সংবিধানে মানবাধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হলেও বর্তমান সরকার অব্যাহতভাবে বিষয়টি উপেক্ষা করেই চলেছে। এটা শুধু বিরোধী দলের অভিযোগ নয়, দেশের ১৯টি মানবাধিকার সংগঠনের জোট ‘হিউম্যান রাইটস ফোরাম, বাংলাদেশ’-এর রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে। প্রতি চার বছর পরপর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের অংশ হিসেবেই এই রিপোর্ট সম্প্রতি জাতিসংঘে জমা পড়েছে। গতকালের আমার দেশ-এ রিপোর্টটির সারাংশ প্রকাশিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০০৮ এ গুরুত্ব সহকারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে। সরকার গঠনের পর এসব প্রতিশ্রুতি শুধু ভুলেই যাওয়া হয়নি, অব্যাহতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একের পর এক গুম হয়েছে মানুষ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে সীমান্ত হত্যা। চরমভাবে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হলেও ক্ষমতাসীনদের বিবেক নাড়া দেয়নি। গত চার বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪৬২ জন নাগরিক। এসব ঘটনার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এসময় ১৫৬ জনকে গুম করা হয়েছে। এখানেও সরকারি বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ২৮ জনের লাশ পাওয়া গেলেও অন্যদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রেও সরকারের কার্যকর ভূমিকা ছিল না। এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত থাকাকে মানবাধিকার কর্মীরা সুস্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছেন। প্রমাণিত বন্ধু দাবিদার প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেনি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বর্তমান সরকারের আমলেই নিহত হয়েছেন ২৭০ জন বাংলাদেশী নাগরিক। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই বিগত বছরগুলোতে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি খুঁজে পায়নি মানবাধিকার ফোরাম।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে এদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কিন্তু সেকথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের দাঙ্গার কবল থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারের অস্বীকৃতিরও সমালোচনা করা হয়েছে জাতিসংঘে প্রেরিত মানবাধিকার রিপোর্টে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এভাবে শরণার্থীদের অধিকার খর্ব করাকে মানবাধিকার অস্বীকার করার শামিল বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। এছাড়া পুনর্বাসন ছাড়া বস্তিবাসীদের উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার জোরে বস্তি উচ্ছেদসহ নানাভাবে নারী নির্যাতন অব্যাহত থাকাও মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধই করেনি, এর ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাও নষ্ট হয়েছে—এমন কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘে প্রেরিত এই মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টকে কোনোভাবেই অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। প্রতিদিনের ঘটনায় মানুষ টের পাচ্ছে, সরকার কীভাবে পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতেই শুধু নয়, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর হাতেও মানুষ অহরহ নির্যাতিত হচ্ছে প্রকাশ্যেই।
অতীতেও এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে কোনো শাসকই শেষ বিচারে লাভবান হয়নি। চরম মূল্য দিতে হয়েছে তাদের। সেকথা ভুলে যাওয়া বর্তমান শাসকদের মানবতাবিরোধী আচরণ তাদের আসল চেহারাই উলঙ্গভাবে প্রকাশ করে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় গণতন্ত্রই হুমকির মুখে পড়বে। এমন আশংকা অমূলক নয়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০০৮ এ গুরুত্ব সহকারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে। সরকার গঠনের পর এসব প্রতিশ্রুতি শুধু ভুলেই যাওয়া হয়নি, অব্যাহতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একের পর এক গুম হয়েছে মানুষ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে সীমান্ত হত্যা। চরমভাবে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হলেও ক্ষমতাসীনদের বিবেক নাড়া দেয়নি। গত চার বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪৬২ জন নাগরিক। এসব ঘটনার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এসময় ১৫৬ জনকে গুম করা হয়েছে। এখানেও সরকারি বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ২৮ জনের লাশ পাওয়া গেলেও অন্যদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রেও সরকারের কার্যকর ভূমিকা ছিল না। এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত থাকাকে মানবাধিকার কর্মীরা সুস্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছেন। প্রমাণিত বন্ধু দাবিদার প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেনি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বর্তমান সরকারের আমলেই নিহত হয়েছেন ২৭০ জন বাংলাদেশী নাগরিক। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই বিগত বছরগুলোতে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি খুঁজে পায়নি মানবাধিকার ফোরাম।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে এদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কিন্তু সেকথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের দাঙ্গার কবল থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারের অস্বীকৃতিরও সমালোচনা করা হয়েছে জাতিসংঘে প্রেরিত মানবাধিকার রিপোর্টে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এভাবে শরণার্থীদের অধিকার খর্ব করাকে মানবাধিকার অস্বীকার করার শামিল বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। এছাড়া পুনর্বাসন ছাড়া বস্তিবাসীদের উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার জোরে বস্তি উচ্ছেদসহ নানাভাবে নারী নির্যাতন অব্যাহত থাকাও মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধই করেনি, এর ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাও নষ্ট হয়েছে—এমন কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘে প্রেরিত এই মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টকে কোনোভাবেই অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। প্রতিদিনের ঘটনায় মানুষ টের পাচ্ছে, সরকার কীভাবে পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতেই শুধু নয়, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর হাতেও মানুষ অহরহ নির্যাতিত হচ্ছে প্রকাশ্যেই।
অতীতেও এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে কোনো শাসকই শেষ বিচারে লাভবান হয়নি। চরম মূল্য দিতে হয়েছে তাদের। সেকথা ভুলে যাওয়া বর্তমান শাসকদের মানবতাবিরোধী আচরণ তাদের আসল চেহারাই উলঙ্গভাবে প্রকাশ করে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় গণতন্ত্রই হুমকির মুখে পড়বে। এমন আশংকা অমূলক নয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন