সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় সমালোচনার মুখে সবার বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয় বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে করে জননিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বিতর্ক করা গেলেও অপরাধীরা কীভাবে উত্সাহিত হয়েছে সেটা সাদা চোখেই ধরা পড়ে। খুন, অপহরণ, ছিনতাই, সন্ত্রাসে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের নাকের ডগায় রাজধানীতেই তাদের দাপিয়ে বেড়ানো এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে।
শনিবার রাতে সাভারের রাস্তা থেকে সুতা বোঝাই পিকআপ ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় নিজ বাসার সামনেই একে একে মা, বোন ও গাড়ি চালককে গুলি করে ছয় বছরের শিশু পরাগকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। দুই মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত কেজি ওয়ানে পড়া ছাত্র পরাগের মাথায় পিস্তলের বাঁটের আঘাতে অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। একই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পঞ্চবটি এলাকায় একটি স্পিনিং মিলের পরিচালককে প্রকাশ্যে গুলি করে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। দুটি মোটরসাইকেল দিয়ে গাড়ি আটকে সদ্য হজফেরত এই শিল্পপতিকে আহত করে ছিনতাইয়ের পর বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। দেশজুড়ে এমন ছিনতাই-সন্ত্রাস-মারামারিতে অবাধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হলেও প্রকৃত অস্ত্রধারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
এর পেছনে সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক পরিচয় একটা বড় কারণ। তাছাড়া পেশাদার সন্ত্রাসীরা সব মহলকে ম্যানেজ করে চলার ক্ষেত্রে শতভাগ সফলতা দেখাচ্ছে। অন্যদিকে আইন রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা যেন পেশাদারিত্ব হারিয়ে ফেলছে। প্রায় ক্ষেত্রেই তাদের রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডারদের পাশাপাশি তারাও সভা-সমাবেশ-আন্দোলন বানচাল করায় সমানতালে তত্পর। মিছিলকারীদের আটকের পর নির্দয়ভাবে লাথি মারতে, লাঠিপেটা করতে উত্সাহ দেখে বোঝা যায়—কেউই আইনের তোয়াক্কা করে না। দিনের পর দিন মন্ত্রী-নেতা-নেত্রীদের সহচরের কাজ করতে গিয়ে তাদেরও দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় নামতে হয়েছে। চেইন অব কমান্ড বলতে এখন আর কিছু নেই। একটি বিশেষ জেলা বা অঞ্চলের লোকদের আধিপত্য আর শীর্ষ মহলে যোগাযোগই সবকিছুর ওপর স্থান পাচ্ছে। থানার ওসি সাংবাদিকের পায়ে গুলি করার হুমকি দেয় কোন সাহসে, সেটা এখন আর ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। জনগণকে রক্ষা নয়, র্যাব-পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন ও দলীয় লোকদের রক্ষা করা এবং তাদের প্রতিপক্ষদের ধরে ধরে ঠেঙ্গানী দেয়া। এ কাজে সদাব্যস্ত থেকেই তারা নিজেদের চাকরি রক্ষা ও পদোন্নতিসহ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছে। ফলে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাউকেই দেখা যায় না।
ঘরে-বাইরে এমন নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে শঙ্কিত না করে পারে না। শোবার ঘরে যেমন, তেমনি মায়ের কোলও যে আর নিরাপদ নেই, সেটা শিশু পরাগের অপহরণের ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সরকার নিজেদের নিরাপত্তা বিধানেই ব্যস্ত। এজন্য তারা ছাত্র-যুবলীগকেও লেলিয়ে দিচ্ছে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেই। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে আন্দোলনকারীদের পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার আহ্বান আর যাই হোক আইনের শাসনের প্রমাণ দেয় না। তার কথা ৭২-৭৫-এর সেই লাল বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়। তখনও রক্ষীবাহিনীর পাশাপাশি নানা নামের প্রাইভেট বাহিনীর সন্ত্রাসীরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই ইতিহাস ও তার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিলে আজকের শাসকদের ভূমিকা ভিন্ন হতো। গণতন্ত্রের জেল্লাদার আলখেল্লা গায়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদের পথে পা বাড়ানোর দুঃসাহস তাদের মধ্যে দেখা যেত না।
শনিবার রাতে সাভারের রাস্তা থেকে সুতা বোঝাই পিকআপ ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় নিজ বাসার সামনেই একে একে মা, বোন ও গাড়ি চালককে গুলি করে ছয় বছরের শিশু পরাগকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। দুই মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত কেজি ওয়ানে পড়া ছাত্র পরাগের মাথায় পিস্তলের বাঁটের আঘাতে অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। একই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পঞ্চবটি এলাকায় একটি স্পিনিং মিলের পরিচালককে প্রকাশ্যে গুলি করে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। দুটি মোটরসাইকেল দিয়ে গাড়ি আটকে সদ্য হজফেরত এই শিল্পপতিকে আহত করে ছিনতাইয়ের পর বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। দেশজুড়ে এমন ছিনতাই-সন্ত্রাস-মারামারিতে অবাধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হলেও প্রকৃত অস্ত্রধারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
এর পেছনে সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক পরিচয় একটা বড় কারণ। তাছাড়া পেশাদার সন্ত্রাসীরা সব মহলকে ম্যানেজ করে চলার ক্ষেত্রে শতভাগ সফলতা দেখাচ্ছে। অন্যদিকে আইন রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা যেন পেশাদারিত্ব হারিয়ে ফেলছে। প্রায় ক্ষেত্রেই তাদের রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডারদের পাশাপাশি তারাও সভা-সমাবেশ-আন্দোলন বানচাল করায় সমানতালে তত্পর। মিছিলকারীদের আটকের পর নির্দয়ভাবে লাথি মারতে, লাঠিপেটা করতে উত্সাহ দেখে বোঝা যায়—কেউই আইনের তোয়াক্কা করে না। দিনের পর দিন মন্ত্রী-নেতা-নেত্রীদের সহচরের কাজ করতে গিয়ে তাদেরও দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় নামতে হয়েছে। চেইন অব কমান্ড বলতে এখন আর কিছু নেই। একটি বিশেষ জেলা বা অঞ্চলের লোকদের আধিপত্য আর শীর্ষ মহলে যোগাযোগই সবকিছুর ওপর স্থান পাচ্ছে। থানার ওসি সাংবাদিকের পায়ে গুলি করার হুমকি দেয় কোন সাহসে, সেটা এখন আর ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। জনগণকে রক্ষা নয়, র্যাব-পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন ও দলীয় লোকদের রক্ষা করা এবং তাদের প্রতিপক্ষদের ধরে ধরে ঠেঙ্গানী দেয়া। এ কাজে সদাব্যস্ত থেকেই তারা নিজেদের চাকরি রক্ষা ও পদোন্নতিসহ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছে। ফলে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাউকেই দেখা যায় না।
ঘরে-বাইরে এমন নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে শঙ্কিত না করে পারে না। শোবার ঘরে যেমন, তেমনি মায়ের কোলও যে আর নিরাপদ নেই, সেটা শিশু পরাগের অপহরণের ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সরকার নিজেদের নিরাপত্তা বিধানেই ব্যস্ত। এজন্য তারা ছাত্র-যুবলীগকেও লেলিয়ে দিচ্ছে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেই। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে আন্দোলনকারীদের পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার আহ্বান আর যাই হোক আইনের শাসনের প্রমাণ দেয় না। তার কথা ৭২-৭৫-এর সেই লাল বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়। তখনও রক্ষীবাহিনীর পাশাপাশি নানা নামের প্রাইভেট বাহিনীর সন্ত্রাসীরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই ইতিহাস ও তার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিলে আজকের শাসকদের ভূমিকা ভিন্ন হতো। গণতন্ত্রের জেল্লাদার আলখেল্লা গায়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদের পথে পা বাড়ানোর দুঃসাহস তাদের মধ্যে দেখা যেত না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন