ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে একটি বাতিকে
পেয়েছে। সেই বাতিকটি হলো জামায়াত-শিবির, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা। সরকারের যে কোন অপকর্মের বিরুদ্ধে
মানুষ প্রতিবাদ করলেই সেই প্রতিবাদের মধ্যে তারা আবিষ্কার করে যুদ্ধ অপরাধের বিচার
বানচালের ষড়যন্ত্র। ৫টি সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পর তারা
তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে উচ্চারিত প্রতিবাদী কন্ঠের মধ্যে আবিষ্কার করছে জামায়াত
শিবিরের ভূত। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
তরুণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়েছে। সেখানেও তারা আবিষ্কার করেছে জামায়াত-শিবির
এবং শেষ মূহূর্তে বিএনপির ভূত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত আওয়ামী লীগকে যে জামায়াত
বিএনপির প্রেতাত্মা তাড়া করছে সেই প্রেতাত্মার ছায়া প্রচ্ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে
আওয়ামী লীগের সমস্ত স্তরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের মতো দায়িত্বশীল
ব্যক্তির ঘাড়েও জামায়াত-শিবিরের ভূত চেপেছে। তাই তিনিও তারই শিক্ষার্থীদের
আন্দোলনে তথাকথিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রেতাত্মা দেখতে পাচ্ছেন। এদের এসব
প্রলাপ শুনতে শুনতে আমার মনে স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে যতদিন পর্যন্ত গণ আন্দোলন
বা নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার অপসারিত না হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত জামায়াত-শিবির ও
বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের ভূত তাদের ঘাড় থেকে নামবে না।
বিসিএস পরীক্ষা তথা বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের কোটা পদ্ধতি সম্পূর্ণ
বাতিলের দাবিতে গত বুধবার থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছেন।
বিসিএস পরীক্ষার্থীরা এই দাবিতে শাহবাগে জমায়েত হন এবং তাদের দাবি উত্থাপন করেন।
তাদের জমায়েতের স্থানকে ‘মেধামঞ্চ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ দাবি হলো,
বিসিএস ক্যাডারে কোনোরকম কোটা
পদ্ধতি থাকবে না। বিসিএস চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে শতকরা একশ’
ভাগ মেধার ভিত্তিতে। তাদের এই
জমায়েতের ফলে শুধু শাহবাগ নয়, আশপাশের সমস্ত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অতি অল্প সময়ের
মধ্যেই এই যানজট মহানগরীর অনেক এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবারও তাদের দাবি
সম্পূর্ণ পূরণ না হওয়ায় তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে এবং বৃহস্পতিবারও শাহবাগ
অভিমুখে যানবাহন ডাইভার্ট করা হয়। গত বুধবার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসি এক বিবৃতির মাধ্যমে ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার
ফলাফল স্থগিত করে তা পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দেয়। কিন্তুু আন্দোলনকারীরা
পুনর্মূল্যায়নের এই সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। ‘হাজার হাজার পরীক্ষার্থী’
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল
সম্পূর্ণ বাতিল ও কোটা প্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্তির দাবি জানান। জানা যায় যে,
সরকারের পক্ষ থেকে
প্রিলিমিনারিতে কোটা সংরক্ষণের কোন নির্দেশ ছিল না। তৎসত্ত্বেও কোটা সংরক্ষণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। এর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে আন্দোলন
পুনরায় শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন যে, বর্তমানে বিদ্যমান সব ধরনের কোটা বাতিল করে শুধু মেধা ও যোগ্যতার
ভিত্তিতে সবগুলো নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার ফল বাতিল করা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী শাহবাগে গিয়ে
মেধামঞ্চের আন্দোলন কারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে,
কোটা সিস্টেমের ফলে কেউ ৫০ নম্বর
পেয়ে পাস করবে, আর কেউ ৮০ নম্বর পেয়েও পাস করবে না, সেই প্রহসন মেনে নেয়া যায় না।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭
ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন
প্রার্থী এই পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। গত ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হয়। এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত সোমবার এই পরীক্ষার ফল
প্রকাশ করা হয় এবং মোট ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন। পূর্বে প্রিলিমিনারি,
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর
চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি
পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে মেধাবীদের একটা বড় অংশ শুরুতেই
সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়,
উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৩৩ জনের
মধ্যে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটায়, পাঁচ ভাগ উপজাতি কোটায় ও ১০ ভাগ নারী কোটায় নেয়া হয়েছে। এই হিসেবে
মোট উত্তীর্ণের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের মতো মুক্তিযোদ্ধা কোটায়,
হাজার খানেক নারী কোটায় এবং ৫০০
জন উপজাতি কোটায় এসেছে। সূত্র জানায়, কোটায় প্রতি বছর পর্যাপ্ত প্রার্থী না পাওয়ায় এবার এই পদ্ধতি অনুসরণ
করায় কম নম্বর পেয়েও অনেক মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও নারী সংরক্ষিত কোটায় লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়ে
যাবেন। আর অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর পেয়েও এই কোটার বাইরের অনেক মেধাবী ব্যক্তি সুযোগ
থেকে বঞ্চিত হবেন।
॥দুই॥
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ
সচিব ড. আকবর আলী খান বলেছেন, একই চাকরির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোয়ালিফাইং মার্কস নির্ধারণের এখতিয়ার
পিএসসি কোথায় পেল? সংবিধানে তাদের এরকম কোনো ক্ষমতা দেয়া নেই। তাছাড়া কোনো পরীক্ষার
ক্ষেত্রে ২টি কোয়ালিফাইং মার্কসের নজির পৃথিবীর সভ্য-অসভ্য কোনো দেশেই নেই। আর
কোয়ালিফাই না করলেও কোটাধারীদের চাকরি দেয়ার দায়িত্ব পিএসসির নয়। পিএসসির এরকম
সিদ্ধান্ত অসিদ্ধ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় একটি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব
কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ৫০ শতাংশের অধিক কোটা কোনোভাবেই সংবিধান সম্মত নয়। তাছাড়া কোটা কোনো
চিরস্থায়ী বিষয় হতে পারে না। কেউ ৮০ পেয়ে কোয়ালিফাই করবে না,
আর কেউ ৪০ পেয়েও টিকবে তা
আইনসিদ্ধ নয়। প্রিলিমিনারিতে ৮০ পেয়েও যে কোয়ালিফাই করল না,
লিখিত পরীক্ষায় সে যে প্রথম
হতোনা তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে কি? কুইজ পদ্ধতির প্রিলিমিনারির সাথে লিখিত পরীক্ষার অনেক পার্থক্য রয়েছে।
আরেক সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার গত শুক্রবার ১২ই
জুলাই বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের সব বেসামরিক সরকারি চাকরির নিয়োগ স্তরে
বিচার-বিবেচনাহীন ভাবে কোটাব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের পর সরকার এসেছে আর
গেছে। কিন্তু কোনো না কোনো পরিবর্তিত রূপে তা রয়েই গেছে। বরং দিনে দিনে বৃদ্ধি
পেয়েছে এ কোটাগুলোর অনুপাত। বর্তমান সরকারের আমলে আরও একটি নির্মম নিয়ম চালু করা
হয়েছে। এই নিয়মে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের প্রাধিকার কোটায় কোনো প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো খালি
থেকে যাবে। আর তা থাকছেও। মেধাবী প্রার্থী প্রিলিমিনারি,
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকায় ওপরের দিকে স্থান পেয়েও চাকরি পাবে না। অধিক হারে চাকরি
পাবে কম মেধাবীরা, প্রাধিকার কোটার বদৌলতে। আর তাদেরও খুঁজে না পাওয়া গেলে পদ খালি রাখা
হবে। প্রশাসন ব্যবস্থায় এটাকে একটা নির্দয় প্রহসন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
তবে ৩৪তম বিসিএসে কোটা ব্যবস্থার প্রয়োগে আরেকটি নতুন মাত্রা দেয়ার
প্রয়াস নেয়া হয়েছিল। বিষয়টি হচ্ছে , প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় অতি নিম্নে অবস্থানকারীদেরকে
কোটাভুক্ত হওয়ায় তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। পক্ষান্তরে মেধা
তালিকার অনেক ওপরে অবস্থান করা সত্বেও যেহেতু তারা কোটা-বহির্ভূত তাই তারা
লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়নি। জানা গেল, সরকারি কর্ম কমিশনের যুক্তি,
কোটা পূরণ নিশ্চিত করতেই এই
ব্যবস্থা। তবে চতুর্মুখী ব্যাপক সমালোচনা ও পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে এই ফলাফল
আপাতত বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বোধোদয় দেরিতে হলেও না হওয়ার চেয়ে ভালো। প্রকৃতপক্ষে
নিয়োগ পর্যায়েই কোটা প্রয়োগ হওয়া স্বাভাবিক। আর বিসিএস পরীক্ষায় সে পর্যায়টি আসে
প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকা তৈরির পর।
সুতরাং আকস্মিক ভাবে প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকে এটাকে প্রয়োগ করা হলে বঞ্চিত
ব্যক্তিরা সংক্ষুব্ধ হবেই।
এখন কোটাব্যবস্থার বিন্যাস সম্পর্কে দুটি কথা। মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্য,
জেলা,
মহিলা ও উপজাতি কোটার অনুপাত
যথাক্রমে ৩০, ১০, ১০ ও ৫। অর্থাৎ একুনে ৫৫। তাহলে মেধা কোটায় রইল শতকরা ৪৫ শতাংশ। চার
দশকের অধিক কাল এভাবে সরকারি চাকরিতে কোটার জোরে অধিক সংখ্যায় কম মেধাবীদের চাকরি
পাওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ আর কলেজ শিক্ষকসহ সব ক্ষেত্রেই এই ঘটনা বছরের পর বছর ঘটে আসছে।
এই ঘটনা ঘটে চলেছে নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। ফলে এসব পদে মেধা
শূন্যতার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়াকে অমূলক বলা যাবে না।
॥তিন॥
কোটা পদ্ধতি নিয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যা ঘটছে সেটি সংবিধান পরিপন্থী।
এটি প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা
হয়েছে , “প্রজাতন্ত্রের
কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা থাকিবে।”
২৯ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ,
“কেবল ধর্ম,
গোষ্ঠী,
বর্ণ,
নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের
কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা
সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।”
অথচ সংবিধানের এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই শিক্ষার্থীদেরকে আজ
আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আন্দোলনে নেমে তাদেরকে মার
খেতে হয়েছে। তাদের ওপর পুলিশ এবং সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্রলীগ হামলা করেছে।
তারা আহত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে জেলে
ঢুকানো হয়েছে। অথচ ওপরের আলোচনা থেকে দেখা গেছে যে আন্দোলনকারীদের দাবি সম্পূর্ণ
যুক্তি নির্ভর। যেখানে ৫৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত রয়েছে কোটা পদ্ধতির কারণে,
সেখানে অত্যন্ত ঐ ৫৫ শতাংশ
চাকরিতে মেধাবীদের নিযুক্ত হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। কোটার বদৌলতে স্বল্প মেধার
ছাত্র ছাত্রীরা ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পাওয়ার ফলে চাকরি জীবনেও তারা অযোগ্যতা এবং
অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এরা সঠিকভাবে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে পারে না,
গুরুত্বপূর্ণ নেগোসিয়েশন টেবিলে
সঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। ক্যাডার সার্ভিসের মানে দিনের পর দিন যেভাবে অবনতি
ঘটছে, তার ফলে আমরা
একটি মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত হতে চলেছি। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সেদিন বেশি
দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ
সোমালিয়া বা রুয়ান্ডার মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। অথচ বাংলাদেশ এই
উপমহাদেশেরই একটি অংশ। এই উপমহাদেশের অপর দুটি দেশ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে
বাংলাদেশ শিক্ষা গ্রহণ করছে না। পাকিস্তানে রয়েছে সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস,
আর ভারতে রয়েছে ইন্ডিয়ান
সুপিরিয়র সার্ভিস। তাদের সুপিরিয়র সার্ভিসে পরীক্ষা দেয়ার পর ফলাফলের ভিত্তিতে
সিভিল সার্ভিস, ফরেন সার্ভিস, পুলিশ সার্ভিস, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিস প্রভৃতিতে রিক্রুট করা হয়। তাদের
ক্যাডার সার্ভিসে কোটার কোনো বালাই নেই। সে জন্যই ভারতের ক্যাডার সার্ভিস তথা
আমলাতন্ত্র অত্যন্ত মেধাবী, যোগ্যতাসম্পন্ন এবং দক্ষ এবং সেই সুবাদে শক্তিশালী। পাকিস্তানের
সিভিল প্রশাসনও দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসনকে
যদি মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর দাঁড় করাতে হয়, তাহলে অবিলম্বে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস থেকে আদিবাসী,
নারী,
জেলা,
মুক্তিযোদ্ধা প্রভৃতি সব ধরনের
কোটা বাতিল করতে হবে। এই সার্বজনীন দাবির ওপর জামায়াত-শিবির বা বিএনপির রং চড়িয়ে
মূল সমস্যার কোন সমাধান হবে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন