খন্দকার মনিরুল আলম
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত ছোটগল্প প্রাগৈতিহাসিক। ভিকু ও পাঁচি। দু’জনেই ভিুক। ভিক্ষা করে রাস্তার পাশে বসে। ভিকুর একটি হাত লুলা। ডাকাতি করতে যেয়ে ধরা পড়ে প্রচণ্ড পিটুনি খাওয়ার পরে তার হাতটি লুলা হয়ে যায়। পাঁচির একটি পায়ে দগদগে ঘা। ঢাকা শহরে পঙ্গু ও লুলা ভিুকেরা তাদের অঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ যেভাবে উন্মুক্ত রেখে প্রদর্শন করে ভিক্ষা চাওয়ার কৌশল হিসেবে, ভিকু ও পাঁচির কৌশলও ছিল একই রকম। যৌবনের তাগিদে ভিকু আকর্ষিত হয় পাঁচির প্রতি। কিন্তু বাধা পাঁচির পায়ের ঘা। ভিকু পাঁচির কাছে জানতে চায়, তোর ঘা সারে না? পাঁচির উত্তর, ওষুধ দিলে এখনই সারে। তাহলে ঘা সারিয়ে ফেল, তোকে সাঙ্গা (বিয়ে) করব। পাঁচির উত্তর, হারামজাদা, আমার ঘা সেরে গেল আর তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেলিÑ তখন আমার ঘা পাবো কোথায়? অনেক দিন আগে পড়া গল্পটির অংশবিশেষ এখানে উদ্ধৃত করলাম। হুবহু নয়, বাক্য ও ভাষার অমিল হতে পারে।
কেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পটির প্রসঙ্গ এখানে আনলাম, তা পরে বলছি। তার আগে মূল প্রসঙ্গে যেতে চাই।
পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ সেতুর নির্মাণকাজ থেকে ফিরে যেয়ে আবার এসেছে। অন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা, এডিবি ও ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এখন মূল ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকের সাথে সেতু নির্মাণে এক যোগে কাজ করে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে কাজ শুরু করা যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৪ সালের আগে শুরুই করা যাবে না। কারণ সব কিছু ঠিকঠাক মতো চললে তার পরে টেন্ডারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। টেন্ডার যাচাই বাছাই শেষে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হবে। সেতু নির্মাণের আগে নির্মাণসামগ্রী নির্মাণ স্থানে আনতে হবে। এসব জড়ো করে রাখার জন্য প্রয়োজন হবে বিশাল বিশাল ইয়ার্ড, যেগুলো তৈরি করা সময়সাপেক্ষ। অতএব, বিশেষজ্ঞরা নিশ্চয়ই ভ্রান্ত ধারণা দিচ্ছেন না।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকা ২০০৩ সালে জোট সরকারের আমলে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছিল। সে সরকারের আমলে কয়েকটি সম্ভাব্য স্থান যাচাই বাছাই করে বর্তমান স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই স্থানেই সেতু নির্মাণ হতে চলেছে। শুরুতে অর্থাৎ মহাজোট সরকারের শুরুতে ধারণা দেয়া হয়েছিল, ২০১৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে, তবে তা হয়নি। কেন হয়নি তা নিয়ে অনেক পানি ঘোলা হয়েছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে শুধু আবেগের বিষয়ই নয়; অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু নির্মাণ শেষ হলে এই অঞ্চলের মানুষের শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই দেড় শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে, যা বিভিন্ন সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সেতুর গুরুত্ব পদ্মার ওপারের মানুষের কাছে কতটা বিশাল তা অনুধাবন করতে পারবে না। পদ্মার এ পারের মানুষ, আমরা যারা ওপারের মানুষ তারা পদ্মার ওপরে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে যে বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছি তা এপারের মানুষকে পুরোপুরি বোঝানো যাবে না।
পদ্মার ওপরে সেতু নির্মাণ কেন এতটা জরুরি, তা আলোচনা করার আগে কিছুটা পেছনের দিকে যেতে চাই। ১৯৭৪ সালে গঙ্গা নদীর ওপরে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ শেষে এই আন্তর্জাতিক নদীটির পানি প্রতিবেশী ভারত একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা শুরু করে। এর আগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল নদীপথ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বিশাল বিশাল স্টিমার, লঞ্চ, কার্গো জাহাজ এক দিকে চলাচল করত বরিশাল হয়ে খুলনা অঞ্চলে, অন্য দিকে যাতায়াত করত বৃহত্তর ফরিদপুরের গোয়ালন্দসহ রাজশাহী অঞ্চলে। ছোট ও মাঝারি নৌপথ ছিল শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, টেকেরহাট ইত্যাদি অঞ্চলে। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরে এসব নৌপথ আশি শতাংশ হয় পুরো, না হয় আংশিক বন্ধ হয়ে যায়। নৌপথের ওপরে নির্ভরশীল মানুষ লঞ্চ, স্টিমার, কার্গো জাহাজ ও নৌকার পরিবর্তে অধিক ব্যয় এবং ঝুঁকিবহুল সড়ক পথের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এর ফলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ব্যয়বহুল হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, নৌপথে পরিবহন ব্যয় সড়কপথের এক-তৃতীয়াংশ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্ধেকের কম। এ তো গেল পরিবহন ব্যয়। সড়কপথে পরিবহনের ঝুঁকি এবং পথে পথে যে বিড়ম্বনা, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের দূরত্ব সড়ক পথে ১৩৫ কিলোমিটার। দুইভাবে গোপালগঞ্জ যাওয়া যায়। একটি পথে মাওয়াঘাট দিয়ে ফেরিযোগে পদ্মা পার হতে হয়। অন্য পথে মানিকগঞ্জ পার হয়ে পাটুরিয়া (আরিচা) ঘাট থেকে ফেরি পার হয়ে ওপারে গোয়ালন্দ, ফরিদপুর হয়ে গোপালগঞ্জ। এ পথে ১০০ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়।
মাওয়ায় ফেরি পার হতে সময় লাগে অনেক বেশি। স্বাভাবিক সময়ে ওই পথে পদ্মা পার হতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। ফেরিগুলোও ভালো নয়। পাটুরিয়াঘাটের ফেরিগুলো তুলনামূলকভাবে উন্নত। স্বাভাবিক সময়ে এক থেকে সোয়া ঘণ্টায় এ পথে পদ্মা পার হওয়া যায়। ঈদ বা অন্যান্য পালাপার্বণ, বর্ষাকালে নদীতে তীব্র স্রোত, শুকনো মওসুমে নাব্যতা সঙ্কটÑ এসব কারণে মাঝে মাঝে দুই ঘাটেই তীব্র যানজট লেগে যায়। একবার ঘাটে জট লাগলে সে জট কাটতে দীর্ঘ সময় লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শত শত যানবাহন নদীর উভয় পাড়ে আটকা পড়ে থাকে।
ভৌগোলিক কারণে গোপালগঞ্জ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। গোপালগঞ্জ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে খুলনা মহানগর, মংলাবন্দর, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলা। এক ঘণ্টারও কম সময়েই এসব স্থানে পৌঁছানো যায় উন্নত সড়ক যোগাযোগের কারণে। কিন্তু রাজধানী ঢাকার সাথে এ অঞ্চলের দূরত্ব অনেকটা ‘দিল্লি দূর অস্তের’ মতো। ১৩৫ কিলোমিটার দূরের রাজধানীতে যেতে এ অঞ্চলের মানুষের লাগে স্বাভাবিক অবস্থাতেই ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। ফেরিতে দীর্ঘ বিড়ম্বনা এ হিসাবের বাইরে।
কেমন আছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা? এক কথায় উত্তর ্হচ্ছেÑ ‘আমরা ভালো নেই।’ গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট. পিরোজপুরের জেলাগুলোতে বড় কোনো শিল্পকারখানা নেই। কাজের সন্ধানে অতীতে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ খুলনা অঞ্চলে যেতেন। সেখানে ছিল অনেক পাটকল, পাটসম্পর্কিত ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিপইয়ার্ড, নিউজপ্রিন্ট মিলসহ বিভিন্ন ধরনের মিলকারখানা। খুলনা শিল্পাঞ্চলে এখন আর অতীতের মতো রমরমা অবস্থা নেই। শিল্পে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার কারণে বর্তমানে এ অঞ্চলে কৃষিই কর্মসংস্থানের প্রধান অবলম্বন।
কৃষি গত কয়েক বছরে সাধারণ কৃষকদের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে না। মাঝে মাঝে গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যাই। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানতে চাই কেমন কাটছে তাদের দিন। গোপালগঞ্জে বর্তমান সরকারের আমলে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ পুরোপুরি চালু হওয়ার পথে। একটি উন্নতমানের চু হাসপাতালের নির্মাণকাজ চলছে। এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি একটি কারখানা নির্মাণ করবে, যার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে। ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্লান্ট নিয়ে অনেক কথা আছে, যা পরে কোনো সময় লিখব। তা ছাড়া ছোটখাটো বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। কৃষকদের কথা হচ্ছেÑ উন্নয়ন হচ্ছে ভালো কথা; কিন্তু আমাদের উন্নতি তো দূরের কথা, দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটছে। গত বছর ও বর্তমান বছরে এ অঞ্চলের কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের অবস্থা খুবই খারাপ। দুই বছর আগে প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকার বেশি ধরে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছিল। তারা ভেবেছিলেন পাটের সুদিন ফিরে আসছে। এ অঞ্চলের পাট উন্নত মানের, তাই দামও পাওয়া যায় ভালো। কিন্তু গত বছরে পাটের দাম পড়ে যায়। তবুও এ বছর চাষি পাট চাষ করেছিলেন এই আশায় যে, পাটের ভালো দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু চলতি মওসুমে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। পাইকার, ফড়িয়ারা মান ভেদে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা দরে পাট কিনছেন, তাও বাকিতে। পাট খুলনার দৌলতপুর আড়তে দেয়ার পরে দেরিতে পেমেন্ট পাচ্ছেন তারা। ফলে পাইকারেরা নগদ মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনতে পারছেন না। পাট জাগ (পচানো) দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় পাটের মান খারাপ হচ্ছে। ফারাক্কার প্রভাবে নদী-খাল-বিল প্রায় পানিশূন্য। এক সময়ে দেশী মাছের জন্য গোপালগঞ্জের বিলগুলোর খ্যাতি ছিল আকাশছোঁয়া। ব্রিটিশ আমলে এখান থেকে মাছের চালান যেত কলকাতায়। পরে মাছ যেত খুলনা ও ঢাকায়। এখন দেশী মাছ প্রায় নেই বললেই চলে।
এত সঙ্কটের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের জীবন কাটছে কিভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করেছি। জানতে ও দেখতে পেয়েছি এ অঞ্চলে বিদেশী রেমিট্যান্সের প্রভাব। বিগত বছরগুলোতে বহু যুবক বিদেশে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্য, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, মালয়েশিয়ায় কার্যরত এসব যুবক দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। এমন কোনো গ্রাম নেই যেখান থেকে বিদেশে মানুষ যায়নি। তাদের পাঠানো অর্থে সচল রয়েছে এখানকার অর্থনীতির চাকা। প্রবাসীদের টাকার দাপটে জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এ টাকায় এখানকার একশ্রেণীর মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, যা হাটবাজারে গেলে নজরে পড়ে। আরেক শ্রেণীর মানুষের হাতেও টাকা এসেছে বর্তমান সরকারের আমলে; বৈধ ও অবৈধ উভয়ভাবে। এ দিকে সঙ্কটে রয়েছেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ।
গোপালগঞ্জে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব সর্বত্র চোখে পড়ে। পৈতৃক সূত্রে বঙ্গবন্ধুর নিজের এলাকার নির্বাচিত এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত তার নির্বাচিত এলাকা। বারবার তিনি এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রভাবশালী নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জ সদর আসন থেকে অনায়াসে নির্বাচিত হন প্রতিবার। মোকসেদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা দু’টি নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার নির্বাচিত এমপি হচ্ছেন প্রথমে বাণিজ্য এবং পরে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান। এ ছাড়া পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে আছেন চুচিকিৎসক অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। তিনি কাশিয়ানীর মানুষ।
এই চার হাই প্রফাইল ব্যক্তির ঠিকানা গোপালগঞ্জ হওয়ায় এটাই স্বাভাবিক যে এখানকার মানুষ রাজনীতিসচেতন হবেন, আর সবার ওপরে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল গোপালগঞ্জ থেকে। লেখাটা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানে ফিরতে চাই, সেই ভিকু ও পাঁচির গল্প নিয়ে। গোপালগঞ্জের কেবল রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত মানুষেরাই নন, সাধারণ মানুষও হতাশ পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু না হওয়ায়। তবে তারা মনে করেন, এ সেতু নির্মাণ করা হবে এবং তা আওয়ামী লীগ সরকারই করবে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে। সে নির্বাচনে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির তালিকার এক নম্বরে থাকবে পদ্মা সেতু। সেতু হয়ে গেলে তো দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন কোনো ‘নির্বাচনী মুলো’ আর থাকবে না। কাজেই এটাকে জিইয়ে রাখতে হবে। পাঁচির পায়ের ঘা সেরে গেলে সে আবার ঘা পাবে কোথায়?
লেখক : সাংবাদিক ও সাবেক
সভাপতি জাতীয় প্রেস কাব
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন