বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বেশ কিছুকাল ধরে জামায়াতকে উপলক্ষ করে মজার মজার ঘটনা রটনার পর এখন নতুন আরেকটি কথাও শোনা যাচ্ছে। সরকারপন্থী একটি দৈনিক সপ্তাহ দুয়েক আগে এই মর্মে একটি খবর প্রকাশ করেছিল যে, মার্কিন দূতাবাসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের মধ্যে একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। খবরটিতে বলা হয়েছিল যে, এই চেষ্টার উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা গওহর রিজভী মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। এ ব্যাপারে তিনপক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এ বৈঠকসমূহে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির একজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বরাবর উপস্থিত ছিলেন। এক্ষেত্রে এই বৈঠকসমূহে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হিসেবে যা স্থান পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আগামী সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণ। জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, আঠারো দলীয় জোট থেকে বিশেষ করে বিএনপি বলয় থেকে সংগঠনটি বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শর্ত অনুযায়ী কেয়ারটেকার সরকারের দাবি প্রত্যাহার করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি এবং আঠারো দলীয় জোটের অন্যান্য শরীকরা যদি নির্বাচনে না যায় এবং কেয়ারটেকার সরকারের প্রশ্নে অনড় থাকে তাহলেও জামায়াত, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ নির্বাচন করে ফেলবে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিনিময়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করা হবে এবং যে সমস্ত মামলায় ইতোমধ্যে দ-াদেশ ঘোষিত হয়েছে সে সমস্ত মামলাও কিভাবে সুরাহা করা যায় সে সম্পর্কে সরকারি দলের তরফ থেকে কৌশল অনুসন্ধান করে দেখা হবে। এক্ষেত্রে জামায়াতকে বিএনপি থেকে আলাদা করার জন্য যে যুক্তিটি উপস্থাপন করা হচ্ছে সেটি হচ্ছে জামায়াতের দুর্দিনে বিএনপি’র নির্লিপ্ততা’। বলা হচ্ছে যে, একটা অন্যায় এবং প্রতিহিংসামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার গত সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার ও অবিচার চালাচ্ছে শরীক দল হিসেবে বিএনপি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়নি আবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতকে সম্পৃক্ত করার যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক অভিযোগ সংগঠনটি ও তার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা মিথ্যা জেনেও বিএনপি চুপ থেকেছে এবং আছে। জামায়াত কর্মীদের মধ্যে বিএনপি বিরোধী এই সেন্টিমেন্ট তৈরির কাজে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঠকরা হয়ত স্মরণ করতে পারেন যে, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপিকে জামায়াত থেকে এবং জামায়াতকে বিএনপি থেকে আলাদা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। সরকারের ধারণা বিএনপি এবং জামায়াত যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে সরকারের পক্ষে নির্বাচনে জেতা খুবই কঠিন। আর যদি এই দুটি দলকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে নিয়ে আসা যায় তাহলে নির্বাচনে জেতা তাদের জন্য নস্যি মাত্র। এই প্রেক্ষিতে সরকারের সর্বশেষ উদ্যোগকে অস্বাভাবিক হিসেবে গণ্য করা হয়ত যায় না। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না, অন্তত জামায়াতের ন্যায় একটি আদর্শবাদী দল হিসেবে। কেননা আমি ব্যক্তিগতভাবে জামায়াতকে রাজনীতিতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আদর্শের সাথে আপোষ করতে দেখিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী পর্যন্ত সকলের ওপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন, জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার-রিমা- প্রভৃতি পৈশাচিক কর্মকা- চালিয়েছে তা ফেরাউনী নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। শুধু দৈহিক নির্যাতন নয় আর্থিক ও মানসিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও এই সরকার স্মরণাতীতকালের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় সবকিছু ভুলে গিয়ে জামায়াত তারই হাতে গড়া আঠার দলীয় জোট ভেঙে আওয়ামী লীগের ন্যায় একটি অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী, বিশ্বাসঘাতক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ দলের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগের নীল নকশা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেবে একথাটি বিশ্বাস করার মতো কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য আমি খুঁজে পাই না। জামায়াতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সরকার প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দিচ্ছেন না। দলটির কেন্দ্রীয়, মহানগর এবং অধিকাংশ জেলা অফিস বন্ধ। বহু কেন্দ্রীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এখন হয়ত জেলে, না হয় গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা অমানবিক জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। দ্যা ইকোনমিস্ট পত্রিকা সম্প্রতি তার এক রিপোর্টে বলেছে যে, সরকার জামায়াতের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলেছে। পত্রিকাটির এই মন্তব্য যদি সত্যও হয় তথাপিও আমি জামায়াতের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কোন লক্ষণ এখনো পর্যন্ত দেখিনি। তারা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ এবং পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যায়ের সামনে মাথা নত করার কোন প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় যে গুজবটি বাজারে রটেছে তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাজ্য থেকে বেশ কিছু টেলিফোন আমি পেয়েছি। টেলিফোনকারীরা জানিয়েছেন যে, ঐ সমস্ত দেশেও ইে গুজবটি ছড়িয়ে পড়েছে এবং পক্ষে-বিপক্ষে পত্র-পত্রিকায় নানারকম মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোও এ থেকে বাদ পড়েনি।
রাজনীতি জামায়াতের মৌলিক অধিকার। জামায়াত যে রাজনীতি করে তা ইসলামী আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এবং এই রাজনীতিতে অন্যায়ের সামনে মাথা নত করার কোন বিধান নেই। জামায়াতের দু’জন মন্ত্রী বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পাঁচ বছর মন্ত্রিত্ব করেছেন এবং অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা একটি রেকর্ডও সৃষ্টি করেছেন। দল ও স্বজনপ্রীতির অবৈধ কোন রেকর্ড তারা রাখেননি। তাদের ছেলেমেয়েরা তাদের মন্ত্রিত্ব থেকে কোন বেনিফিট পায়নি। অভ্যন্তরীণ সফরে তারা রাষ্ট্রীয় আতিথেয়তায় এন্টাইটেল্্ড্্ হলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। দলীয় আতিথেয়তায় তারা সরকারি কাজ করেছেন। যেখানেই গেছেন দল তাদের খরচ বহন করেছে। সরকারি খরচ কমেছে। বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকার তন্ন তন্ন করেও তাদের দুর্নীতি অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারের কোন নজির খুঁজে পাননি। এতে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং তাদের এই প্রতীতি জন্মেছিল যে জামায়াতকে যদি স্বাভাবিক গতিতে তার আদর্শিক রাজনীতি চালিয়ে যেতে দেয়া হয় তাহলে আগামী নির্বাচনসমূহে দলটি প্রথম সারিতে চলে আসবে এবং তাদের রাজনীতি অচল হয়ে পড়বে। কেননা মানুষ সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক পেলে অসৎ, অযোগ্য ও ভাঁড়দের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে নির্বাসনে পাঠাতে ভুল করবে না। জামায়াতও ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যত ক্ষোভ, ঘৃণা বিদ্বেষ, নির্মূল অভিযান, জুলুম, নির্যাতন তার সবকিছুর পেছনে রয়েছে এই তত্ত্বটি। মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রতিদিন শত শত রেকর্ড সৃষ্টি করে তারা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চালাচ্ছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অন্যায় আল্লাহ তায়ালা খুব বেশি দিন সহ্য করবেন বলে মনে হয় না। একজন মুসলমান হিসেবে এটা আমি বিশ্বাস করি।
সম্প্রতি আরেকটি কথা বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেটি হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ের আলোকে শিগগিরই প্রশাসনিকভাবে জামায়াতকে শুধু বেআইনী নয় একটি সন্ত্রাসী ও অপরাধী সংগঠন হিসেবে সরকার ঘোষণা করতে যাচ্ছে। জামায়াতের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং জামায়াতের যত অঙ্গ সংগঠন আছে, জামায়াত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে পরিচালিত যতগুলো ব্যবসায়িক, অর্থনৈতিক ও সেবামূলক সংগঠন রয়েছে সরকার সেগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে এবং জামায়াত ও তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ফতুর করে ফেলবে। তাদের ভাষায় তারা মৌলবাদী অর্থনীতির মূলোৎপাটন করেই মৌলবাদকে এ দেশের বুক থেকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠাবেন। কথাটি শুনতে বেশ ভাল লাগে। আমি যতদূর অনুধাবন করতে পারি ইচ্ছা আর বাস্তব এক হওয়াটা কঠিন। অর্থনীতিতে একটি কথা আছে ‘ওভ রিংযবং বিৎব যড়ৎংবং ঃযবহ নবমমধৎং সরমযঃ ৎরফব. অর্থাৎ ইচ্ছা যদি ঘোড়া হতো তাহলে ভিখারীরাও তাতে চড়ত। তবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে কিছু বলা মুশকিল। কেননা তারা করতে পারে না এমন কোন কাজ নাই। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭১-৭২ সালে অবাঙ্গালী বিহারী এবং তাদের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান তারা বাজেয়াপ্ত ও দখল করেছিল। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সৈয়দপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, নাটোরসহ বাংলাদেশের বিশাল এলাকার অবাঙ্গালী বিহারীদের হত্যা করে তারা তাদের বাড়ি ঘর, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছিল। আজকের কোটিপতি আওয়ামী লীগারদের সম্পদের যদি হিসাব নেয়া হয় তাহলে অনেকে বিশ্বাস করেন তার ৮০ ভাগ সম্পদশালী ব্যক্তির সম্পদের উৎস এই লুটপাট। এফবিসিসিআই ১৯৯২ সালে একটি জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গেছে যে, এই আওয়ামী লীগ সরকারিভাবে অধিগ্রহণকৃত অবাঙ্গালীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পঞ্চাশ হাজার প্রতিষ্ঠান নিজেদের কর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। একই কায়দায় ৫ হাজার ঊনিশটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান তারা ভাগাভাগি করেছেন। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তারা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বিভিন্ন সেক্টর কর্পোরেশনের ওপর ন্যস্ত করেছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। শিল্প কারখানাগুলো একটির পর একটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় বেসরকারি খাতে পরিচালিত ব্যবসা সফল বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিগ্রহণ করে অথবা সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে সরকার কার স্বার্থ হাসিল করতে চান তা পাঠকরা আমার মনে হয় নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারেন। তবে একটি কথা সম্ভবত স্মরণ করা প্রয়োজন যে, সরকার যদি জামায়াতের ন্যায় একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চান তাহলে হয়তো তার পক্ষে তা অসম্ভব হবে না কেননা তাদের পক্ষে জনসমর্থন না থাকলেও এখন পুলিশ, র্যাবসহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী এবং অস্ত্রধারী দলীয় বাহিনী রয়েছে। কিন্তু সবকিছুরই একটি শেষ আছে। এই সরকার অবশ্যই এদেশের শেষ সরকার নয়। এক মাঘে শীত যায় না। জামায়াত গণবিচ্ছিন্ন শিকড়বিহীন কোন দল নয় যে সামান্য বাতাসে তার মূল উপড়ানো যাবে। কাজেই এই সংগঠনটিকে সরকার সহজে ধ্বংস করে ফেলবেন এবং দেশের মানুষ বসে বসে তামাশা দেখবে এটা নাও হতে পারে। আবার শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে যাবজ্জীবন কারাদ- অথবা ফাঁসির দ- দিয়ে কিংবা দলকে বেআইনী করে, দলীয় সম্পদ ও দল সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দিয়ে সরকার যদি রাজনৈতিক সমঝোতা করতে চান তাহলে তা অত্যন্ত হাস্যাস্পদ ও অবাস্তব একটি প্রস্তাব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন