আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী স্বামী ভোলানন্দগিরি আশ্রমের শত কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি দখল কর নিয়েছে মর্মে আমার দেশসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যারা পরিষ্কার দৃষ্টিতে দেশের হাল-হকিকত দেখেন এবং খোঁজখবর রাখেন তারা ভালোমতই জানেন যে, আওয়ামী লীগ শুধু প্রাপ্তবয়স্ক হিন্দুদের দলীয় ভোটব্যাংকই মনে করে না, সেই সঙ্গে হিন্দুদের স্থাবর সম্পত্তিকে নিজেদের তালুক মনে করে। বিশেষ করে দলটি ক্ষমতায় এলে এমন একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে যায় যে, এ দলের কোনো নেতাকর্মী, সমর্থক চাইলেই সংশ্লিষ্ট হিন্দুকে তার জমিজমা আধামূল্যে অথবা বিনামূল্যে দিয়ে দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে চোখের পলকে হিন্দুটি ‘মালাওন’ হয়ে যায় এবং সম্পত্তির সঙ্গে সঙ্গে তার মান-ইজ্জত ও নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে। এভাবে কত হিন্দু যে ‘উচিত মূল্যে’ সহায়-সম্পদ লিখে দিয়ে ‘সসম্মানে’ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ লিখতে গেলে কয়েক খণ্ড মহাভারত হয়ে যাবে।
সাধারণভাবে ভোলাগিরি আশ্রম নামে পরিচিত শ্রী শ্রী ভোলানন্দগিরি আশ্রম একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থাপনা। এই আশ্রমের নামে রেজিস্ট্রিকৃত জমির পরিমাণ ৭ বিঘা ১৬ কাঠা। আশ্রম ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন যে, মন্দিরের ৩ বিঘা ১০ কাঠা জমি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা এক সাবেক ওয়ার্ড কমিশনারের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজরা বেদখল করে আছে। এখন তারা জাল দলিল করে এক ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে সেখানে বহুতল ভবন করতে চায়। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে, দুদক এবং রাজউক-এর কাছে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। দুদক তদন্ত শেষে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই মামলার আসামিদের কেউ কেউ উচ্চ আদালতের স্থায়ী জামিন পেয়ে এখন ট্রাস্টের সদস্য, আশ্রমবাসী ও ভক্তদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এক কথায় হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি, মন্দিরের সম্পত্তি এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলের আওয়ামী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে নিখুঁতভাবে।
এই দুর্নীতির যিনি মূল হোতা তিনি একবার ভোটে জিতে ওই এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার হয়েছিলেন। এলাকার হিন্দু ভোটাররা তাদের এই ‘আওয়ামী বন্ধু’কে দলবেঁধে ভোট দেয়ায় সেবার তার জয়লাভ সম্ভব হয়েছিল। আবার ভোট এলে এবং তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে ফল কী হবে তা ভবিষ্যতের প্রশ্ন। বর্তমানের বাস্তবতা হচ্ছে ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি’ আওয়ামী লীগের এক পরীক্ষিত নেতার লোভের আগুনে একটি ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির বিপন্ন হতে চলেছে। এই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে ধর্ম বর্ণ গোত্র অবস্থান নির্বিশেষে সর্বস্তরে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই
।
সাধারণভাবে ভোলাগিরি আশ্রম নামে পরিচিত শ্রী শ্রী ভোলানন্দগিরি আশ্রম একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থাপনা। এই আশ্রমের নামে রেজিস্ট্রিকৃত জমির পরিমাণ ৭ বিঘা ১৬ কাঠা। আশ্রম ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন যে, মন্দিরের ৩ বিঘা ১০ কাঠা জমি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা এক সাবেক ওয়ার্ড কমিশনারের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজরা বেদখল করে আছে। এখন তারা জাল দলিল করে এক ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে সেখানে বহুতল ভবন করতে চায়। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে, দুদক এবং রাজউক-এর কাছে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। দুদক তদন্ত শেষে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই মামলার আসামিদের কেউ কেউ উচ্চ আদালতের স্থায়ী জামিন পেয়ে এখন ট্রাস্টের সদস্য, আশ্রমবাসী ও ভক্তদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এক কথায় হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি, মন্দিরের সম্পত্তি এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলের আওয়ামী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে নিখুঁতভাবে।
এই দুর্নীতির যিনি মূল হোতা তিনি একবার ভোটে জিতে ওই এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার হয়েছিলেন। এলাকার হিন্দু ভোটাররা তাদের এই ‘আওয়ামী বন্ধু’কে দলবেঁধে ভোট দেয়ায় সেবার তার জয়লাভ সম্ভব হয়েছিল। আবার ভোট এলে এবং তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে ফল কী হবে তা ভবিষ্যতের প্রশ্ন। বর্তমানের বাস্তবতা হচ্ছে ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি’ আওয়ামী লীগের এক পরীক্ষিত নেতার লোভের আগুনে একটি ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির বিপন্ন হতে চলেছে। এই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে ধর্ম বর্ণ গোত্র অবস্থান নির্বিশেষে সর্বস্তরে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই
।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন