শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৩

দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া : লন্ডন ইকোনমিস্টের পূর্বাভাস



একটি বিশেষ ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং তার নেতা শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নামতে যাচ্ছেন। তিনি যে স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করেছেন সেই স্ট্র্যাটেজিতে নির্ঘাত জিতবেন বলে তিনি মনে করেন। মানুষতো অনেক কিছুই ভাবতে পারে, অনেক রকম কৌশল ফাঁদতে পারে। কিন্তু সেই স্ট্র্যাটেজি বা সেই পরিকল্পনা বা সেই কৌশল কতখানি কাজে লাগবে সেটি জানেন একমাত্র আলেমুল গায়েব। সেই জন্য আমরা এই মুহূর্তে কোন আগাম কথা বলতে চাচ্ছি না। ভবিষ্যতই বলে দেবে তার পরিকল্পনা সফল হবে কিনা এবং পুনর্বার তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা। তবে লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজি সাপ্তাহিক 'ইকোনমিস্ট' বলছে ভিন্ন কথা। পত্রিকাটির চলতি অনলাইন সংখ্যায় বলা হয়েছে যে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া। গত বৃহস্পতিবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, চলতি বছর শেষে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার কাজটি সম্পন্ন করবে এই সরকার। গত শুক্রবার ঢাকার মাত্র একটি কি দু'টি পত্রিকায় ইকোনমিস্টের এই খবরটি ছাপা হয়। কতিপয় মুখচেনা আওয়ামী সমর্থক পত্রিকা খবরটি সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউট করেছে। ইকোনমিস্টের ঐ ভাষ্যে বলা হয়, ইতিহাসই যদি পথ প্রদর্শক হয় তবে বেগম খালেদা জিয়াই হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার গঠন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। পত্রিকাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের বিগত ৪১ বছরের ইতিহাসে কোন দলই পর পর দু'টি মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ক্ষমতার পালাবদলে পরের বার বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসবেন, এমন মন্তব্য করা সত্ত্বেও পত্রিকাটি মনে করে যে, আগামীদিনগুলোতে বেগম জিয়াকে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে তাকে শেষ করে দেয়ার জন্য নির্বাচনের আগেই দুর্নীতির মামলায় তাকে শাস্তি দেয়া হতে পারে এবং তাকে নির্বাচনের আগে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান রাজনৈতিকভাবে মাতার উত্তরসূরি। এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এসবের মধ্যে এক বা একাধিক মামলায় তাকে শাস্তি দিয়ে তাকেও নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। ইকোনমিস্টের ঐ ভাষ্যে বলা হয়, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধাপরাধ মামলার সমাপ্তি টানতে চায় সরকার। পত্রিকাটির মতে ধারণা করা হচ্ছে যে, বছর শেষ হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের দন্ডিত করা হতে পারে। ২০১০ সাল থেকে বিএনপির জনপ্রিয়তা দারুণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইকোনমিস্ট মনে করে। অবশ্য 'ডেইলি স্টার' এবং 'প্রথম আলো' সম্প্রতি জনমত জরিপ করেছে এবং সেই জরিপ রিপোর্ট নতুন বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে প্রকাশ করেছে। ঐ জরিপে বলা হয়েছে যে, ৩৯ শতাংশ ভোটার আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দেবেন, আর ৪২ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন শেখ হাসিনাকে। এই জরিপের নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও একটি জিনিস বের হয়ে এসেছে যে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বিএনপির জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০ সালের প্রথমার্ধে বিএনপির যে জনসমর্থন ছিল ২০১২ সালের শেষে এসে সেটি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইকোনমিস্টের এই ভাষ্যের শিরোনাম, 'দি বেগমস এবং দি টু জায়ান্টাস'। ভাষ্যে বলা হয়েছে গত বছর বেগম জিয়া গণচীন এবং ভারত সফর করেন। এই দু'টি সফর খুব ফলপ্রসূ হয়েছে বলে বিএনপির সমর্থকরা মনে করেন। আওয়ামী লীগ তার স্বভাব অনুযায়ী এসব সফরকে ঠাট্টা ও মসকরা করছে। বেগম জিয়ার গণচীন সফরের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, তার সাথে সেই দিন যে চীনা নেতার সংলাপ হয় তার নাম জি জিনপিং। তখন তিনি ছিলেন চীনের ২ নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এখন তিনি গণচীনের প্রধান নেতা। মি. জি জিনপিং সেদিন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং বিএনপি'র মধ্যে ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওয়াদা করেন। এখন তিনি চীনের ১ নম্বর ব্যক্তি। আগামীতে বেগম খালেদা জিয়া যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্বের দুই নম্বর পরাশক্তির সাথে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হবে। ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা কূটনীতিকরাও এমনটি ধারণা করছেন বলে ইকোনমিস্ট জানিয়েছে।
চীনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক এবং চীনের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্কটাকে এক পাল্লায় মাপা যায় না বলে পত্রিকাটি মনে করে। ইকোনমিস্ট রিপোর্ট করছে যে, ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালা বদল হওয়া পর্যন্ত গণচীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তখন গণচীন ছিল পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। পত্রিকাটি বলছে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারত উপকারী ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে সেই একই ভারত বাংলাদেশকে 'শয়তানের সৎমা' হিসেবে বিবেচনা করছে। ভারত বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করছে এবং তার সাথে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। পত্রিকাটির প্রশ্ন, আগামীদিনে বাংলাদেশের সাথে যদি চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় তাহলেও কি ভারত তার এই অবজ্ঞাপূর্ণ ও স্বেচ্ছাচারী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে? বঙ্গোপসাগরের তীরে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভৌগোলিকভাবে স্ট্র্যাটেজিক বলে মনে করে দি ইকোনমিস্ট। বাংলাদেশের এই স্ট্র্যাটেজিক ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে চাইবেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশের প্রতি চীনের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। ইকোনমিস্টের ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়নে এবং সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গণচীন। কুনমিং হয়ে চট্টগ্রামের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী গণচীন। ইকোনমিস্টের মতে ভারত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ক্ষমতায় গেলে বেগম জিয়া আবারো হয়তো পূর্বমুখী নীতি গ্রহণ করবেন। এর বিপরীতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের ছাতার নীচে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে ভারতের প্রধান ইন্টারেস্ট হলো ত্রিমুখী। এগুলো হলো সীমান্ত নিত্তি বিরোধ অর্থাৎ ছিটমহল বিনিময় বিরোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষের অবৈধ প্রবেশ। এসব ইস্যুতে ভারতীয় নীতির পার্টনার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা যেভাবে ভারতের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছেন, ভারতের আশঙ্কা, ক্ষমতায় গিয়ে বেগম জিয়া সেই গাঁটছড়া ছিন্ন করেন কিনা।
ইকোনমিস্টের মতে, এই কাজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভারতের ভয়, শেখ হাসিনা যেটি এড়িয়ে গেছেন বেগম জিয়া সেটি করেন কিনা। সেটি হলো, বেগম জিয়া বাংলাদেশের বিমানঘাঁটি ও উপকূলীয় এলাকা চীনকে ব্যবহার করতে দেন কিনা। শেখ হাসিনা চীনের সাথে সম্পর্ক করতে গিয়ে ততটুকু যাবেন যতটুকু ভারত মেনে নেবে। বেগম জিয়া সেক্ষেত্রে ভারতের মর্জির ওপর নির্ভর না করে স্বীয় স্বার্থে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বার্থে এগিয়ে যাবেন।
\ দুই \
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যে দারুণভাবে কমেছে এবং বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের জনপ্রিয়তা যে দারুণভাবে বেড়েছে সেটা এখন একটি ওপেন সিক্রেট। এই সত্যটি আবিষ্কারের জন্য গোপন কুঠরিতে সন্ধান করতে হয় না। হাটে মাঠে ঘাটে যেখানেই আপনি যাবেন সেখানেই দেখবেন মানুষজন আওয়ামী লীগের ওপর চরম বিরক্ত। মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্যে গালাগালি করছে। বেগম জিয়া যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই লাখ লাখ মানুষ উপচে পড়ছে। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনার মিটিংয়ে লোকজন আনতে হচ্ছে ভাড়া করে। বেগম জিয়ার সপক্ষে এই জনজোয়ারকে ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে আনার জন্য যুদ্ধাপরাধের পুরানো রেকর্ড বার বার বাজিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই এবার তথাকথিত নিরপেক্ষতার ভেকধারী দুই দৈনিক পত্রিকাকে মাঠে নামানো হয়েছে। এ দুটি পত্রিকার মালিক সম্পাদকরা ছাত্রজীবনে মস্কোপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। মস্কোপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের ছাত্ররা ছাত্রজীবন শেষ করে মস্কোপন্থী মোজাফফর ন্যাপ বা মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) করতেন। সিপিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। মোজাফফর ন্যাপ এখন বিলুপ্ত। তাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগে ভিড়ে গেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী প্রেসিডিয়ামে সদস্য অন্তর্ভুক্ত নূহ আলম লেনিন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তেমনি সংবাদপত্র জগতেও এই মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরা ব্যাপক ইনফিলট্রেশন করেছিল। যে দুটি দৈনিক পত্রিকার কথা বলছি সে দুটি পত্রিকার একটির সম্পাদক বাংলাদেশের কমিউনিস্টি পার্টি, সিপিবির মুখপত্র সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। অপরজন এখন সরাসরি এই পত্রিকাটির মালিক সম্পাদক। মনি সিং জীবিত থাকাকালে তার মূল টার্গেট ছিল শেখ মুজিবকে মস্কোর প্রভাব বলয়ে রাখা। নামকাওয়াস্তে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেও মৌলিক প্রশ্নসমূহে আওয়ামী লীগকে তারা সমর্থন দিয়ে গেছেন। এ জন্য গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ, মোজাফফর ন্যাপ এবং মনিসিংয়ের কমিউনিস্ট পাটি, সমবায়ে গঠিত 'গণঐক্য জোট'। গণঐক্য জোটের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ যেন রুশ-ভারত অক্ষ শক্তির বলয়ে থাকে, সেটি সুনিশ্চিত করা।
এই দুটি পত্রিকারও চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, আওয়ামী লীগের মৃদু সমালোচনা করলেও বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করা, যাতে করে জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ দুটি দলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখা যায়। বিএনপি জামায়াতকে ঠেকাতে পারলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে, সেটি সুনিশ্চিত করা যায়। এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে দুটি পত্রিকাই একটি তথাকথিত জনমত যাচাই করেছে। ঐ জনমত জরিপে দেখানো হয়েছে যে, রাজনীতি এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশের অবস্থা বিগত ৪ বছরে অনেক খারাপ হয়েছে। আইন-শৃক্মখলা, দ্রব্যমূল্য, দুর্নীতি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রেই সূচক নিম্নগামী। এমনকি দেশ সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে না বলে তাদের জরিপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেটিও সেই জরিপে বলা হয়েছে। অথচ এতো কিছুর পরেও চূড়ান্ত উপসংহারে বলা হয়েছে যে, এখন যদি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে শেখ হাসিনার পক্ষে। আর ৩৯ শতাংশ ভোট দেবে বেগম জিয়ার পক্ষে। এটি একটি অদ্ভুত জরিপ। জরিপে বলা হয়েছে যে, সরকারের রয়েছে বিরাট ব্যর্থতা এবং অব্যবস্থাপনা। সরকার প্রধান হিসাবে সেই অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার দায় শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না। বরং ব্যর্থতার সেই দায় তার কাঁধেই এসে পড়ে। সরকার যেখানে নিন্দিত সেখানে সরকার প্রধান কিভাবে নন্দিত হতে পারেন? এটি একটি অসম্ভব কাজ। অথচ সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে এই দুটি পত্রিকা। আর এটি করতে গিয়ে তারা কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানিয়েছে। কাঁঠালের যেমন আমসত্ত্ব হয় না তেমনি দল জনপ্রিয়তা হারালে দলীয় প্রধান পপুলার থাকতে পারেন না। ঢাকার দুটি দৈনিক সেই অমোঘ সত্যটি আড়াল করার চেষ্টা করলেও লন্ডনের ইকোনমিস্ট সেই নির্জলা সত্যটি প্রকাশ করেছে মাত্র।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads