বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৩

ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে সাংবিধানিক উপায়


মানুষ যখন অবিবেচক হয় তখন তার মতামতের মূল্য কিভাবে দেয়া যাবেÑ এমন একটি ভাবনা সরকারি দলের শীর্ষপর্যায়ে এখন আর রাখঢাক অবস্থায় নেই। সরকারি দল দেশের জন্য এত উন্নয়ন করছে, এত বিদ্যুৎ দিচ্ছে, কলঙ্ক মোচনের জন্য মাথা কাটার রায়ের ব্যবস্থা হচ্ছেÑ এরপরও মানুষ সরকারি দলের পক্ষে ভোট দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনে একের পর এক উন্নয়নের প্রতীকতুল্য সরকার সমর্থক প্রার্থী অবিবেচক ভোটারদের জন্য মেয়র নির্বাচনে হেরে যাচ্ছেন। এ অবস্থা চললে ক্ষমতায় থাকা বা আবার যাওয়া কোনোভাবেই ভোটারদের মতামতের ওপর নির্ভরশীল করে রাখা যায় না। কিন্তু সংবিধানে তো নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকার কোনো উপায় থাকার কথা নয়। দৃশ্যত এ ধারণার আড়ালে জনগণের নির্বুদ্ধিতা থেকে মুক্ত থেকে ক্ষমতায় আবার যাওয়ার বা থাকার কোনো উপায় আছে কি না, এখন সেটিরই সন্ধান করা হচ্ছে। অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব সংশোধনী এ যাবৎ আনা হয়েছে, তার মধ্যে চতুর্থ সংশোধনীর পর পঞ্চদশ সংশোধনীই হলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের এত বেশি ছেদ-ব্যবচ্ছেদ হয়েছে যে শাসনতন্ত্র বাংলাদেশের সার্বজনীনতা থেকে রূপান্তর হয়ে আওয়ামী লীগের ভাবধারার সংবিধানে পরিণত হয়েছে। এই সংশোধনীর পূর্ববর্তী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের পুরো মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হতো। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সে ব্যবস্থা এখন আর নেই। পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানের নির্দলীয় সরকারের বিধান অনুসারে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্ববর্তী সরকারের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করত। সে সরকার ৯০ দিন মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার বিধান ছিল। কিন্তু কোনো কারণে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে কী হবে, এর স্পষ্ট কোনো বিধান না থাকায় ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে নিজেদের মেয়াদ বাড়িয়ে দুই বছর পর্যন্ত টেনে নিয়েছিল। বর্তমান সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেয়ার পর সংবিধানের ৫৬ ও ৫৭ নম্বর অনুচ্ছেদ এককভাবে কার্যকারিতা লাভ করছে। আগে এই দুই অনুচ্ছেদের কিছু বিধানকে ৫৮ অনুচ্ছেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অকার্যকর করে রেখেছিল। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ আর ৫৬(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া এবং সংসদ সদস্যদের অব্যবহিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের (২) বা (৩) দফার অধীনে নিয়োগ দানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার অব্যবহিত পূর্বে যাহারা সংসদ সদস্য ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে তাহারা সদস্য রূপে বহাল রহিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।’ ৫৬(২) ও (৩) অনুচ্ছেদে মন্ত্রিসভা গঠনের কথাই বলা হয়েছে। এতে সংসদ সদস্য ও টেকনোক্র্যাট কোটা থেকে কতজন মন্ত্রী নেয়া যাবে, সে কথা বলা আছে। তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর এই দু’টি অনুচ্ছেদ বিশেষভাবে কার্যকারিতা লাভ করার ফলে শুধু বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, একই সাথে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান অসম্ভব করে তুলে নিজেদের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়ার যে ব্যবস্থা করেছিল, সেই বাঁকা পথটিও বর্তমান সরকারের জন্য তৈরি হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাঁকা পথকে উন্মুক্ত করতে সরকারের শীর্র্ষ নীতিনির্ধারকেরা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে বিতর্ক দেশে সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে অনিষ্পন্ন রেখে দিতে চাচ্ছেন। দেশে সর্বশেষ পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ক্ষমতাসীনদের সামনে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী যে সরকারের মাধ্যমেই হোক না কেন, মুক্ত অবাধ যেকোনো নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তাতে কোনো সংশয় থাকছে না। এ কারণে সরকার নিজের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দু’টি উপায়ের বিষয় সামনে রেখেছিল। এর প্রথমটি ছিল বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে খুচরা দল ও দলসমষ্টি নিয়ে একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানÑ যেখানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মতো কোনো চ্যালেঞ্জ সরকারের সামনে আর থাকবে না। প্রাথমিকভাবে এই বিকল্পকে সামনে রেখে সরকার প্রশাসন ও অন্যান্য বিন্যাস তৈরি করার চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অংশীদারদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে ক্ষমতাসীনদের সামনে এসেছে নির্বাচন ছাড়াই বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো ক্ষমতাকে দুই বছর টেনে নেয়ার বিষয়টি। এই বিকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য সরকার সংবিধানের বিদ্যমান বিধান অনুসারে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনমনীয়তা দেখিয়ে যাবে। ২৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ ভেঙে দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে তিনি অবিচল থাকবেন। এটি করলে তার জন্য ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার পথে কোনো বাধা তৈরি হবে না। সংসদ ভেঙে দেয়া হলে সেই সংসদের সদস্যদের নিয়ে সরকার গঠন এমনকি প্রয়োজনে সেই সংসদকে পুনরুজ্জীবিত করার বিধানও রেখে দেয়া হয়েছে সংবিধানে। ঈদের পরই নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে দুই পক্ষের আন্দোলন সংগ্রামে উত্তপ্ততা ও সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ বাড়বে। বিরোধী পক্ষ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কোনোভাবেই যাবে না। আর সরকার কোনোভাবে দলীয় সরকারের বাইরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হবে না। এই অচলাবস্থা নিরসনের ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত দেয়ার জন্য একটি রেফারেন্স পাঠিয়ে দিতে পারেন। এই রেফারেন্সে বলা হবে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফর্মুলা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পক্ষগুলো ঐকমত্যে আসতে ব্যর্থ, দেশের সঙ্ঘাতময় অবস্থা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত জানতে চান রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের রেফারেন্স-সংক্রান্ত এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যদি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বপূর্ণ যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’ নির্বাচন নিয়ে সঙ্ঘাত সৃষ্টি এবং সরকারের মেয়াদ শেষে কী করণীয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে এই রেফারেন্স রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগে পাঠাবেন। এ ধরনের রেফারেন্সের পর আপিল বিভাগ বারের সিনিয়র কিছু সদস্যকে এমিকাস কিউরি বা পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে আইনের ব্যাখ্যা ও পরামর্শ শোনেন। এর পর আপিল বিভাগ তাদের মতামত তৈরি করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা আশা করছেন, এই রেফারেন্সের পর তারা নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সঙ্কট নিরসনের জন্য এক বছর সময় পাবেন। আর নির্বাচন ছাড়াই বিগত জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো এক বছর ক্ষমতায় থেকে যেতে পারবেন। এ জন্য ১৯৭৫ সালে সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় ব্যবস্থা চালু এবং নির্বাচন ছাড়াই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেয়ার যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, তেমনটি প্রয়োজন হবে না। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন। আর ৫৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ ভেঙে দেয়ার পরও আগের সংসদের এমপিদের মধ্য থেকে নয়দশমাংশ এবং টেকনোক্র্যাট থেকে একদশমাংশ নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। এ নিয়ে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ বা প্রতিরোধ তৈরি হলে জরুরি অবস্থা জারি করার অপশন থাকবে। এই জরুরি অবস্থা কার্যকর করার চেষ্টা করা হবে বিজিবি ও র‌্যাবের মতো প্রতিষ্ঠান দিয়ে। এই দুই প্রতিষ্ঠান এবং অনুকূল পরিস্থিতি এলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তন করে আস্থাভাজনকে কমান্ডে নিয়ে আসার চেষ্টা হতে পারে। মাঠের পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা গেলে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো আরেক দফায় দ্বিতীয় বছরও মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা। এ কারণেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী তনয় শেখ সজীব ওয়াজেদ জয় বলছেন তার কাছে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যে আসছে এ খবর নিশ্চিতভাবে রয়েছে। নির্বাচন হলে হারজিত হতে পারে, কিন্তু এ ফর্মুলায় হার নেই, কেবলই রয়েছে আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা। সরকারের সামনে একতরফা নির্বাচনের প্রথম বিকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধের বাইরে কূটনৈতিক অংশীদারদের আপত্তির বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল; এ ক্ষেত্রে একই রকম চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। জঙ্গি কার্ডকে এ ব্যাপারে ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের শাপলা সমাবেশকে গণহত্যা অভিযানের মাধ্যমে দমন করার বিষয়টি সরকারের জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ জনমতের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রমাণ হলেও পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন লাভের জন্য এটি অনুকূল হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন ভিডিও কিপিং তৈরি করে পশ্চিমের নানা দেশে সভা-সেমিনারে সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ জঙ্গি ও তালেবানি রাষ্ট্র হয়ে যাবে। এই প্রচারণার জন্য মাদরাসার মতো ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কৃত্রিমভাবে ইন্ধন দিয়ে সঙ্ঘাত সৃষ্টির কৌশলও সামনে রাখা হয়েছে। কৌশলের অংশ হিসেবে বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক ইহুদি লবির সমর্থন আদায় এবং ইসলামি শক্তিকে উসকে দিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া একটি-দু’টি রায় কার্যকর করাও হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা পক্ষ যেভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তাতে ঈদের পর বড় রকমের অস্থিরতা তৈরির আলামত ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন ছাড়াই এক বা দুই বছর ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার বিকল্প বাস্তবায়ন কতটা বাস্তবে সম্ভব হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েই গেছে। এ ধরনের কৌশল বাংলাদেশকে যে গভীর সঙ্ঘাত ও সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী সব সময় তার কর্মকৌশলে ঝুঁকির পথ নিতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষোক্ত বিকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে বলে সরকারি দলের নেতারা আশাবাদী। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ১৫ কোটি মানুষ অধ্যুষিত এই দেশে অস্থিরতা দেখা দিলে তা ছোটবড় সব প্রতিবেশীর জন্য যে বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ বাস্তবতাটিও সামনে থাকছে। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার দ্বিতীয় বিকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বন্দুক রাখতে হবে বিচার বিভাগের ঘাড়ে। এ ক্ষেত্রে একটি বড় শঙ্কা হলো পৃথিবীর দেশে দেশে রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্ষমতার স্বার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু সুফল পেলেও দীর্ঘমেয়াদে তা নির্বাহী ও বিচার উভয় বিভাগের জন্যই অনাস্থা তৈরির মতো বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসেÑ যা অনেক সময় সরকারের পতনের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads