আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে নূর হোসেন তার বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান ধারণ করে ঢাকার রাস্তায় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার এ যুবককে বাঁচতে দেননি তত্কালীন স্বৈরাচারী এরশাদ। সেদিন রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) এরশাদ সরকারের পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন শহীদ হন। তবে গণতন্ত্রের জন্য তার আত্মদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ দিনটি ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করলেও এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এ দিবসটি পালন করবে ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উত্সর্গ করেছিলেন নূর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ সালের মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার। যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত রুখতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল এক বিবৃতিতে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সংগঠনের সব শাখাসহ সব স্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে সকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।
এদিকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গতকাল এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোটেক ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যত ঘনিয়ে আসছে, বিশৃঙ্খলা তত বাড়ছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের রাজনীতি করতে হলে সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকতে হবে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উত্সর্গ করেছিলেন নূর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ সালের মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার। যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত রুখতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল এক বিবৃতিতে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সংগঠনের সব শাখাসহ সব স্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে সকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।
এদিকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গতকাল এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোটেক ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যত ঘনিয়ে আসছে, বিশৃঙ্খলা তত বাড়ছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের রাজনীতি করতে হলে সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন