শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৩

দোষ কার ঐশীর? বাবা-মায়ের? নাকি সমাজ ও রাষ্ট্রের?


সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে মেয়ে কর্তৃক পিতা হত্যা: তা আবার কোন সাধারণ পিতা নন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পূর্বে পুলিশ বলেছিলেন, “যেভাবে আঘাত করা হয়েছে তা একজনের পক্ষে অসম্ভব, কারণ লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ছিলো।” পরে অবশ্য মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে ধারালো অস্ত্রের মধ্যে একজনেরই হাতের ছাপ রয়েছে। ধন্যবাদ বিজ্ঞানের জয়যাত্রাকে। বিজ্ঞানের জন্য আজকের সমাজে অনেক কিছুই লুকানো যাচ্ছে না। ক’দিন আগে আরামবাগের একজন বড় নেতা যিনি ক্ষমতাসীন দলের পরিচিত মুখ ছিলেন। তাকে হত্যা করলো একই দলের অন্য নেতা, আর তা করা হলো পাঞ্জাবি আর টুপি পরে। যেনো দোষটা জামায়াতের ওপর চাপানো যায়। সম্ভব হয়নি সিসি ক্যামেরার কারণে এখানেও বিজ্ঞান ধন্যবাদ পাবে। বেশ কিছুদিন যাবত লেখালেখি করছি। কি লিখবো? সমাজের সকল পর্যায়ে আজ অন্ধকারের ঘনঘটা। কটাইবা লিখা যায়? কথায় বলে “সর্বজায়গায় ব্যথা ওষুধ দিবো কোথা? না লিখতে চাইলেও মাঝে মাঝে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কিছু লোক ফোন করে বলেন, “কই ভাই লেখা দেখছিনে যে” তখন ভাবতে ভালই লাগে আমি মনে হয় ছোটখাটো একজন কলামিস্ট হয়েই গেছি। ২১ আগস্ট ২০১৩ রাতে শুয়ে পড়েছিলাম, এমন সময় মোবাইলে কল এলো ঢাকার শ্যামপুর থানার একজন প্রথিতযশা শিক্ষক আবদুর রহীম জীবনের মোবাইল থেকে। তিনি অবশ্য মাঝে মধ্যেই ফোন করে আমার অখাদ্য আর কুখাদ্য লেখাগুলোর প্রশংসা করেন। আমি অবশ্য বুঝতে পারি এটা হচ্ছে আমাকে উৎসাহ দেয়ার প্রশংসা যা প্রকৃত বন্ধুরা সব সময়েই করে থাকেন। আবদুর রহীম জীবন সাহেব বলেন “আপনার ভাবী একটি লেখা চাচ্ছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে মেয়ের হাত খরচ চালানোর জন্য সপ্তাহে এক লাখ টাকা দিতে পারে? তবে তার আয় কত? আমরাতো একজন ঐশীর কথা জানলাম আরো কত ঐশী আমাদের সমাজে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।” আমি বলেছিলাম। ভাবীকে বলেন, সব কথা লিখা যায় না বলাও যায় না। ঐশীদের খোঁজে আমরা নামতে পারি না। এ কারণে পারি না যে, আমাদের দেশের পরম শ্রদ্ধেয় দুদক চেয়ারম্যান মহোদয়, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর করফাঁকির খবর রাখেন, ১৭ বছর পূর্বের দুর্নীতি আর করফাঁকির জন্য গাজীপুর সিটি মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নানের একাউন্ট জব্দ করেন- ঠিক নির্বাচনের দু’তিন দিন পূর্বে। গত জাতীয় নির্বাচনের দিন সকাল ৮-০০টায় আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকার খবর জাতির নিকট পৌঁছে দিলেন ঠিক ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময়। সংগত কারণেই বলতে পারি আমাদের দুদক অত্যন্ত দক্ষ। আশায় থাকতে হবে যেমন বন কর্মকর্তার বালিশের নীচে কোটি টাকা পাওয়ার খবর, বাবু সুরঞ্জিতের গাড়িতে যেভাবে টাকার বস্তার সংবাদ আমরা পেয়েছি, একইভাবে সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য ঐশীদের খবরও পাবো, তবে অপেক্ষা করতে হবে শত হলেও পুলিশ তো। আমার প্রশ্ন হলো ঐশীদের এ ধ্বংসের জন্য দায়ী কে ঐশী নাকি অন্যরা। একটি বিজ্ঞাপনের কথা মনে হলো “কমদামী সিমেন্ট দিয়ে বাড়ী বানালো আপনার বাড়ী যদি আপনারই মাথায় ভেঙ্গে পড়ে তবে কেমন হবে।” আমাদের ঐশীদের পিতামাতা সন্তানকে আদর্শবান সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি। কোন আদর্শের কথা বললেই তারা বলে থাকে “ওটা সেকেলে ওসব বাদ দাও প্রগতিশীল হও” এটা হচ্ছে আধুনিকতার নামে প্রগতিশীলতারই নমুনা। অন্যদিকে সমাজও এ দায় এড়াতে পারে না। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে যতটুকু লেখাপড়া করেছি, তাতে জেনেছি রাষ্ট্র হচ্ছে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। শিশুকে সামাজিকিকরণের ব্যাপারে রাষ্ট্রের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও দায়িত্ব। শিশুকে সামাজিকিকরণ করতে হলে যে মাধ্যমগুলো প্রধান তা হচ্ছে মাতাপিতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্ধুবান্ধব। এ তিনটি প্রধান মাধ্যমই আজ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটানোই হচ্ছে সরকারের একান্ত দায়িত্ব। কারণ সরকারই হচ্ছে রাষ্ট্্েরর পরিচালক। অথচ অন্য এক নারী পাঠক টঙ্গীর বিশিষ্ট ব্যক্তি জনাব আফজাল হোসাইনের স্ত্রী নাজমা বেগম আক্ষেপ করে বললেন “আমরা কত অসহায় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজ চুল নিয়ে বাকবিত-ায়। এ সুযোগে একজন হিন্দু ভদ্রলোক বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন “চুলাচুলি নয় দরকার কোলাকুলির।” এমনিভাবে আজ অনেক নাজমা বেগমদের হৃদয় মাঝে তপ্তব্যথা লুক্কায়িত। চুল নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি আমরা করছি এ বিষয়ে কিছু বলেই লিখা শেষ করবো। একটি গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। যদিও গল্পটি একটু বড়। একজন হিন্দু শিক্ষক স্কুলে ক্লাস নিচ্ছিলেন, তখন একজন ছাত্রকে পেটাচ্ছেন আর বলছেন, “কতো গরু মানুষ করলাম তোকে মানুষ করতে পারলাম না।” পাশের মাঠে ছাগল চরাচ্ছিল এক বৃদ্ধা। সে শুনলো এ স্কুলে গরুকে মানুষ বানানো হয়। বৃদ্ধা ছুটে গেলো ওই শিক্ষকের কাছে এবং বললো, “স্যার এখানে গরুকে মানুষ করা হয় তা হলে আমার পাঁঠাটাকে মানুষ করতে পারবেন কি? মাস্টার সাহেব বললেন, “কোন ব্যাপারই না।” তাই তিনি পাঁঠাটাকে রেখে দিয়ে বৃদ্ধাকে বললেন, ঠিক ৭ দিন পরে আসবেন, দেখবেনÑ আপনার পাঁঠা মানুষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে ছিলো হিন্দুদের পূজা। মাস্টার সাহেব পুজোয় পাঁঠা বলি দিয়ে পাঁঠাটাকে হালাল করে ফেলেছেন। ৭ দিন পর যখন মহিলা আসলো তখন দেখা গেল একটি মজার ঘটনা। স্কুলে ছিলো একটি অত্যন্ত গরীব ছাত্র। মাস্টার সাহেব তাকে তৈরি করে রেখেছেন। যেই বৃদ্ধা স্কুলের দরজায় পা রাখলো অমনি ছেলেটি মা বলে বৃদ্ধার পায়ে পড়লো। বৃদ্ধার কি আনন্দ তার পাঁঠা মানুষ হয়ে গিয়েছে। এখন থেকে ছেলেটির সকল খরচ বহন করছে ওই মহিলা। বৃদ্ধার যত ছাগল ছিলো সব বিক্রি করে তার মানুষ হওয়া পাঁঠার জন্য খরচ করলো। মাস্টার সাহেব ছেলেটাকে বললেন, এ ঘটনা কারো কাছে বলবে না বরং বৃদ্ধা যতদিন বাঁচে তার খেদমত করবে। এরি মধ্যে ছেলেটি বড় শিক্ষিত হয়ে একটি ভালো চাকরিও পেলো। বৃদ্ধা একদিন ছেলের অফিসে গিয়ে হাজির। বন্ধু মহলের কাছে লজ্জা পাবে বলে ছেলেটি বৃদ্ধাকে দূর থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলো। বৃদ্ধার কি আনন্দ পাঁঠা মানুষ হয়েছে কত টাকা দিচ্ছে। ক’দিন পরে আবার ছেলের দেখা পাওয়ার জন্য বৃদ্ধা অফিসে আসলে ছেলেটা অফিস থেকে বেরিয়ে এমন ধমক দিলো “ তোমাকে না সেদিন তিন হাজার টাকা দিলাম আজ আবার কেন এসেছো?” বৃদ্ধা দুঃখ পেয়ে চলে আসছে আর বলছে “পাঁঠা কি আর কখনো মানুষ হয়।” প্রিয় পাঠক আমাদের দেশের বর্তমান রাজনীতির দশা দেখলে আমার বলতে ইচ্ছে করে কতো গরু মানুষ হলো আমরা হতে পারলাম না। আমাদের দেশের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারা যে ভাষায় কথা বলেন, তা শুনে আমরা লজ্জায় কাচুমাচু হয়ে যাই। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকগণ জিজ্ঞেস করেছিলেন স্যার নারীদের প্রতি আপনি অনেক দুর্বল কেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “আল্লাহ আমাকে এমন একটা চেহারা দিয়েছেন যে, নারীরা আমাকে দেখলে পাগল হয়ে যায়, আমার কি দোষ?” টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন সাংবাদিক মুন্নি সাহা তাও বেশিদিন আগে নয়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন স্যার নারীদের প্রতি আপনার একটা টান রয়েছে। উত্তরে এরশাদ সাহেব বলেন, “বিদিশার  কথা বলছো? সে আমাকে আগে চিঠি দিয়েছে। প্রয়োজনে আমি দেখাতে পারবো”। মুন্নি সাহা বলেন, স্যার জীবনে কতটা প্রেম করেছেন- তখন এরশাদ সাহেব বলেন, “আসলে তুই একটা বজ্জাত”। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মুফতী শফী সাহেব কি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে তেঁতুলের টক মনে করেন? ওনাকে দেখলে কি শফী সাহেবের জিভে লালা আসে? ইতোপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি সম্পর্কে বলেছিলেন, “এরশাদ সাহেব ওনার ভাবীকে বাড়িটা দান করেছিলেন”। পূর্বে একবার বলেছিলেন, “ঘরের বউ কি কখনো হোটেলে রাত কাটায়”? এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যখন পূর্বাণী হোটেলে খালেদা জিয়া আশ্রয় নেন তখন একথা বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে যখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, “এক চুলও নড়বো না” তখন আবার বেগম খালেদা জিয়া বললেন, “এক চুল কেন আন্দোলনের বাতাসে আপনাদের সব চুল নড়ে যাবে বা উড়ে যাবে।” সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম ও আসিফ নজরুল এ কথাগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার জন্য বলেছেন, “শেখ হাসিনা যদি প্রতীকী চুল বলে থাকেন তাহলে বেগম খালেদা জিয়াও প্রতীকী চুলই বলেছেন”। অথচ আওয়ামী লীগ এর কিছু হাইব্রিড নেতা সব সময় ওঁৎ পেতে থাকেন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ঘায়েল করে শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে কিভাবে আসা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ভালো করে বকতে পারলে জননেত্রী শেখ হাসিনা খুব খুশি হন। তাই ড. হাছান মাহমুদ এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। তিনি চুলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন “আমাদের চুল অরিজিনাল যারা পরচুলা ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং চুল ফুলিয়ে বেশী দেখান তাদের চুলই বাতাসে উড়ে যাবে।” কত চমৎকার চুলের ব্যাখ্যা চলছে আমাদের রাজনীতিতে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে আমাদের দেশে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসছে না। আর আসছে না বলেই দিন দিন আমরা সংসদে কুৎসিত কথা শুনতে পাচ্ছি। আরো একটি গল্প বলি “একলোক তার গরু খুঁজছিলো। খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে দেখে মসজিদের বারান্দায় গরু ঢুকে পড়েছে। মসজিদের খাদেম বলছে কি ব্যাপার আপনার গরু মসজিদে ঢুকেছে।” গরুর মালিক বলছে “ভাই ও বুঝে না সে জন্য মসজিদে ঢুকে পড়েছে। আমাকে কি কখনও মসজিদে ঢুকতে দেখেছেন?” এখানে গরুর মালিক নামাজীদের ছোট করলেও সে যে গরুর মালিক গরু তাও বুঝা গিয়েছে। দুঃখ করে কেউ যেন আবার না বলেÑ “ভাই যারা বুঝে না তারা রাজনীতি করে আমাকে কি কখনও দেখেছেন।” পরিশেষে বলতে চাই আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমরা যেন রাজনীতিবিদদের ওপর শ্রদ্ধাবোধ একেবারেই হারিয়ে ফেলি এমন অবস্থার সৃষ্টি না হয়। সকল রাজনীতিবিদের নিকট এটাই আমাদের চাওয়া। বিশেষ করে সরকারের নিকট একটু বেশীই প্রত্যাশা। দু’জন মনীষীর কথা দিয়ে শেষ করবো। আজ অনেক বাঘা বুদ্ধিজীবী টিভিতে টকশোতে গিয়ে নিজের জ্ঞানের গভীরতা জাহির করার জন্য বলে থাকেন ধর্ম! সেতো আলাদা জিনিস ধর্মকে রাজনীতির মধ্যে টানা ঠিক নয়। নির্বাচনে যেন ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি। ওইসব বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তি তুলে ধরতে চাই তিনি বলেছেনÑ “যারা ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে চায় তারা না বুঝে ধর্ম আর না বুঝে রাজনীতি।” অন্যদিকে মানুষকে কিভাবে সম্মান করতে হয় তার একটি উদাহরণ দিবো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন থেকে। একদিন শিল্পী আব্বাস উদ্দিন গিয়েছিলেন কবির বাসায় একটি ইসলামী গজল আনার জন্য। কিছুক্ষণ। অপেক্ষার পর যখন জোহর নামাজের সময় হল তখন আব্বাস উদ্দিন সাহেব নামাজে দাঁড়ালেন। নামাজ পড়া অবস্থায় কবি একটি গজল লিখে ফেললেন এবং আব্বাস উদ্দিন সাহেবকে দিয়ে বল্লেন নাও তোমার গজল। সে গানে ছিলো “হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ। দিলাম তোমার চরম তলে হৃদয় জায়নামাজ। তোমার অজুর পানি মুছো আমার পিরহান দিয়ে। আমার ঘর আজ হউক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে।” মনীষীদের এমন সব শিক্ষণীয় কথাও কি আমাদের জীবনকে সুন্দর করবে না? আমরা কি কেবল রাজনৈতিকভাবে অন্যকে ঘায়েল করার জন্য শালীনতা, সভ্যতা-ভব্যতা সব শেষ করে দেবো? বিবেকটাকে কি এতটুকু কাজে লাগাবো না? তা হলে আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ কি শিখবে আমাদের নিকট থেকে, এমন যেন না হয় আমাদের সন্তানেরা ভবিষ্যতে আমাদের দেশের রাজনীতির ইতিহাস পড়ে একথা না বলে ছিঃ কেমন নোংরা রাজনীতিই না করেছিলেন আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা। তাই হউক সরকারি দল কিংবা বিরোধী দল। সকলকেই ভাবতে হবে মানুষকে আদর্শ আর নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও সামাজিকীকরণের সকল বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। কথায় আছে “মরিয়াও মরে না লোকে যারে দোষে বাঁচিয়াও বাঁচে না লোকে যারে দোষে।” আমরা যেন মৃত্যুর পরেও মানুষের হৃদয় মাঝে বাসা বাঁধতে পারি। আমাদের কে যেন জীবিত অবস্থায়ই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে না হয়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads