ইংরেজি Quota শব্দটির অর্থ Proportional Share যার বাংলা অর্থ আনুপাতিক অংশ। ইংরেজি Quota শব্দটি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহারের কারণে এটি বিদেশী শব্দ হিসেবে বাংলায় অনুপ্রবেশ করেছে। Quota শব্দটির এ বহুল ব্যবহারের কারণে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিভেদে সবাই এ শব্দটি ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে Proportional Share বা আনুপাতিক অংশ উল্লেখ না করে কোটা উল্লেখ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ সরকারের নীতির একটি অংশ। তবে যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোটা সংক্রান্ত নীতির প্রয়োগ গণতন্ত্রের বিধানাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয় ও এটি দীর্ঘ দিন অনুসৃত হওয়া কাম্য নয়। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী গণতন্ত্রের প্রতি প্রথম আঘাত রাজনীতিকদের পক্ষ থেকেই আসে। পরে সামরিক ও রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ উভয়ের দ্বারা গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়। যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মৌলিক মানবাধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধানসহ মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হয়। আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়ায় রাষ্ট্র পরিচালনায় এর প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়। আমাদের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব মূলনীতির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুযোগের সমতা। সুযোগের সমতা বিষয়ে সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের (১), (২) ও (৩) নম্বর দফায় পর্যায়ক্রমিকভাবে বলা হয়েছেÑ (১) সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবেন। (২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমানস্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। (৩) জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবেন। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে যেসব মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হচ্ছে ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা। সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা বিষয়ে ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদের (১) ও (২) দফা এবং (৩) নম্বর দফার (ক), (খ) ও (গ) উপদফায় পর্যায়ক্রমিকভাবে বলা হয়েছেÑ (১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। (২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হবেন না কিংবা সে ক্ষেত্রে তার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না। (৩) এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুইÑ (ক) নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হতে, (খ) কোনো ধর্মীয় বা উপসম্প্রদায়গত প্রতিষ্ঠানে ওই ধর্মাবলম্বী বা উপসম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণের বিধান সংবলিত যেকোনো আইন কার্যকর করা হতে, (গ) যে শ্রেণীর কর্মের বিশেষ প্রকৃতির জন্য তা নারী বা পুরুষের পক্ষে অনুপযোগী বিবেচিত হয়, সেরূপ যেকোনো শ্রেণীর নিয়োগ বা পদ যথাক্রমে পুরুষ বা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না। সংবিধানের ১৯ ও ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধানাবলির প্রতি আলোকপাত করলে পরিলক্ষিত হয় ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সাধারণ অর্থে অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে অপর দিকে ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বিশেষ অর্থে অর্থাৎ সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে ও এর পাশাপাশি নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ বিষয়ে রাষ্ট্রকে বিশেষ বিধান প্রণয়ন বিষয়ে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশেও সমাজ গতিশীল। গতিশীল সমাজে যেকোনো স্থবির আইন সময় ও যুগের চাহিদা মেটাতে পারে না। তাই সময় ও যুগের পরিবর্তনের সাথে তাল রেখে বিভিন্ন সময়ে আইনকে সময় উপযোগী করার আবশ্যকতা দেখা দেয়। দেশের প্রচলিত অন্যান্য আইনের মতো সংবিধানও একটি আইন। তবে প্রচলিত অন্যান্য আইনের সাথে সংবিধানের পার্থক্য হচ্ছে এটি সর্বোচ্চ আইন এবং সংবিধানের সাথে অন্যান্য আইন সাংঘর্ষিক হলে সংবিধান প্রাধান্য পায়। প্রণয়ন-পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত সংবিধানে ১৫টি সংশোধনী আনয়ন করা হলেও ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে উপদফা (৩) সন্নিবেশন ব্যতীত ১৯ ও ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদদ্বয় এখন পর্যন্ত অক্ষত আছে। বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন বেসামরিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে কোটা পদ্ধতি অনুসৃত হয় তা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা ৩০ ভাগ, জেলা কোটা ১০ ভাগ, মহিলা কোটা ১০ ভাগ, উপজাতি ৫ ভাগ ও প্রতিবন্ধী ১ ভাগসহ সর্বমোট ৫৬ ভাগ। এ ধরনের কোটা সংরক্ষণ মেধা লালনের ক্ষেত্রে কতটুকু সহায়ক তা অতি সহজেই অনুমেয়। প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক পদে নিয়োগের দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে সরকারি কর্ম কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে বিভিন্ন সরকারি দফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দফতরগুলোকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রবেশ পদে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা দেয়া আছে এবং এ ক্ষেত্রে একমাত্র নির্ধারিত যোগ্যতা যাদের আছে তারাই আবেদন করতে পারেন। যোগ্যতাপূরণসাপেক্ষে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু কোটার কারণে মেধা মূল্যায়নের সুযোগ কী থাকছে? সংবিধানে নাগরিকদের অনগ্রসর অংশের জন্য কোটা সংরক্ষণ বিষয়ে বলা হয়েছে। অনগ্রসর অংশ হচ্ছে পশ্চাৎপদ শ্রেণী। যে কোনো পশ্চাৎপদ শ্রেণীর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা যায়। কিন্তু তারা যে মুহূর্তে সমাজের অপর সব শ্রেণীর সমকক্ষের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তখন থেকে তাদের জন্য কোটা সংরক্ষণ অযৌক্তিক। সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে ২৩ক অনুচ্ছেদ সংযোজনপূর্বক উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি বিষয়ে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা করবে। সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকদের অনগ্রসর অংশ বলতে যাদের বোঝানো হয়েছে মূলত তারা নবসংযোজিত ২৩ক অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন ছিল। ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটি কোনো আইন দ্বারা অদ্যাবধি সংজ্ঞায়িত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অজস্র তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবিদার হয়ে মেধাবীদের পিষ্ট করে দুর্লভ চাকরি বাগিয়ে নিচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের সবাই দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। এ অংশগ্রহণে কোনো বিনিময় প্রত্যাশিত ছিল না। তবে কেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবিতে বিনিময় প্রত্যাশা? তা ছাড়া বাবার অবদানের জন্য সন্তানকে পুরস্কৃত করা নীতি ও নৈতিকতা দ্বারা সমর্থিত কি না তা দেখার বিষয়। সন্তানের মতাদর্শ তো বাবা থেকে ভিন্নধর্মী হতে পারে। আর ভিন্নধর্মী মতামতকে মেনে না নিলে বাকস্বাধীনতার হানি হচ্ছে কি না সেটিও দেখার বিষয়। বাবা সরকারের সচিব বা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলে মেধা ও জ্যেষ্ঠতার হানি ঘটিয়ে সন্তানকে সচিব বা অধ্যাপক পদ দিয়ে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক? বেসামরিক পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে লিখিত পরীক্ষার কৃতকার্যতা মূল্যহীন। সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে মৌখিক পরীক্ষা ১০০ নম্বরে সীমাবদ্ধ ছিল। সম্প্রতি এটিকে বাড়িয়ে ২০০ নম্বর করা হয়েছে। অনেকের অভিমত মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ করায় ফলাফলকে প্রভাবিত করে ভালো ক্যাডারের জন্য মনোনীত করার সুযোগ অবারিত যেটি ১০০ নম্বরের ক্ষেত্রে সীমিত। আবার অনেকে বলেন, তারা তো লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাই এ ক্ষেত্রে একটু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে ক্ষতি কী। কিন্তু প্রশ্নÑ যে দেশে চাকরির বাজারে হাহাকার সে দেশে এ ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা সবারই কাম্য। সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে যদি একান্তই কোটা সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে হয় তবে প্রথমে যে বিষয়টি চলে আসে সেটি হচ্ছে উপজাতিদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে উচ্চাদালতের বিচারক নিয়োগে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব। উচ্চাদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদে আনুপাতিক অংশের উল্লেখ ব্যতিরেকে দুই ধরনের ব্যক্তিবর্গকে যোগ্য করা হয়েছে। এ দুই ধরনের ব্যক্তির প্রথমোক্ত ব্যক্তি হলো এমন ব্যক্তি যিনি ন্যূনপক্ষে উচ্চাদালতে ১০ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যিনি ১০ বছর ধরে বিচার কর্মবিভাগে নিয়োজিত আছেন। এখানে দুই ধরনের ব্যক্তির উল্লেখ থাকায় ধরে নিতে হবে, যেকোনো সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় ধরনের ব্যক্তিরা থেকে সমানুপাতিক হারে নিয়োগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এক বিঘা জমি তফসিলে অংশ উল্লেখ ব্যতিরেকে দুই ব্যক্তির নামে ক্রয় করা হলে ধরে নিতে হবে যে উক্ত জমিতে উভয়ের অংশ সমানুপাতিক। অর্থাৎ আধা-আধি। উচ্চাদালতের বিচারক নিয়োগ বিষয়ে ফিরে তাকালে দেখা যায় একমাত্র সামরিক শাসক তথাকথিত স্বৈরাচারী এরশাদ ব্যতীত অপর কেউ সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে ৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদের চেতনার আলোকে নিয়োগ দেয়ায় সচেষ্ট ছিলেন না। পৃথিবীর যেকোনো দেশে কোটা সংরক্ষণ একটি সাময়িক ব্যবস্থা এবং এ সাময়িক ব্যবস্থাটি দীর্ঘ দিন থেকে চলতে থাকলে বেসামরিক জনপ্রশাসন নিম্ন মেধার কর্মকর্তাদের প্রাধান্যে অকার্যকর হয়ে পড়বে যার প্রভাব আমরা ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছি। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা প্রবেশ পদে নিয়োগে কোটা সংরক্ষণ না থাকায় প্রকৃত মেধাবীরা শারীরিক যোগ্যতার শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিয়োগ লাভের সুযোগ পাচ্ছে। মেধাকে মুখ্য বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ায় সমমর্যাদাসম্পন্ন সেনাকর্মকর্তারা যে বেসামরিক কর্মকর্তার চেয়ে শ্রেয় তা এখন সবাই উপলব্ধি করতে সক্ষম। কোটার কারণে মেধাবীরা অহেতুক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার তালিকার শুদ্ধতা বিষয়ে সংশয় থাকায় এ তালিকার ওপর নির্ভর করা যৌক্তিক হচ্ছে কি না তা বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেকোনো একটি জেলার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শতকরা ৬০ এর ওপর নম্বর পেয়ে নিয়োগ পাচ্ছে না আবার অপর জেলার ক্ষেত্রে দেখা যায় শতকরা ৫০ নম্বর পেয়ে নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছে। মহিলারা স্বযোগ্যতায় মেধার কারণে এগিয়ে যাওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ করে পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন আছে কি না তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। বিশেষত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটা ও জেলা কোটা সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ১৯ ও ২৯ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি না তা বিবেচনায় নিয়ে কোটা সংক্রান্ত অপর বিষয় বাস্তবতার নিরীখে সুরাহা করার বিষয়ে সচেষ্ট হলে কোটা সংরক্ষণের মাধ্যমে মেধা হরণের পরিবর্তে মেধা লালনের অবকাশ সৃষ্টি হবে।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
- ► সেপ্টেম্বর (107)
-
▼
জুলাই
(113)
- পরিবহনে নৈরাজ্য, সামনে কঠিন সময়
- রাজনৈতিক সংলাপ : অতীতের অভিজ্ঞতা
- ক্ষমতার গন্ধ কেমন
- এত উন্নয়ন করে কী হবে? ভোট তো পাই না।’
- বাংলাদেশে নির্বাচনী রাজনীতি
- রমজান মাসে সেই আবেগের দিনে
- জামায়াত-আওয়ামী লীগ সমঝোতার গুজব ও বাস্তবতা
- রাজনীতির জন্য ভোট, নাকি ভোটের জন্য রাজনীতি
- গণতন্ত্র : আওয়ামী স্টাইল
- দেশের শেষ গন্তব্য কোথায়
- নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাক...
- নতুন ধারার রাজনীতি
- সঙ্ঘাতের রাজনীতি কতকাল চলবে
- ভেদাভেদ ও বিদ্বেষের রাজনীতি আর নয়
- গোলাম মাওলা রনি একটি অসম যুদ্ধে নেমেছিলেন : তাই হে...
- সরকারি দলের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়
- জাতীয় নির্বাচনে ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং-ই আ’লীগের শ...
- প্রধানমন্ত্রীর ‘ইমেজ’ বিল্ডিং প্রকল্প এবং মন্ত্রীদ...
- একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও কিছু কথা
- রাজনীতির বলির পাঁঠা গোলাম মাওলা রনি
- যুদ্ধাপরাধের মূলা ও পাঁচীর ঘা!
- রাজনীতি নিয়ে নাটক
- সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্ন
- ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে সাংবিধানিক উপায়
- নিপীড়িত সাংবাদিক ও অস্ত্রবাজ নেতা
- দেশজুড়ে পরিবহনে চাঁদাবাজি
- জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো জ্বলজ্বল করে জনমনে
- পাঙ্গাশের মগজ আর তেঁতুলের গুল আমাদের সর্বনাশার মূল
- বাংলাদেশের প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিক প্রস...
- তবে কি তিনিও দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী?
- শেষ মুহূর্তেও আওয়ামীকরণে তছনছ হচ্ছে জনপ্রশাসন
- হেফাজত ও শাহবাগ রাজনীতির নতুন অঙ্ক
- এক পেশে মিডিয়া : সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্...
- দেশ পরিচালনা ও ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রধানমন্ত্র...
- স্থানীয় সরকারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ
- গরীবের ইফতার
- আল্লামা শফীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করবেন না
- এক পেশে মিডিয়া : সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্...
- কী করে বলি এ সরকার সাংবাদিকবান্ধব
- অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
- কোটা সংরক্ষণের নামে মেধা হরণ
- ইতিহাসচেতনা ও বাংলাদেশ
- আওয়ামী লীগ : আবারও স্বরূপে আসার চেষ্টা
- বিলেতি কায়দায় বাকশালী নির্বাচন খায়েশ বনাম বাস্তবতা
- কর্নেল তাহের নায়ক না খলনায়ক?
- বাস্তিল দুর্গের পতন কী অত্যাসন্ন?
- সীমা ছাড়ানো চাঁদাবাজির মহোৎসব
- কিশোরগঞ্জ উপনির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্ত...
- তাহলে জাতি বেঁচে যেতে পারে
- তেঁতুল তত্ত্বের পোস্টমর্টেম
- সরকারের শেষবেলার খেলা
- সরকার ভুল করলেও জনগণ করে না
- আহা যদি অনেক কালো টাকার মালিক হতাম!
- পুলিশকে পেটালো গণজাগরণ মঞ্চ
- আওয়ামী লীগ ও সরকার বিপন্নের সম্মুখীন
- টিআইবি প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ দুর্নীতি
- কোটাপ্রথা বাতিলের এখনই সময়
- একেই বলে আইনের শাসন
- ভোটের রাজনীতিতে শাসক দল অসহায়
- সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস
- ভূমিদস্যুদের বেপরোয়া তান্ডব প্রসঙ্গে
- সরকারের নির্বাচন বিপর্যয় এবং কেয়ারটেকারের যৌক্তিকতা
- কোটা কি রাষ্ট্রীয় অবিচার নয়?
- সাধু সাবধান!
- পুলিশ ও নেতার কারণে যানজট
- বিসিএস পরীক্ষার্থীদেরকে পেটালো সরকার
- এ বিশাল বাজেট লুটপাটের বাজেট
- নির্বাচনী কিল
- মহাধসের কবলে মহাজোট
- ন্যায়সঙ্গত দাবি বিবেচনা করতে হবে
- ভোটের হিসাবে ঠিক ফলই পাচ্ছে আওয়ামী লীগ
- গাজীপুরের নির্বাচন : সরকারের কি বোধোদয় হবে?
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার, লেভেল প্লেইংফিল্ড ও নিরপেক্ষ ...
- স্থানীয় নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের কারচুপি এক নয়
- আওয়ামী লীগের কোনো দুর্গ নেই
- মিসরে গণতন্ত্র আবার বিপন্ন
- রোজা রমজানের গুরুত্ব, সওয়াব, করণীয় ও নিয়মাবলী
- একরোখা দাম্ভিক মনোভাবকে জনগণ পছন্দ করছে না
- উলুবনে মুক্তা ছড়িয়ে কী লাভ!
- ৬৪ বছর পর আ’লীগের মুখোশ উম্মোচন
- তুমি খাচলতে কিসে ধুবা
- চাপ ও দুই নৌকার গণতন্ত্র
- জবাব দিচ্ছে জনগণ
- নৌকা ভিড়বে কোথায়?
- শ্রমিক ভোটারদের আক্ষেপ
- আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গেরও পতন
- এ বিজয় জনগণের বিশ্বাস ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের
- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির(?) নাতি-নাতনিদের অবাঙা...
- সুশাসন ব্যর্থতা ও জনদুর্ভোগ
- নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রশ্ন
- বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি সামাজিক সমস্যা
- পদ্মাসেতুর দরপত্র মূল্যায়নে এডিবি’র অপারগতা
- আওয়ামী লীগের চোখে শর্ষে ফুল : তাই বেগম জিয়াকে ডি...
- কী দুঃসহ খামখেয়ালি আর প্রতিহিংসার রাজনীতি!
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা অশুভ প...
- প্রসঙ্গ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন
- জাগরণের আগুনে পুড়ল যারা
- বিশাল বাজেট তবু অর্থনৈতিক সংকট মারাত্মক হচ্ছে
- আওয়ামী লীগ ইতিহাসের করুণ পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে
- পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন