গাজীপুর আওয়ামী লীগের ভোটদুর্গ, বিগত কিছু দিনে এ কথাটা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অবশ্যই অতীতে এই এলাকার নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সাধারণত জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু অতীতের আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগের দূরত্ব হাজার যোজন। বর্তমান সরকার ও শাসক দলটি শুধু জনরোষেই পড়েনি, জনগণের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। এবং এ কথাও সত্যি জনগণ ও জাতিবিরোধী শক্তির দুর্গগুলো যে তাসের ঘরের মতোই খসে পড়ে, ইতিহাসে তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। রোববার ৭ জুলাই ভোর হওয়ার আগেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল প্রচার হয়ে যায়। কিন্তু রোববারে প্রকাশিত একখানি নেতৃস্থানীয় পত্রিকায় আওয়ামী লীগের সমর্থক কলামস্টি এ কথা ধরে নিয়েই লিখেছেন যেন এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই জয় হয়েছে এবং এ দলের সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ ঘোষিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব ততক্ষণে জেনে গেছে যে বিএনপি ও ১৮ দল সমর্থিত অধ্যাপক এম এ মান্নান বিপুল ভোটাধিক্যে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এবং বেশির ভাগ কাউন্সিলর পদেও নির্বাচিত হয়েছেন সরকার-সমর্থিত নন এমন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতারা এবং তাদের সমর্থক ও প্রচারবিদেরা আত্মপ্রতারণা করেছেনÑ শুধু এ কথা বললেই কি এর ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে? প্রকৃত কারণ বুঝতে হলে আরো গভীরে যেতে হবে। বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বেদম মার খেয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই সাথে চুনকালি লেপে গেছে সরকারেরও গালে। চারটি সিটিতেই মেয়র ও বেশির ভাগ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা, এবং জয়ী হয়েছেন বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে। মন্ত্রীরা এই শোচনীয় পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আবোলতাবোল বকছেন। আওয়ামী লীগের কর্মী এবং যে ক’জন সমর্থক এখনো অবশিষ্ট আছেন, তারা সবাই ভয়ানক হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেখা গেছে যে, দেশে আওয়ামী লীগের সমর্থন (কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার ভাষায়) তলানীতে ঠেকেছে। অনেকেই বলাবলি শুরু করেছেন জনসমর্থন নেই জেনেই সরকার নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সাধারণ নির্বাচনে রাজি হতে অস্বীকার করছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তত নতুন সৃষ্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে তাদের জয়ী হতেই হবে। সে জন্য কোনো আয়োজনের ত্রুটি রাখেনি তারা। বিরোধী দলগুলোর বহু নেতাকর্মীকে ধরপাকড় করা হয়েছে। শিবিরের আটজন নেতাকে আগেই গুম করে ফেলা হয়েছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে গুম করা নিয়ে জটিল একটা নাটক সৃষ্টি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ৭২ জন সংসদ সদস্য দিনের পর দিন গোটা নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। এমনকি সরকারি কর্মচারী ও পুলিশকেও আজমতের পক্ষে ভোট ক্যানভাসে পাঠানো হয়েছে। দিনের পর দিন খবর পাওয়া গেছে যে চষা ক্ষেতে ধানের বীজ ছড়ানোর মতো করে টাকা ছড়ানো হয়েছে ভোট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে। বিচিত্র নয় যে ওই খ্যাতিমান কলামিস্ট ধরেই নিয়েছিলেন সরকারের এতসব প্রস্তুতির পরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর জয় হতে বাধ্য। এ নির্বাচনও সুষ্ঠু কিংবা অবাধ হয়নি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছেÑ অন্তত ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নিÑ সেটা স্বস্তির কথা। তাই বলে নির্বাচন সুষ্ঠু কিংবা অবাধ হয়েছেÑ কিছুতেই বলা যাবে না। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগ থেকেই খবর আসতে থাকে যে আজমত উল্লাহ খানের সমর্থকদের বিপুলসংখ্যক ব্যালট দেয়া হয়েছে এবং ছয়টি ভোটকেন্দ্রের দরজা বন্ধ করে তারা ভুয়া ভোট দিয়েছেন। টঙ্গীতে সরকারের সমর্থকেরা ভোট গণনায় বাধা দিয়েছে, গুলি-গোলা চলেছে সেখানে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা যে হারে ভোট পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মোট ভোটার সংখ্যার সে হিসাবের চেয়ে দেড় থেকে দুই লাখ বেশি ভোট পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। এই বাড়তি ভোটগুলো কোত্থেকে এলো, সে রহস্য রীতিমতো উদ্বেগের ব্যাপার। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী যে আরো অনেক কম ভোট পেতেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিগত কিছু দিনে আরো কয়েকটি মিউনিসিপ্যালিটিতেও নির্বাচন হয়েছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্রই আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী বিপুল ভোটে হেরে গেছেন। বাংলাদেশে এখন শাসক দলের নৌকাডুবি চলছে মড়ক-মহামারীর মতো। ভাষ্যকার ও বিশ্লেষকেরা কারণ বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দলীয়করণ ও আত্তীকরণ, জেলজুলুম আর হত্যাকাণ্ড দিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতা স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা, শেখ মুজিবের বাকশালী শাসনের মতো গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে ষোলআনা ব্যর্থতা, ভারত তোষণ এবং ভারতকে খুশি করার জন্য সংখ্যাগুরুর ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং হিমালয় পর্বতের মতো আকাশচুম্বী দুর্নীতি আওয়ামী লীগের ভরাডুবি অনিবার্য করে তুলেছিল। শেয়ারবাজার লুণ্ঠনে যে ৩৫ লাখ মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছেন, আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও অঙ্গসংগঠনগুলোর তস্করতায় যারা প্রাণ কিংবা সম্পত্তি হারিয়েছেন, বিদেশী পৃষ্ঠপোষকদের মনোরঞ্জনের জন্য যেসব ধর্মপ্রাণ মুসলমান নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন, বিচারের নামে সরকারের প্রতিহিংসা যাদের বিরুদ্ধে ধাবিত হচ্ছে, শাপলা চত্বরে যাদের জীবনপ্রদীপ অকস্মাৎ নিভে গেছে এবং সাধারণভাবেই সরকারের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ফলে যাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে; তাদের প্রত্যেকের নিশ্চয়ই বহু আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু ও শুভকামী আছেন। এ সরকারের প্রতি অবশ্যই তারা প্রসন্ন নন। একরোখা ও গোঁয়ার অপদার্থ সরকার সে কথা ভেবেও দেখেনি। তাদের সবাইকে বাদ দিলে দেশে এ সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের সমর্থক বেশি থাকার কথা নয়। ওরা সে জন্যই বাকশাল চায় এই নৈরাজ্য, এই অরাজকতাকে জিইয়ে রাখতেই তারা বাকশালী শাসন ফিরিয়ে আনতে চায়। সে জন্যই তারা নিজেদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করে আবারো ভোটডাকাতি করতে চায়। অন্য দিকে দেশের মানুষ চায় আওয়ামী শাসনের কালরাত্রির অবসান করে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র এবং সুশাসন ফিরিয়ে আনতে। তত্ত্বাবধায়কপদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবির প্রতি প্রায় সার্বজনীন সমর্থন সে জন্যই। বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের পর গাজীপুরেও ভরাডুবির পর মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতিক্রিয়া কৌতুককর। অবশেষে তারা আবিষ্কার করেছেন যে সরকারে ও দলে ‘কিছু ভুলভ্রান্তি’ ছিল। কেউ কেউ ভুল স্বীকার করে আরো এক মেয়াদে ক্ষমতা চাইছেন। কিন্তু তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সাড়ে চার বছর ধরে অন্যায়-অবিচার আর দুর্নীতি তারা মুখ বুজে সহ্য করেছেন। হয়তো নিজেদের দুর্নীতিও ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তারা মুখ খোলেননি। বিকৃত মস্তিষ্ক নেতৃত্বের সব অন্যায় তারা নীরবে সহ্য করে গেছেন। শাসক মহল থেকে বলাবলি হচ্ছে ‘নেত্রী’ দেশে ফিরে এলে দলের আত্মজিজ্ঞাসা শুরু হবে। কিন্তু কিসের সে আত্মজিজ্ঞাসা? এতকাল যারা মুখ বুজে ছিলেন, মুখ খুলে নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করার সৎ সাহস তাদের কয়জনের হবে? অথচ সাড়ে চার বছরের সব অন্যায় আর সব অবিচারের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নেত্রী। আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দিয়েছে এখন। ঐতিহাসিক এই দলটিকে টিকিয়ে রাখতে এবং পুনরুজ্জীবিত করতে এখন প্রয়োজন নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং বাকশালী চিন্তাকে মগজ থেকে নির্বাসিত করা। সেটা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। দীর্ঘকাল ধরে স্বৈরতন্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করে দলের নেতাদের মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গেছে। তারা আর সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবেন বলে ভরসা হয় না। প্রদীপ নেভার আগের শেষ দপদপানি? এখন সবাই জানেন যে বাংলাদেশের মানুষের ওপর কারা কিসের প্রতিশোধ নিচ্ছেন। বিন্দুমাত্র দেশপ্রেমও বর্তমান নেতৃত্বের থাকলে তাদের উচিত হতো অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়কপদ্ধতি ফিরিয়ে এনে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। কিন্তু আগেই বলেছি, তারা ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ অথচ দেশের মানুষ তাদেরকে জাতীয় স্বার্থের প্রতিপক্ষ মনে করে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে শেখ হাসিনা কিছুতেই রাজি হতে পারেন না। গত বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই সে কথা তিনি আবার বলে দিয়েছেন। সে দিন শেষ বিকেলে তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মি. হেগ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সব দলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা এবং সেই লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করার পরামর্শ দেন। সরকারিভাবে এই বৈঠকের জন্যই শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ব্যয়ে ৪৩ জন সফরসঙ্গী নিয়ে ব্রিটেনে এসেছিলেন। অথচ এই একই পরামর্শ ব্রিটিশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন সরকারসহ বহু মহল অজস্রবার শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। পুরাতন পরামর্শ নতুন করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দরিদ্র দেশের বিপুল সম্পদ ব্যয় করে এত দূর আসার প্রয়োজন ছিল না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবারের পরামর্শও শেখ হাসিনা শোনেননি। তিনি নাকি মি. হেগকে বলে দিয়েছেন, ব্রিটিশ পদ্ধতিতে (শাসক দলের অধীনে) বাংলাদেশের নির্বাচন হবে। কিন্তু কেন ভুলে যাচ্ছেন রইশ্যার নানী ভণিতা করলেই তিনি রানী রাশমনি বলে স্বীকৃতি পাবেন না। তারা কেন ভুলে যাচ্ছেন, ব্রিটিশ গণতন্ত্র আর নির্বাচনপদ্ধতির ঐতিহ্য হাজার বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং জনসাধারণের সংযত আচরণের ফল। বাংলাদেশে গণতন্ত্র যে এখনো শেকড় গজাতে পারেনি এবং নির্বাচনপদ্ধতিও ত্রুটিমুক্ত নয়, তার জন্য আওয়ামী লীগ অনেকখানি দায়ী। বাকশালী পদ্ধতি চালু করে শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। তারপর দফায় দফায় সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা পেতে চেয়েছেন। এসব কারণেই গণতন্ত্রের শেকড় গজাতে পারেনি, গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হতে পারেনি। সাময়িক সুবিধামতো কখনো তত্ত্বাবধায়কপদ্ধতি, কখনো এ পদ্ধতি সে পদ্ধতি নিয়ে লুকোচুরি খেলা খেলতে গিয়ে নিজেরাই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের খেয়ালখুশি মতো নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আর আস্থা স্থাপন করতে পারছে না। লন্ডন থেকে শেখ হাসিনা গেছেন তিন দিনের সফরে বেলারুশে। সেখানে নাকি তিনি সামরিক ও যোগাযোগ যন্ত্রপাতি ক্রয়চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেলারুশ ুদ্র রাষ্ট্র। জনসংখ্যা বড়জোর ঢাকা মহানগরীর সমান হবে। সমরাস্ত্র উৎপাদন ও রফতানির জন্য এর সুনাম নেই। সে দেশ থেকে কিছু যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কেন সশরীরে তিন দিনের সফরে যেতে হবে, সাধারণ বুদ্ধিতে কুলায় না। তবে একটা ব্যাপারে বেলারুশ সরকার আর শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ধ্যানধারণায় কিছু সমতা আছে। বেলারুশ একমাত্র অবশিষ্ট স্ট্যালিনপন্থী দেশ। প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্ক আজীবন রাষ্ট্রপতি। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি স্বপদে বহাল আছেন। এখন কী করবেন ৪৩ জন সফরসঙ্গী নিয়ে শেখ হাসিনার আট দিনের ইউরোপ সফরের প্রকৃত কারণ কারো অজানা নেই। বোনঝি এবং শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের বিয়ের সংবর্ধনায় যোগ দিতেই মূলত তিনি এসেছিলেন। কিন্তু আজকাল দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই তিনি যান সর্বত্রই তিনি দেখতে পান যে বাংলাদেশীরা তার বিরুদ্ধে চলে গেছে। ৪ জুলাই যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা পার্ক লেন হিলটন হোটেলের সামনে বিরাট প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। বাধ্য হয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে ঢুকতে হয়েছিল। রোববার (৭ জুলাই) পূর্ব লন্ডনের একটি সুপরিসর অনুষ্ঠান কেন্দ্রে টিউলিপের বিয়ের সংবর্ধনার বাইরেও বিশাল জনতা প্রতিবাদ জানাতে হাজির ছিল। ফলে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে বিলম্ব হয়েছিল। অনুষ্ঠানে তিনি যখন গৌরি চৌধুরী আর হীমাংশু গোস্বামীর গান শুনছিলেন, বাইরে তখন তার এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান চলছিল। এই গোঁয়ার্তুমির কারণে বাংলাদেশের সরকারবিরোধী রাজনীতিকদের সামগ্রিক পরিস্থিতি নতুন করে এবং জরুরিভাবে ভাবতে হবে। বিরোধী দলগুলোর ঢিলেঢালা প্রতিবাদ বহাল থাকলে সরকার গায়ের জোরে নিজের হেফাজতেই নির্বাচন ঘোষণা করবে। একবার ঘোষণা হলে বিরোধী দলগুলো যদি বাধা দিতে চায় এ সরকার খুবসম্ভবত কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে অথবা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে গদি আঁকড়ে থাকবে। বিরোধী দলগুলো যদি এ সরকারকে আরো কিছু দিন সময় দেয় তাহলে তত্ত্বাবধায়কপদ্ধতি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের জন্য হয়তো ভুলে যেতে হবে।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
- ► সেপ্টেম্বর (107)
-
▼
জুলাই
(113)
- পরিবহনে নৈরাজ্য, সামনে কঠিন সময়
- রাজনৈতিক সংলাপ : অতীতের অভিজ্ঞতা
- ক্ষমতার গন্ধ কেমন
- এত উন্নয়ন করে কী হবে? ভোট তো পাই না।’
- বাংলাদেশে নির্বাচনী রাজনীতি
- রমজান মাসে সেই আবেগের দিনে
- জামায়াত-আওয়ামী লীগ সমঝোতার গুজব ও বাস্তবতা
- রাজনীতির জন্য ভোট, নাকি ভোটের জন্য রাজনীতি
- গণতন্ত্র : আওয়ামী স্টাইল
- দেশের শেষ গন্তব্য কোথায়
- নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাক...
- নতুন ধারার রাজনীতি
- সঙ্ঘাতের রাজনীতি কতকাল চলবে
- ভেদাভেদ ও বিদ্বেষের রাজনীতি আর নয়
- গোলাম মাওলা রনি একটি অসম যুদ্ধে নেমেছিলেন : তাই হে...
- সরকারি দলের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়
- জাতীয় নির্বাচনে ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং-ই আ’লীগের শ...
- প্রধানমন্ত্রীর ‘ইমেজ’ বিল্ডিং প্রকল্প এবং মন্ত্রীদ...
- একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও কিছু কথা
- রাজনীতির বলির পাঁঠা গোলাম মাওলা রনি
- যুদ্ধাপরাধের মূলা ও পাঁচীর ঘা!
- রাজনীতি নিয়ে নাটক
- সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্ন
- ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে সাংবিধানিক উপায়
- নিপীড়িত সাংবাদিক ও অস্ত্রবাজ নেতা
- দেশজুড়ে পরিবহনে চাঁদাবাজি
- জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো জ্বলজ্বল করে জনমনে
- পাঙ্গাশের মগজ আর তেঁতুলের গুল আমাদের সর্বনাশার মূল
- বাংলাদেশের প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিক প্রস...
- তবে কি তিনিও দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী?
- শেষ মুহূর্তেও আওয়ামীকরণে তছনছ হচ্ছে জনপ্রশাসন
- হেফাজত ও শাহবাগ রাজনীতির নতুন অঙ্ক
- এক পেশে মিডিয়া : সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্...
- দেশ পরিচালনা ও ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রধানমন্ত্র...
- স্থানীয় সরকারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ
- গরীবের ইফতার
- আল্লামা শফীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করবেন না
- এক পেশে মিডিয়া : সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্...
- কী করে বলি এ সরকার সাংবাদিকবান্ধব
- অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
- কোটা সংরক্ষণের নামে মেধা হরণ
- ইতিহাসচেতনা ও বাংলাদেশ
- আওয়ামী লীগ : আবারও স্বরূপে আসার চেষ্টা
- বিলেতি কায়দায় বাকশালী নির্বাচন খায়েশ বনাম বাস্তবতা
- কর্নেল তাহের নায়ক না খলনায়ক?
- বাস্তিল দুর্গের পতন কী অত্যাসন্ন?
- সীমা ছাড়ানো চাঁদাবাজির মহোৎসব
- কিশোরগঞ্জ উপনির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্ত...
- তাহলে জাতি বেঁচে যেতে পারে
- তেঁতুল তত্ত্বের পোস্টমর্টেম
- সরকারের শেষবেলার খেলা
- সরকার ভুল করলেও জনগণ করে না
- আহা যদি অনেক কালো টাকার মালিক হতাম!
- পুলিশকে পেটালো গণজাগরণ মঞ্চ
- আওয়ামী লীগ ও সরকার বিপন্নের সম্মুখীন
- টিআইবি প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ দুর্নীতি
- কোটাপ্রথা বাতিলের এখনই সময়
- একেই বলে আইনের শাসন
- ভোটের রাজনীতিতে শাসক দল অসহায়
- সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস
- ভূমিদস্যুদের বেপরোয়া তান্ডব প্রসঙ্গে
- সরকারের নির্বাচন বিপর্যয় এবং কেয়ারটেকারের যৌক্তিকতা
- কোটা কি রাষ্ট্রীয় অবিচার নয়?
- সাধু সাবধান!
- পুলিশ ও নেতার কারণে যানজট
- বিসিএস পরীক্ষার্থীদেরকে পেটালো সরকার
- এ বিশাল বাজেট লুটপাটের বাজেট
- নির্বাচনী কিল
- মহাধসের কবলে মহাজোট
- ন্যায়সঙ্গত দাবি বিবেচনা করতে হবে
- ভোটের হিসাবে ঠিক ফলই পাচ্ছে আওয়ামী লীগ
- গাজীপুরের নির্বাচন : সরকারের কি বোধোদয় হবে?
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার, লেভেল প্লেইংফিল্ড ও নিরপেক্ষ ...
- স্থানীয় নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের কারচুপি এক নয়
- আওয়ামী লীগের কোনো দুর্গ নেই
- মিসরে গণতন্ত্র আবার বিপন্ন
- রোজা রমজানের গুরুত্ব, সওয়াব, করণীয় ও নিয়মাবলী
- একরোখা দাম্ভিক মনোভাবকে জনগণ পছন্দ করছে না
- উলুবনে মুক্তা ছড়িয়ে কী লাভ!
- ৬৪ বছর পর আ’লীগের মুখোশ উম্মোচন
- তুমি খাচলতে কিসে ধুবা
- চাপ ও দুই নৌকার গণতন্ত্র
- জবাব দিচ্ছে জনগণ
- নৌকা ভিড়বে কোথায়?
- শ্রমিক ভোটারদের আক্ষেপ
- আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গেরও পতন
- এ বিজয় জনগণের বিশ্বাস ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের
- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির(?) নাতি-নাতনিদের অবাঙা...
- সুশাসন ব্যর্থতা ও জনদুর্ভোগ
- নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রশ্ন
- বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি সামাজিক সমস্যা
- পদ্মাসেতুর দরপত্র মূল্যায়নে এডিবি’র অপারগতা
- আওয়ামী লীগের চোখে শর্ষে ফুল : তাই বেগম জিয়াকে ডি...
- কী দুঃসহ খামখেয়ালি আর প্রতিহিংসার রাজনীতি!
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা অশুভ প...
- প্রসঙ্গ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন
- জাগরণের আগুনে পুড়ল যারা
- বিশাল বাজেট তবু অর্থনৈতিক সংকট মারাত্মক হচ্ছে
- আওয়ামী লীগ ইতিহাসের করুণ পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে
- পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন