শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২

জামায়াত-শিবিরকে বলির পাঁঠা না বানিয়ে বিপন্ন গার্মেন্টসকে রক্ষা করুন



যা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটিই সত্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। তবে আংশিকভাবে না সম্পূর্ণভাবে, সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তাজরিন গার্মেন্টসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড এবং সেই অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন অসহায় গরীব শ্রমিকের প্রাণহানির সংবাদে বিশ্বের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক মহল প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ও বিচলিত হয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও অর্থনীতিবিদ এবং দলনিরপেক্ষ লোকজন বলছেন যে, এই অগ্নিকান্ড এবং প্রাণহানি একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করবে, অন্যদিকে তেমনি গার্মেন্টসের বিদেশী ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক সংকেত পাঠাবে। দেখা যাচ্ছে, ইতোমধ্যেই সেই কাজটি শুরু হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম অথবা দ্বিতীয় বৃহত্তম খরিদ্দার হলো আমেরিকার ওয়ালমার্ট। তাজরিন গার্মেন্টস তথা তাদের সাথে যারা যুক্ত আছে, ওয়ালমার্ট তাদের বায়ার ছিল। গত মঙ্গলবার এই অগ্নিকান্ড এবং প্রাণহানির খবর পেয়ে ওয়ালমার্ট এই কোম্পানি এবং গোষ্ঠীর সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। অর্থাৎ ওয়ালমার্ট এদের কাছ থেকে আর কোনো পোশাক কিনবে না। শুধুমাত্র তাজরিন গার্মেন্টস বা তাদের সহযোগীদের নিকট থেকেই কি তারা ক্রয় করা বন্ধ করলো, নাকি বাংলাদেশ থেকেই ক্রয় করা বন্ধ করলো, সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। অথচ বাংলাদেশের আকাশে গার্মেন্টস খাত অতি সম্প্রতি অত্যুজ্জবল এক আলোর ঝলকানি হয়ে দেখা দিয়েছিল।
তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে গণচীন পৃথিবীর বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আবার কারো কারো মতে তৃতীয়। চীন অর্থনৈতিকভাবে পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভূত হওয়ায় তারা এখন ভারী শিল্পের প্রতি বেশি করে নজর দিয়েছে। গার্মেন্টসের ওপর তাদের নজর কমে আসছে। বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেন মজিনাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করেন যে, চীন গার্মেন্টস থেকে সরে গেলে বাংলাদেশ সেখানে পৃথিবীতে এক নম্বর রফতানিকারক দেশ হিসেবে উত্থিত হতে পারে। সেই সম্ভাবনা এবং বিপুল আশাবাদ নিয়েই এই সেক্টরটি এগিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ঘটলো সেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড এবং অসংখ্য মৃত্যু। এই সেক্টরের ওপর এটি একটি বজ্রপাত। তবে বিনা মেঘে কিনা সেটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। নিশ্চিন্তপুরের অগ্নিকান্ডে শুধুমাত্র ওয়ালমার্টই মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত বায়ার। এরা হলো : এইচএন্ডএম, কেয়ার ফোর, টেসকো, জেসি পেনি, নাইক, মার্কস এন্ড স্পেন্সার, মাদারকেয়ার এবং লেভি। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে আইডিয়া আছে, অথচ এসব বায়ারদের নাম শোনেনি, এমন লোক খুব কমই আছে।
\ দুই\
 এটাই হলো গার্মেন্টস সেক্টরের বর্তমান হালহকিকত। এসময় যেটি প্রয়োজন ছিল সেটি হলো বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য এবং গার্মেন্টস খাতে যেসব ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণ করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। গভীর পরিতাপের বিষয় এই যে, সেই সোজা পথে না হেঁটে শেখ হাসিনার সরকার এত বড় একটি মানবিক ট্র্যাজেডিকেও তার সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করছেন। গত ২৬ নবেম্বর জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা এ বিষয়ে অনেক অপ্রাসঙ্গিক এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। জনাব তোফায়েল সংসদে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেন, যখন আন্তর্জাতিক বিশ্বে পোশাক শিল্প রফতানিতে চীন এক নম্বর এবং বাংলাদেশ দুই নম্বরে আছে এবং যখন বাংলাদেশ ক্রমশ এক নম্বর আসনটি দখল করতে যাচ্ছে তখন কারা গার্মেন্টস শিল্পে এ ধরনের নাশকতা ঘটাল সেটি তদন্ত করা উচিত।
এখানেই যদি জনাব তোফায়েল তার বক্তৃতা শেষ করতেন তাহলে কারো কিছু বলার ছিল না। কারণ এটি এখন সারা জাতির দাবি। অথচ এর পরে তিনি যা বললেন তার ফলে এমন বিরাট একটি ট্র্যাজেডিকে তিনি আওয়ামী রাজনীতির ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলেন। তিনি বললেন, এই ভয়াল ঘটনা যখন ঘটল তখন জামায়াত-শিবির সারা দেশে তান্ডব চালাচ্ছে। এই ঘটনাতেও জামায়াত-শিবির জড়িত কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। সরকারকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হচ্ছে বলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তারা আরো নাশকতা চালাতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমিন বলেন, স্বাধীনতার পর দেখতাম শুধু পাটের গুদামে আগুন লাগানো হচ্ছে। এখন দেখছি গার্মেন্টস শিল্পেও আগুন লাগছে। এটি কিসের আলামত? যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের সময় ঘনিয়ে আসছে। ঠিক সেই সময় এই ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর দেখেছি পাটের গুদামে আগুন লাগানো হয়। কারণ তখন এই পাট বিদেশে রফতানি করে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতো। এখন গার্মেন্টস খাত বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এখন সেই খাতে এসব অগ্নিকান্ড এবং নাশকতা চালানো হচ্ছে।
এই সরকার নিশ্চিন্তপুরের অগ্নিকান্ডের তদন্তের জন্য একটি দুটি নয়, একেবারে পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটি আলাদাভাবে কাজ করবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দাখিল করবে। সেই তদন্ত কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। শুরু হওয়ার মুখেই যদি শাসক দলের হোমরা-চোমরা এ ধরনের কথা বলেন, তাহলে তদন্ত টিমসমূহ সুনিশ্চিতভাবে প্রভাবান্বিত হবে এবং উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপবে। এর ফলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে লাভবান হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের কোন লাভ হবে না। বরং বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।
কিছুক্ষণ আগে আমরা যেসব বিশ্ববিখ্যাত গার্মেন্টস বায়ারের কথা বললাম তারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকদের উপর কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি করছে বলে একটি ইংরেজি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। এটিকে ইংরেজিতে তারা বলছে Compliance তারা বলছেন যে, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি কম কাজকর্মে নিরাপত্তার পরিবেশ নেই। বিজিএমইএর একজন সিনিয়র নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে ঐ ইংরেজি পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, এমনিতেই বায়ারদের নানা চাপের মধ্যে আছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। তাদের অনেক চাপই মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা সুযোগ পেলো নতুন করে চাপ বাড়াতে। তিনি বলেন যে, খুব সহসাই বাটেক্সপো নামক তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের যে মহাসম্মেলন হবে সে সম্মেলনে সমগ্র পৃথিবী থেকে ৪০ জন সবচেয়ে নামকরা বায়ার আনার পরিকল্পনা তাদের ছিল। কিন্তু তাজরিন গার্মেন্টসের এই মর্মন্তুদ ঘটনা তাদের ভবিষ্যতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত দৈনিক ‘ইত্তেফাকে' একটি খবরে প্রকাশ আশুলিয়ার তাজরিন গার্মেন্টসে আগুন লাগার ঘটনায় শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহাণির খবর সমগ্র বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে খবরগুলো প্রচার করছে। বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, আল জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমসসহ অনেক বিশ্বমানের পত্রিকা এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। ইত্তেফাকের মতে এসব খবর উঠে এসেছে, পোশাক কারখানায় মালিকের নিদারুণ অবহেলার চিত্র। এজন্য প্রভাবশালী ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রম অধিকার সংগঠনগুলো মালিকদেরকে দোষারোপ করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ইতিপূর্বে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আশুলিয়াসহ অন্যান্য স্থানে যখন শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তখন ইংল্যান্ডের দি ‘গার্ডিয়ান' পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকায় শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে শ্রমিকদের নিম্ন মজুরি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। ঐসব রিপোর্টে বলা হয় যে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাসমূহে রয়েছে মালিকদের কমপ্লায়ান্সের অভাব। রিপোর্টে আরো বলা হয় যে, এসব মালিক অতিরিক্ত মুনাফালোভী। ফলে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার বিষয়টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলোকে ভাবিয়ে তুলেছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঘটলো এই তাজরিন ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকান্ড। এমন একটি নেতিবাচক অবস্থায় বিদেশের বড় বড় ক্রেতা যদি গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে তার প্রতিদ্বনদ্বী ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে চলে যান তাহলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে যে, অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে এই মর্মে প্রচারণা চলছে যে, গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে কমপ্লায়ান্স বা কর্ম পরিবেশ মানা হয় না। বলা হচ্ছে যে, শ্রমিকদের মজুরি স্বল্প, তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হয় না, তারা ঘিঞ্জি পরিবেশে কাজ করে। নারী শ্রমিকরা শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। আমেরিকার প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজে সে দেশের শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা বলেছেন যে, আমেরিকার পোশাক ক্রেতা ও ব্রান্ডগুলো বার বার এই মর্মে  সতর্ক করেছে যে, বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের জীবন বিপদাপন্ন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কমপ্লায়ান্স রিপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশের মালিকরা প্রতারণা করেছে বলে আমেরিকার এসব সংগঠন অভিযোগ করেছে।
 \ তিন\
এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড নিয়ে আওয়ামী নেতারা জামায়াত এবং শিবিরকে যেভাবে বলির পাঁঠা বানাচ্ছেন সে ব্যাপারে দু'টি কথা বলা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো কিছু ঘটলেই জামায়াতকে নন্দঘোষ ঠাওরানো আওয়ামী লীগের একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।  তদন্ত ছাড়া, কোনরূপ খোঁজ-খবর নেয়া ছাড়া, এ ধরনের বলগাহীন উক্তি করা আওয়ামী লীগের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অপবাদ দেয়া হয়, যেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বস্তুত এ দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই সময় যখন শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রমনা বটমূল বলুন,  যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বলুন, আর অন্য স্থানের কথাই বলুন না কেন, প্রায় সবগুলো নাশকতা ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী শাসনের প্রথম মেয়াদে। অথচ কি নির্বিঘ্নে আওয়ামী লীগ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের প্রচার মাধ্যমকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। মিথ্যা কথা তারা এতো জোরেশোরে এবং সুসংবদ্ধভাবে বলে যে, প্রথমে বিভ্রম ঘটে যে তারা বুঝি সত্য বলছে। তবে কিছুদিন পরেই তাদের অপকৌশল যখন জনগণের কাছে ধরা পড়ে তখন জনগণ প্রকৃত সত্য জানতে পারেন। তবে ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়।
উঠতে-বসতে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের কাঁধে জঙ্গিবাদের অপবাদ দেয়া হচ্ছে। অথচ বিগত ১৫ বছরে এই আওয়ামী সরকার একটি উদাহরণও দিতে পারবে না যেখানে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, সেই ঘটনা জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবির ঘটিয়েছে। তার পরেও তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের পুরানা সারিন্দা বাজিয়েই চলেছে। মনে পড়ে, পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবির জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের কথা। ঐ সভায় বোমা বিস্ফোরণের মাত্র ১০ মিনিট পর ৫০ হাত দূরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ অফিস থেকে বলা হলো যে, বিএনপি এবং জামায়াত-শিবির এই বোমা হামলা ঘটিয়েছে। তারপর ১৫ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেল। আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মেয়াদও শেষ হওয়ার পথে। (দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আর মাত্র এক বছর অবশিষ্ট আছে)। অথচ এই ১৫ বছরেও কমিউনিস্ট পার্টির মিটিংয়ে কারা বোমা হামলা করেছিল সেটি উদঘাটনের জন্য হাসিনা সরকার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি।
একই কায়দায় এবারও ঘটনা ঘটার পরপরই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দেহের তীর জামায়াত-শিবির এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির দিকে ছুঁড়েছেন। তবে তিনি জানেন না যে, তিনি যা বলেছেন সেটি নিয়ে যদি পূর্বাপর ঘটনাবলী বর্ণনা করতে হয় তাহলে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে যাবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads