দেশের চলমান হাল অবস্থা দেখে দু’টি সত্য ঘটনা পাঠকদের সাথে শেয়ার করার লোভ আমি সামলাতে পারছি না বলে দুঃখিত। এর প্রথমটি হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সম্পৃক্ত এবং অজ্ঞতার অভিব্যক্তি। ১৯৬১ সালের কথা। আমি তখন আতাতুর্ক হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র, ফার্স্ট বয়। তখনকার দিনে পল্লী এলাকায় লেখাপড়া জানা লোকের সংখ্যা খুবই কম ছিল। কেউ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করলে কয়েকগ্রামের লোক তাকে দেখতে আসত। আমার স্কুলের পাশে গনিপুর গ্রামের আব্দুর রব সাব ঐ বছর সিএসএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার পিতা খুব একটা লেখাপড়া জানতেন না। জনাব রব পরীক্ষা দেয়ার পর চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন। তিনি বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন যে যদি ঢাকা থেকে তার কোন চিঠিপত্র বা টেলিগ্রাম আসে তাহলে তাকে যেন তাৎক্ষণিকভাবে খবর দেয়া হয়। জনাব রবের একটি টেলিগ্রাম এসেছিল। তার পিতা দাগনভূঞা পোস্ট অফিস থেকে টেলিগ্রামটি নিয়ে আমার কাছে তার বিষয়বস্তু জানার জন্যে দৌড়ে এসেছিলেন। স্কুলের ফার্স্ট বয় হিসেবে অনেকের ধারণা ছিল আমি ইংরেজির বুঝি একটি সাগর। আমি টেলিগ্রামটি পড়েছিলাম। তাতে লেখা ছিল, VIVA VOCE 25TH STOP, COME SHARP STOP ” আমি তরজমা করে ভদ্রলোককে বুঝিয়ে দিলাম যে, রব সাহেবের ২৫ তারিখের যে মৌখিক পরীক্ষা হবার কথা ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। তাকে শিগগির যাবার জন্য বলা হয়েছিল সেটাও বন্ধ করা হয়েছে আর যেতে হবে না। উনি আমার তরজমা শুনে চলে গিয়েছিলেন। টেলিগ্রামে STOP এর অর্থ ফুল স্টপ তা আমার জানা ছিল না। ফলে টেলিগ্রাম মেসেজের সম্পূর্ণ বিপরীত ও বিকৃত অর্থই আমি ভদ্রলোককে দিয়েছিলাম। এর প্রকৃত অর্থ ছিল ২৫ তারিখে মৌখিক পরীক্ষা, তাড়াতাড়ি আসো। ভাগ্যক্রমে জনাব রব চট্টগ্রামে বসে আগেই খবরটি পেয়েছিলেন এবং তিনি যথাসময়ে ঢাকা গিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেন্ট্রাল এক্সাইজ সার্ভিসে জয়েন করে পরবর্তীকালে সরকারের একজন যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। আমার অজ্ঞতার জন্য আমি এখনো লজ্জাবোধ করি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার। আমি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ডেপুটেশনে ডানিডা প্রকল্পের এডভাইজারি টিমে মনিটরিং ইভ্যুলেশন ও ট্রেনিং এডভাইজারের লোকাল কাউন্টার পার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলাম। তখনো উপজেলা হয়নি, সবেমাত্র সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন)দের গ্রেড পরিবর্তন করে উচ্চতর গ্রেডে সার্কেল অফিসার পদে উন্নীত করা হয়েছে। থানা পর্যায়ে থানা উন্নয়ন কমিটি কার্যকর ছিল। সরকার গ্রাম সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন এবং গ্রাম সরকার প্রধানদের প্রাইমারী স্কুল পরিদর্শনের ক্ষমতা দিয়ে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছিল। একবার লক্ষ্মীপুর থানা উন্নয়ন কমিটির একটি মাসিক সভায় অংশগ্রহণকালে কথা প্রসঙ্গে সার্কেল অফিসার আশিকুর রহমান একটি ঘটনা বলেছিলেন। ঘটনাটি ছিল এ রকম: একজন গ্রাম সরকার প্রধান একদিন একটি প্রাইমারী স্কুল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখতে পান যে, পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে দুইজন অনুপস্থিত। পরিদর্শনকারী গ্রাম সরকার প্রধান স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে তার কারণ জানতে চান। প্রধান শিক্ষক তাকে জানান যে, দু’জনের একজন বাড়িতে কাজ থাকায় দু’ঘণ্টার ছুটি নিয়েছেন এবং তার বাড়ি স্কুল থেকে প্রায় পাঁচ মাইল দূরে। আরেকজন CL-এ গেছেন। গ্রাম সরকার প্রধান দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন এবং এরই মধ্যে প্রথমোক্ত শিক্ষক স্কুলে এসে জয়েন করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয়জনকে আসতে না দেখে পরিদর্শনকারী ভদ্রলোক আরো একঘণ্টা অপেক্ষা করলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষক না আসায় তিনি প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলেন, হেড মাস্টার সাব, CL এখান থেকে কতদূরে? CL হচ্ছে ক্যাজুয়াল লীভ বা সাময়িক ছুটি যা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জরুরী প্রয়োজনে ভোগ করে থাকেন। গ্রাম সরকার প্রধানের এ সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। তিনি মনে করেছিলেন যে, CL কোনো স্থানের নাম এবং এ জন্য তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে তার দূরত্ব জানতে চেয়েছিলেন। অজ্ঞ লোকেরা দায়িত্ব পেলে সম্ভবত এমনি অবস্থা হয়। আওয়ামী জোটের বর্তমান কার্যক্রম দেখে এই ঘটনাগুলো মনে পড়লো। তারা সংবিধানকে পুতুল বানিয়ে যথেষ্টভাবে খেলতে শুরু করেছেন।
[দুই]
বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে। এক মিথ্যাচারী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ ক্ষমতালোভী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক ও মূর্খ রাজনীতিকদের দ্বারা পরিচালিত সরকারের কর্মকা- দেখে দেশ-বিদেশের সকল মানুষ এখন হতাশ। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে ভয়াবহ সঙ্কট চলছে। জামায়াত-বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য সরকার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সরকার চমকের পর চমক সৃষ্টি করছেন। একজন বিশ্লেষক দুঃখ করে মন্তব্য করেছেন যে, ‘দেশের সর্বোচ্চ শক্তিধর প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এক সময় ঘোষণা করা হচ্ছে যে, অত তারিখ থেকে সংসদ থাকবে না, কিন্তু তা বহাল থাকছে। ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, নির্বাচন পূর্ববর্তী ৯০ দিন নীতি-নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু মহা আনন্দে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। পছন্দমত আমলা এবং এমনকি আর্মি অফিসারদেরও পদায়ন করা হচ্ছে। গত ১১ নবেম্বর সম্ভবত ইতিহাসের ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে এবং সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিকট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র পেশ। এই পদত্যাগপত্র পেশের বেলায় কোনো রাখ-ঢাক ছিল না। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং তারা সদলবলে মন্ত্রিসভার মিটিং চলাকালে এই পদত্যাগপত্র তার নিকট জমা দিয়েছেন। অনেকে বিদায়ের নিদর্শনস্বরূপ পদত্যাগের পর কদমবুছি করে প্রধানমন্ত্রীর দোয়াও নিয়েছেন। এরপর বলা হচ্ছে এই পদত্যাগ পদত্যাগ নয়, আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সংবিধানের ৫৮(১) অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা আছে যে, যদি কোনো মন্ত্রী প্রেসিডেন্টের নিকট পেশ করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন তাহলে তার পদ খালি হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ সংক্রান্ত সংবিধানের বিধানটি নি¤œরূপ :
‘58(1) The office of a Minister other than the Prime Minister shall become vacant-
(a) if he resigns from office by placing his resignation in the hands of the Prime Minister for submission to the President.’
এখানে সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নিকট তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তাদের পদত্যাগের অভিপ্রায় থেকে শুরু করে সবকিছুই টিভি চ্যানেলের সৌজন্যে সারা দুনিয়া দেখেছে। তাদের কেউই বলেননি আমরা আনুষ্ঠানিকতা অথবা নাটক করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, রাষ্ট্রপতির নিকট তা পেশ করার জন্য নয়। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, এই পদত্যাগ পদত্যাগ নয়। পদত্যাগের উদ্দেশ্যে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেননি। দেশের সকল আইনজ্ঞ এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, তাদের পদত্যাগ কার্যকর হয়ে গেছে। আবার সংবিধানের এই একই ধারার ২ উপ-ধারায়ও পরিষ্কার, মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনের কথা বলা হয়েছে। এই উপধারা অনুযায়ী :
(2) The Prime Minister may at any time request a Minister to resign and if such Minister fails to comply with the request, may advise the President to terminate the appointment of such Minister.
এখানেও বিষয়টি পরিষ্কার যে, প্রধানমন্ত্রী যে কোন সময় যে কোন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন এবং তারা যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে এ ধরনের মন্ত্রীকে পদচ্যুত করার পরামর্শ দিতে পারেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সকলকেই পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৯ জন মন্ত্রী ১১ নবেম্বর একযোগে তার নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এটা কোন ছেলেখেলা ছিল না। আর প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি ছেলেখেলা করেন তাহলে দেশের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে তা সহজে অনুমেয়। মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র কার্যকর না করে পুনরায় গত রোববার মন্ত্রী সভার মিটিং করে তিনি সংবিধান লংঘন করেছেন। তিনি যদি এই ব্যাপারে অজ্ঞ হন তাহলে অজ্ঞ ব্যক্তির মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এবং এই অজ্ঞতা সংবিধান লংঘনের দায় থেকে কাউকে মুক্তি দিতে পারে না। সংবিধান লংঘন করলে তার শাস্তি কি হবে তার বিস্তারিত বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর সরকার সংবিধানেরই ৭-এর ক ধারায় সংযোজন করে রেখেছেন। এটা লংঘন করে বিনা শাস্তিতে যদি তিনি বা তারা মাফ পেয়ে যান তাহলে ভবিষ্যতে যদি কেউ তা লংঘন করে তাদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। এই অবস্থায় বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে তা সুপ্রীম কোর্টের মতামতের জন্য প্রেরণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
সারা দুনিয়া এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। বাংলাদেশে কি ঘটতে যাচ্ছে কূটনীতিকরা উৎসুক ও উদগ্রীব। সকলেই চাচ্ছেন সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু সরকার তার অবস্থানে অটল বলে মনে হয়। এ জন্যে সংলাপের কোন বিকল্প নেই এবং কোন রকম সংলাপ ছাড়াই ক্ষমতাসীন মহাজোটের সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার নাম দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং গতকাল সোমবার এই মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। এই সরকারে তিনিই প্রধান থাকছেন।
কোন প্রকার সমঝোতায় না পৌঁছে সংবিধান বহির্ভূত নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন দেশে আরেকটি মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে বিরোধী দলের অবস্থান সুস্পষ্ট। দেশবাসীও তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ দলীয় কোন নেতাকে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে না। এতে নির্বাচনী মাঠ কখনো মসৃণ হবে না। বরং অবস্থা আরো জটিল করে তুলবে। এ ক্ষেত্রে সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদকে দিয়ে তিনি কিছু দাবার গুটি চালতে চেয়েছিলেন বলে মনে হয়। তিনি তাকে জোট ছেড়ে বাইরে এসে পাতানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে নামিয়েছেন। কিন্তু তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এরশাদের প্রকৃত চেহারা মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হবার সকল পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। সরকার সংলাপ সংলাপ করে অনেক সময় নষ্ট করেছেন। সংলাপের নামে সময় ক্ষেপণ করতে দেয়া যায় না এবং দেয়া ঠিকও হবে না। বিরোধী দলগুলো দু’বার ৬০ ঘণ্টা করে এবং একবার ৮৪ ঘণ্টার হরতাল পালন করেছে। সরকার সংলাপ বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার পদ্ধতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছার কোন চেষ্টা করেননি বরং দেশব্যাপী জামায়াত-বিএনপির সিনিয়র-জুনিয়র নেতাদের গ্রেফতার, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। এখনো পর্যন্ত তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে র্যাব-পুলিশের তল্লাশি, হয়রানি চলছে। গত কয়েকদিন বিচার বিভাগের কিছু সংযমী ও বাস্তব আচরণ দেশকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের হাত থেকে কিছুটা বিরত রেখেছে। তারেক জিয়া একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। উচ্চ আদালত বিএনপির শীর্ষ পাঁচজন নেতার রিমান্ড বাতিল করেছেন। এটি একটি শুভ লক্ষণ। বিরোধী দলও গত বুধবার অর্থাৎ ১৩ নবেম্বর ৮৪ ঘণ্টা হরতাল সমাপ্তির পর আজ ১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ১ সপ্তাহ কোন হরতাল দেয়নি। এটি সরকারের জন্য একটি ছাড় এবং তাদের সুমতি ফিরে আসার জন্য একটি সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগানো না হলে এবং সরকার যদি নিরপেক্ষ ব্যক্তি ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা স্পীকার ড. শিরীন শারমীন কিংবা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের অধীনে নির্বাচন করতে চান তা সমস্যাকে আরো জটিল, ভয়াবহ ও হিংসাত্মক করে তুলতে পারে। কাজেই এই ধরনের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্যে আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাবো।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন