মাওলানা শফীকে তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনুরা ডাকছেন ‘তেঁতুল হুজুর’ অপরাপর আওয়ামী লীগ একটু কম কম ডাকলেও লালব্রিডের নব্য আওয়ামীরা
একটু বেশি বেশি ডাকছেন। একই পুলকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াকে ডাকছেন ‘চতুর্থ মীরজাফর’। এ ধরনের
ডাকাডাকিতে অনেক আগ থেকেই এদের বিশেষ সুনাম রয়েছে। আজকে যাকে ‘জাতির পিতা’ ডাকতে ডাকতে মুখের ফেনা বের
করে ফেলছেন কেউ কেউ, একদা তাকেই ‘জুতার ফিতা’ বলে এমন আয়েশেই ডাকতেন।
রাজনীতিতে যেমন শেষ কথা বলে কিছু নেই। তেমনি এই ডাকাডাকিতে শেষ ডাক বলে কিছু নেই। ১৫
আগস্টে তাদের বাড়া ভাতে ছাই ফেলে দিয়েছিলেন বলেই ‘চতুর্থ মীরজাফর’ হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া। সে এক ভিন্ন ইতিহাস। মহল বিশেষের
বিশেষ উৎসাহে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সবাই এই তেঁতুল হুজুরের শানে নুজুলটি
জেনে গেছেন। তেঁতুল হুজুরের বিপরীতে বেতেঁতুল হুজুরদেরও দেশবাসী চিনতে পেরেছে।
আবার যারা হুজুর শ্রেণী নন, তবে এই তেঁতুল তত্ত্বটি শয়নে-স্বপনে-জাগরণে
কখনই ভুলতে পারেন না, তারাই হলেন বেতেঁতুল ঠাকুর।
এই বেতাল বা বেতেঁতুল ঠাকুরদের বিরুদ্ধে যেই দাঁড়াবেন তাকেই এমন করে ‘তেঁতুল হুজুর’ বানিয়ে ছাড়া
হবে। তেঁতুল হুজুরদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রগতির নামে এই বেতেঁতুল ঠাকুররা
অসংখ্য দুর্গতির সৃষ্টি করেছেন। অন্য আফিম যতই খাক,
‘ধর্মের আফিম’ যাতে এ দেশের
যুবসমাজ কোনোভাবেই খেতে না পরে সে দিকে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। সজীব ওয়াজেদ
জয়ের কাছে অনেক খবর যায়। দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ৩৫ শতাংশ মাদরাসাছাত্রের
হিসাব পৌঁছেছিল, তাও সম্ভবত
ক্যান্টনমেন্টগুলোতে মসজিদে গমনরতদের সংখ্যা কাউন্ট করে বের করা হয়েছে। যারা
নামাজ কর্ম করে তাদের সবাইকেই জয়ের সূত্র মাদরাসাছাত্র হিসেবে ধরেছিলেন। সেই
সংখ্যাটি বিভিন্নভাবে কমানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে তার মায়ের সরকার। এই
প্রেক্ষাপটে আজকের মা-বাবার হন্তারক ঐশী। সাধারণত ৬০০টি অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া (Near Miss Accident) ঘটনার মধ্যে একটি বড় দুর্ঘটনা সবার নজরে চলে আসে।
কাজেই সমাজের একটি ঘটনা আরো শত শত নিয়ার মিস এবং হাজার হাজার চাপা বেদনার কথা
তুলে ধরে। মাথায় টাক দেখা দিলে নাকি পকেটে টাকা আসে। তবে আমাদের পকেটে টাকা আসার
আগেই মাথার এই যন্ত্রণাদায়ক টাকটি দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা সমাজের মতো উন্নতি আসার
আগেই ওদের সমাজের দুর্গতিগুলো পানির ঢলের মতো এ সমাজে চলে এসেছে। বাপ-দাদাদের রেখে
যাওয়া সুখগুলো রফতানি এবং বিদেশী কষ্টগুলো আমদানির এজেন্সি নিয়েছেন এই বেতেঁতুল
ঠাকুরগণ। এদের চিনে রাখা অতীব জরুরি। একটি সমাজের নীতিনৈতিকতা ও শৃঙ্খলা যুগ যুগ
ধরে সৃষ্টি হয়। এখানে ধর্ম একটা বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। কিন্তু বেতেঁতুল
ঠাকুরদের দুই চোখের বিষ হলো এই ধর্ম। বিশেষ করে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের
ধর্ম। ধর্মের প্রতি আক্রোশের মূল কারণটি হলো, এদের বল্গাহীন
ভোগের সামনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হলো এই ধর্ম। ঐশী যে কারণে মা-বাবার গলা
কেটেছে, একই কারণে এরা বাপ-দাদার
ধর্মের গলাটি কাটতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্মকে বিকলাঙ্গ করে রাখা হলেও
নৈতিকতার মূল পাঠটি এখনো তারা এই ধর্মবোধ থেকেই আহরণ করে থাকেন। আমেরিকার
প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা গ্রহণের আগে দু-তিন দিন ধরে গডের সাথে অনেক বোঝাপড়া ও শপথ
করতে হয়, অনেক ধর্মীয় আচার আচরণ পালন
করতে হয়। এখানে কোনো একটি প্রাতঃরাশ প্রার্থনায় আমন্ত্রিত হতে পারলে আমাদের
দেশের যেকোনো বেতেঁতুল ঠাকুর ধন্য হয়ে যাবেন। তবে এ কাজ বাংলাদেশের গণভবনে
অনুষ্ঠিত হলে সেই একই বেতেঁতুল ঠাকুরেরা তড়পাতে তড়পাতেই মারা পড়বেন। ওই সব দেশে
প্রাইমারি শিক্ষাটি বিভিন্নভাবে চার্চের প্রভাবাধীনে রাখা হয়েছে। যেসব সমাজ
ধর্মকে নির্বাসিত করেছে বলে দাবি করে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার
অনেকগুলোই পূর্বপুরুষদের ধর্মবোধ থেকেই উৎসারিত। আমাদের দেশে সঙ্কটটি হলো, এ ধরনের কথা উচ্চারণের সাথে সাথেই এই বেতেঁতুল সারিন্দারা যে কাউকে
রাজাকার খেতাবটি দিয়ে বসেন। এ ধরনের কথা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও মাঝে মধ্যে বলেন
বলে তিনিও ‘রাজাকার’ হয়ে পড়েছেন। অথচ এই বঙ্গবীর তার পুরনো আওয়ামী লীগের মূল ভাবনা
থেকে এক চুলও নড়েননি। নড়েছে পুরো আওয়ামী নেতৃত্ব। সারা দেশবাসী তা টের পেলেও
হাইব্রিড ও লালব্রিডের আওয়ামী নেতৃত্ব তা টের পাচ্ছেন না। বেতেঁতুল ঠাকুরদের
বহুমুখী প্রচেষ্টায় এমন ডিজিটাল পরিবার তৈরি হচ্ছে যে, নিজের আহাদী মেয়েটি শখ করে একটি কফি বা চা বানিয়ে দিলেও অন্তরে
ভয় ঢুকে যাবে যে, এখনকার ঘুমটিই জীবনের শেষ ঘুম
হয় কি না। তার পরও বেতেঁতুল ঠাকুরদের আরাধ্য জীবনবোধ বা লাইফ স্টাইলটি নিয়ে
প্রশ্ন তোলা সম্ভব হচ্ছে না। সব জায়গায় ভয়, পাছে লোকে
রাজাকার বলে। ৪০ বছর ধরে এই ভয় দেখাতে দেখাতেই আমাদের পুরো ডিজিটাল পিঞ্জরে বন্দী
করে ফেলেছে। ডিজিটাল পিঞ্জরে আটকা পড়া অ্যানালগ মনটি তবু নড়েচড়ে ওঠে। ঐশীর
মায়ের অ্যানালগ মনটিও এমন করে নড়ে উঠেছিল। চরম হতাশায় নিজের মেয়েকে ‘বেশ্যা’ বলে ডাক দেয়ায় পেটের
সন্তানের কাছ থেকে স্বামীর চেয়ে আরো আট-দশটি ছুরির আঘাত বেশি খেয়েছেন। কিছু দিন
আগে এক টিভি নায়িকা আত্মহত্যা করেছেন। গ্লামার,
স্বামী-সন্তান, যশ প্রতিপত্তি
সব থাকলেও বাঁচার জন্য অকসিজেনতুল্য পারিবারিক সুখটি হারিয়ে গিয়েছিল। অন্য এক
স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিজের গায়ক ছেলেকে নিজ হাতে গুলি করেছিলেন। এটি
ছিল ‘নিয়ার মিস’। তবে এক
অভিনেতা তনয় হাতের ছুরি সহোদরের বক্ষে ঢুকিয়ে দিলে তা মিস হয়নি। নিহত ছেলেটি
নাকি তার বাপের গায়ে প্রায়ই হাত ওঠাতো। অন্য ছেলে পিতৃসম্মান রক্ষার জন্য
ভাইয়ের বুকে ছুরি বসিয়ে দেয়। পরে জানা যায় পিতৃভক্ত ঘাতক ছেলেটিও ছিল ড্রাগে
আসক্ত। সরকার ও মিডিয়ার সাথে ভালো যোগাযোগ থাকায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এই
নেতা বিষয়টি ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছেন বলে মনে হয়। একই মেজাজের আরেকটি গল্প।
দুই বন্ধুর একজন সেনাবাহিনীর মেজর, অন্যজন সম্ভবত
ইঞ্জিনিয়ার। দুই বন্ধুর এই বন্ধুত্বকে পারস্পরিক বেয়াই বানিয়ে দিলেন তাদের
ছেলেমেয়ে। ছেলেটি বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার। মেয়েটি ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষিকা। সব কিছুতেই সোনায় সোহাগা। এমন অগ্রসর পরিবারের স্বামীটি প্রিয়তমা
স্ত্রীর চোখ দু’টি আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে
চিরদিনের জন্য নষ্ট করে দিলেন। কারণ ছিল, দাম্পত্য জীবনে
এক বিদেশী যুবকের অনুপ্রবেশ। স্ত্রীর চোখ নষ্টকারী এই স্বামী কিছু দিন পর
জেলখানায় নিজেও মারা যান। সেই দুই বন্ধুর একজনের কাঁধে উঠেছে দুনিয়ায় সবচেয়ে
ভারী ছেলের লাশ। অন্য বন্ধুর হাতে অন্ধ মেয়ের সাদা ছড়ি। এসব দেখে আড়াল থেকে যে
হাসছে তার নাম শয়তান, মিস্টার আজাজিল। এদের
প্রতিনিধি বেতেঁতুল ঠাকুরেরা। অন্য ঘটনায় সর্বাপেক্ষা প্রাচীন দৈনিক পত্রিকাটির
এক সাংবাদিক জড়িত। ভদ্রলোক রাজধানীর বুকে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন। এ সাংবাদিক
মহাশয়ের ছেলেবউ ও দুই নাতি-নাতনী একত্রে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার পরিকল্পনা
নিয়ে এ অসহায় নারী নিজের দু’টি ছোট শিশুর
সাথে দিনের পর দিন আলোচনা করেছে। ঘরের দেয়ালে নিজেদের মনের কষ্টগুলোও ওরা লিখে
গেছে। আত্মহত্যার কারণ অন্য এক নারী, যে ছিল হতভাগা
নারীর নিজের কাজিন ও আশ্রিতা। যে দাদা-দাদী তাদের বাবাকে ফেরাতে পারত, তাদের নিষ্ঠুর নীরবতা ছোট শিশু দু’টিকেও ক্ষুব্ধ
করেছে। আলোকিত সমাজের সাংবাদিক দম্পতি এ অসহায় মেয়ে ও তার দু’টি নাতির পক্ষে দাঁড়াননি। অপত্যস্নেহে নিজের ছেলের সব
বেলেল্লাপনাকে প্রশ্রয় দিয়ে গেছেন। এদের সবাইকে টেক্কা মেরেছে ঐশী নামের
মেয়েটি। আমাদের দুই ভাইয়ের সন্তানদের মধ্যে একমাত্র মেয়ে আমার ভাতিজির নামটিও
ঐশী। কাজেই এই নামের প্রতি বিশেষ টান অনুভব করছি। এই লোমহর্ষক ঘটনার সাথে এই নাম
জড়িত দেখে সত্যিই আঁতকে উঠেছি। মনে হচ্ছে, সমস্যা থেকে
আমরা কেউ খুব বেশি দূরে নই। বাঙালি চেহারায় কোনো মেয়ে এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা হজম করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমার লেখাটি পড়ে ময়মনসিংহের
অ্যাডভান্সড রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভর্তি হওয়া প্রাণপ্রিয় ঐশীমণির মনটি
খারাপ হয়ে যেতে পারে। যদিও নামটি ছাড়া আর কোনো কিছুর সাথেই ওর কোনো মিল নেই। ওর
কলেজ, পারিবারিক পরিবেশ ও পারিবারিক আকাক্সক্ষা সবই ভিন্ন।
আসলে আলোচিত ঐশীকে কাঠগড়ায় তোলার আগে আরো অনেককে কাঠগড়ায় তোলা দরকার। নেশার
মারণকামড় থেকে উন্নত বিশ্বও নিরাপদ নয়। এর মূল কারণ, ওদের পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তো
এমন হওয়ার কথা ছিল না। যেখানে পরিবারের সুখ আছে,
সেখানে নেশার সুখের দরকার পড়ে না। কাজেই কত সহজেই না আমরা এ
সমস্যা সমাধান করতে পারি। একটি বাক্যই এখানে যথেষ্টÑ
তা হলো আমাদের পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধটি যে করেই হোক ফিরিয়ে
আনতে হবে। হিজাব, দাড়ি, টুপি ধর্মের মাত্র এক ভাগ। এর বাইরে আরো নিরানব্বই ভাগ রয়েছে যা
পালন করলে আধুনিক জীবন থেকে বাইরে যাওয়ার দরকার পড়বে না। পরকালে পুরস্কারের জন্য
যেসব কর্মকাণ্ডকে আবশ্যক শর্ত করা হয়েছে, সেগুলো করলে এই
দুনিয়ায়ও সেই ব্যক্তি বর্তমান পৃথিবীর যেকোনো দেশের উত্তম নাগরিক হিসেবে গণ্য
হবেন। বেহেশতের টিকিটধারী মানুষটি যেকোনো সমাজে উত্তম মানুষ হিসেবে হবেন বিবেচিত।
আল্লাহর কাছে প্রিয় মানুষটি পৃথিবীর যেকোনো নারীর কাছে উত্তম স্বামী হিসেবে আর
যেকোনো মা-বাবার কাছে উত্তম সন্তান হিসেবে গণ্য হবেন। পৃথিবীর যেকোনো জনতার কাছে
উত্তম নেতা হিসেবে গণ্য হবেন। ‘আল্লাহর মাইর’ বা প্রকৃতির প্রতিশোধের বাইরে আমরা কেউ নই। যে অসৎ পুলিশ
কর্মকর্তাটি সমাজটিকে অনাবাসযোগ্য রাখতে ভূমিকা রেখেছে, এ সমাজের অংশ হিসেবে তার ফল তাকেও একদিন-না-একদিন কোনো না কোনোভাবে
ভোগ করতে হবে। এ ভয় ও ভাবনাটি কোনো পুলিশ কর্মকর্তার মনে ঢুকলে সেই পুলিশবাহিনী
মৌলবাদী হয়ে পড়বে না। এমন একটি পুলিশবাহিনী সৃষ্টি করতে পারলে মাদরাসা নিয়ে
আতঙ্কিত সজীব ওয়াজেদ জয়েরও লোভ জাগবে এই সোনার দেশটিতে এসে স্থায়ীভাবে থাকার।
ধর্ম হোক বা কোনো নান্দনিক চর্চার মাধ্যমেই হোকÑ
এ সমাজের দরকার কিছু ভালো মানুষ,
কিছু ভালো পুলিশ, কিছু ভালো
পলিটিশিয়ান তৈরি করা। নান্দনিক, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেই ভালো মানুষগুলো তৈরি করতে পারে।
যেকোনো ফ্যাক্টরির প্রোডাক্ট হোক না কেন, সৎ মানুষটি সব
জায়গায় মানবতার সুঘ্রাণ ছড়াতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষাকেও এ সুযোগের বাইরে রাখলে
সমাজের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। কারণ উত্তম সিভিল সার্ভেন্ট ও উত্তম নাগরিক
তৈরিতে ধর্মের হাতে এমন জিনিস আছে, যা অন্যের হাতে
নেই। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে হলে এই ধর্ম বোধটিকে কখনোই তার বাইরে রাখা ঠিক
হবে না। চারটি R অর্থাৎ Reading, Writing. Arithmatic and Religion নিয়েই হলো শিক্ষা। তা থেকে
একটিকে বাদ রাখলেও সেই শিক্ষা কখনোই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হতে পারে না। সবচেয়ে
মারাত্মক প্রবণতাটি হলো, ধর্মের অপব্যবহার রুখতে গিয়ে
ধর্মের সব ব্যবহার আমরা রুদ্ধ করে ফেলেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যুবসমাজের মধ্য থেকে
মৌলবাদী ভূত তাড়ানোর নামে জাতি এই বেতেঁতুল ওঝাদের শরণাপন্ন হয়েছে। এরা মৌলবাদের
ভূত তাড়াতে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের ওপর আক্রমণকারী ও টেন্ডারবাজ
দিয়ে ভরে ফেলেছে। ঘরে ঘরে মা-বাবার ঘাতকদের ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজেই এই ঐশীর
বিচার হওয়ার আগে যারা ঐশীদের তৈরি করছে, তাদের বিচার
হওয়া দরকার।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
- ► সেপ্টেম্বর (107)
-
▼
আগস্ট
(95)
- সংসদের এই অধিবেশনেই নির্দলীয় সরকার বিল পাস করতে হ...
- ব্যতিক্রমী রাজনীতি, নেতৃত্ব এবং জনসম্পৃক্ততা
- সাংবিধানিক সরকার বনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- স্বাধীনতার ভাবনা, একটি সাক্ষাৎকার ও কিছু কথা
- ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিই জাতীয় ঐক্যের পথে প্রধান বাধা
- শেষ সময়ের ‘হরিলুট’
- তেঁতুল হুজুর, বেতেঁতুল ঠাকুর এবং আমাদের ঐশীমণি
- এ ধরনের প্রচারে জনমনে কোনো প্রভাব পড়ে না
- আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ
- আরে ও উজান গাঙের নাইয়া
- শেষ সময়ের দৌরাত্ম্য
- সিনেট নির্বাচন : যোগ্যপ্রার্থীকে ভোট দিন
- একচুলও না নড়ার নেপথ্যে ২১টি কারণ
- নিজেদের প্রগতির পথে নিজেরাই বাধা
- রাজনীতি কী এবং কেন
- বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থা জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও ক...
- ঐশীর বদলে যাওয়া প্রসঙ্গে-
- আমরা কি অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো?
- সংলাপের আহ্বান গণআকাঙ্ক্ষারই
- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব
- দশম সংসদ : নির্বাচন হবে তো?
- আইনের দৃষ্টিতে পুলিশের ক্ষমতা ও প্রয়োগ
- ঝোলেঝালে ইলিশ আর পিঁয়াজের গল্প
- মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন
- দোষ কার ঐশীর? বাবা-মায়ের? নাকি সমাজ ও রাষ্ট্রের?
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চীনা রাষ্ট্রদূত এবং ড...
- গণতন্ত্রহীন গণতন্ত্র,গন্তব্য কোথায়?
- আইনের শৃঙ্খলা বেআইনি প্রবেশ
- ঐশী ও তার বন্ধুরা যেন তৈরি না হয়
- সময় খুব কম : প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্...
- ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ আগস্ট
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা (গতকালের পর)
- শিয়াল ধরা পলিটিক্স
- অবশেষে বিলবোর্ড নাটকের যবনিকাপাত
- রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে
- মেয়াদ শেষে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই
- আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভেজাবো না!!
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা- তারেক রহমান
- জনস্বার্থে পুলিশের ব্যবহার
- বাতিঘর নিজেই এখন আলোহীন
- একটি পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী
- আবারও সরকারি দলের মামলা প্রত্যাহারের তোড়জোড়
- ঐশীর অধঃপাতে আমিও দায়ী
- বিলবোর্ড দখলের কেলেঙ্কারি
- ঐশী সমাজের জন্য এক বড় প্রশ্ন
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ও কিছু কথা
- কিল অ্যান্ড রুল!
- দ্রব্যমূল্য : সরকারের সাফল্য কোথায়?
- মিসরের ঘটনাবলি ও বাংলাদেশ
- আদিল এখন সরকারের গলায় কাঁটা
- অধিকারের কণ্ঠরোধ : দুনিয়া জুড়ে ধিক্কার ইসলামী জন...
- বিলবোর্ডে উন্নয়ন মহড়া ও নগদ লাভ
- সুশাসনের নাম ক্ষমতার দাপট!
- মিসরে গণহত্যা এবং গভীর রাজনৈতিক সংকট
- শেখ হাসিনা সরকারের শাসন আমল ও দুঃশাসন
- বাকশাল থেকে ডিজিটাল ও গণতন্ত্রের আবাবিল পাখি
- তত্ত্বাবধায়ক বনাম নির্বাচনকালীন সরকার ভাবনা
- ত্রাসের পরিণতি, বলপ্রয়োগের পরিণাম এবং সমঝোতার সুফল
- সরকারের সাফল্য সম্বন্ধে বিকল্প বিলবোর্ড
- সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতা বনাম মেকি বিলব...
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার! 2
- বিষাক্ত এই রাজনীতি কি দূর হবার নয়
- তত্ত্বাবধায়কের দাবি জোরদার
- ‘অধিকার’ সম্পাদকের গ্রেফতার ও সরকারের যুক্তি প্রসঙ্গে
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার!
- কেউ ফিরেও তাকায় না
- অধিকার এবং প্রোপাগান্ডা
- বিরোধী গণ বিক্ষোভের সাঁড়াশি অভিযান প্রস্তুতি
- উন্নয়নের বিলবোর্ড আত্মহননের আলামত!
- স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- সালিসের তালগাছ ছাড়তে হবে
- জয়কে দিয়ে জয় হবে না
- যে কারণে এ অস্থিরতা
- দলবাজির রাজনীতি পরিহার করতে হবে
- ভারত নেয় দেয় না কিছু
- বাঙালি মুসলমানের ঈদ
- এত কিছু করেও তারা দিশেহারা
- দলের নিবন্ধন বাতিল ও রাষ্ট্রে বহুমত চর্চা
- রানা প্লাজার কান্না
- নির্বাচন নাকি গণতন্ত্র?
- নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া আদালতের রায় ও জামায়াতের ...
- এসব কী করে ছাত্রদের কাজ হয়?
- খুন নাশকতা ও পুলিশ
- বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক নীতি
- নির্বাচনের আগে দেশে আরো রক্ত ঝরবে?
- বিভক্ত রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল : কয়েকটি প্...
- দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন নয়
- আমরা মাইনর, আপনি মেজর
- একদিকে দিল্লিতে ব্যর্থতা এবং অন্যদিকে প্রধানমন্ত্র...
- আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে
- গডফাদারকে হত্যাকারীর লাইভ টেলিকাস্ট
- সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্যাতন
- দেশতো কারো তালুক নয়
- ষোল কোটি মানুষকে অসম্মান করবেন না
- রাজনীতির দৌড়
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন