দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ যে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং সেখানে যে বাংলাদেশের পলিতে যে বিশাল দ্বীপ গড়ে উঠছে সে ঘটনা এখন থেকে ৬০ বছর আগে। ১৯৫৪ সালে প্রথম স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়ে যে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দক্ষিণ তালপট্টি নামের একটি দ্বীপ ক্রমশই তার অস্তিত্ব প্রকট করে তুলছে। তখন থেকেই পাকিস্তান সরকার এই দ্বীপটিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরের বলে দাবি করে আসছিল। ভারতও অনেকটা যৌক্তিকভাবেই তখন এ নিয়ে কোনো বিরোধ তোলেনি। এরপর ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে দ্বীপটির নাম ‘নিউ মুর’ করে এর মালিকানা দাবি করে বসে। ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান এই দ্বীপটির মালিকানা বাংলাদেশের বলে দাবি করে এবং তা চূড়ান্ত করার জন্য তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে ভারতের সঙ্গে পাঁচ দফায় আলোচনার জন্য নিয়োজিত করেন। তর্ক-বিতর্কের শুরু হয় তখন থেকেই। ১৯৭৪ সালে আমেরিকান স্যাটেলাইটে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব আরও স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ৩.৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ছিল ৩ কিলোমিটার। ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে জিয়াউর রহমান সিপাহী জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাসীন হয়েই এ দ্বীপে একটি জরিপের উদ্যোগ নেন। তার জন্য কানাডিয়ান সার্ভে জাহাজ ভাড়া করা হয়। সমুদ্রে বাংলাদেশ কী বিপুল সম্পদের অধিকারী এবং নতুন প্রজন্মকে তা জানানোর জন্য তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৯৭৬ সালে হিজবুল বহর নামের জাহাজে করে ঐ এলাকা পরিদর্শন করেন।
জিয়াউর রহমানের এই উদ্যোগের পর পরই ভারতীয়রাও দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে থাকে এবং দ্বীপটির মালিকানা বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি হতে থাকে। ১৯৭৯ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের বাংলাদেশ সফরকালে জিয়াউর রহমান তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সে আলোচনার ধারাবাহিকতায়ই ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, সীমান্ত নদী হাঁড়িভাঙায় নবোত্থিত দ্বীপ/ দ্বীপগুলি (নিউ মুর/ দক্ষিণ তালপট্টি/ পূর্বাশা) নিয়েও উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষ এই মর্মে একমত হন যে, অতিরিক্ত তথ্যাবলী সম্পর্কিত গবেষণাগুলো হাতে পাওয়ার পর তা দুই পক্ষের মধ্যে বিনিময় হবে এবং দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য যথাশীঘ্র আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় ঘোষণা করেন যে, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ভারতের। ১৯৮০ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক জাতীয় সংসদে জানান যে, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ বাংলাদেশের। ১৯৮১ সালের ৯ মে আইএনএস সন্ধ্যায়ক নামে নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ পাঠিয়ে ভারত সেখানে পতাকা উত্তোলন করে। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। ফলে কিছুকাল পরেই ভারত ঐ দ্বীপ অঞ্চল থেকে তার নৌ বাহিনীর জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮১ সালের ২৩ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির জাতীয় বর্ধিত সভায় বলেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৯৮১ সালের আন্তর্জাতিক জরিপে দক্ষিণ তালপট্টির পূর্ব অংশের অবস্থান ভারতের দিকে বলে অভিহিত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্র্যাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস তাদের স্যাটেলাইট ইমেজভিত্তিক সমীক্ষায় দেখায় যে, এই দ্বীপ পশ্চিমাংশে বাংলাদেশের দিকে জেগে উঠেছে। ১৯৯০ সালে আর এক স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায় যে, দ্বীপটি ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ২০০৪ সালে ভারত বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে শুরু করে যে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ বিলীন হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে এখনও স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায় যে, দ্বীপটির অস্তিত্ব আছে এবং তা বাংলাদেশের অংশে। এ বছর ৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব অস্বীকার করে সেই এলাকাটি ভারতের বলে ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বিরাট প-িত পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সন্তোষ প্রকাশ করে এখন নানা ধরনের লাফালাফি শুরু করেছেন। শেখ হাসিনাও ভারতের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে একেবারে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন যে, ঐ দ্বীপের কোনো অস্তিত্ব নেই। যারা বলছে, ঐ দ্বীপ বাংলাদেশের, তারা দেখাক, কোথায় ঐ দ্বীপের অস্তিত্ব আছে। শেখ হাসিনার এমন ‘নাদান’ উক্তি ভুল প্রমাণিত করার জন্য একাধিক পত্রিকা খুব সাম্প্রতিক সময়ের স্যাটেলাইট ছবিসহ দ্বীপের ছবি প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা ও তার গুণধর পুত্র এখন পর্যন্ত অবশ্য বলেননি যে, গুগল বা গুগল আর্থের ঐসব ছবি একেবারেই ভুয়া। যখন পত্রপত্রিকায় এসব ছবি প্রকাশিত হলো, তখন বোধ করি শেখ হাসিনার খানিকটা বোধোদয় হলো। তিনি তখন ভিন্ন কথা বলতে শুরু করলেন। বললেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়েছে বলেই সমুদ্র বিজয় সম্ভব হয়েছে। সে সমুদ্র বিজয়টা কী, তা কারো কাছে স্পষ্ট হলো না। কারণ যে ২৫০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিরোধ তার সবটারই দাবিদার বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার আইন অনুযায়ী এর এক ইঞ্চি মালিকানাও ভারতের নয়। তা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা সরকারের চরম অবহেলায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নজরানা হিসেবে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। তখন হয়তো শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন যে, এই নজরানা দিলে ভারতে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মনমোহন সরকার তার প্রতি আদর আরও বাড়িয়ে দিবে এবং তাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এই আদালতে যা কিছু ঘটেছে তার সবই ঘটেছে কংগ্রেস সরকারের উদ্যোগে। মোদি সরকারের এখানে কিছুই করার ছিল না।
আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের কাছে বার বার ঐ দ্বীপের উপযুক্ত মানচিত্র পেশ করতে বলেছে। সরকার তা পেশ না করে একেবারেই নীরব থেকেছে। ভারতের সাথে সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিম স্থল সীমানায় ৪.৫ কিলোমিটার পূর্বে সরিয়ানায় ভারত তালপট্টির মালিকানা পেয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের কোনো প্রতিনিধি আদালতে তার কোনো প্রতিবাদ করেনি। এমনকি যায়ওনি। হাঁড়িভাঙার বদলে রায়মঙ্গল নদীর মধ্যরেখাকে সীমানা ধরে তালপট্টিসহ বঙ্গোপসাগরের ৬০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ভারতকে দিয়ে দেবার আয়োজন করেছে বাংলাদেশই। ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের একজন বিচারক পাঠিয়েছিল। তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন বাংলাদেশের আরও বিপুল অংশ তাদের দখলে নিতে। এমনকি আদালতে ‘ভিন্নমত’ রেকর্ড করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো বিচারকও পাঠাইনি। এই সালিশি শুনানিতে ভারতের অ্যাটর্নী জেনারেল অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের অ্যাটর্নী জেনারেল সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ ভারত সমুদ্রসীমার যতটুকু পারে নিয়ে নিক, আমরা চোখ বন্ধ করে থাকি। তারা শুধু আমাদের ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করুক।
শেখ হাসিনা যখন এই বলে লাফালাফি করছেন যে, ‘বিএনপির এক নেতা বলেছেন আমরা তালপট্টি পায়নি, তাকে বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। তালপট্টি কোথায় আছে, সে খুঁজে বের করুক। শেখ হাসিনার ‘বিরাট শিক্ষিত’ পুত্র জয় (তিনি কী বিষয়ে কতটা শিক্ষিত সেটি আমাদের জানা নেই) আর এক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘যারা বাংলাদেশে এই জয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদের মৌলিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। যে তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটির অস্তিত্বই এখন আর নেই। ১৯৮০ সালের যত ম্যাপ ছিল, সবগুলোতেই তালপট্টি দ্বীপকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাহলে কি জিয়াউর রহমান তালপট্টি দ্বীপ ভারতকে দান করেছিলেন?’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতির একটি পক্ষ এখনও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মনে-প্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়। যারা জয় বাংলা বলতে লজ্জা পায়, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘এ বিজয় এমনি হয়নি। এ বিজয় আমাদের চেষ্টার ফসল। যারা এ বিষয়ে অপপ্রচার করছেন, তারাও তো ক্ষমতায় ছিলেন। তারা কেন চেষ্টা করেননি? এখন তালপট্টির জন্য মায়া কান্না করছেন। যান খুঁজে বের করুন। সেখানে গিয়ে আন্দোলন করুন। সাঁতার কাটুন।’ বিএনপির ইতিহাস বিকৃতি প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘যে দল বাইরে বসে হাউকাউ করে তাদের শিক্ষা ও মেধার দৌড় কতটুকু, তা সকলের জানা। ’৭৫ পরবর্তী রাষ্ট্রপতিকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে তারা প্রমাণ করেছেন, ৭৫ ও ৭১-এর পার্থক্যও তারা বোঝেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব তেমন একটা শিক্ষিত নন। কিন্তু নেতারাও যে শিক্ষিত নন, তা জানতাম না। প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ককারীদের স্টুপিড উল্লেখ করে জয় বলেন, তারা ক্লাস ওয়ানের ছাত্রের চেয়েও অধম। শিশু শ্রেণীর বাচ্চারা যে অংক পারে, সে অংক কষতেও এরা ভুল করে।’ জয় বলেন, ’৭১-যে রাজাকার ছিল, এখন তাদের মতো, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। এদের শিক্ষার দৌড় কতটুকু, আমরা তা ভাল করে জানি। কিন্তু ইদানিং তাদের পক্ষে যারা সাফাই গাইছেন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে টক-শোগুলোয় যারা বিতর্ক করছেন, তাদেরও মৌলিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ যে সমুদ্রের বিশাল অংশ জয় করে নিয়েছে, তা তারা বুঝতে পারেননি। এটা তাদের ক্লাস ওয়ানের অংকও না বুঝার পরিচয় বহন করে। এই টকশোকারীদের তিনি বকলম বলে অভিহিত করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে যদি ‘বাপ কা বেটা’ বলতে পারতাম, তাহলে খুশি হতাম। কিন্তু তাকে বোধ করি ‘মা কা বেটা, এটা বলাই বেশি মানায়। কারণ তার বাপ সুশিক্ষিত ছিলেন। সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মায়ের শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞান বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ আছে। তা না হলে তালপট্টি দ্বীপই নেই, এ কথা বলার আগে, নিজে না পারলে, কোনো নফর দিয়ে গুগল বা গুগল আর্থ সার্চ করিয়ে নিতে পারতেন। গুগল ও গুগল আর্থের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি ছবি ছাপা হয়েছে গত ১২ জুলাই (সূত্র: যঃঃঢ়//:সধঢ়.মড়ড়মষব.পড়স) । ছবিটি ১১ জুলাই নেওয়া হয়েছে। গুগল আর্থ আরও বেশি আপডেটেড। সেখান থেকে ৮ জুলাই রাত ১০:১০ মিনিটে ছবি নিয়ে ছেপেছে দৈনিক দিনকাল, দৈনিক সংগ্রাম। ১১ জুলাই একই সূত্র থেকে যে ছবি ছেপেছে, তাতে দেখা যায়, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব আছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের লেখাপড়ার মাত্রা আমাদের জানা নেই। কিন্তু তিনি যে এইটুকুও লেখাপড়া করেননি যে, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ শেখ মুজিবের নামে দ্বিতীয় যে ঘোষণাটি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন, তাতে শেখ মুজিবের নামে হলেও নিজেকে তিনি প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবেই ঘোষণা করেছিলেন। জিন্দাবাদ নাকি উর্দু শব্দ। অর্থাৎ পাকিস্তানি। অতএব যারা জিন্দাবাদ বলে, তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিত। ‘শিক্ষিত’ জয় বোধ করি জানেন না যে, ভারতের একটি বিশাল অংশের মানুষ উর্দু ভাষায় কথা বলে। তাহলে জিন্দাবাদঅলারা ভারত যাবে না পাকিস্তান যাবে? তারপরও আওয়ামী শব্দটাই উর্দু। জয় সাহেব যারা এই দল করেন তারা কি তবে পাকিস্তান চলে যাবেন? শিক্ষার এ কেমন দারুণ বাহাদুরি!
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন