জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাজোট সরকারের পার্টনার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনেও যাচ্ছেন। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর সাথে দেখা করে নির্বাচনে যাওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি হেফাজতের আমিরের সমর্থন ও দোয়া চাইতে গেলেও তা পাননি। বিফল মনে ঢাকা ফিরেই মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এখন প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইছেন। হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, দুপুরে মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিকেলে তার দল থেকে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। আরেকজন মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা হয়েছেন। অর্থাৎ মহাজোটের পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির সদস্য আগের একজন থেকে বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। জি এম কাদেরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হলে আরো একজন বাড়বে। নির্বাচনে যোগদান ও মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির সদস্য বাড়ানোর জন্য দরকষাকষির অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে এরশাদ নাটক সাজাতে থাকেন। তা সফলভাবে মঞ্চস্থ হয় বঙ্গভবনে, যেখানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’জনই উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির শীর্ষ নেতারা যখন কারাগারে কিংবা আত্মগোপনে তখন এরশাদ হঠাৎ করে আওয়ামী সরকারবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অথচ তার ভাই তখনো মন্ত্রিসভার সদস্য। ১১ নভেম্বর এরশাদ বলেছিলেন, দেশের যা অবস্থা তাতে আওয়ামী লীগের সাথে গিয়ে মানুষের ঘৃণা নিয়ে মরতে চাই না। আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি বেহেশতে যেতেও রাজি নন। এর আগে ১২ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তিনি নিজেই প্রশ্ন রেখে বলেনÑ নির্বাচনে গেলে কী হবে? মানুষ জানবে, বুঝবে আমি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নির্বাচন করছি। তখন মানুষ বলবে এরশাদ সাহেব কথা রাখেন না। সম্মান বড়, না জেল বড়। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুথু দেবে। এরচেয়ে জেলেই মরে যাওয়া ভালো। এই যোগদানের পর মানুষ এরশাদকে থুথু দেবে কি না, তা সামনের দিনগুলোতে বোঝা যাবে। তবে তিনি মাটিতে ফেলে দেয়া নিজের থুথু বহুবার গিলেছেন; এবারো তাই করেছেন। ১৬ নভেম্বর তিনি বলেছিলেন নির্বাচনের প্রশ্নে তিনি পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে সবাই বেঈমান বলবে। আর নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অবশেষে এরশাদ পথের দিশা পেয়েছেন। তিনি অতীতের মতো নির্দেশিত পথে হাঁটছেন। নির্দেশের বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। এই পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে। তার এই পথচলার সাথীও তখনই ঠিক করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা নেয়ার পরপরই বলেছিলেনÑ আই অ্যাম নট আনহ্যাপি। বর্তমান বিএনপি নেতা ও এরশাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ তার বইয়ে দু’জনের রাজনৈতিক আলোচনায় লং ড্রাইভের বিবরণ দিয়েছেন। এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মওদুদ আহমদ তার ‘ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড দি চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপমেন্ট’ বইয়ে লিখেছেনÑ কমপক্ষে দুইবার এরশাদ গোপনে হাসিনার সাথে দেখা করেছেন। একবার তিনি হাসিনাকে লং ড্রাইভে নিয়ে যান এবং তাকে আশ্বস্ত করেন, শেখ মুজিবকে সরকারিভাবে জাতির পিতা হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে, মুজিব হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। শেখ হাসিনার সাথে এরশাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় মান-অভিমান থাকলেও বিচ্ছেদ ঘটেনি। দু’জনেই রাজনৈতিক নাটকে দারুণ পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন। রাজনৈতিক ময়দানে জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অনেকটা পরিপূরক। দুই দলই পরস্পরের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তার সরকারের বৈধতার পথ খুঁজতে থাকেন। ’৮৬ সালের নির্বাচন ছিল এরশাদের সামরিক শাসনের বৈধতার নির্বাচন। এ জন্য তিনি খুব সহজেই আওয়ামী লীগকে পেয়েছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বাম জোটের ৫ দল এই নির্বাচন বর্জন করেছিল। এই নির্বাচনে রামদা, বন্দুক, বল্লম হাতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিযোগিতায় নামে। গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার আসনে ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি ভোট পড়ে। ভোটের দিন ১৫ জন খুন হন, ৭৫০ জনের হাত-পা কেটে যায় আবার কারো বা মাথা ফেটে যায়। নির্বাচনে সরকারিভাবে ৫৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও পর্যবেক্ষকদের ধারণা ভোট ডাকাতির সহিংসতায় ১৫ শতাংশের বেশি লোক ভোটকেন্দ্রে আসেনি। জাতীয় পার্টি ১৫৩ আসনে বিজয়ী হয়। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭৬ আসন। জামায়াত পেয়েছিল ১০ আসন। এটাই ছিল বাংলাদেশে আদিম হিংসা ও অমানবিকতার প্রথম অবাধ নির্বাচন। এমন একটি নির্বাচনের পথে হয়তো আবার দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচনী নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী বদল হয়েছে। এবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরশাদ বিরোধী দলের ভূমিকায়। ’৮৬ সালে নির্বাচন বর্জন করা রাশেদ খান মেননও শেখ হাসিনার নৌকায় উঠে পড়েছেন। বিএনপি একতরফা নির্বাচন বর্জনের আগের ভূমিকায়; এবার সাথে যোগ হয়েছে জামায়াত। ’৮৬-এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতিসহ নানা অভিযোগ আনলেও বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরশাদের ছিল বৈধতার সমস্যা; এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা সেই সঙ্কট থেকে এরশাদকে উদ্ধার করেছিলেন। একইভাবে শেখ হাসিনা ’৯৬ সালের নির্বাচনে ১৪৬ আসনে বিজয়ী হয়ে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন। এটাই ছিল নির্বাচনের সাহায্যের জন্য এরশাদের পক্ষ থেকে প্রথম প্রকাশ্য প্রতিদান। জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে করা হয়েছিল মন্ত্রী। সেই সরকারের নাম দেয়া হয়েছিল ঐকমত্যের সরকার। এবার নাম দেয়ার চেষ্টা চলছে সর্বদলীয় সরকার, যদিও এটা পুরোপুরিভাবে চারদলীয় মহাজোটের সরকার। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের পর থেকে এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন। তিনি মহাজোটে যোগদান করেন। নির্বাচন ও সরকার গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৭ সালের মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল উভয় দল। হাসিনা-এরশাদ উভয়ই বঙ্গভবনে উপস্থিত ছিলেন। এরশাদের দাবিÑ নির্বাচনের আগে তাকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আরো মন্ত্রী নেয়ার ওয়াদাও ছিল। কিন্তু সেই ওয়াদা পূরণ হয়নি। শুধু ভাই জি এম কাদের ছিলেন মহাজোট মন্ত্রিসভার সদস্য। এরশাদের আক্ষেপের শেষ ছিল না। কিন্তু মেরুদণ্ডতে আগেই মাখন লাগানো ছিল। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি, বরং ২০০৯ সালের আগস্টে রংপুরে এক সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোন। বোনের বিপদ-আপদে সব সময় তার পাশে থাকবেন। সম্ভবত এরশাদ একটি ওয়াদা ঠিকমতো প্রতিপালন করেছেন; তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানো। সত্যিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিপদে আছেন; বিরোধী দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে না। অবাধ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য দেশী-বিদেশী চাপ বাড়ছে। বারিধারা প্রেসিডেন্টপার্কের বাসায় ১১ নভেম্বর এরশাদ নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর এত দুর্যোগময় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশে আসেনি। গ্রামগঞ্জে যেভাবে মানুষ নেমে পড়েছে তাতে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সরকার যা করছে তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্র বলা যায় না। গণতন্ত্রচর্চার নামে গণতন্ত্রের কবর রচনার চেষ্টা করেছেন।’ ৯ বছরের শাসনে গণতন্ত্রের কবর রচনার কাজটি তিনিও করেছেন। এটা তিনি ভালোভাবেই বুঝতে পারেন। এখন কবর খোঁড়ার কাজে তিনি বোনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বে সব সময় সেতুবন্ধনের কাজটি হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির পরিকল্পনার বাইরে এরশাদ কখনোই যেতে পারেননি। সেনাপ্রধান এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণকে রাজনৈতিকভাবে প্রথম স্বাগত জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তেমনি এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণে দিল্লিতে ছিল উল্লাস। কংগ্রেসের সমর্থক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের ঢাকায় আনাগোনা সে সময় থেকে বাড়তে থাকে। এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণের পর কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় ছিল বন্দুকের নলে প্রজাপতি। অপর দিকে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বাংলার বাণীর শিরোনাম ছিলÑ একটি গুলিও ফোটেনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও যখনই এরশাদকে বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, ছুটে গেছেন দিল্লিতে। পুনর্গঠিত মহাজোট সরকারে যোগ দেয়ার আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি যান। সেখান থেকে এসেই তিনি সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকেন। সবই ছিল তার সাজানো নাটক। তবে বয়সের ভারে কিংবা চিরাচরিত অসত্য বলার অভ্যাস থেকে এবার হয়তো একটু বেশিই বলে ফেলেছিলেন। এর মধ্যে তার কূটকৌশল থেমে থাকেনি। বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম রবের নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়ে এই জোট হাইজ্যাক করতে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আরো বেশি কিছু আদায় করা। কিন্তু কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম রব সম্ভবত আগেই টের পেয়েছিলেন। তার সাথে জোট করেননি। কাদের সিদ্দিকী হুঁশিয়ার করে দিয়েছেনÑ বেশি খেলা ভালো নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দরকষাকষিতে তিনি ভালোই জিতেছেন। দলের ভারতপন্থী সব নেতাকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়েছে। নিজের প্রথম স্ত্রীকেও মন্ত্রী বানিয়েছেন। গত চার বছরে যেখানে বহু দেনদরবার করেও নিজের ভাই ছাড়া কাউকে মন্ত্রী করতে পারেননি সেখানে ছক্কা মেরেছেন। শেখ হাসিনা কি বড় ভাইয়ের প্রতি উদারতা দেখিয়েছেন। না। শেখ হাসিনাও ভালো খেলেছেন। এরশাদকে বলির পাঁঠা বানিয়েছেন। মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে এরশাদের এবারের খেলায় তার পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার দায় এখন তাকেও নিতে হবে। এরশাদ যে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ দেখছেন। সেখানে সবচেয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখন দেশের উত্তরাঞ্চলে। আঞ্চলিক দল হিসেবে উত্তরের জনপদে তার ভোটব্যাংকে এখন ধস নামার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর খোঁড়ার যে আয়োজন চলছে তার আগেই হয়তো এরশাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হবে। শেখ হাসিনা বেশ চতুরতার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভের আরেকটি লক্ষ্যবস্তু হলো এরশাদ ও তার জাতীয় পার্টি।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
-
▼
নভেম্বর
(104)
- এক তরফা নির্বাচন নয় একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার কাজে এ...
- নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ
- কে রুধিবে ঐ জোয়ারের জল
- আওয়ামী লীগ নেতা পারবেন না... পারবেন রাষ্ট্রপতি
- চীন কেন স্বাধীন বাংলাদেশ দেখতে চায়?
- চরম বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ
- এরশাদ যা তাই করেছেন! এতে অবাক হবার কিছু নেই
- পয়েন্ট অব নো রিটার্ন
- সবার চোখ এখন বঙ্গভবনের দিকে
- ক্ষমতা আকড়ে থাকার নেশা আওয়ামী লীগকে অস্থির করে তুলেছে
- নির্বাচনী ট্রেন এখন কোন্ পথে
- দেশের বাইরে বন্ধু আছে, প্রভু নয়
- ভেলকি দেখালেই সঙ্কট কাটবে না
- জনগণ তো প্রস্তুতই ছিলো
- তফসিল সংকটকে আরো জটিল করেছে
- বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের প্রত্যাশা
- সংবিধান রক্ষায়’ একদলীয় নির্বাচন
- এরশাদের উচিত ছিল জনগণের সাথে থাকা
- ক্ষমতা ধরে রাখার রাজনীতি
- সংলাপের বাঁশি স্তব্ধ হতে চলেছে
- মহাজোট সরকারের অসত্য তথ্য উপস্থাপন
- বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য
- পুলিশের মিথ্যা মামলায় জনগণের কাঠগড়ায় সরকার
- হাসিনা-এরশাদ ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং বেগম খালেদা জিয়ার...
- ঘরে বাইরে চাপের মুখে সরকার
- সরকার কোন পথে?
- আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা: দেশ কি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিক্ষি...
- জনগণ প্রহসনের নির্বাচন চায় না
- দলবাজির পর ডিগবাজি
- প্রয়োজন গণ বিপ্লব হরতালে কাজ হবে না
- বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র
- আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য লজ্জাকর দৌড়
- রাষ্ট্রপতি কি ব্যর্থ হলেন
- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানের আরেকটি...
- নবম সংসদের সমাপ্তি এবং প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ
- জাতিকে এত মাশুল দিতে হবে কেন?
- মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি
- সময়ের দাবি সকল অভিযোগ থেকে তারেক রহমানের মুক্তি
- এরশাদ নাচে সুতার টান
- বল এখন বঙ্গভবনে
- তামাশা নয়, জাতির প্রত্যাশা পূরণ জরুরি
- সময়ের দাবি সকল অভিযোগ থেকে তারেক রহমানের মুক্তি
- গণতন্ত্রের কফিনে পেরেকগুলো
- সংবিধান লঙ্ঘন ও পাতানো নির্বাচনের প্রচেষ্টা দেশে র...
- সংকট আসলে সুশাসনের
- মন্ত্রীরা অভিপ্রায় ব্যক্ত করেননি, পদত্যাগ করেছেন
- ধরপাকড় আন্দোলন চাঙ্গা করবে
- মওলানা ভাসানীর মূল্যায়ন সহজ নয়
- পুলিশী সন্ত্রাসে বিপন্ন নাগরিকতা
- রাজনৈতিক শিষ্টাচার প্রসঙ্গে
- জাতীয় স্বার্থেই হিন্দু-মুসলমান সঙ্ঘাত চাইতে পারি না
- বেগম জিয়া সঠিক পথে আছেনঃ অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নয়
- সাধারণ মানুষের অসাধারণ কাজ
- গোটা বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে সরকার
- কোথাও আলোর রেখা নেই
- গণতান্ত্রিক রাজনীতির জয়-পরাজয়
- সংবিধান নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ফাঁদ!
- ১৫ নভেম্বর : আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক দিন
- শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ যেন ব্যর্থতার ডিজিটাল...
- এই ব্যর্থতা জনগণ কখনো ভুলবে না
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের বায়বীয় সাফল্য
- আওয়ামী লীগ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার : গণতন্ত্র
- খালেদা জিয়া কেন এত আত্মবিশ্বাসী
- দেশে এখন গণজাগরণ
- মন্ত্রীদের একযোগে পদত্যাগ সরকারের সংকটকে আরো ঘনিভূ...
- দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কেন?
- নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নাকি অধীন
- সংলাপ ও আওয়ামী লীগের অবস্থান
- খুন সহিংসতা দুর্নীতি ও দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত
- একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকারের চেষ্টা
- বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যে সদিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে
- হাসিনাকে নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের স্বার্থ সাংঘর্ষিক
- এ কোন গন্তব্যে বাংলাদেশ!
- এ কেমন উন্মাদনা!
- এক দলীয় নির্বাচনের পথে আঃ লীগঃ বিরোধী নেতৃবৃন্দের...
- কী করবেন খালেদা জিয়া?
- একচোখা গণমাধ্যম ও জার্নালিজম এথিকস
- ইতিহাসের ব্যাখ্যার আলোকে ১৯৭৫-এর সিপাহী-জনতার বিপ্লব
- জাতীয় সংহতি ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান
- ১৬ কোটি মানুষের কী অপরাধ
- বেগম জিয়ার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত
- গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গ
- সঙ্কট সম্ভাবনা উত্তরণ
- সংঘাত নয় সমঝোতা
- সর্বদলীয় সরকার সমাধান নয়
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি প্রেক্ষিত মূল্য...
- ৭ নভেম্বরের বাস্তবতা ও বিভ্রান্তি
- সংলাপে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ
- বিকল লাল ফোন, অচল জনজীবন
- দেশবাসীকে শায়েস্তা করতে ক্ষেপে উঠেছে সরকার
- প্রসঙ্গ : ৫ বছরে আওয়ামী মামলার খড়গ
- নির্বাচনে কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও মিডিয়া ক্যু
- হুঁশিয়ার বাংলাদেশ
- গ্রেফতার ও দমন-নির্যাতন বন্ধ করুন
- প্রসঙ্গ : ৫ বছরে আওয়ামী মামলার খড়গ
- দুই নেত্রীর ফোনালাপ ফাঁসের আইনসিদ্ধতা
- ৩ নভেম্বর থেকে কোন খেলা?
- জনগণ জানান দিলো
- মূল ইস্যুটি আস্তিনের নিচে লুকানো আছেঃ সেটি হল সর্ব...
- এটাই ফরহাদ মজহারের শ্রেষ্ঠ অর্জন
- ► সেপ্টেম্বর (107)
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
-
▼
নভেম্বর
(104)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন