বেশ কিছুকাল থেকে কথাগুলো বলে আসছি। শূন্য ভাণ্ড বড্ড বেশি কর্কশ শব্দ করে। গাঁয়ের পথে আঁধার রাতের একলা পথিক নিজেকে সাহস দেয়ার জন্য জোরে জোরে শিস দেয়, হয়তো বা হেঁড়ে গলায় গান শুরু করে। এ কথাও স্পষ্ট করে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ‘বোগাস ও রাবিশ’ মন্ত্রী, চুরি করে চাকরি যাওয়া এবং রাতের আঁধারে পেছনের দরজা দিয়ে আবার মন্ত্রী হওয়া এবং তর্জন-গর্জনসর্বস্ব মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিবদের হুঙ্কারগুলো এ পর্যায়েই পড়ে। চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল প্রচণ্ড চপেটাঘাতের মতোই সরকার ও শাসক দলকে আঘাত করেছে।
সিটি নির্বাচন অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন। থিওরি অনুযায়ী এজাতীয় নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যুগুলো নিয়েই নাগরিকদের ভোট দেবার কথা। সেটা যদি হতো, তাহলে চারটি মেয়র পদের মধ্যে অন্তত তিনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার কথা ছিল। এরা আগেও নিজ নিজ সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং জনকল্যাণমূলক সেবার ঐতিহ্য তাদের কারো কারো ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, ভোটদাতাদের বেশির ভাগই তাদের চিনতেন। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পরিচিতির ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট সিটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হকের চেয়ে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান অনেক বেশি পরিচিত। তা সত্ত্বেও ৩৫ হাজারেরও বেশি গরিষ্ঠতায় আরিফের বিজয় শনিবারের নির্বাচনের সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করবে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট দেয়ার সময় ভোটারেরা দেশের সার্বিক সঙ্কটের কথাই বেশি করে ভেবেছেন।
কয়েক হাজার মাইল দূরে থেকে শুধু ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই এ লেখা আমি লিখছি। চূড়ান্ত বিবেচনায় আমার যা মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীরা নিজেদের দোষ কিংবা গুণের কারণে পরাজিত হননি। এরা পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়েছিল বলে। আওয়ামী লীগের ‘গায়ের গন্ধ’ তাদের পরাজয়ের মূল কারণ।
সামগ্রিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। মোট ভোটদাতাদের কত শতাংশ ভোট দিয়েছেন এখনো জানি না। কিন্তু আমার মনে হয়, ভয়ভীতি বিরাজ না করলে আরো অনেক লোক ভোট দিতে আসতেন এবং আওয়ামী নৌকার ভরাডুরি আরো সাংঘাতিক হতে পারত। সঙ্গত কারণও ছিল সেসব ভয়ভীতির। বরিশালে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী আহসান হাবিব কামালের ওপর আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের নৃশংস আক্রমণ ও নির্যাতনের ফলে কামালের দেহরক্ষীর রক্তাক্ত ছবি দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত মানুষ দেখেছে, দেখে স্তম্ভিত হয়েছে।
সিটি নির্বাচন অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন। থিওরি অনুযায়ী এজাতীয় নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যুগুলো নিয়েই নাগরিকদের ভোট দেবার কথা। সেটা যদি হতো, তাহলে চারটি মেয়র পদের মধ্যে অন্তত তিনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার কথা ছিল। এরা আগেও নিজ নিজ সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং জনকল্যাণমূলক সেবার ঐতিহ্য তাদের কারো কারো ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, ভোটদাতাদের বেশির ভাগই তাদের চিনতেন। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পরিচিতির ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট সিটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হকের চেয়ে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান অনেক বেশি পরিচিত। তা সত্ত্বেও ৩৫ হাজারেরও বেশি গরিষ্ঠতায় আরিফের বিজয় শনিবারের নির্বাচনের সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করবে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট দেয়ার সময় ভোটারেরা দেশের সার্বিক সঙ্কটের কথাই বেশি করে ভেবেছেন।
কয়েক হাজার মাইল দূরে থেকে শুধু ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই এ লেখা আমি লিখছি। চূড়ান্ত বিবেচনায় আমার যা মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীরা নিজেদের দোষ কিংবা গুণের কারণে পরাজিত হননি। এরা পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়েছিল বলে। আওয়ামী লীগের ‘গায়ের গন্ধ’ তাদের পরাজয়ের মূল কারণ।
সামগ্রিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। মোট ভোটদাতাদের কত শতাংশ ভোট দিয়েছেন এখনো জানি না। কিন্তু আমার মনে হয়, ভয়ভীতি বিরাজ না করলে আরো অনেক লোক ভোট দিতে আসতেন এবং আওয়ামী নৌকার ভরাডুরি আরো সাংঘাতিক হতে পারত। সঙ্গত কারণও ছিল সেসব ভয়ভীতির। বরিশালে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী আহসান হাবিব কামালের ওপর আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের নৃশংস আক্রমণ ও নির্যাতনের ফলে কামালের দেহরক্ষীর রক্তাক্ত ছবি দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত মানুষ দেখেছে, দেখে স্তম্ভিত হয়েছে।
দলীয়কৃত পুলিশ সম্বন্ধে আতঙ্ক
বর্তমান দলীয়কৃত পুলিশ ও র্যাব বাহিনীকে বাংলাদেশের মানুষ দস্যুদলের চেয়েও বেশি ভয় করে। দেশের অশান্তি, খুনখারাবি, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বহু দুষ্কৃতের জন্য দেশের মানুষ এখন এ দুটো বাহিনীকে দায়ী মনে করে। ভোটের দিন যে কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বাহিনী দুটোর হিংস্রতা সরকারের প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর লেলিয়ে দেয়া এ সরকারের জন্য অস্বাভাবিক হতো না। বস্তুত কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কিছু অশান্তি প্রকৃতই ঘটেছে। সরকার সমর্থিত প্রার্থীর বিরোধীর এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেবার এবং ভুয়া ভোটদানেরও কিছু ঘটনার বিবরণ অনলাইন পত্রিকায় পড়েছি। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রাণদণ্ড ঘোষণার পর প্রতিবাদকারীদের ওপর এবং ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের ওপর যে ধরনের নির্বিচার গুলি চালানো এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তাতে ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া বহু মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক ছিল।
দুই হাজার আট সালের ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল গরিষ্ঠতায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। যে বিএনপি তিন-তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনেও দেশবাসীর এক-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছিল, সে বিএনপির মুষ্টিমেয় সংসদীয় আসন পাওয়া বেশির ভাগ বাংলাদেশীরই স্বাভাবিক মনে হয়নি। পরে অবশ্যি আমরা জেনেছি, ইন্দো-মার্কিন কূটনৈতিক তৎপরতায় একটা মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনেই আওয়ামী লীগকে সে নির্বাচনে অস্বাভাবিক বিরাট বিজয় দেয়া হয়েছিল।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো যথাযথ পালন করে, দুর্নীতি ও অত্যাচারকে সামলে রেখে এবং সুশাসন ও জনকল্যাণে কিছু চেষ্টা নিয়োজিত করলে আওয়ামী লীগ হয়তো অসদুপায়ে অর্জিত বিজয়ের কিছু সুযোগ-সুবিধা ধরে রাখতে পারত। কিন্তু সেটা যে এরা পারেনি তাতে এ দলের নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ১০ টাকা কেজির চাল এরা দিতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য সামালে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তার চেয়েও বড় ট্র্যাজেডি এই যে, গোড়া থেকেই এরা ধরে নিয়েছিল, ভবিষ্যতে আর এরা নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না, তাই এ মেয়াদেই দেশের ও জনসাধারণের সম্পদ সব ধরনের লুটপাট করে এরা আখের গোছাতে চেয়েছে।
শেয়ারবাজার লুণ্ঠনে ৩৫ লাখ পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে, কুইক রেন্টালের নামে সরকারের ঘনিষ্ঠদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যুবক, ডেসটিনি, হলমার্ক ইত্যাদি নামে আরো বহু হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠিত হয়েছে। কেলেঙ্কারির ফাদার-মাদার ধরা পড়েছে পদ্মা সেতুর ব্যাপারে। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে নাম করে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারীদের কাণ্ডকারখানার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এই ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আবারো বলা হয়েছে, মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্ত না হওয়ার কারণেই এরা সেতুর অর্থায়ন করবে না। আদালতে ক্যানাডীয় কোম্পানি এসএন লাভালিনের বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি ও তার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতা পাওয়ার প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগের ক্যাডার, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন সেসব ভুলতে পারবে না। তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে র্যাব ও পুলিশ যে শত শত বিরোধী নেতাকর্মী ও সরকারের সমালোচককে হত্যা করেছে সে সবও এ দেশের মানুষের হৃদয়ে খোদিত হয়ে থাকবে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ইরিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমকে গুম করার দায়িত্ব এ সরকার কোনো মতেই এড়িয়ে যেতে পারবে না।
বর্তমান দলীয়কৃত পুলিশ ও র্যাব বাহিনীকে বাংলাদেশের মানুষ দস্যুদলের চেয়েও বেশি ভয় করে। দেশের অশান্তি, খুনখারাবি, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বহু দুষ্কৃতের জন্য দেশের মানুষ এখন এ দুটো বাহিনীকে দায়ী মনে করে। ভোটের দিন যে কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বাহিনী দুটোর হিংস্রতা সরকারের প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর লেলিয়ে দেয়া এ সরকারের জন্য অস্বাভাবিক হতো না। বস্তুত কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কিছু অশান্তি প্রকৃতই ঘটেছে। সরকার সমর্থিত প্রার্থীর বিরোধীর এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেবার এবং ভুয়া ভোটদানেরও কিছু ঘটনার বিবরণ অনলাইন পত্রিকায় পড়েছি। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রাণদণ্ড ঘোষণার পর প্রতিবাদকারীদের ওপর এবং ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের ওপর যে ধরনের নির্বিচার গুলি চালানো এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তাতে ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া বহু মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক ছিল।
দুই হাজার আট সালের ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল গরিষ্ঠতায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। যে বিএনপি তিন-তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনেও দেশবাসীর এক-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছিল, সে বিএনপির মুষ্টিমেয় সংসদীয় আসন পাওয়া বেশির ভাগ বাংলাদেশীরই স্বাভাবিক মনে হয়নি। পরে অবশ্যি আমরা জেনেছি, ইন্দো-মার্কিন কূটনৈতিক তৎপরতায় একটা মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনেই আওয়ামী লীগকে সে নির্বাচনে অস্বাভাবিক বিরাট বিজয় দেয়া হয়েছিল।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো যথাযথ পালন করে, দুর্নীতি ও অত্যাচারকে সামলে রেখে এবং সুশাসন ও জনকল্যাণে কিছু চেষ্টা নিয়োজিত করলে আওয়ামী লীগ হয়তো অসদুপায়ে অর্জিত বিজয়ের কিছু সুযোগ-সুবিধা ধরে রাখতে পারত। কিন্তু সেটা যে এরা পারেনি তাতে এ দলের নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ১০ টাকা কেজির চাল এরা দিতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য সামালে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তার চেয়েও বড় ট্র্যাজেডি এই যে, গোড়া থেকেই এরা ধরে নিয়েছিল, ভবিষ্যতে আর এরা নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না, তাই এ মেয়াদেই দেশের ও জনসাধারণের সম্পদ সব ধরনের লুটপাট করে এরা আখের গোছাতে চেয়েছে।
শেয়ারবাজার লুণ্ঠনে ৩৫ লাখ পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে, কুইক রেন্টালের নামে সরকারের ঘনিষ্ঠদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যুবক, ডেসটিনি, হলমার্ক ইত্যাদি নামে আরো বহু হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠিত হয়েছে। কেলেঙ্কারির ফাদার-মাদার ধরা পড়েছে পদ্মা সেতুর ব্যাপারে। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে নাম করে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারীদের কাণ্ডকারখানার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এই ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আবারো বলা হয়েছে, মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্ত না হওয়ার কারণেই এরা সেতুর অর্থায়ন করবে না। আদালতে ক্যানাডীয় কোম্পানি এসএন লাভালিনের বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি ও তার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতা পাওয়ার প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগের ক্যাডার, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন সেসব ভুলতে পারবে না। তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে র্যাব ও পুলিশ যে শত শত বিরোধী নেতাকর্মী ও সরকারের সমালোচককে হত্যা করেছে সে সবও এ দেশের মানুষের হৃদয়ে খোদিত হয়ে থাকবে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ইরিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমকে গুম করার দায়িত্ব এ সরকার কোনো মতেই এড়িয়ে যেতে পারবে না।
ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা আত্মঘাতী অপরাধ
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশের কিছু মানুষের সহানুভূতি দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল এবং শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাকে পুরোপুরি ছেড়ে যেতে পারেনি। কিন্তু দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকার মারাত্মক ভুল করেছেন। গোড়াতেই তারা সংবিধান থেকে আল্লাহ ও ইসলামের নাম বাদ দিয়ে সব মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। ইসলামি সন্ত্রাস দলন করার কথায় বিদেশীরা খুশি হবেÑ এ ধারণার বশবর্তী হয়ে এ সরকার বহু, বহু নিরীহ মুসলমানকে হত্যা ও বন্দী করেছে। টুপি ও দাড়ি পরিহিতদের পেছনে সরকারের টিকটিকিদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা যদি আবার নামাজ পড়তে মসজিদে যান তাহলে এরা গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে বিবেচিত হয়।
এসবের ওপরেও জনাকয়েক ধর্মদ্রোহী ব্লগারকে আল্লাহ, রাসূল সা: আর ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় উৎসাহিত করে সরকার জনমনে এ ধারণা সৃষ্টি করেছে, তারাও ধর্মদ্রোহী এবং তারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রাণদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের ১৮০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত ৫ মে এবং পরদিন ভোর রাতে এক লাখ ৫৫ হাজার বুলেট নিক্ষিপ্ত হয়েছে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক গ্রামগঞ্জের লাখ লাখ মুসলমানের বিরুদ্ধে। ভিডিও ছবি এবং বিদেশী মিডিয়ার কিছু কিছু রিপোর্ট থেকে মনে হয়, সে ঘটনায় হাজার তিনেক পর্যন্ত মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, এ দেশে বর্তমান সরকার আর শাসক দল আওয়ামী লীগের জন্য কোনো স্থান নেই। গত শনিবার চারটি সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কমিশনার নির্বাচনে সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশের কিছু মানুষের সহানুভূতি দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল এবং শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাকে পুরোপুরি ছেড়ে যেতে পারেনি। কিন্তু দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকার মারাত্মক ভুল করেছেন। গোড়াতেই তারা সংবিধান থেকে আল্লাহ ও ইসলামের নাম বাদ দিয়ে সব মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। ইসলামি সন্ত্রাস দলন করার কথায় বিদেশীরা খুশি হবেÑ এ ধারণার বশবর্তী হয়ে এ সরকার বহু, বহু নিরীহ মুসলমানকে হত্যা ও বন্দী করেছে। টুপি ও দাড়ি পরিহিতদের পেছনে সরকারের টিকটিকিদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা যদি আবার নামাজ পড়তে মসজিদে যান তাহলে এরা গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে বিবেচিত হয়।
এসবের ওপরেও জনাকয়েক ধর্মদ্রোহী ব্লগারকে আল্লাহ, রাসূল সা: আর ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় উৎসাহিত করে সরকার জনমনে এ ধারণা সৃষ্টি করেছে, তারাও ধর্মদ্রোহী এবং তারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রাণদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের ১৮০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত ৫ মে এবং পরদিন ভোর রাতে এক লাখ ৫৫ হাজার বুলেট নিক্ষিপ্ত হয়েছে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক গ্রামগঞ্জের লাখ লাখ মুসলমানের বিরুদ্ধে। ভিডিও ছবি এবং বিদেশী মিডিয়ার কিছু কিছু রিপোর্ট থেকে মনে হয়, সে ঘটনায় হাজার তিনেক পর্যন্ত মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, এ দেশে বর্তমান সরকার আর শাসক দল আওয়ামী লীগের জন্য কোনো স্থান নেই। গত শনিবার চারটি সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কমিশনার নির্বাচনে সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
বিএনপি এখন কী করবে
বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের কর্মী ও সমর্থকেরা অবশ্যই উল্লসিত হয়েছেন। জেলজুলুম আর হত্যা-নির্যাতনে সাড়ে চার বছর তারা ‘মরমে মরিয়া’ ছিলেন বলা চলে। তাদের নেতাদের বেশির ভাগ এখনো কারাগারে, রিমান্ডের নামে সরকারের দলীয়কৃত পুলিশ ও র্যাব অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের ওপর। প্রধানমন্ত্রী বিদেশীদের কাছে দাবি করেন যে, তিনি বাংলাদেশে সংবাদের ও বাকস্বাধীনাতর ঢল বইয়ে দিয়েছেন। কার্যত কিন্তু বাকস্বাধীনতাকে হত্যা করেছে এই সরকার। একের পর এক সমালোচক মিডিয়ার কণ্ঠরোধ হয়েছে।
এ সরকার আল্লাহ এবং রাসূল ও ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকে উৎসাহ দেয়। অন্য দিকে সে কুৎসার সংবাদ পরিবেশনের দায়ে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে, আমার দেশ পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ৫ মে বহু লাখ মানুষ ঢাকায় সমাবেশ করল তাদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দাবিতে। সে সমাবেশে বিবরণ প্রচারের দায়ে ইসলামিক টেলিভিশন এবং দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কুইক রেন্টাল কেলেঙ্কারির সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও মেহেরুন রুনি। গভীর রাতে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজো ঘাতকেরা ধরা পড়েনি। জনশ্রুতি এই যে, সরকার তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। মোট ১৮ জন সাংবাদিক এ সরকারের পেশিশক্তি দ্বারা নিহত হয়েছেন।
অতএব সরকারের বিরোধীদের মুখে হাসি ফুটবেই। কিন্তু কিছু কথা তাদের মনে রাখতে হবে। এ সরকার বিশ্ববাসীকে বোঝাতে চায় যে, তাদের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। সে বিশ্বাস বিশ্বের মনে প্রোথিত করা গেলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, সাধারণ নির্বাচনকেই তাক করেছে সরকার। হয়তো পরিকল্পিতভাবেই সরকার তাদের ক্যাডার ও দলীয়কৃত পুলিশ-র্যাবকে গত শনিবার সংযত রাখতে চেয়েছিল।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা বৈশিষ্ট্যের কথা এখানে বলছি। তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে ভালোবাসেন। বস্তুত তিনি তার নিজের বিজয়কে নির্বাচনের মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তিনি জয়ী হলে সে নির্বাচন ন্যায্য হয়, অন্যথায় নয়। তার বিজয় সুনিশ্চিত মনে না হলে তিনি যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বাতিল করে দেবেন নাÑ সেটাই বা কে জানে? পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এবং এরশাদের কাছ থেকে সে শিক্ষা তিনি ভালোই পেয়েছেন।
আমার বিবেচনায় আহলাদে আটখানা হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বিএনপি এবং ১৮ দলের জোটের কর্মীদের উচিত হবে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে আরো জোরদার করে তোলা। চারটি সিটি করপোরেশনে বিজয় থেকে তাদের উৎসাহ এবং মনোবল সংগ্রহ করা উচিত।
বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের কর্মী ও সমর্থকেরা অবশ্যই উল্লসিত হয়েছেন। জেলজুলুম আর হত্যা-নির্যাতনে সাড়ে চার বছর তারা ‘মরমে মরিয়া’ ছিলেন বলা চলে। তাদের নেতাদের বেশির ভাগ এখনো কারাগারে, রিমান্ডের নামে সরকারের দলীয়কৃত পুলিশ ও র্যাব অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের ওপর। প্রধানমন্ত্রী বিদেশীদের কাছে দাবি করেন যে, তিনি বাংলাদেশে সংবাদের ও বাকস্বাধীনাতর ঢল বইয়ে দিয়েছেন। কার্যত কিন্তু বাকস্বাধীনতাকে হত্যা করেছে এই সরকার। একের পর এক সমালোচক মিডিয়ার কণ্ঠরোধ হয়েছে।
এ সরকার আল্লাহ এবং রাসূল ও ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকে উৎসাহ দেয়। অন্য দিকে সে কুৎসার সংবাদ পরিবেশনের দায়ে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে, আমার দেশ পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ৫ মে বহু লাখ মানুষ ঢাকায় সমাবেশ করল তাদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দাবিতে। সে সমাবেশে বিবরণ প্রচারের দায়ে ইসলামিক টেলিভিশন এবং দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কুইক রেন্টাল কেলেঙ্কারির সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও মেহেরুন রুনি। গভীর রাতে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজো ঘাতকেরা ধরা পড়েনি। জনশ্রুতি এই যে, সরকার তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। মোট ১৮ জন সাংবাদিক এ সরকারের পেশিশক্তি দ্বারা নিহত হয়েছেন।
অতএব সরকারের বিরোধীদের মুখে হাসি ফুটবেই। কিন্তু কিছু কথা তাদের মনে রাখতে হবে। এ সরকার বিশ্ববাসীকে বোঝাতে চায় যে, তাদের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। সে বিশ্বাস বিশ্বের মনে প্রোথিত করা গেলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, সাধারণ নির্বাচনকেই তাক করেছে সরকার। হয়তো পরিকল্পিতভাবেই সরকার তাদের ক্যাডার ও দলীয়কৃত পুলিশ-র্যাবকে গত শনিবার সংযত রাখতে চেয়েছিল।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা বৈশিষ্ট্যের কথা এখানে বলছি। তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে ভালোবাসেন। বস্তুত তিনি তার নিজের বিজয়কে নির্বাচনের মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তিনি জয়ী হলে সে নির্বাচন ন্যায্য হয়, অন্যথায় নয়। তার বিজয় সুনিশ্চিত মনে না হলে তিনি যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বাতিল করে দেবেন নাÑ সেটাই বা কে জানে? পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এবং এরশাদের কাছ থেকে সে শিক্ষা তিনি ভালোই পেয়েছেন।
আমার বিবেচনায় আহলাদে আটখানা হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বিএনপি এবং ১৮ দলের জোটের কর্মীদের উচিত হবে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে আরো জোরদার করে তোলা। চারটি সিটি করপোরেশনে বিজয় থেকে তাদের উৎসাহ এবং মনোবল সংগ্রহ করা উচিত।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন