অন্য সব ক্ষেত্রের মতো দুর্নীতি, মানবাধিকার হরণ এবং মিডিয়া দলনেও রেকর্ড করেছে মহাজোট সরকার। সরকারের চার বছরের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দৈনিক আমার দেশ-এর এক রিপোর্টে এসব বিষয়ে অনেক তথ্য-পরিসংখ্যানের উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের আগে ‘প্রিয় দেশবাসী’কে অনেক আশ্বাসের কথাই শুনিয়েছিল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি উচ্ছেদ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা, পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার না করা পর্যন্ত হেন কোনো বিষয় নেই যে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার না ছিল। অন্যদিকে শুরু থেকে দেখা গেছে সম্পূর্ণ উল্টো কাজ-কারবার। দুর্নীতির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক দুর্নীতিতে সরকার সমগ্র জাতিকেই লজ্জায় ডুবিয়ে ছেড়েছে। বিশ্বব্যাংক একাধিকবার শুধু পিছিয়ে যায়নি, যাওয়ার আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ‘দুর্নীতিমূলক ষড়যন্ত্র’ সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণও হাজির করেছে। নাম ধরে ধরে ‘সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার পদক্ষেপ না নেয়ায় বিশ্বব্যাংকের পক্ষেও ‘চোখ বুজে থাকা’ সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তিই বাতিল করেছে। পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক দুর্নীতি অবশ্য একটি উদাহরণ মাত্র। ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়েযোগকারীকে পথে বসিয়ে শেয়ারবাজার থেকে লক্ষ-হাজার কোটি টাকার অংকে টাকা লুণ্ঠন, হলমার্ক কেলেঙ্কারি এবং মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনাগুলোও সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মানবাধিকার হরণের ক্ষেত্রেও মহাজোট সরকার ন্যক্কারজনকভাবে এগিয়ে চলেছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মতো বিরোধী দলের শয়ের বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। বলা চলে, এই সরকারের চার বছরে গুম আর গুপ্তহত্যার রীতিমত ধুম পড়ে গেছে। ক’দিন পরপরই মৃত্যু ঘটছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের। অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিরীহ মানুষের মধ্যেও প্রবলভাবে ভীতি-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, একবার গুম হলে আর রেহাই নেই—তাকে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে নদী বা নালা-ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে হবে। তাকে শনাক্ত করাও সম্ভব হবে না। ওদিকে পুলিশকেও দলীয় কর্মী ও ঠেঙ্গাড়ে বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে সরকার। গত চার বছরে বিরোধী দল বাধাহীনভাবে কোনো সভা-সমাবেশ বা মিছিল করতে পারেনি। পুলিশ ও র্যাব ঝাঁপিয়ে পড়েছে। লাঠিপেটা করেছে নির্বিচারে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অফিস মাঝে-মধ্যেই অবরোধ করেছে পুলিশ। নেতারা অফিসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ওদিকে আরেক বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সরকার তো অঘোষিত যুদ্ধই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য কোনো একজন জামায়াত নেতাকেই এখন আর বাইরে দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক সব নেতাকেই সরকার জেলের ভেতরে ঢুকিয়েছে। যে দু-চারজনকে এখনও জেলের ভাত খাওয়ানো যায়নি তাদের প্রত্যেককেও ধাওয়ার মুখে রেখেছে র্যাব ও পুলিশ। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরেও সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে সরকার। অনেককে আগে গ্রেফতার করে পরে মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীরের মতো অনেকে শ্যোন অ্যারেস্টেরও শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন তো চালানো হচ্ছেই। এক কথায় বলা যায়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরোধী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের সরকার দমন করছে চরম ফ্যাসিস্ট কায়দায়।
মিডিয়া দলনেও সরকার রেকর্ডই করেছে। সবচেয়ে বেশিবার এবং মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে দৈনিক আমার দেশ। দৈনিকটিকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বছর খানেক জেলের ভাত খাইয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখনও খান পঞ্চাশেক মামলা চলছে। সরকার দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদকেও জেলে ঢুকিয়েছে। সংবাদপত্রের পাশাপাশি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের পেছনেও লেগে রয়েছে সরকার। যমুনা টিভি ও চ্যানেল ওয়ানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর ‘পরামর্শের’ আড়ালে সেন্সরশীপও জারি করেছে। এখন চলছে নীতিমালারর নামে পুরো মিডিয়াকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা। পরিষ্কার হয়েছে, মহাজোট সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নেও ফ্যাসিস্ট নীতিই অবলম্বন করে চলেছে।
আমরা মনে করি, কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন অবস্থা কল্পনা করা যায় না। সরকারের উচিত দুর্নীতিকে আর প্রশ্রয় না দেয়া এবং রাজনৈতিক দমন-নির্যাতন বন্ধ করার পাশাপাশি মিডিয়া দলনের ফ্যাসিস্ট নীতি থেকেও সরে আসা। আমরা অবশ্য জানি না, ক্ষমতাসীনরা কাণ্ডজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে বসে আছেন কি-না। বলাবাহুল্য, অশুভ পরিণতির কথা মনে না রাখলে ক্ষতিগ্রস্তও তাদেরকেই বেশি হতে হবে।
মানবাধিকার হরণের ক্ষেত্রেও মহাজোট সরকার ন্যক্কারজনকভাবে এগিয়ে চলেছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মতো বিরোধী দলের শয়ের বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। বলা চলে, এই সরকারের চার বছরে গুম আর গুপ্তহত্যার রীতিমত ধুম পড়ে গেছে। ক’দিন পরপরই মৃত্যু ঘটছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের। অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিরীহ মানুষের মধ্যেও প্রবলভাবে ভীতি-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, একবার গুম হলে আর রেহাই নেই—তাকে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে নদী বা নালা-ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে হবে। তাকে শনাক্ত করাও সম্ভব হবে না। ওদিকে পুলিশকেও দলীয় কর্মী ও ঠেঙ্গাড়ে বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে সরকার। গত চার বছরে বিরোধী দল বাধাহীনভাবে কোনো সভা-সমাবেশ বা মিছিল করতে পারেনি। পুলিশ ও র্যাব ঝাঁপিয়ে পড়েছে। লাঠিপেটা করেছে নির্বিচারে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অফিস মাঝে-মধ্যেই অবরোধ করেছে পুলিশ। নেতারা অফিসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ওদিকে আরেক বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সরকার তো অঘোষিত যুদ্ধই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য কোনো একজন জামায়াত নেতাকেই এখন আর বাইরে দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক সব নেতাকেই সরকার জেলের ভেতরে ঢুকিয়েছে। যে দু-চারজনকে এখনও জেলের ভাত খাওয়ানো যায়নি তাদের প্রত্যেককেও ধাওয়ার মুখে রেখেছে র্যাব ও পুলিশ। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরেও সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে সরকার। অনেককে আগে গ্রেফতার করে পরে মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীরের মতো অনেকে শ্যোন অ্যারেস্টেরও শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন তো চালানো হচ্ছেই। এক কথায় বলা যায়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরোধী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের সরকার দমন করছে চরম ফ্যাসিস্ট কায়দায়।
মিডিয়া দলনেও সরকার রেকর্ডই করেছে। সবচেয়ে বেশিবার এবং মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে দৈনিক আমার দেশ। দৈনিকটিকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বছর খানেক জেলের ভাত খাইয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখনও খান পঞ্চাশেক মামলা চলছে। সরকার দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদকেও জেলে ঢুকিয়েছে। সংবাদপত্রের পাশাপাশি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের পেছনেও লেগে রয়েছে সরকার। যমুনা টিভি ও চ্যানেল ওয়ানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর ‘পরামর্শের’ আড়ালে সেন্সরশীপও জারি করেছে। এখন চলছে নীতিমালারর নামে পুরো মিডিয়াকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা। পরিষ্কার হয়েছে, মহাজোট সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নেও ফ্যাসিস্ট নীতিই অবলম্বন করে চলেছে।
আমরা মনে করি, কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন অবস্থা কল্পনা করা যায় না। সরকারের উচিত দুর্নীতিকে আর প্রশ্রয় না দেয়া এবং রাজনৈতিক দমন-নির্যাতন বন্ধ করার পাশাপাশি মিডিয়া দলনের ফ্যাসিস্ট নীতি থেকেও সরে আসা। আমরা অবশ্য জানি না, ক্ষমতাসীনরা কাণ্ডজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে বসে আছেন কি-না। বলাবাহুল্য, অশুভ পরিণতির কথা মনে না রাখলে ক্ষতিগ্রস্তও তাদেরকেই বেশি হতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন