এই লেখাটি যখন অগ্রিম লিখতে বসেছি তত দিনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে শনিবার (৬ জুলাই) সারা দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন নিয়ে তোলপাড় চলছে। আওয়ামী লীগের জন্য যেন হঠাৎ করেই এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর আগে অবশ্য চারটি বড় ধরনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে। রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একযোগে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছেন। কোথায়ও কোথায়ও ভোটের ব্যবধান প্রায় লাখ ছুঁয়েছে। ওই চারটি সিটি করপোরেশনে ভোটারের সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১২ লাখের সামান্য কিছু বেশি। কিন্তু গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা একাই ১০ লাখের ওপরে। ফলে এই নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে তাহলে বলতে পারবে ওই চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হারলেও জিসিসিতে জিতলে প্রমাণিত হবে যে, ভোটের এমন কোনো হেরফের হয়নি। ১০ লাখ ভোটারের সিটি করপোরেশনে তারা জয় লাভ করেছে।
দাবিটি খুব সঙ্গত। এই লেখা যখন প্রকাশিত হবে তখন জিসিসি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়ে যাবে। সুতরাং এ নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এ নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য হেন কোনো কাণ্ড নেই যা সরকার করছে না। আর ঠুঁটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন দু’চোখে ঠুলি পরে চুপচাপ বসে আছে। নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগের দিকে নেয়ার জন্য ৩৯২ জন রিটার্নিং অফিসারের সবই নিয়োগ দেয়া হয়েছে দলীয় লোকদের। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের ৯ জন প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকার সমর্থক পত্রিকার রিপোর্টেও বলা হয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা। এসব অফিসারের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১০১ জনকে, যার মধ্যে ৯০ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। আর ভিন্ন ভিন্নভাবে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ও ৭০ জন সংসদ সদস্য।
ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন মো: মজনু মিয়া। তিনি এখন গাজীপুরের নাম বদলকৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার। আর হাজী দানেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শাহাদাত হোসেন ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খাদ্যমন্ত্রীর ভাগ্নেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। তারা তিনজনই জিসিসি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন। কালের কণ্ঠ পত্রিকা নিজস্ব অনুসন্ধানে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ জালভোট, কেন্দ্র দখল, বুথে আগুন, ব্যালট বাক্স ছিনতাই এমনি সব কূট আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এত কিছুর পরও ভোটারের মন গলেনি কোনোভাবে। বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে না থেকেও আছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে নির্বাচনী প্রতীক পর্যন্ত বরাদ্দ দেননি। তিনি হাইকোর্ট থেকে প্রতীক বরাদ্দ এনে নির্বাচন করছিলেন। এই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন করার আন্দোলনে পুরোধা। তারপর থেকেই প্রায় তিন বছর ধরে তিনি চেষ্টা করেছেন এবং প্রচারণা চালিয়ে গেছেন এই সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে।
সরকারের প্রার্থী আজমত উল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন ভেবে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, তিনি ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্বাচন থেকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি তা মেনে নেন। এবং ছাত্রলীগের এক সময়কার কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তিন দিন অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গাজীপুরে গিয়ে হাজির হন এবং চোখের জলে ঘোষণা করেন যে, তিনি আজমত উল্লাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছেন। আজমত উল্লাহর সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে আনারসের নারী-পুরুষ সমর্থকেরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তিনি আজমত উল্লাহর সাথেই আছেন। কিন্তু কেউ যদি ভালোবেসে আনারসে ভোট দেয় তাহলে তার কী-ই বা করার আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বহু সংখ্যক আনারস সমর্থনকারী আনারসেই ভোট দেবেন। অথবা প্রতিবাদ জানাতে ভোট দেবেন অধ্যাপক মান্নানের টেলিভিশন মার্কায়। আওয়ামী লীগের এত নেতার ভিড়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়নি।
এরপরও যারা এলাকা সফর করেছেন তারা সবাই বলেছেন, কমপক্ষে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হবেন। আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক এ বি এম মূসা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটা ডুববে এখন তার হিসাব হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ডুবার পালা শুরু হয়েছে। আবুল হোসেন যখন দুর্নীতির দায়ে ধরা পড়লেন, টাকার বস্তাসহ যখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ধরা পড়লেন তখন মূসা ভাই এতটাই বিব্রত হয়েছিলেন যে, টেলিভিশন টকশোতে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের দেখলেই সবাই যেন চোর চোর বলে তাড়া করেন। সুরঞ্জিতের বাড়ির দিকে যাত্রা করা ৭০ লাখ টাকার বস্তা ধরা পড়ার পরও কী আশ্চর্য তিনি মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন। এবং অনেক চিবানো কথা এখনো বলে যাচ্ছেন। এই টাকা ধরা পড়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সম্ভবত এমন লোকেরই দরকার। পদ্মা সেতু নির্মাণে আবুল হোসেন কেলেঙ্কারির ফল প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে তাকে সাথে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, কে বলেছে আবুল হোসেন পদ্মা সেতুর কন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান কোম্পানি সিএনসি লাভালিনের কাছ থেকে কয়েক শ’ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। বললেই তো আর হলো না। আবুল হোসেন কার্যত একজন দেশপ্রেমিক। বিশ্বব্যাংক অভিযোগ তুলল আর সাথে সাথে আবুল হোসেনকে পদত্যাগ করতে হবে এমন দাবি মেনে নেয়া যায় না।
বিশ্বব্যাংক বলল, আবুল হোসেনকে সরাতেই হবে। তা না হলে পদ্মা সেতুতে যে দুই বিলিয়নের বেশি ডলারের প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিলেন তা থেকে সরে যাবে। জাইকাও একই কথা বলল। তারা বলল, ঋণ পেতে হলে আবুল হোসেনকে সরিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। একই কথা বলল এডিবি। এর যে কী গুরুত্ব এটি সরকার অনুধাবন করতে ব্যর্থ হলো। বরং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নব্য নেতারা বিশ্বব্যাংককে যা খুশি তাই গালিগালাজ শুরু করল। শেখ হাসিনা অজ্ঞতাপ্রসূত বলে বসলেন যে, তার কাছে বিশ্বব্যাংককে অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এসব পাগলামি বিশ্ববাসীকে কেবলই হাসাল। আর পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়তে লাগল। জাইকা আর এডিবি জানিয়ে দিলো যে, বিশ্বব্যাংক যদি এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করে তাহলে তারাও কোনো অর্থায়ন করবে না।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা না করা পর্যন্ত ওই সেতুতে অর্থায়ন করা হবে না। অথচ পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের কোটি কোটি মানুষ যেমন ব্যাপকভাবে উন্নতির মুখ দেখতেন তেমনই উত্তর-দণিাঞ্চলের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হতো। তাতে গোটা দেশে শিল্পায়ন ব্যবসায়-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটত। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতির অস্বাভাবিক উন্নতি ঘটত। অথচ একজন মাত্র ব্যক্তিকে বর্মের আড়ালে লুকিয়ে রেখে রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা কার্যত অনুন্নত মানুষের উন্নয়নের পথই রুদ্ধ করে দিলেন।
একে যে কী বলে সম্বোধন করা যায় সেটি চিন্তা করে বের করা যায়। এরই নাম সম্ভবত একরোখামি। একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করতে গিয়ে ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থ বিপন্ন করে তোলার এমন উদাহরণ পৃথিবীতে সম্ভবত কোথাও মিলবে না। এই সরকার দুর্নীতিবাজদের শুধু প্রশ্রয়ই দেয়নি দুর্নীতিতে উৎসাহিত করার জন্য আইন পর্যন্ত পাস করেছে। সে আইন হলো বিদ্যুৎ বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন কোনো আদালতেই তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। তার অর্থ দাঁড়ায় এই যে, বিদ্যুৎ খাতে যে যেখানে যা পারো লুটে নাও। সে লুট প্রশ্নাতীত। তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই সংসদে এমন আইন পাস করা সম্ভব হয়েছে। আর সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে যারা এসেছেন তারা মুখে কুলুপ এঁটে এসেছেন। আইন পাস হয় হোক। কিন্তু সত্যটি কেন প্রকাশ হবে না। কেন কেউ একজন বলবে না এ আইন দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে এবং দুর্নীতি আরো সর্বগ্রাসী রূপ নেবে। এ রকম কথা বলতে পারেন এমন লোকদের শেখ হাসিনা নির্বাচিত করেই আনেননি। কারণ তিনি যেন পরিকল্পনা করেই এসেছেন যে, বাংলাদেশে লুটের মহোৎসব চালানো হবে। যেন বাংলাদেশ তার নিজস্ব সম্পদ। জাতীয় সংসদে যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তাদের ভাষা ও যোগ্যতা জো হুজুর পর্যায়ের। আর যে তিন-চারজন লোক কথা বলতে পারতেন তারা সংসদে এসেছেন বটে কিন্তু তাদেরকে অপমানে এমনভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে যে, তারা চুপচাপ শুনেছেন। আর ভোটের সময় হ্যাঁ বলেছেন। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এক খেয়ালি ও প্রতিশোধপরায়ণ শাসকের আবির্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশে। পরিবর্তনের কথা তিনি বলেছেন সে পরিবর্তন ঘটেছে বটে তবে তা জনগণের নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে।
আমরা বারবার লিখেছি বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে এমন হিংসা-উন্মত্ত মনোভাব থেকে দূরে সরে আসুন, তা না হলে জাতির অকল্যাণ হবে। বিশ্বব্যাংক, জাইকা পদ্মা সেতু থেকে চলে গেলে তিনি বললেন, ওই সেতুতে ঋণ দেয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া হয়ে আছে মালয়েশিয়া ও চীন। এখন প্রমাণিত হচ্ছে, তার এই বক্তব্য পুরোটাই ছিল ভিত্তিহীন। তারপর তিনি বললেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। সেটি হয়তো সম্ভব ছিল কিন্তু তাতে দুর্ভিক্ষে দেশের অর্ধেক লোকের প্রাণহানি ঘটত। তিনি বললেন, স্কুলের বাচ্চাদের টিফিন বাঁচিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। এর চেয়ে হাস্যকর কল্পনা কেউ কোনো দিন করেনি। পদ্মা সেতু কলার ভেলা নয় যে, কয়েকটি কলাগাছ জোড়া দিয়ে এটি নির্মাণ করা সম্ভব। সেভাবে আস্তে আস্তে পদ্মা সেতুর ইস্যু ডুব মেরে গেল। একই ব্যক্তির খেয়ালের ওপর ভিত্তি করে বাতিল করে দেয়া হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। জাতীয় সংসদে যখন বিলটি উত্থাপিত হলো তখন সংসদ সদস্যদের হ্যাঁ বলা ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। কিন্তু এই হ্যাঁ কী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সেটি কেউ কল্পনাও করল না। নেত্রী চেয়েছেন তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা থাকবে না, অতএব থাকবে না।
একইভাবে শেখ হাসিনার খুশিমতো গ্রামীণ ব্যাংককে টুকরো টুকরো করার একটি একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে সেটি ঘোষণা করা হলো। গ্রামীণ ব্যাংক ভেঙে ১৯টি ব্যাংক হবে। এক ব্যক্তির খেয়ালেই অনেক আগেই এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে আসা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তারই ব্যাংক থেকে বিতাড়িত করা হলো। এর কোনো কারণ পাওয়া যায় না। কারণ সম্ভবত এই যে, তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক কেন নোবেল পুরস্কার পেল। শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা কেন পেল না। অর্থাৎ ভেঙে তছনছ করে দাও। প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। এই ব্যাংকে ৮০ লাখ শেয়ারহোল্ডার রয়েছে, যাদের ৯৫ ভাগই গ্রামীণ মহিলা। এরা সরকারের খায়ও না পরেও না। এদের কেউ কোনো দিন ব্যাংকের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। তাহলে কেন এটিকে ধ্বংস করতে হবে। সেটিও এক ব্যক্তির খেয়াল আর প্রতিহিংসার প্রতিফলন।
শেখ হাসিনার এই ুব্ধ একরোখা মনোভাবের সরকার পৃথিবীতে যে পরাভূত হয়েছে সেটি তার জানা আছে বলে মনে হয় না। চার-পঞ্চমাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত এ রকম সরকার অযৌক্তিক অবিবেচনাপ্রসূত গণতন্ত্রবিরোধী ব্যক্তি স্বাধীনতাবিরোধী বহু পদক্ষেপ অতীতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের বড়ই করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। তা যদি না হতো তাহলে শেখ হাসিনার সরকারকে একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সাড়ে চার বছর এতটা গলদঘর্ম হতে হতো না। এখান থেকেও কি তিনি শিক্ষা নিতে পারেন না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন