সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

বিশ্বব্যাংক ও পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি


জোরালো তদন্তের তাগিদে সাড়া দেয়া প্রয়োজন

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের সাথে রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রধান অ্যালেন গোল্ডস্টেইন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি তদন্তে আরো জোরালো অগ্রগতি দেখতে চায় বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেই পাওয়া যাবে পদ্মা সেতুর অর্থ। দুদক যদি তাদের অনুসন্ধান জোরালো করে এবং প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদপে নেয়, তবে বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণের অন্যান্য কাজও  দ্রুত এগিয়ে আনবে।  বৈঠক শেষে অবশ্য দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, আদালতে দাখিল করার মতো কোনো তথ্য বা দালিলিক প্রমাণ এখনো দুদকের হাতে নেই। মামলার বিষয়টি নির্ভর করছে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ওপর। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এবারের সফরে আশা করছি, আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছাব, যাতে বাংলাদেশের তদন্তব্যবস্থা সম্পর্কে তারা ভালোভাবে অবগত হবেন। আমাদের তদন্তব্যবস্থা যে বিশ্বাসযোগ্য, সে সম্পর্কেও ইতিবাচক ধারণা পাবেন তারা। এর পরই পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে কিছু হবে। বিশ্বব্যাংককে আমরা বলেছিলাম, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়টি জোরদার করব। তারা আরো তথ্য দেবেন। সে অনুযায়ী আমরাও এগিয়ে যাবো এবং তাদের একটি প্যানেল কাজ করবে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম তদন্তওয়ালারা এবং বাস্তবায়নওয়ালারা এক সাথে কাজ করুক। বিশ্বব্যাংক গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফর এখনো শেষ হয়নি। তবে তদন্তের বিশ্বাসযোগ্য অগ্রগতি ছাড়া যে সেতু নির্মাণের অর্থ বিশ্বব্যাংক ছাড় করবে না সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তাদের হাতে দুর্নীতির এমন বিশ্বাসযোগ্য দলিল-প্রমাণাদি রয়েছে যাতে তারা মনে করছে প্রকৃত সত্যে পৌঁছতে তদন্তে জোরালো অগ্রগতি প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক যে গতিতে দুদকের তদন্তে অগ্রসরতা চায়, সেটি বাস্তবে হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে প্রতিষ্ঠানটির পিছুটান রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আদালতে উপস্থাপনের মতো কোনো দলিল পায়নি বলে দুদক চেয়ারম্যানের মন্তব্যের সাথে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।   আমরা মনে করি পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির জন্য এ ধরনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ বা বিলম্বিত হওয়াটা কোনো কারণে কাম্য হতে পারে না। এতে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা যেমন আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশী সাহায্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক এবং সরকারের বক্তব্যের মধ্যে বরাবরই একটি ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে কোনো প্রমাণাদি থাকলে তা হস্তান্তরের জন্য দুদক বলেছে। কিন্তু এ ধরনের প্রমাণাদি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য আমরা পাচ্ছি না। দুদকও বলছে তারা মামলা করার মতো কিছু পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন। তদন্তকাজ ও বাস্তবায়নকাজ এক সাথে শুরুর বিষয়টি নিয়েও আরো স্পষ্ট করা প্রয়োজন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি না হওয়ার পরও যদি বিশ্বব্যাংক অন্যায্য অভিযোগ করে থাকে, তাহলে গোটা জাতি সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে সোচ্চার হতে পারবে। আর সত্যিই কোনো দুর্নীতি এ প্রকল্পে হয়ে থাকলে অথবা হওয়ার আয়োজন হয়ে থাকলে তা প্রকাশ করা উচিত। কিছু লোকের লোভের জন্য গোটা জাতি এভাবে মূল্য দিতে পারে না। যত দ্রুত দুর্নীতির বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে ততই জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। আমরা সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন চাই।

জোরালো তদন্তের তাগিদে সাড়া দেয়া প্রয়োজন

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের সাথে রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রধান অ্যালেন গোল্ডস্টেইন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি তদন্তে আরো জোরালো অগ্রগতি দেখতে চায় বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেই পাওয়া যাবে পদ্মা সেতুর অর্থ। দুদক যদি তাদের অনুসন্ধান জোরালো করে এবং প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদপে নেয়, তবে বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণের অন্যান্য কাজও  দ্রুত এগিয়ে আনবে।  বৈঠক শেষে অবশ্য দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, আদালতে দাখিল করার মতো কোনো তথ্য বা দালিলিক প্রমাণ এখনো দুদকের হাতে নেই। মামলার বিষয়টি নির্ভর করছে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ওপর। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এবারের সফরে আশা করছি, আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছাব, যাতে বাংলাদেশের তদন্তব্যবস্থা সম্পর্কে তারা ভালোভাবে অবগত হবেন। আমাদের তদন্তব্যবস্থা যে বিশ্বাসযোগ্য, সে সম্পর্কেও ইতিবাচক ধারণা পাবেন তারা। এর পরই পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে কিছু হবে। বিশ্বব্যাংককে আমরা বলেছিলাম, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়টি জোরদার করব। তারা আরো তথ্য দেবেন। সে অনুযায়ী আমরাও এগিয়ে যাবো এবং তাদের একটি প্যানেল কাজ করবে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম তদন্তওয়ালারা এবং বাস্তবায়নওয়ালারা এক সাথে কাজ করুক। বিশ্বব্যাংক গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফর এখনো শেষ হয়নি। তবে তদন্তের বিশ্বাসযোগ্য অগ্রগতি ছাড়া যে সেতু নির্মাণের অর্থ বিশ্বব্যাংক ছাড় করবে না সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তাদের হাতে দুর্নীতির এমন বিশ্বাসযোগ্য দলিল-প্রমাণাদি রয়েছে যাতে তারা মনে করছে প্রকৃত সত্যে পৌঁছতে তদন্তে জোরালো অগ্রগতি প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক যে গতিতে দুদকের তদন্তে অগ্রসরতা চায়, সেটি বাস্তবে হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে প্রতিষ্ঠানটির পিছুটান রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আদালতে উপস্থাপনের মতো কোনো দলিল পায়নি বলে দুদক চেয়ারম্যানের মন্তব্যের সাথে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।   আমরা মনে করি পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির জন্য এ ধরনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ বা বিলম্বিত হওয়াটা কোনো কারণে কাম্য হতে পারে না। এতে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা যেমন আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশী সাহায্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক এবং সরকারের বক্তব্যের মধ্যে বরাবরই একটি ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে কোনো প্রমাণাদি থাকলে তা হস্তান্তরের জন্য দুদক বলেছে। কিন্তু এ ধরনের প্রমাণাদি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য আমরা পাচ্ছি না। দুদকও বলছে তারা মামলা করার মতো কিছু পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন। তদন্তকাজ ও বাস্তবায়নকাজ এক সাথে শুরুর বিষয়টি নিয়েও আরো স্পষ্ট করা প্রয়োজন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি না হওয়ার পরও যদি বিশ্বব্যাংক অন্যায্য অভিযোগ করে থাকে, তাহলে গোটা জাতি সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে সোচ্চার হতে পারবে। আর সত্যিই কোনো দুর্নীতি এ প্রকল্পে হয়ে থাকলে অথবা হওয়ার আয়োজন হয়ে থাকলে তা প্রকাশ করা উচিত। কিছু লোকের লোভের জন্য গোটা জাতি এভাবে মূল্য দিতে পারে না। যত দ্রুত দুর্নীতির বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে ততই জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। আমরা সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন চাই।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads