বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১২

নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কা


কাজী সাইদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ঢাকার গুলশানে এক নির্বাচনী জনসভায় বলেছিলেন, “বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা তাকে সে সময় দেয়নি। আমি নতুন বাংলা গড়তে চেয়েছিলাম, কিছু দূর অগ্রসরও হয়েছিলাম। আপনারা আমাকে সেই ‘নতুন সোনার বাংলা’  গড়ে তোলার সুযোগ দিন। আমাকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করুন।”
১০ নভেম্বর, ২০১২ ছিল শহীদ নূর হোসেন দিবস। জাতীয় পার্টি এবার এ দিনটিতে পালন করল ‘গণতন্ত্র দিবস’। এ উপলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, ‘তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে সৃষ্টি হয়েছে নিত্যনতুন কলঙ্ক। প্রতিদিন একের পর এক কলঙ্ক দিবস সৃষ্টি হচ্ছে। শেয়ারবাজার, হলমার্ক, কালো বিড়াল, ডেসটিনি, সাগর-রুনি হত্যাসহ অনেক কলঙ্ক রচিত হয়েছে। আমরা মতায় গিয়ে জড়িতদের বিচার এবং কলঙ্ক দিবস পালন করব।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ভারত আমাকে ডেকে সম্মান দেখিয়েছে। খাজাবাবার দরবারে গেছি। নির্দেশ পেয়েছি। আমরা মতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলে দিয়েছেন, তোমরা জাতীয় পার্টি দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এক হও। শক্তি সঞ্চয় করো। তোমরা মতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছ। এরশাদ আরো বলেন, দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে মতায় দেখতে চায়। এ জন্য এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মতায় যেতে জাতীয় পার্টি প্রস্তুত। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি েেত্রই দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-লুটতরাজ দুঃশাসনের সরকারের হাত থেকে দেশ ও জাতি রেহাই চায়। জাতীয় পার্টি এ অসুস্থ সরকারের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীতে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করে দেশে পাপমুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
এরশাদ এখনো মহাজোটের অংশীদার। তার ছোটভাই তার দলেরই একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং তিনি বর্তমান সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী। সরকারের ব্যর্থতাকে তিনি যেভাবে চিত্রিত করেছেন তা সরকারবিরোধী ১৮ দলীয় জোটের বক্তব্যকে সমর্থন জোগায়। এক বিদেশীর স্ত্রী যাকে তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় প্রেম করে নিকাহ করেছিলেন এবং পরে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিলেন, সেই বাংলাদেশী ললনার একটি গ্রন্থ ‘শত্র“র সঙ্গে বসবাস’-এ তার নানা দুর্বলতার বিশদ বিবরণ আছে। ভারত সফর করে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কী মহৌষধ নিয়ে এলেন যা তাকে মতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে তা সহজেই বোধগম্য। বেশির ভাগ বিশ্লেষক একে মহাজোটের পরিকল্পিত পরবর্তী পাতানো নীলনকশার নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি বলে ধরে নিচ্ছেন। তড়িঘড়ি আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধান সংশোধনের সাথে এর এক বিরাট যোগসূত্র রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করা এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে চলমান ‘ক্রুসেড’-এরও রয়েছে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র। একই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়াকেও ভারত সরকার ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল। বিরোধী ১৮ জোটের ডাকসাঁইটে নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু মামলা দ্রুত বিচার আইনে দায়েরও একই পরিকল্পনার অংশ। হঠাৎ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে অতি বিপ্লবী হয়ে উঠলেন কেন? তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে তিনি জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন। কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। মহাজোট ছেড়ে তার দল ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দেবে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভিশন ২০২১Ñ এ রূপকল্প ছিল নির্বাচনী ইশতেহারে। প্রধান বিরোধী দলের আগামী নির্বাচন বর্জন আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করবে এবং এরশাদ গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেতা হবে নির্বিঘেœ। ভারত মূলত তাদের জাতীয় স্বার্থে সেটাই প্রত্যাশা করবে। ভারত থেকে ফিরে এসে এরশাদের নর্তন-কুর্দনের অন্তর্নিহিত কারণ এখানেই।
১৯৮৬ সালেই স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ছিল অনিবার্য। এরশাদের পতনের ল্েয গঠিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় জোট এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সাতদলীয় জোট তখন সম্মিলিতভাবে সংসদ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তে অটল। হঠাৎ নির্বাচনের ঘোষণা এলো সরকারের প থেকে। চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে ১৫ দলীয় জোটের জনসভায় শেখ হাসিনা এর জবাবে ঘোষণা দিলেন, ‘স্বৈরশাসকের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান।’ ’৮৬ সালের ২২ মার্চ দুই জোটের প থেকে ডাকা হলো দেশব্যাপী হরতাল। সিদ্ধান্ত ছিল হরতাল শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে দুই নেত্রী একই মঞ্চে বক্তৃতা দেবেন। জাতির উদ্দেশে এক সাথে ঘোষণা করবেন আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি। ২১ মার্চ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জরুরি সভায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পে অনড় অবস্থান নিলে ভেঙে যায় ১৫ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে ১৫ দল থেকে বেরিয়ে যায় বামপন্থী পাঁচটি দল। এ দিকে সাতদলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করল। ’৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হলো সেই বিতর্কিত নির্বাচন। ফলাফল ঘোষণার পরপরই শেখ হাসিনা ছুটে গেলেন জাতীয় প্রেস কাবে। তার অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তিনি নিজেও নাকি ভোট দিতে পারেননি। তাই আওয়ামী লীগ দাবি করল ১০০ আসনে পুনঃনির্বাচন। এ দিকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ৩০টি আসনে পুনঃনির্বাচন দাবি করল মতাসীন জাতীয় পার্টি। সংসদে যোগ দেবেন নাকি দেবেন না কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়েই শেখ হাসিনা চলে গেলেন দিল্লি। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সাথে তখন তার কী আলোচনা হয়েছিল জানা যায়নি। ফিরে এসেই হাসিনা ঘোষণা দিলেন, তিনি সংসদে বসবেন। ৭৮ সিট নিয়েই তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসলেন। তিনি সংসদে গেলেন আবার ওয়াকআউট করলেন। বাস্তবে এর মাধ্যমে তিনি জাতির গলায় আরো চার বছরের জন্য স্বৈরশাসনের জিঞ্জির পরিয়ে দিলেন।
আলেম ওলামাদের বিবৃতি
ইসলামি ও সমমনা ১২ দলের শীর্ষ নেতাদের একটি যৌথ বিবৃতি গত ৯ নভেম্বরের দৈনিকে ছাপা হয়েছে। এরা বলেছেন, দেশ থেকে ইসলাম বিদায় করা ও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ধ্বংস এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে ইসলামের দুশমনেরা নানামুখী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের ঈমানদারের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে হবে। নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশ আজ গভীর সঙ্কটে। মারামারি, হানাহানি ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে গোটা জাতি আজ উদ্বিগ্ন। প্রশাসনযন্ত্র আজ দলীয় ক্যাডারে রূপান্তর করা হচ্ছে। এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আরেক বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হলে যেকোনো সময় আল্লাহর গজবে দেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই দেশ, জাতির এ সঙ্কটময় মুহূর্তে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা এবং ধর্মীয় অধিকার রার জন্য আজ (৯/১১/২০১২) জুমার দিন দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়ার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ গজব থেকে নিষ্কৃৃতি পেতে মসজিদে মসজিদে কুনুতে নাজেলা চালু করার অনুরোধ করেন ইসলামি ও সমমনা ১২ দলের নেতারা।
সঙ্ঘাত কি অনিবার্য?
১০ নভেম্বর ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের এক সেমিনারে প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেছেন, সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরাজমান সঙ্কটের সুরাহা হবে না। গ্রামগঞ্জে দেখা যায়, কোনো বিষয় নিয়ে আগে মাথা ফাটাফাটি হয়, তারপর হয় সমাধান। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও আগে মাথা ফাটুক। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো সঙ্ঘাত ছাড়া রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমাধান হয়নি। তার প্রশ্ন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রথম কারা তুলেছিল? কোন পরিস্থিতিতে তুলেছিল? সেই পরিস্থিতির কি উন্নতি হয়েছে? তিনি আরো বলেন, স্বার্থের বাইরে গেলেই রাজনীতিবিদেরা নীতি ও অবস্থান পরিবর্তন করেন। কিন্তু সাংবাদিকেরা কি সহজেই তা পারি? মাগুরা নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পে লিখেছি। এখন কিভাবে এ পদ্ধতির বিপে লিখি? ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের পর কেন সঙ্কট থাকবে? কেন আবার বিষয়টি সংসদেও যাবে? তার মতে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।
কী ভয়াবহ নির্দেশ
সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা মন্ত্রিত্ব গ্রহণকালে শপথ নিয়ে থাকেন। সেই শপথে তারা ঘোষণা করেন, “আমি …, সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, কিংবা ত্রেমতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য ঘোষণা করিব। আমি সংবিধানের রণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব; এবং আমি ভীত বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি যথাবিহিত আইন অনুযায়ী আচরণ করিব।”
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম.খা. আলমগীর সম্প্রতি এক সমাবেশে যুবলীগ কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যেখানেই জামায়াত-শিবির দেখবেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির অপতৎপরতা দেখবেন সেখানেই তাদের প্রতিহত করবেন।’ তিনি বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবিরকে দেশের শত্র“ বলে আখ্যায়িত করে আওয়ামী সমর্থকদের ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে। আইন প্রতিমন্ত্রী তো জামায়াত-বিএনপিকে দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করার অহরহ ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী অবশ্য ম.খা. আলমগীরের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘অফিসে ঢুকে জামায়াত খুঁজে পান না, আর এখন বলছেন, জনগণকে জামায়াত-শিবির খুঁজতে হবে। যুবলীগ কেন তাদের খুঁজবে। এটা তাদের কাজ নয়।’ উত্তেজিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি কি ডিবিতে চাকরি করি নাকি। আমি তো রাজনীতি করি। জামায়াত-শিবির খোঁজা আমার কাজ নয়। আমার কাজ হচ্ছে জনমত সৃষ্টি করা। আপনার কাজ আপনি করেন, জামায়াত-শিবির আপনি খোঁজেন। যদি না পারেন তাহলে ওই আইজি, ডিআইজি, এসপিকে ধরব। লাঠিপেটা করব।’ কী সাংঘাতিক কথা! এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?
দেশের জনগণের জানমাল, আইনশৃঙ্খলা রা যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দেশে রীতিমতো গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার  নিরন্তর উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন তার দলীয় কর্মীদের। জামায়াতে ইসলামী এ দেশের একটি  প্রতিষ্ঠিত, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ও জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল। বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের প্রভাবশালী শরিক দল।
আওয়ামী লীগের মাইন্ড সেট যদি আরো পাঁচ বছর মতায় থাকার হয়ে থাকে, প্রতিবেশী দেশের আকাক্সাও যদি এই হয়, তাহলে বিরোধী জোটের সাথে আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা একেবারেই ীণ। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করার দুর্বার আন্দোলন ছাড়া বিরোধী জোটের আর কোনো বিকল্প নেই। সে েেত্র দেশের রাজনৈতিক সঙ্ঘাত অনিবার্য। ভয়াবহ এ সঙ্ঘাত, রক্তপাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় সরকারের প থেকে নিরপে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সংসদে বিল পাস করা। বেগম খালেদা জিয়ার নিরপে নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণাকে মতার জোশে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিণাম হবে অকল্পনীয় এবং ভয়াবহ। দুই দলের মতার দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ দেশের জনগণ আজ শঙ্কিত, আতঙ্কিত।
Kazi_sayed@yahoo.com

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads