বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩

গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গ


বাংলাদেশে আজ প্রবল বিভাজক মেরুকরণ ও রাজনৈতিক জিঘাংসামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির নেপথ্যে অতি পক্ষপাতদুষ্ট একশ্রেণীর মিডিয়া বা গণমাধ্যমের লজ্জাজনক ভূমিকাও কম দায়ী নয়। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী বিদ্যমান নিপীড়ক রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়ক ভূমিকায় অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে অবতীর্ণ হয়েছে কিছু চিহ্নিত মিডিয়া। সাধারণত আমরা জানি, গণমাধ্যম বা সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সুতরাং একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চলৎশক্তি হিসেবে আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের পরেই রয়েছে গণমাধ্যম বা সংবাদপত্রের অবস্থান। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসকবর্গের রাষ্ট্রপরিচালনায় কোনো প্রকার ভুল কিংবা ভ্রান্তনীতি পরিলক্ষিত হলে সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবং প্রকারান্তরে সংশোধনের উপায়ও বাতলে দেয় গণমাধ্যম। রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের মানবিক অধিকার ক্ষুণœ হলে কিংবা সরকারের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজ সংঘটিত হওয়ার প্রাক্কালে সাথে সাথে সেটি জনসম্মুখে তুলে ধরে গণপ্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সুযোগ করে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধনে সবসময়ই নিরত থাকে গণমাধ্যম। এভাবে গণমানুষের তথ্য জানার অধিকার পূরণেও গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখে। কিন্তু একটি সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণমাধ্যমের কাক্সিক্ষত ভূমিকা কি আমরা আমাদের এখানে দেখতে পাই? এক কথায়, পাই না। সত্যোচ্চারণের জন্য মাহমুদুর রহমানকে দুইবার গ্রেপ্তার, অন্যায়ভাবে আমার দেশ বন্ধ, বেশ কয়েকটি টিভি-চ্যানেল বন্ধ, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করে মিডিয়ার ওপর সরকারের কর্তৃত্ব আরোপের প্রচেষ্টা, অধিকারের সভাপতি আদিলুর রহমান শুভ্রকে গ্রেফতার, সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিনষ্টকারী পদক্ষেপগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যে আজকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট ও কলঙ্কজনক ভূমিকার সমালোচনা করে একুশে টিভির টকশোতে দেওয়া বিশিষ্ট কবি, রাষ্ট্রচিন্তক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের বক্তব্যকে একটি চিহ্নিত দলবাজ টিভিচ্যানেল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে খ-িত ও আংশিক প্রচার করে তাঁর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বোমা মারতে উস্কানি দেওয়ার কথিত অভিযোগ দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিছু স্বার্থান্বেষী দলবাজ গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিকরা একজোট হয়ে ফরহাদ মজহারের উক্ত বক্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁর শাস্তি দাবি করেছেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় দুটি জিডিও করা হয়েছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ঐ টিভিচ্যানেলটি তাঁকে অন্তত পেশাদারিত্বের খাতিরে হলেও একটা ফোন করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়নি। সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা কিংবা দায়বদ্ধতার কোনো বালাই-ই এখন আর অবশিষ্ট নেই দেখছি।
এই ধরনের মতলববাজ ও এক্টিভিস্ট গণমাধ্যম বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভাবধারা, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সমাজের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান মতবিনিময়, সুস্থ চিন্তা ও বিতর্ক চর্চার জায়গাগুলোকে ক্রমাগত কলুষিত করে চলছে। হ্যাঁ, যেকোনো গণমাধ্যমই বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীর মতাদর্শের ধারক বা সমর্থক হলে তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু যখন ভিন্নমতকে একতরফা প্রতিরোধ ও হেয় প্রতিপন্নকরণের প্রচেষ্টায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে গণমাধ্যমের অপব্যবহার করা হয় তখন সেটি গণমাধ্যমের পরিবর্তে হয়ে ওঠে একটি বিশেষ দল বা মতাদর্শের প্রচারযন্ত্র মাত্র। প্রচারযন্ত্র আর গণমাধ্যমের মধ্যে দুস্তর ফারাক রয়েছে। গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজনীন, একটি গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজের জন্য কল্যাণবাহীও বটে। গণমাধ্যমের রয়েছে নিজস্ব পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশেষ দায়বদ্ধতা। তবে গণমাধ্যমের অপব্যহার করে বিশেষ কোনো দলীয় এজেন্ডা বা মতাদর্শের একপেশে প্রচার-প্রপাগান্ডা এবং ভিন্নমত এড়ানো বা উপেক্ষা করা কোনোভাবেই সর্বজনীন হতে পারে না; উপরন্তু তখন সেটি প্রচারযন্ত্র হয়ে পড়ে। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পক্ষের নিজস্ব চিন্তাধারা, উদ্দেশ্য ও মতাদর্শ রয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকলের কথা বলার ও মতপ্রকাশের অধিকার সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী বা পক্ষকে যখন কথা বলতে দেয়া হবে না কিংবা কোনো পক্ষের অনুকূল গণমাধ্যমগুলোকে যখন অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই নির্যাতিত ও বঞ্চিত শ্রেণির প্রতিবাদ ও লড়াইয়ের ভাষা সশস্ত্র বা বোমাবাজি হয়ে ওঠা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। সেদিন একুশে টিভির টকশোতে ফরহাদ মজহারের আলোচিত বক্তব্যের মর্মকথা ছিল ঠিক এগুলোই। মতলববাজ টিভিচ্যানেলটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের যেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু বাদ দিয়ে খ-িতভাবে প্রচার করেছিল, সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু ছিল এরকম: ‘আমি স্বভাবতই কখনোই চাইব না কেউ পটকা, নিন্দা বা ঢিলও যেন গণমাধ্যমের ওপর ছুঁড়ুক। এটা কথার কথা, ৎযবঃড়ৎরপ। আলোচনা করার জন্য, যাতে আমরা বুদ্ধিজীবীরা, গণমাধ্যমের কর্মীরা বুঝতে পারি যে, এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া একমাত্র দায়ী নন। আমরা, আমাদের (গণমাধ্যম) ভূমিকার কারণে আজকে এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করেছি।’ এখানে তিনি আজকের এই অরাজক ও বিভাজক পরিস্থিতির জন্য দায়ী কিছু হলুদ গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন। এই মিডিয়াই শাহবাগকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে মহীরূহে পরিণত করেছিল। এদেশের বিশালসংখ্যক ধর্মপ্রাণ তরুণগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে শাহবাগী নাস্তিক-মুরতাদদের একতরফা পক্ষ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে আস্তিক-নাস্তিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ইত্যাদি চরম বিভক্তিমূলক জিগির তুলে দেশে এক দীর্ঘস্থায়ী বিভাজনের মেরুকরণ তৈরি করেছে। আর অন্যদিকে ৫ ও ৬ মে হেফাজতের নিরস্ত্র লাখ লাখ জনতার সমাবেশের ওপর যেভাবে রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র বাহিনী নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল এবং পত্রিকায় প্রকাশিত দেড় লক্ষাধিক গোলাবারুদ ব্যবহার করেছিল, তখনো মিডিয়ার চোখে হেফাজতিরাই সন্ত্রাসী ও তান্ডবকারী। যে-দুটি গণমাধ্যম নির্যাতিত ও মজলুমদের পক্ষে কথা বলতো সেগুলোকেও অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলো। রাজপথে বিরোধী জোটের বিক্ষোভ ও হরতালকারীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের জবাবে পুলিশ যখন উপর মহলের নির্দেশে বেপরোয়াভাবে প্রাণঘাতী বুলেট ছুঁড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় তখনো পুলিশকে বাহবা দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল হলুদ মিডিয়া কর্তৃক। এভাবে নিপীড়ক ও গণবিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলো আজ নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা, দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতা হারিয়ে মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য দিতে তারা যারপরনাই ব্যর্থ হয়েছে। যারা আজকে সুযোগ বুঝে ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে অনাকাক্সিক্ষতভাবে উঠেপড়ে লেগেছেন, মূলত শাহবাগ আন্দোলনের কঠোর সমালোচনাকারী ও হেফাজতের আন্দোলনকে বুদ্ধিবৃত্তিক সাপোর্ট প্রদানকারী হিসেবে ফরহাদ মজহারের প্রতি তারা তাদের দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ ও জিঘাংসামূলক আচরণই চরিতার্থ করছেন বলে আমার ধারণা। যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে শাহবাগ আন্দোলনের সময় ভিন্নমতের দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম ও দিগন্ত টিভির অফিসে যখন একযোগে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, তখন তারা কোথায় লুকিয়ে ছিলেন?
যা-ই হোক, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা না করলেই নয়। গণতন্ত্রের সাথে গণমাধ্যমের সম্পর্ক হচ্ছে, একটি অন্যটির পরিপূরক। তবে গণমাধ্যমের কাক্সিক্ষত ভূমিকা ততক্ষণ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধশীল গণতান্ত্রিক ভাবধারায় রূপান্তরিত না হবে। গণতন্ত্রের নামে রেটরিকভাবে গড়ে ওঠা কোনো ‘রাষ্ট্র’ নামক ভৌগোলিক চরিত্রের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সামাজিক ও রাষ্ট্রিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এজন্য সর্বাগ্রে মূল কর্তব্য হলো, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার ব্যাপক গণতান্ত্রিক রূপান্তর কিংবা সুষ্ঠুভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিগঠনÑযা আমরা স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছর পার হলেও করতে সক্ষম হইনি। এই কথাগুলো স্বয়ং ফরহাদ মজহারও দীর্ঘদিন যাবত বলে আসছেন। কিন্তু আমরা সংকটের গোড়ায় পানি না ঢেলে বরাবরই বাগাড়ম্বরে লিপ্ত হয়ে অযথা সময় নষ্ট করি। এতে কোনো সমাধান আসে না। গণমাধ্যমের কাক্সিক্ষত ভূমিকা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিগঠনের সাথে সরাসরি জড়িত। কোনো প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজে বা রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সেই সমাজ ও রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক উপাদানে ক্রমশ পরিপুষ্ট করে তোলে। গণতন্ত্র মানেই তো সকলের সমান অংশগ্রহণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলের নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার, সকলের সমান নাগরিক-মানবিক অধিকার পূরণ। এই ধরনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই তো গণমাধ্যম তার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট পেশাদারি ও বস্তুনিষ্ঠ হয়ে উঠবে।
একটি সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে সর্বজনস্বীকৃত, সেখানে আজকে অপ্রিয় সত্য উচ্চারণের জন্য ফরহাদ মজহারের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে তাঁর বক্তব্যকে খ-িত ও আংশিক উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে গণমাধ্যমের শত্রু কিংবা প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছেÑযা বাকস্বাধীনতার জন্য স্পষ্টতই হুমকিস্বরূপ। সমাজের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠরোধ করে আমরা আসলে কী অর্জন করতে চাইছি? যারা ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন এবং নিপীড়ক রাষ্ট্রযন্ত্রকেও তাঁর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন তাদেরও বা উদ্দেশ্য কী? যদি তারা মনে করেন যে, সমাজের একজন ব্যক্তির কণ্ঠরোধ করে দিলেই তাদের হীন উদ্দেশ্য পূরণ হবে, তাহলে তারা ভুল করবেন। কারণ ফরহাদ মজহারের অগণিত ভক্ত, শিষ্য ও শুভাকাক্সক্ষীরা তাঁর চিন্তার বীজ বহন করে চলছেন। একজন ফরহাদ মজহারের অনুপস্থিতিতে আরেকজন ফরহাদ মজহার নাগরিক ও মানবিক অধিকারের পক্ষে লড়াই করতে দাঁড়িয়ে যাবেন। এটাই স্বাভাবিক। ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের সাথে কারো দ্বিমত থাকতেই পারে। তাই বলে তাঁর বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক পন্থায় না গিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র কর্তৃক শাস্তি প্রদানের জিঘাংসামূলক ও হিংসাত্মক মানসিকতা পোষণ করা সত্যিই দুঃখজনক বটে।
বিশ্ব বিখ্যাত কবি মিল্টন বলেছেন ‘মানুষের জানার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা, বিবেকের তাড়নায় স্বাধীনভাবে নিজের মতের পক্ষে যুক্তি প্রদানের স্বাধীনতা, অন্য যেকোনো স্বাধীনতার চাইতে অনেক ঊর্ধ্বে।’ গণমাধ্যমে যেকোনো ধরনের মতপ্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতা একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে কারোরই রয়েছে। এই বাকস্বাধীনতাকে ক্ষুণœ করা কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারো কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে কখনোই কাম্য নয়। সুষ্ঠু ও উদার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে পারস্পরিক মত বিনিময় ও সম্যক বোঝাপড়ার সুযোগ এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শনের কোনো বিকল্প নেই।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads