আমাদের সমাজে, বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে, সৎ এবং সত্যবাদী মানুষের বড়ই অভাব। কেউ কেউ আছেন যারা সাধারণত মিথ্যা বলেন না। কিন্তু সব সত্য সব জায়গায় তারা প্রকাশ করে না। যে সত্যবচনে অন্যের অাঁতে ঘা লাগে সেই সত্য তারা গোপন করে। এটিকে বলা হয় চেপে যাওয়া। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই প্রবণতা আরো প্রবল। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে এই উপমহাদেশে ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল। এটি সূর্যের আলোর মতো সত্য। ১৯৪৭-এর পর যতদিন পাকিস্তানের জজবা মানুষের মনে ছিল ততদিন পর্যন্ত এই অমোঘ সত্যটি মোটামুটি সকলেই উচ্চারণ করেছেন। যতই দিন যাচ্ছে ততই সত্যের কণ্ঠ ক্ষীণ হচ্ছে। এখন তো দ্বি-জাতি তত্ত্বের কথাটি ‘নিষিদ্ধ' বস্তুতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দ্বি-জাতি তত্ত্বের কথা বললে, সাথে সাথে তার মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ আবিষ্কার করা হয়।
এমন একটি বৈরী সময়ে দ্বি-জাতি তত্ত্বসহ রাজনীতি সম্পর্কে কিছু চরম সত্য কথা এমন এক ব্যক্তি বলেছেন যিনি সাধারণ পারসেপশন অনুযায়ী তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক ঘরানার লোক। তিনি হলেন, জনাব নূরে আলম সিদ্দিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্বকালে তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের জন্য যে চার ছাত্র নেতাকে নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল তার অন্যতম নেতা ছিলেন জনাব সিদ্দিকী। তখন এরা ‘চার নেতা' নামে সর্বত্র পরিচিত ছিলেন। ঐ চার নেতার অপর তিন জন হলেন, জনাব আ স ম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন। জনাব মাখন অনেক দিন আগে ইন্তিকাল করেছেন। জনাব আ স ম আব্দুর রব স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে জাসদ গঠন করেন। শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রী ছিলেন। শাহজাহান সিরাজ বিএনপিতে যোগদান করেন এবং বেগম জিয়ার ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হন। নূরে আলম সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে থেকে যান। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সমস্ত রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বাকশাল গঠিত হলে নূরে আলম সিদ্দিকী বাকশাল গঠনের সাথে একমত হতে পারেননি। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের পর জনাব সিদ্দিকী রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিন দশক পর তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে না এলেও রাজনীতির অঙ্গনে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাঝেও তিনি একাধিক দৈনিক পত্রিকায় মাঝে মাঝে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কলাম লিখছেন এবং কিছু কিছু টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিচ্ছেন। ‘প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন' নামে তিনি একটি সংগঠন গঠন করেছেন এবং রাজনৈতিক আলোচনার সামনে এসেছেন।
সেই নূরে আলম সিদ্দিকীর একটি নিবন্ধ গত শুক্রবার ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এই নিবন্ধটির শিরোনাম, ‘‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সুযোগ নাই’’। এই নিবন্ধে বিগত ৪০ বছরে এবং ক্ষেত্র বিশেষে তারও আগের সময়ের রাজনীতি সম্পর্কে ইসলামী এবং দক্ষিণপন্থী পলিটিশিয়ানরা কিছু চরম সত্য মাঝে মাঝে বলেন। কিন্তু জনাব নূরে আলম সিদ্দিকীর যে রাজনৈতিক অবস্থান সেখান থেকে বলাটা তৎপর্যময়। এ সম্পর্কে আরো মন্তব্য করার আগে আলোচ্য নিবন্ধে প্রকাশিত তার বক্তব্যের অংশবিশেষ তুলে ধরছি। প্রসঙ্গত বলা দরকার যে, তার লেখা থেকে উদ্ধৃতিসমূহ ব্যাপকভাবেই দেয়া হচ্ছে। সেটি না করলে তিনি যা বলেছেন, সেটি সার্বিক এবং সম্যকভাবে বোঝা যাবে না।
\ দুই \
নিবন্ধের শুরুতে তিনি বলেছেন, ‘‘ঐতিহাসিকভাবে এটা স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত যে, পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। কিন্তু সারা ভারতে এ প্রশ্নে নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে অকুণ্ঠচিত্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তানের সপক্ষে রায় দিয়েছিল এবং বাকিটা ছিল র্যাড ক্লিফের সৃষ্টি। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে যখন পাকিস্তান সৃষ্টি হলো তখন সিন্ধু বিভক্ত হয়েছে, পাঞ্জাবও বিভক্ত হয়েছে। কিন্তু সেখানে নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে হয়নি। এটা হয়েছে একমাত্র তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভোট দ্বারা। এটা স্বীকার করেই নিতে হবে যে, ভারতের সঙ্গে থাকতে চাওয়া না চাওয়ার প্রশ্নটিই শুধু নয়, বরং ইসলামের প্রতি, ধর্মের প্রতি অন্ধ আনুগত্য অনুভূতির পরতে পরতে এদেশের মানুষের হৃদয়ে লুকিয়ে ছিল’’
বাংলার বিভক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে প্রথম বিভক্ত করেছিলেন লর্ড কার্জন, সেটাকেও হিন্দু নেতৃত্ব মেনে নেয়নি। বর্তমান ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালি হিন্দুরা শিক্ষা-দীক্ষায় প্রভূত উন্নতি, মননশীলতায়, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে তাদের বিশ্বজোড়া খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে তারাই। এমনকি বর্তমান কলকাতার একটি বড় পানের দোকান পর্যন্ত মুসলমানের নিয়ন্ত্রণে নেই, হিন্দু বাঙ্গালিরও নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা তো ২৩ বছর পরাধীন থাকার পর নিজেদের মালিকানাটা অন্তত নিতে পেরেছি’’। তিনি আরো বলেন, ‘‘একটা কথা ভুললে চলবে না যে, আমরা কিন্তু পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। ধর্মের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল না। আমরা লড়াই করেছি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। আমরা মুরতাদ হওয়ার জন্য লড়াই করিনি’’। কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এটা ‘বাংলাদেশী কমিউনিস্ট পার্টি' নয়, ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ'। তার মানে হলো, সার্বভৌমত্বের চাইতেও তাদের কাছে সমাজতন্ত্রটা প্রথম। অথচ জামায়াতে ইসলামীকে কিন্তু ইলেকশন কমিশন বাধ্য করছে ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ' নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী' করতে। কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশন সে কাজটি করেনি। এটা একটা অভিনব প্রতারণা’’।
ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীতে যতগুলো রাষ্ট্রের রাজনীতি গণতান্ত্রিক ধারায় প্রচলিত তাদের একটি দেশেও ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এমনকি ভারতবর্ষেও এটা নিষিদ্ধ নয়। অর্থাৎ এসব দেশের শাসনতন্ত্রে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিধান নেই। ভারতের বিজেপি তো নিঃসন্দেহে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। তারা ক্ষমতায় পর্যন্ত গেছে। হিন্দু মহাসভা, শিব সেনা এমনকি মুসলিম লীগ এবং জামায়াতে ইসলামীও ওখানে আছে। সংবাদপত্রে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র থেকে ইসলামী কিছু শব্দ পরিবর্তনের পত্র দিয়েছে। এটা জাতির জন্য যে, কতখানি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে টের পাওয়া যাবে’’। তিনি আরো বলেন, ‘‘এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। আমার মনে হয়, পাকিস্তান আমলে যেমন একটা সামাজিক দ্বনদ্ব তৈরি করা হয়েছিল, এই অভিনব চিন্তার মাধ্যমেও সেরকম কিছু একটা করার চেষ্টা হচ্ছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বেও এমন একটা সামাজিক দ্বনদ্ব ছিল। কলকাতার হিন্দুরা তখন মুসলমানদের বাঙালি মনে করতেন না।’’
বেগম সুফিয়া কামালের একটি উক্তি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘‘বেগম সুফিয়া কামাল একবার একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে, মক্কা-মদীনা যদি কারো তীর্থস্থান হয়, তাহলে আমার তীর্থস্থান শান্তি নিকেতন। আমি আমার নিজ যোগ্যতায় এর প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, মক্কা-মদীনা হলো এদেশের শতকরা আশিভাগ মানুষের তীর্থস্থান এবং তার নাম দেখেও বুঝা যায় যে, তিনিও মুসলমানিত্ব ত্যাগ করেননি, তাই তারও তীর্থস্থান। কিন্তু শান্তি নিকেতন হচ্ছে পীঠস্থান, তার তীর্থস্থান হয় কি করে? উনি যদি বলতেন যে, গয়া, কাশী, বৃন্দাবন, আমার তীর্থস্থান তবে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। শান্তি নিকেতন হচ্ছে পীঠস্থান, সমস্ত জায়গা থেকে ছাত্ররা সেখানে যায়, আবৃত্তি, সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চা কিংবা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিখতে। আমিও রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভক্ত। কিন্তু শান্তি নিকেতন আমার কাছে মক্কা-মদীনার সাথে তুলনা করার মতো কোনো বিষয় নয়’’।
পশ্চিমা দেশসমূহে খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি অনুরাগ প্রসঙ্গে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্যে খ্রিস্টান ডেভেলপমেন্ট পার্টি আছে, আমেরিকাতেও আছে। মার্কিন প্রত্যেকটা মুদ্রাতেও লেখা আছে, ‘ইন গড উই ট্রাস্ট'। এটাতো ধর্মের কথা। ধর্মীয় বিধি-নিষেধ থাকার কারণে সেখানে মানব ক্লোনিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশে এই অভিনব চিন্তা- এটা কি দেশের পক্ষে দায়ভার সৃষ্টি করার জন্য, নাকি দেশের মানুষকে একটা গৃহযুদ্ধে সম্পৃক্ত করার জন্য করা হচ্ছে’’?
\ তিন \
এই লেখাটি শেষ হয়ে আসছিল। ইংরেজিতে যেটাকে বলে ফিনিশিং টাচ, সেটা করে এই লেখাটি শেষ করতে যাচ্ছিলাম। শনিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে কোনো পত্র-পত্রিকা বের হয়নি। তাই অন লাইনে গেলাম। সেখানে গিয়েতো চক্ষু ছানাবড়া! এবিএম মূসা এবং নূরে আলম সিদ্দিকীকে এক হাত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের যুগ্ম জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুব উল আলম হানিফ নূরে আলম সিদ্দিকী এবং এবিএম মূসার বিরুদ্ধে যে তীব্র বিষোদগার করেছেন সেটি পাঠকের সামনে তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি না। জনাব হানিফ বলেছেন, ‘‘টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ায় এবিএম মূসা তার ক্ষোভ নানাভাবে ব্যক্ত করে চলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এবিএম মূসা তার প্রকৃত উদ্দেশ্য লুকিয়ে রাখতে পারছেন না। যেকোনোভাবেই হোক, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীস্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। সরকারের সাফল্যগুলোকে ম্লান করার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তিনি কার্যত বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্রকেই সহায়তা করে চলেছেন’’।
হানিফ বলেন, ‘‘এবিএম মূসা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে পাকিস্তানী দালাল হামিদুল হক চৌধুরীর পত্রিকা ‘দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার' পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে হংকংয়ে গিয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। কার্যত তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন’’।
এই আলোচনা সভায় প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যকে উন্মাদের প্রলাপ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘‘তাকে (নূরে আলম সিদ্দিকী) স্মরণ করে দিয়ে বলতে চাই, জাতির জনকের জীবদ্দশায় তার ঐতিহাসিক ধানমন্ডিস্থ ৩২নং-এর বাসভবনের ফ্লোরে গড়াগড়ি খেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন’’।
হানিফ বলেন, ‘‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর প্রতিবাদ তো দূরের কথা বরং সামরিক স্বৈরশাসকদের পদলেহন করতে তিনি দ্বিধা করেননি। সামরিক স্বৈরশাসকদের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে তাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ভেঙ্গেছিলেন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ডলার বাজারে নয়-ছয় করে কোটিপতি হয়েছেন’’।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে লিখিত নিবন্ধে নূরে আলম সিদ্দিকী অনেক শাশ্বত সত্য বলেছেন, এজন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের কথা, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।
email:asifarsalan15@gamil.com
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন