শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন টেকবে না’



 দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা টেকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, অতীতে এ ধরনের নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র উভয়ের অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই বলা যায়, এ ধরনের নির্বাচন হলে তা টেকবে না। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি একটি সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। আর এই পরিস্থিতি সরকারই সৃষ্টি করেছে। সর্বজন গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পারস্পরিক আস্থা যে তৈরি হয় নাই সেটা দেশের আপামর জনগণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বুঝে। তাই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সেটা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন,  এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। তবে ঈদের পর কোন ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি আসতে পারে সেটা এখনও দলের মধ্যে আলোচনা হয়নি। আমরা দলের মধ্যে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, সরকার যে শুধু বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে মামলা দিচ্ছে তা নয়। তারা চাচ্ছে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে। তিনি খালেদা জিয়ার বাড়ির মামলার উদাহরণ টেনে বলেন, সাধারণত কোন জমি-সংক্রান্ত মামলার বিচার শেষ হতে বছরের পর বছর লেগে যায়। কিন্তু খালেদা জিয়ার বাড়ির মামলার রায় অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে দিয়েছে। একই রকমভাবে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিচ্ছে। যাতে তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। এটা সরকার ইচ্ছা করেই করছে।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগেও নির্বাচন কমিশন এ ধরনের বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে। আমার মনে হয় না, সব দল নিয়ে একসঙ্গে বসলে আলোচনার পরিবেশ থাকবে। সব দলের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসলে মোটামুটি ছোটখাটো সমাবেশ হয়ে যাবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
দলীয় সরকারের অধীনে নিবাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচন ৮৬ সালে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সঙ্গে করেছে। আমরাও ৯৬ সালে করেছিলাম। এর একটিও টিকেনি। আমার মনে হয়, সরকার এ ধরনের নির্বাচন করলে এটাও টিকবে না। কোথাও এর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। তাছাড়া জনগণও এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবে না।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads