্সের সদস্যদের দেখানো মনোভাবটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে
দিয়েছেন। এর আগে ব্রিটিশ সংসদে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দীর্ঘ বিতর্ক হয়। এতে সব দলের প্রায়
৪০ জন সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য
বলে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি ওই বিতর্কে অংশ নিয়ে কমন্সে বাংলাদেশ গ্রুপ বলেছিল, তারা নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। তারা শেখ হাসিনা সরকারকে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল না করারও সুপারিশ করেছিলেন।
গত ৩০
জানুয়ারি হাউজ অব কমন্সের বাংলাদেশ বিতর্কে অংশ নিয়ে ফরেন ও কমনওয়েলথ-বিষয়ক মন্ত্রী
হাগ রবার্টসন বলেছিলেন- প্রথমত, ওই নির্বাচনে সহিংসতা ও জনগণ তাতে অংশগ্রহণ না করার
ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের স্বার্থে গণতান্ত্রিক
ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং একটি টেকসই সমাধানে পৌঁছতে আমরা অবিলম্বে প্রধান দলগুলোর
মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছি। রবার্টসন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে
খেলো বলে অভিহিত করেন। আর এর কারণ হিসেবে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলকে দায়ী
করেন।
আর ঢাকায়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন যে,পশ্চিমারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছেন এবং
তাকে অতীত বলেও ঘোষণা করেছেন। তারা নাকি বলেছেন যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অতীত হয়ে
গেছে। ক্যামেরন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চান। সরকারে শেখ হাসিনা ছাড়াও এমন অসংখ্য মিথ্যাবাদী
আছে। তাদের জয় বাংলা।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন