‘ভালো মানুষ’ বলে কোনো ব্যক্তির উন্নত গুণের পরিচয়কে তুলে ধরা হয়। আধুনিক পরিভাষায় সমষ্টিগতভাবে তাদের বলা হয় ‘সুশীলসমাজ’। রাজনৈতিক বিভাজন, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রীয় বিভক্তির ফলে সমাজে সৃষ্ট দাঙ্গা-হাঙ্গামা আর অশান্তির সময় যারা নিরপে থেকে বক্তব্য-বিবৃতি ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে শান্তি-সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন রচনা করেন তারা চিহ্নিত হন সুশীল সমাজ হিসেবে। ধরে নেয়া হয় তারা হয়তো কোনো না কোনো দল করবেন কিন্তু দলের অন্যায়কে সমর্থন করবেন না, তারা কোনো না কোনো ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন তবে কোনো প্রকার সাম্প্রদায়িকতা বা গোঁড়ামির প নেবেন না। তারা দল-মত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রীয় প্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে সাম্য-মৈত্রী ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানুভবতার পরিচয় দেবেন। তারা হবেন সমাজে ভারসাম্য রায় স্তম্ভের মতো। এরা যদি রাষ্ট্র ও সমাজের প্রয়োজনের সময় নিষ্ক্রিয় থাকেন অথবা পপাতিত্ব আর অন্ধ দলপ্রীতির ভাইরাসে আক্রান্ত হন তখনই সমাজ, রাষ্ট্র বা দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। শুরু হয় সামাজিক অনৈক্য, অস্থিরতা ও গৃহবিবাদ। এজন্যই বলা হয়Ñ অসৎ লোকদের কর্মকাণ্ডে সমাজ ধ্বংস হয় না বরং ধ্বংস হয় সুশীলসমাজের নিষ্ক্রিয়তা ও পপাতিত্ব।
আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-শিবিরের মারমুখী অবস্থানে বাংলাদেশ আজ এক কঠিন সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির মুখোমুখি। আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও নির্মূল করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় যত প্রকার হাতিয়ার আছে সবই প্রয়োগ করছে। অপর দিকে অস্তিত্ব রায় কোমর বেঁধে জীবন মরণ লড়াইয়ে নেমেছে জামায়াত-শিবির। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অজুহাতে এক দিকে যেমন জামায়াত-শিবিরকে আইন হাতে তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে, অপর দিকে মন্ত্রী-এমপিদের উসকানিমূলক বক্তব্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগও আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে মার খাচ্ছে পুলিশ, গ্রেফতার ও আহত হচ্ছে শিবির-জামায়াত কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে? এ নিয়ে টিভি, রেডিও, পত্র-পত্রিকা, চায়ের দোকান সর্বত্র চলছে আলোচনা। কেউ বলছেন, এখনই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও নির্মূল করতে হবে। আবার কেউ বলছেন এই মুহূর্তে বড় প্রয়োজন শান্তি, সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্য। গায়ের জোরে গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে কাউকে নির্মূল বা নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা প্রকৃত কোনো সমাধান নয়। বরং সঙ্ঘাত ও গৃহবিবাদকে স্থায়ী রূপদানে তা সহযোগিতা করবে। বিশ্বব্যাপী নির্মূল ও নিষিদ্ধকরণের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয় । আয়তনে ছোট অথচ জনসংখ্যায় বিরাট একটি দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন। প্রতি থানায় দুই-এক ডজন পুলিশ দিয়ে লাখ লাখ জানবাজ কর্মীর দলকে দমিয়ে রাখা সহজ নয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঘরানার বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদদের বেশির ভাগ শক্তি প্রয়োগ ও নিষিদ্ধ করার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। অপর দিকে সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান, কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ফরহাদ মজহার ও মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বেশির ভাগ লেখক বুদ্ধিজীবী বলছেন, নিষিদ্ধকরণ সুফল বয়ে আনবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে শক্তি প্রয়োগ ও আইন হাতে তুলে নেয়ার লাইসেন্স দেয়া হলে সেটা আরো ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
গত ৩০ নভেম্বরের বাংলাদেশ প্রতিদিনে গোলাম মাওলা রনি এমপি লিখেছেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইদানীং জামায়াতের বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। জামায়াতকে পরাজিত করতে হলে মন্ত্রী মহোদয়কে কিছু বিষয় জানতে হবে। গবেষণা করতে হবে। তারপর অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। …রাজনৈতিক বক্তৃতা বা উল্লম্ফন না দিয়ে কাজ করতে হবে। আমার মনে হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারাত্মক ভ্রান্তিতে আছেন। তিনি জামায়াত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না।’ ১৯৮৭-৮৮ এর কথা। সাঈদীর যেখানে মাহফিল সেখানেই আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছিল। কিন্তু দেখা গেছে, সবখানেই মাহফিলও হয়েছে, হরতালও হয়েছে। এ জন্যই সে সময় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায় ওবায়দুল কাদের লিখেছিলেন ‘হরতালও সফল, মাহফিলও সফল।’ সুতরাং, ২৫ বছর আগে খুব দুর্বল অবস্থায়ও যাদেরকে হরতাল ডেকে ঠেকানো যায়নি,
তাদের বিষয়ে সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া তড়িঘড়ি রণকৌশল ঠিক করতে গিয়ে ভুল হলে হিতে বিপরীত হবে।
হঠাৎ জামায়াত-শিবির কেন এত মারমুখী? তাদের শক্তি-সামর্থ্যরে উৎস কোথায়? কতটুকু শক্তি-সামর্থ্য তাদের আছে? শতকরা কত ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে তারা? জেল, জুলুম ও হত্যা-নির্যাতনসহ তাদের ওপর সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ হলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে জনগণের মধ্যে? নিষিদ্ধ করার প্রতিক্রিয়াইবা কেমন হবে? নিষিদ্ধ করা হলে আত্মগোপনে গিয়ে তারা কী ধরনের তি করার মতা রাখে? এর সুদূরপ্রসারী পরিণাম কী হতে পারে? নিষিদ্ধ করা হলে তারা কোন কোন দলের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিতে পারে? সর্বোপরি তাদের নিষিদ্ধ করার প্রকৃত সুবিধাভোগী কোন কোন দল হতে পারে? নিষিদ্ধ করলে প্রকৃত অর্থে প্রগতিশীলদের কতটুকু লাভ হবে? আমেরিকার এফবিআই বাংলাদেশী যুবক নাফিসকে যেভাবে ফুসলিয়ে সন্ত্রাসী বানানোর কথা বলা হচ্ছে তেমনটি এখানে হতে পারে কিনাÑ এসব বিষয় ভেবে দেখা প্রয়োজন। এসব প্রশ্নের তথ্যভিত্তিক পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান না করেই জামায়াত-শিবির নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে দেশ দীর্ঘস্থায়ী গৃহবিবাদের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে মারাত্মক অস্থিরতা। অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিষয়টা এত স্পর্শকাতর যে, ধীরেসুস্থে, বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে জামায়াত-শিবির নির্মূলের হুঙ্কার সারা দেশের ঘরে ঘরে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে। সে আগুনে শুধু জামায়াত-শিবির জ্বলবে তা নয়, আওয়ামী লীগের পরিবারও রা পাবে না। আত্মীয়তা বা সামাজিকতার বন্ধনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত-জাপা সবাই একই সমাজের অংশ। রাজনৈতিক পর্যবেকদের হিসাবে দেশের ৭০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ, ২৫ ভাগের প্রতিনিধিত্ব করে জামায়াত-জাপা, বাকি ৫ ভাগ অন্যরা। ড. আকবর আলি খানের মতে, জামায়াতের ভোটার সংখ্যা ৭৫ লাখ। কারো কারো মতে, ৩০০ আসনে জামায়াতের ভোটের সংখ্যা সোয়া কোটি পর্যন্ত হতে পারে। সে যাই হোক, যদি ধরি এক কোটি লোক জামায়াতের সাথে জড়িত। তার মানে হলো তারা প্রত্যেকে এই সমাজের কারো ছেলে, কারো পিতা, কারো ভাই, কারো বোন, কারো শ্বশুর বা কারো জামাই। খোঁজ নিলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগের বহু নেতার ছেলে-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজন শিবির-জামায়াত করে। বিগত ৪০ বছরে তাদের বহু লোক সেনাবাহিনী-পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনসহ সরকারি প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় স্থান করে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিা, স্বাস্থ্য ও সংবাদমাধ্যমেও তাদের অবস্থানকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
গত ১০-১৫ বছরে শিবির সারা দেশের মেধাবী ছাত্রদের বিরাট একটি অংশকে নীরবে তাদের দলে টেনে নিতে সম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। অথচ ছাত্রলীগ ছিল দলাদলি, টেন্ডারবাজি, মাস্তানি আর ইভটিজিংয়ে ব্যস্ত। এ অবস্থায় শিা ও চরিত্রের অস্ত্র বাদ দিয়ে শুধু শক্তি প্রয়োগে নির্মূল করতে গিয়ে খুনাখুনি, জেল-জুলুম, ফাঁসি-নির্যাতন যত বাড়বে ততই সাধারণ মানুষের সহানুভূতি তাদের পে চলে যেতে পারে। কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ১৭ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে লিখেছেন- ‘জামায়াত সাম্প্রদায়িক ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন হলেও সংবিধান ও আইন বিধি-বিধান বলে এটিকে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল জামায়াতে ইসলামী জনগণের রায় নিতে না পারলেও সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনৈতিক পথে হাঁটছে…। রাজনীতি, অর্থনীতির উন্নয়ন চাইলে, গণতন্ত্রের পথে সুশাসন চাইলে সন্ত্রাস, সহিংসতা যেমন কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড হতে পারে না, তেমনি কোনো সরকার গণতান্ত্রিক হলে, গণমানুষের ভাষা লালন করলে বিরোধী দলকে দমন ও নিষিদ্ধের পথে হাঁটতে পারে না। স্বাধীনতা-উত্তরকালের অশান্ত, অস্থির ও নিষিদ্ধ রাজনীতির পরিণতি বা ফলাফল এখনো সবার চোখের সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। যারা সেদিন নিষিদ্ধ রাজনীতি করেছেন বা যারা রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তাদের উভয়কেই ওখান থেকে শিা নিয়ে এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে…। জামায়াতকে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক নিয়মে করতে দেয়া উচিত। অন্য দিকে জামায়াত-শিবিরের যে বা যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছেন বা হবেন তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব। আইন, বিধি-বিধান ও সাংবিধানিক সীমারেখা অতিক্রম করলেই সমাজে অস্থিরতা, অশান্তি, অরাজকতা ও নৈরাজ্য ব্যাপক আকার নেয়। গণতান্ত্রিক সমাজে এমনটি আজ আমাদের কাম্য নয়।’
দৈনিক যুগান্তরে কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ করার পরিণতি কখনো ভালো হয়নি এবং ভবিষ্যতেও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জামায়াত একটি নিবন্ধিত ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত দল। তাই তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা কোনোভাবেই উচিত হবে না।’ একই দিনের যুগান্তরে লিড নিউজ ছিল ‘পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য’। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কোনো দলকে দমন করার ল্েয গণগ্রেফতারসহ পুলিশকে লাগামহীন মতা দেয়া হলে সমাজের নিরীহ মানুষ যে কী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয় তার একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন ছিল সেটি। ২৪ নভেম্বরের বাংলাদেশ প্রতিদিনে আরেকজন কলামিস্ট ফরহাদ মজহার পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এত দিন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে আর ছাত্রশিবির আজ পাল্টা এই সন্ত্রাসকে চ্যালেঞ্জ করছে…। জামায়াত বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের অধীনে সংবিধানসম্মত ও আইনসিদ্ধ দল…। শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করা যেকোনো নাগরিকেরই সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার। কিন্তু সরকার জামায়াতসহ সব বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সহিংস হামলা ও নিপীড়ন চালিয়ে এসেছে। মতায় আসার পর থেকে বিরোধী দলকে রাস্তায় নামতে দেয়নি বললেই চলে। ফলে একটা লেজে-গোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কুৎসিত রূপ নিয়েছে। বিরোধী দলের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার ুণœ করলে তা নিজের জন্য আত্মঘাতী-ই হয়।’
২৮ নভেম্বরের বাংলাদেশ প্রতিদিনে রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট মাহমুদুর রহমান মান্না লিখেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপি এমনকি আমেরিকাও দ্বিমত করেনি। তারা শুধু বলছে, এ বিচার প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে…। মানুষ প্রধানত সুশাসন চায়, সুনীতি চায়, সুস্থতা চায়। রাজনীতির মধ্যে দুর্বৃত্তায়ন না হোক, চাঁদাবাজি না হোক, মাস্তানি না হোক, পরিবারতন্ত্র না হোকÑ এগুলো মানুষের চাওয়া। মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ শিবিরের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখবে, তা মানুষ সমর্থন করবে না।’
ইতিহাসের দিকে তাকালে পরিষ্কার হয় যে, ঘৃণা-বিদ্বেষ আর প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা দিয়ে কোনো দিন মতা পাকাপোক্ত করা যায় না। বরং সৃষ্টি হয় গৃহবিবাদ ও আত্মকলহ। অন্য দিকে মা, উদারতা, পরমতসহিষ্ণুতা ও অবাধ গণতন্ত্রের চর্চা ও বাকস্বাধীনতা মানুষকে করে জনপ্রিয় এবং পৌঁছে দেয় শ্রেষ্ঠত্বের উচ্চশিখরে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন