ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টায় এবং আবারও ক্ষমতায় আসার কল্পস্বপ্নে ভোট ডাকাতি ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য কুখ্যাত বিশ্ব বেহায়ার সঙ্গে কোলাকুলি ও ক্ষমতা ভাগাভাগির মজাদার দৃশ্য দেখা গেল বাংলাদেশের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণশত্রু নামে নিন্দিত পতিত স্বৈরাচারের দলকে দুই হালি মন্ত্রিত্ব উপহার দেয়ার পর দৃশ্যপট বদলে গিয়েছে। দেশের মানুষ কফ-থু-থু আর ঘৃণার বন্যায় এবং ঝাড়–র পিটুনিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদের সামনের কাতারে ছিলেন বাংলাদেশের সংগ্রামী নারী সমাজ। কেন তারা বেশি সোচ্চার, তার কারণ বিশ্ব বেহায়ার চরিত্রের মধ্যেই লুকায়িত রয়েছে। যে বাম ও রামরা এতকাল স্বৈরশাসক-স্বৈরশাসক বলতে বলতে অজ্ঞান হতেন, তারা নীরব। তাদের হোতারা বিশ্ব বেহায়া এবং ভোট ডাকাতের সঙ্গে ঘর-সংসার করার শপথ করেছেন। যদিও ব্যাকরণে আদায়-কাঁচকলায় বলতে তীব্র বিরোধকে বোঝানো হলেও বাংলাদেশের বর্তমান অবক্ষয়ী ও রাজনীতিতে এমন আদা আর কাঁচকলার মিলন অভূতপূর্ব। পতিত স্বৈরাচার আর গণতন্ত্রবিরোধী সমাজতন্ত্রীদের এই মিলনে প্রকৃত গণতন্ত্রের কীরূপ শোচনীয় দশা হবে, সেটা ভেবে অনেকেই আতঙ্কিত।
রাজনৈতিক ডাকাতদের সঙ্গে বর্তমান মিত্রদের মিত্রতা-সখ্যতার অতীত ও বর্তমান একই সুতায় বাধা। স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে অগ্র-সেনানায়ক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রূপকার, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮২ সালে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হলে সংবিধান মোতাবেক প্রেসিডেন্টের শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তার বিপুল ভোটাধিক্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও মাত্র চার মাসও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। রাজনৈতিক ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়। এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখল কেবলমাত্র তার ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষই ছিল না; ছিল দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কারণে এরশাদের ক্ষমতা দখল সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক হলেও গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী একটি প্রতিবেশী দেশ এবং তাদের বশংবদ রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব মুক্তকণ্ঠে স্বৈরাচারকে স্বাগত ও সমর্থন জানায়। বস্তুতপক্ষে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা-পরবর্তী তলাবিহীন ঝুড়ি নামে পরিচিত বাংলাদেশকে যখন ঐক্য, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে দ্রুতবেগে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই এরশাদ ও তার রাজনৈতিক-সামরিক সহযোগীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করা হয় এবং উন্নয়নের পূর্বশর্ত গণতন্ত্র ও সুশাসনকে তছনছ করে অগণতান্ত্রিক সামরিক-স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়। এরশাদ ও তাকে সমর্থনকারী রাজনীতিবিদ ও দলসমূহ দুর্নীতি-দুঃশাসনের কালো অধ্যায় রচনা করে। সামরিক শাসন জারিই নয়, সংবিধান স্থগিতকরণ, নির্বাচিত সংসদ বাতিলকরণ, নিবর্তনমূলক আইন-কানুন প্রবর্তনের মাধ্যমে নিপীড়ন-নির্যাতন, অর্থনৈতিক-প্রশাসনিক অবক্ষয়, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়। বিশেষ একটি দলকে সংসদে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জিতিয়ে দিয়ে ৯ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকেন এরশাদ। তখন একমাত্র বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি এরশাদের ভোট কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচনের একটিতেও অংশগ্রহণ করেননি। এরশাদকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেকেই নানা সহযোগিতা ও সমর্থন জ্ঞাপন করলেও বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীনতার জ্বলন্ত প্রমাণ।
১৯৮২-৮৩ সালে বেগম খালেদা জিয়া যে গণতান্ত্রিক ও সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন, সেই আন্দোলনকেই বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সফলতার পথে নিয়ে যান। যদি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ও নেতা-নেত্রী এরশাদের পাতানো ও প্রহসনমূলক নির্বাচনে অংশ না নিত এবং তার শাসনের সঙ্গে কাজ না করতো, তাহলে এরশাদকে অল্প সময়ের মধ্যেই বিদায় নিতে হতো এবং অবৈধ শাসককে গণআন্দোলনের মাধ্যমে অতিদ্রুত ক্ষমতাচ্যুত করা বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সম্ভব হতো। কিন্তু অপর প্রধান রাজনৈতিক দল এবং নেতা-নেত্রীর আপসকামী মনোভাব, ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা এবং এরশাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত বার বার সামরিক শাসনবিরোধী গণআন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। অনেকে ‘জাতীয় বেঈমান’ হয়েও এরশাদকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করেন। সকল ধরনের পরিস্থিতিতেই বেগম জিয়ার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এবং সামরিক শাসনের অবসান ঘটানো। যে এরশাদ বিএনপির নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জনরায় এবং জনমতকে পদদলিত করেছিল এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জয়যাত্রার মাধ্যমে দেশ ও জাতির দ্রুতলয়ে এগিয়ে যাওয়াকে বিদেশি প্রভুদের স্বার্থে থামিয়ে দিয়েছিল, সেই বিশ্ব বেহায়া নামধারী এরশাদকে অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত করেই বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক সফলতার শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করেন। সেই স্বৈরশাসক এরশাদের দল এখন আবার ক্ষমতার অংশীদার। আশির দশকের এরশাদ-আওয়ামী লীগ মিত্রতা আবার বাস্তবতা পেল ত্রিশ বছর পর। গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেয়া শত-সহ¯্র শহিদের লাল রক্ত দিনে দিনে মলিন ও দুঃখিত হয়ে এখন এই দৃশ্য দেখছে।
ইতিহাসের অদ্ভুত রহস্য এটাই, যে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে, সেই এরশাদই আবার ক্ষমতায় এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে যেতে হচ্ছে। ক্ষমতায় এরশাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সে সময় সংসদে ছিল। এখন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে এরশাদের লোকজন মন্ত্রিত্বে। বিএনপির সঙ্গে সে সময় আন্দোলনে ছিল জামায়াতে ইসলাম। এখনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাঠে বিএনপি আর জামায়াত পাশাপাশি। মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ফলে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতভিত্তিক যে রাজনৈতিক মেরুকরণ হয়েছে, তাতে ক্ষমতাপন্থী আর জনতাপন্থীদের মেরুকরণও স্পষ্ট হয়েছে। কারা ক্ষমতার মোহে স্বার্থান্ধ আর কারা জনতার কাতারে, সেটাও নির্ধারিত হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সৌভাগ্য যে, তার গৌরবময় রাজনৈতিক জীবনে কখনও স্বৈরাচারের দোসর হওয়ার কলঙ্ক এসে লাগেনি। গণতন্ত্রের আপসহীন দেশনেত্রীর সুমর্যাদা বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী অলঙ্কার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অতীতের মতো এবারও এদেশের গণতন্ত্র রক্ষার নির্ভীক ভ্যানগার্ড হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে বরণ করেছে। বাংলাদেশে পূর্ণ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই তার মর্যাদা ও সম্মান দিনে দিনে দেশে-বিদেশে আরও উজ্জ্বল হচ্ছে। বাংলাদেশের ইসলাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের শ্রদ্ধায় প্রতিনিয়ত তিনি সিক্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে পতিত স্বৈরাচার-ভোট ডাকাত-বিশ্ব বেহায়ার সঙ্গে অতীতের মতো বর্তমানেও ক্ষমতার বাটোয়ারার খাতিরে কোলাকুলি করার পরিণামও যথাসময়ে পাওয়া যাবে। ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টায় এবং আবারও ক্ষমতায় আসার কল্পস্বপ্নে একদা ভোট ডাকাতির জন্য কুখ্যাত বিশ্ব বেহায়ার সঙ্গে কোলাকুলি করার দৃশ্য দেখতে চটকদার হলেও ঐতিহাসিক তাৎপর্যে এবং জনতার বিচারে নিন্দিত ও কলঙ্কময়ই হতে বাধ্য। ইতোমধ্যে দেশের মানুষের ঘৃণা ও থু থু সে কথা প্রমাণ করেছে। আর মার্কিন কংগ্রেস ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে যে, সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কথার অর্থ হলো বাংলাদেশের একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী, তার দল এবং জোটকে বাদ দিয়ে যে নির্বাচনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে, সেটা দেশে বা বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে না। বৈধতা পাবে না। এবং আরেকটি পাতানো খেলা হিসেবেই ইতিহাসের পাতায় কলঙ্ক-কালিমার অক্ষরে লিপিবদ্ধ হবে। এবং পরিণামে এসব প্রহসন ও পাতানোর নায়ক-নায়িকারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন ইতিহাসের নিয়মেই।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইতিহাস সচেতন, গণতন্ত্র সচেতন এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। তিনি জানেন, ইতিহাস ও জনতার বিরুদ্ধে গিয়ে পাতানো বা প্রহসনের কোনও নির্বাচন ইতিহাস গ্রহণ করে না। মানুষ মেনে নেয় না। গ্রহণযোগ্যতা ও বৈধতা পায় না। এই ঐতিহাসিক প্রজ্ঞা তিনি অর্জন করেছেন ইতিহাসের সংগ্রামশীলতার নিজস্ব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। কারণ বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির শুরুটা করেছেন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে। দীর্ঘ নয় বছর সেনাশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথ থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠেছেন একজন পাকা রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে। তার আপোষহীন ভূমিকার কারণে জনগণ তাকে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে খেতাবে ভূষিত করেছেন। এই প্রমাণ তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে বার বার রেখেছেন। বিশেষত, ১/১১-এর পর ছদ্ম সামরিক সরকার এবং তাদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের অগণতান্ত্রিকতা, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, দমন-পীড়ন-নির্যাতন, আইনের শাসনের বিকৃতির বিরুদ্ধে আপোষহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে লিপ্ত হয়ে গণমানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সংগ্রামকে অব্যাহত রাখেন। ফলে বেগম খালেদা জিয়া, গণতন্ত্র ও এদেশের জনমানুষের দাবি যেন একই সুতোয় গাঁথা। বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও দেশপ্রেমিক হিসেবে অগাধ বিশ্বাস আছে বলেই তিনি ৯১, ৯৬ ও ২০০১ সালে তিন তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নেত্রী একটি অনির্বাচিত-সেনা শাসিত সরকার থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এটা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার উদার রাজনৈতিক মনোভাবের পরিচয়। আর বেগম জিয়ার এই উদার মনোভাবের ফসল সামরিক-স্বৈরতন্ত্রের বিদায়। কিন্তু তারা বিদায় নিলেও আজকের শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার রেখে গেছে। সেনা শাসকদের চেয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও জনগণের মঙ্গল বয়ে আনবে এমনটাই মনে করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। কারণ একটি অনির্বাচিত সেনাশাসক যতটা না স্বৈরাচারী ভূমিকা পালন করতে পারে তার চেয়ে ভয়ঙ্কর হয় একটি নির্বাচিত স্বৈরশাসক। যে কারণেই গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক সংগ্রামের যৌক্তিকতা আজকে পুরো বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিকতা পেয়ে চূড়ান্ত সফলতার দ্বারপ্রান্তে অপেক্ষমাণ। আজকে বাংলাদেশ ক্ষমতার লোভ আর জনতার স্বার্থের দুই পৃথক শিবিরে বিভক্ত। বেগম জিয়া এরশাদের আমলে যেমন কুচক্রীদের ক্ষমতার দুর্গকে পদাঘাত করে জনতার দুর্গের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন এবং পরিশেষে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসককে হটিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন। এবারও তিনি ক্ষমতার কোলাকুলি আর লোভাতুর ষড়যন্ত্রকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি গ্রহণ করেছেন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক শাসনের পক্ষ। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষে জনতা। এবারও তিনি অতীতের মতো জনতাকে নিয়ে বিজয়ী হবেন। এরশাদ স্বৈরশাসনকে যেভাবে হটিয়ে ছিলেন, দলীয় স্বৈরশাসনকেও সেভাবেই পরাভূত করবেন। কারণ, ইতিহাস ও মানুষ সব সময়ই গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে; গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পক্ষে থাকে। অতএব বেগম খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও আন্দোলন ইতিহাসের নিয়মে অচিরেই বিজয়ী হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন