পৃৃথিবীতে মানুষের মৌলিক আধিকার সবচেয়ে বেশি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে হিটলার ও মুসোলিনীর অক্ষশক্তির নৃশংসতা ও বর্বর কর্মকা-ের মাধ্যমে। যাতে স্তম্ভিত হয়েছে বিশ্ববিবেক। কিন্তু এখন বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা হিটলার ও মুসোলিনীর অক্ষশক্তির নৃশংসতা ও বর্বর কর্মকা-কেও যেন হার মানাতে বসেছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, গণহত্যা, গুম-খুন, জুলুম-নির্যাতন, লুণ্ঠন, রাহাজানি, অক্টোপাশের মতো গোটা জাতিকে ঘিরে ফেলেছে। কোন রাষ্ট্র যখন মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তথন নাগরিকগণ সবচেয়ে বেশি অসহায় এ নিমজ্জিত হয়েছে। এদেশের নিরীহ আমজনতা এখন সেই সময়টি অতিক্রম করছে। তাই মনীষী Gettel বলেছেন- In a state of nature real liberty for all would be impossible. অর্থাৎ রাষ্ট্র অধিকার ভোগের নিশ্চয়তা না দিলে সে অধিকার অর্থহীন। কিন্তু রাষ্ট্র-ই যদি সেই অধিকার ভোগে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ রক্ষক যদি ভক্ষকের আসনে আসীন হয়। তখন-ই খর্ব হয় মানুষের মৌলিক অধিকার, ঘটে আইনের বিপত্তি ও মহাবিপর্যয়। কিন্তু এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, খবমধষ জরমযঃ আইনগত অধিকার হলো, যা আইনের নীতিসমূহ দ্বারা স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এটি নাগরিকের প্রতি কোন ব্যক্তির করুণা নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা নাগরিকের মৌলিক অধিকার সবচেয়ে বেশি হরণ করেছে। ভুলুন্ঠিত হয়েছে মানবাধিকার। দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন পার্লামেন্ট এখন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ডিভেট হচ্ছে। অথচ আমাদের সরকার তাদের গৃহপালিত সুশীল আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোন টুঁ- শব্দটিও যেন করছে না। কিন্তু মানবতার এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে নির্যাতিতের প্রতি সবচেয়ে বড় উপহাস হচ্ছে মানবাধিকারকে ব্যক্তির প্রতি করুণা বা দয়া মনে করা। মানবাধিকারকে ব্যক্তির প্রতি ভিক্ষাবৃত্তির মতো দয়াপরবশ আচরণ হিসেবে গণ্য করাও মানবাধিকারের আরেক লঙ্ঘন নয় কি? আজ মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা সেজেছেন আমাদের সরকার ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজান সাহেবরা। স্যুট-কোট আর টাই পরা ভদ্রলোকেরা ধরেই নিয়েছেন তারা যা বলবেন তাহাই আইন। তারা যা বলবেন তাহাই সুশীল? আর বুদ্ধিজীবির কথা!! ন্যায়-অন্যায় নিয়ে কথা বলা যেন তাদের খেয়াল-খুশির ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এই সাহেবেরা কেন যেন ভুলেই যান তাদের বেতনভাতার যোগান দিচ্ছে আমার দেশের কৃষক-শ্রমিক আর মেহনতী মানুষের ঘামে উপার্জিত ট্যাক্সের টাকা থেকে। সুতরাং নির্যাতিতের জন্য লড়াই করা তার শপথের অংশ তথা পবিত্র দায়িত্ব।
অথচ আওয়ামী জালেম সরকার যখন স্বৈরাচারী কায়দায় নিরীহ, নিরস্ত্র জনতার উপর গুলী চালিয়ে গণহত্যা চালায়, বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে গুম করে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির কারণে মানবাধিকার পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। তখনও মানবাধিকার কমিশনের চেয়্যারম্যানের সামান্য প্রতিবাদটুকু এ দেশের মানুষ দেখতে পায়নি। এ দেশের মানুষ এই ব্যর্থ, দলীয় লেজুড়বৃত্তির চেতনায় আবর্তিত এই কমিশনের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না। যে কমিশন মানুষ মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে পারে না, জনগণের টাকায় পোষা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে ভূমিকা রাখে, সেই কমিশনের চেয়ারম্যান এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন অনেক আগেই। কমিশন এই জালেম ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্রীড়নক, চাটুকার আর দালাল হিসেবেই কাজ করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান সরকারের সকল আন্যায় কাজের বৈধতা দেয়াই যেন নিজের দায়িত্ব বানিয়ে নিয়েছেন!! এ দেশের মানুষরা আপনাদেরকে আজ চিনে ফেলেছে। আপনারা আমাদের গরীব মানুষের ট্যাক্সের টাকায় ভাতা নিয়ে অন্য কার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন তা এ দেশের জনগণ জানতে চায়।
মারাত্মক ও বিপজ্জনক খবর হলোÑ গত ২৬-০৬-২০১৩ প্রথম আলো পত্রিকায় লিমন নির্যাতন মামলা নিয়ে ‘মধ্যস্থতার’ প্রস্তাব আইন ও নৈতিকতাবিরোধী” শিরোনামের নিউজটি পড়ে এ দেশের সাধারণ মানুষ একদিকে খুশি হয়েছে অন্যদিকে স্তম্ভিত কম হয়নি। বিবৃতিতে টিআইবিসহ সংগঠন থেকে বলা হয়-”র্যাব-এর গুলীতে পা হারানো লিমন হোসেনের পক্ষে-বিপক্ষে মামলা প্রত্যাহারের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে মানবাধিকার কমিশনের সর্বশেষ অবস্থান অনৈতিক ও অন্যায্য বলেই প্রতীয়মান হয়। আমরা স্তম্ভিত যে, খোদ মানবাধিকার কমিশন র্যাব-এর স্বার্থে আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে।
২০০৯ সালের মানবাধিকার আইনের ১২ ধারার ঠ উপ-দফা বলেছে, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লঙ্ঘিত হইতে পারে, এমন অভিযোগের ওপর তদন্ত ও অনুসন্ধান করিয়া মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি করা।’ ১/১১ তে এই ধারা প্রয়োগ করে কমিশন চাকরি সংক্রান্ত একটি বিরোধ মিটিয়েছিল। কিন্তু সেই মধ্যস্থতা আর র্যাবের পক্ষে কথিত মধ্যস্থতা এক নয়। মধ্যস্থতা বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের যে অসতর্ক উক্তি ২৪ জুন প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে, তা তাকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাই। এ ধরনের প্রস্তাব কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে না পারেন, কিন্তু ন্যায়বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে উপহাস করতে পারেন না। এখন এটা স্পষ্ট যে, গত ৩০ মে ড. মিজানুর রহমান তার নৈতিক কর্তব্য পালনের অভিপ্রায় থেকে র্যাাবের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাননি। তার পদক্ষেপ সমাজের আইনের শাসনের গুরুত্ব নির্দেশ করছে। তেলে-জলে মেশে না। অন্যায়ের সঙ্গে ন্যায় বিনিময়যোগ্য হতে পারে না। সত্যের সঙ্গে মিথ্যার, পাপের সঙ্গে পুণ্যের এবং নৈতিকতার সঙ্গে অনৈতিকতার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। ড. মিজান এই দ্বন্দ্বে দৃশ্যত অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার ‘মধ্যস্থতা’ এমন একটি সময়ে নেয়া হয়েছে, যখন দ্বিতীয় মেয়াদে মানবাধিকার কমিশনে তার পুনঃনিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। লিমনের মায়ের বক্তব্য সত্য হলে কমিশনের চেয়ারম্যানের এই উপলব্ধি একটি অপ্রিয় সত্যও বটে। রাষ্ট্র র্যাবের পক্ষে। রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই করে টেকা যায় না। তার দ্বিতীয় মেয়াদ লাভ প্রমাণ করে যে এই টিকে থাকার লড়াইয়ে তিনি সফল হয়েছেন। যে প্রস্তাব আড়াই বছর আগে ঝালকাঠির ডিসি দিয়েছিলেন, তাই আজ বেরিয়ে এসেছে আইনের অধ্যাপকের কাছ থেকে, অথচ সত্য ও ন্যায়ের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে যার অবতীর্ণ হওয়ার কথা, তার বক্তব্য শুনে লিমন ও তার বাবা-মায়ের মনে বিচার না পাওয়ার শঙ্কা আরও বাড়বে। এরপরও প্রত্যাশা, তিনি তার অবস্থান বদলাবেন। মিথ্যা মামলা তুলে নিতেই রাষ্ট্রকে চাপ দেবেন। অত্যাচারিতকেই কাঠগড়ায় তুলতে হবে, ভুক্তভোগীকে নয়। এটা শুধু লিমনের পরিবারের জন্য নয়, সমাজে আইন ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যও জরুরি। আশা করবো, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এই স্বপ্ন মুছে দেয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন না। (দৈনিক প্রথম আলো)
মানবাধিকার কমিশনের এই অযাচিত আচরণের প্রতিবাদ জানানোকে আমরা স্বাগত জানাই। লিমনদের প্রতি সহানুভুতি আছে এ দেশের সকলের। কিন্তু লিমনদের ছাড়া পুলিশ-র্যাবের গুলীতে অন্যমতের নাগরিকদের পা হারানোর ঘটনায় এদের কাউকে আমরা উদ্বিগ্ন হতে দেখেনি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার যখন স্বৈরাচারী কায়দায় নিরীহ, নিরস্ত্র জনতার উপর পুলিশ-র্যাব গুলী চালিয়ে গণহত্যা চালায়, বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীদের গুম করে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির কারণে সাধারণ মানুষের মানবাধিকার পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমেরিকা যখন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে পোশাক খাতে জেএসপি সুবিধা স্থগিত করছে। তখন টিআইবি, আইন ও শালিস কেন্দ্রের একচোখা নীতি নিয়েও দেশের মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম নেয়। প্রশ্ন দেখা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে।
তখন আমাদের নজর দিতে হয় ”প্রচার মাধ্যমের ‘সত্যানুসন্ধানী’ নিয়ে এডওয়ার্ড এস. হারম্যান ও নোম চমস্কি রচিত ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট: পলিটিক্যাল ইকনমি অব দি মাস মিডিয়ার দিকে। গ্রন্থটিতে সংবাদ মাধ্যমে যে ছাঁকন-প্রণালীর মধ্য দিয়ে সংবাদ প্রবাহের তাত্ত্বিক রূপরেখা হাজির করেছেন তাতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও মূলধারার প্রভাবশালী গণমাধ্যম কর্তৃক প্রচারিত সংবাদ কিভাবে জনমতকে শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থের গ-িতেই বেঁধে রাখার অপতৎপরতায় নিয়োজিত তা উদঘাটন করেছেন। তারা দেখিয়েছেন প্রচার-ব্যবস্থার -মূল্যবান ও মূল্যহীন বলিদের বেলায় ট্রিটমেন্টের গুণগত মানের ক্ষেত্রেও সাংবাদপত্রের সুস্পষ্ট পার্থক্য। সেই রির্পোটে মিডিয়া একজনের জীবনকে কিভাবে মূল্যবান, মানবিক ও আবেগময়ী করে তুলে আর মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে মিডিয়া আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো শত শত জীবনকে কিভাবে মূল্যহীন, বলি ও তুচ্ছজ্ঞান করে তুলেছে।”
মানবাধিকার মানুষের মূল্য ও মর্যাদার সঙ্গে সম্পর্কিত। মানুষরূপে জন্ম লাভ করার কারণে এটি প্রতিটি নাগরিকের জন্মগত অধিকার। এ বিষয়টি কেবলমাত্র ইসলাম-ই স্বীকৃতি দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য মতাদর্শগুলো এই স্বীকৃতি দিতে শুধু ব্যর্থ-ই হয়নি বরং প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব (‘আশরাফুল মাখলুকাত’)। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত মদীনা রিপাবলিকে ৬২২ খৃস্টাব্দে প্রণীত ‘ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদে’ সামাজিক উৎপত্তি, জাতি-বর্ণ, জন্ম বা মর্যাদা নির্বিশেষে সকলের জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মদীনার বহু ধর্মভিত্তিক (খৃস্টান, ইহুদী, নাসারা, পৌত্তলিক এবং মুসলিম সকলেই একই দেশের নাগরিক হিসেবে সকলেরই সমান অধিকার। সকলেই নিজ নিজ ধর্ম পালন করিবে। আল-কুরআন হলো ইসলামী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান নির্দেশক যা কার্যকর রূপ লাভ করেছে হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) জীবনাদর্শে। সেই পথ অনুসরণ করে ইসলামের বহু শাসক সমতা, স্বাধীনতার আর মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। আর যে কোন ব্যক্তি -ই ইসলামের দেয়া মানবাধিকারগুলো এর প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বাধ্য হবেন। প্রখ্যাত ইউরোপীয় লেখক Count Leon Ostrorog বলেনঃ -ÒIslam, with its glorious history, its magnificent literature, its simple, stoical tents, will certainly remain, for many millions, at the very least an ideal, a moral doctrine, teaching men to be clean, abstemious, brave and charitable, proclaiming as fundamental commandment the novel Quranic verse : Verily God commands you to be just and kind! a religion nothing more, but such a religion, that even those who do not profess it, but have studied it with a certain care, render it the tribute of a deep sympathy and a profound respect.”
মানুষের জীবনের মূল্য দেয়া হয়েছে ইসলামে। এখানে সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে নির্ধারণ করা হয়েছে তার মর্যাদা। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না” (নিসা ঃ ২৯), “একজন মানুষ যদি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে তাহলে সে যেন গোটা মানবতাকে হত্যা করলো” (সূরা-মায়েদা ঃ ৩২)। সর্বজনীন মানবাধিকর ঘোষণার ৩ অনুচ্ছেদ ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তার বিধান করেছে ইসলাম। একথা সত্য যে, ইসলাম প্রদত্ত মানবাধিকার মানব-সমাজের জন্য দার্শনিকতার উৎস বটে। আজকের পৃথিবীতে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শ্বাশত বিধানের কোন বিকল্প নেই। তাই মানবতার মুক্তির জন্য আমাদেরকে সেই বিধানের দিকেই ফিরে যেতে হবে।।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন