খুনের উৎসবে
যুবলীগ নেতা মিল্কির হত্যা একটি নতুন মাত্রা যোগ করল। কারণ এত দিন আমরা শুধু
ফিল্মি কায়দায় হত্যার বর্ণনা পেয়ে এসেছি। সিনেমার বাইরে এবার প্রথম ফিল্মি
খুনের প্রথম লাইভ দৃশ্য দেখা গেল। ফিল্মি কায়দায় খুন মানে কীÑ এ হত্যাকাণ্ড আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেল। খুনির নির্মমতা
ও অভিনব চর্চা সিনেমার কাইমেক্সকে ছাড়িয়ে গেল। এক হাতে কানে মোবাইল রেখে কথা
বলতে বলতে তিনি নিজের প্রাণের বন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দিকটিও ছিল লক্ষণীয়। নেপাল, দুুবাই ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বসে খুনিরা অপারেশনের
নীলনকশা তৈরি করেছে। ঘটনার ঠিক তিন দিন আগে কিলিং স্পটের পাশে বসেই মিশন
বাস্তবায়ন নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে খুনিচক্র। ছয় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে অপারেশনের
বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। মিল্কি ও তারেক উভয়েই একই সংগঠনের একই
ইউনিটের নেতা। দীর্ঘ দিনের দহরম-মহরম ও একসাথে ওঠাবসা তাদের। পদের লোভ অর্থের
ভাগবাটোয়ারার কাছে নিজেদের বন্ধুত্বকে অর্থহীন প্রমাণ করলেন তারা। মতিঝিল হচ্ছে
বাংলাদেশের ওয়ালস্ট্রিট। এখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ওড়ে। ব্যাংক-বীমাসহ
বাংলাদেশের বেসরকারি প্রায় সব উদ্যোগের সদর দফতর এটি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের
কাজকারবারের আকারও প্রকাণ্ড। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি তাই এখানে রমরমা। মিল্কি ও
তারেক দু’জনই শূন্য থেকে প্রভূত
বিত্তের মালিক হয়েছেন এই এলাকা থেকেই। ভাগজোক করে নিয়েই তাদের অর্থ-বিত্ত ফুলে
ফেঁপে উঠেছে। ভাগাভাগির একপর্যায়ে পছন্দ না হওয়া মানবীয় চরিত্রের একটি দুর্বল
দিক। নিজের ভাগকে তারা আর যথেষ্ট মনে করছিল না। লোভের আগুন বড়ই ভয়ঙ্কর। জেগে
উঠেছিল লোভের আগুন। পুরোটাই নিজের জন্য চেয়েছিলেন তারা। মিল্কি এ প্রতিযোগিতায়
এগিয়ে গিয়েছিলেন। কাউকে খুন করে পথ পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়নি তার। খবরে
প্রকাশ, মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে
উত্থান হওয়া মিল্কি যুবলীগে প্রভাবশালী হয়ে উঠছিলেন। নবগঠিত কমিটিতে নিজের পদ
ছাড়াও পছন্দের লোকেদের জায়গামতো সেট করেছিলেন। সংখ্যাধিক্যের জোরে যুবলীগের
কমিটিতে নিজের পক্ষে সিদ্ধান্ত বাগানো তার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। চাঁদাবাজি ও
টেন্ডারবাজির অর্থে কমিশনার পদপ্রার্থী হওয়ার পথ তার জন্য সুগম হয়েছিল।
প্রতিপক্ষ যেখানে বাটোয়ারার পুরোটার জন্য লালায়িত,
সেখানে তারা দেখল সব কিছুতেই তারা হারতে বসেছে। যে ভাগ তারা এত দিন
পেয়ে আসছিল ভবিষ্যতে সেটাও পাওয়ার নিশ্চয়তা শঙ্কার মধ্যে পড়ে যাচ্ছিল। মিল্কির
কৌশল ও চাতুর্যের কাছে তারা ধরাশায়ী হয়ে যাচ্ছিল। প্রতিপক্ষের চোখের সামনে তিনি ‘উজ্জ্বল’ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে চলছিলেন।
পরাজিত পক্ষকে তাই হার্ডলাইনে যেতে হয়েছে। তারা নেপাল, দুুবাই আর রাজধানীর নামীদামি হোটেলে বসে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে
দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছেন। হত্যার এ ঘটনা আকস্মিক নয়। খবরে এর বিস্তারিত বিবরণ
পাওয়া যাচ্ছে। কেউ জানাচ্ছে, ছয় মাস আগে
তাকে হত্যার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত হয়। কেউ বলছে, তিন মাস আগে।
অন্যরা খবর দিচ্ছে, এক মাস আগে। এটা নিশ্চিতভাবে
বোঝা যাচ্ছে হত্যার সিদ্ধান্তটি মিল্কির মাথার ওপর ঝুলছিল। এ জন্য তারা যুদ্ধাপরাধ
মামলার রায়ের দিনগুলো বেছে নিতে চেয়েছিল বলেও খবর জানা যাচ্ছে, যাতে করে তাকে হত্যার দায়টি যুদ্ধাপরাধীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া
যায়। যুবলীগের কোন কোন নেতা এর সাথে জড়িত তাও প্রকাশ পেয়েছে । কোন সন্ত্রাসী
নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। ষড়যন্ত্র যত গোপনেই হোক তার একটা গন্ধ বাতাসে ভেসেছে।
মিল্কি নিজেই সেটি টের পেয়েছেন। বাংলাদেশের পুলিশ ‘নাশকতা’র অপচেষ্টাকে অগ্রিম ভণ্ডুুল করে দেয়ার ক্ষেত্রে রীতিমতো
বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। অন্তত এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিগত সাড়ে চার বছরে ঘটতে যাওয়া প্রতিটি ‘নাশকতা’র যড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছেন
অত্যন্ত সফলভাবে। তা না হলে দেশে কেন একটি নাশকতার ঘটনাও ঘটল না! নিশ্চই ওই সব যদি
তারা ভণ্ডুল করতে না পারতেন ভারত ও নেপালের মতো ছিটেফোঁটা অন্তত কয়েকটি নাশকতার
ঘটনা বাংলাদেশে ঘটতে পারত। সংবাদ সম্মেলনের প্রতি আমাদের কয়েকটি বাহিনীর কিছু
সদস্যের লোভ দেখে কৌতুক অনুভব হয়। ‘নাশকতা’র অগ্রিম অভিযোগে আটক নাগরিকদের সাথে সিনা টান করে তারা দাঁড়ান।
পুলিশ, র্যাব কখনো বা বর্ডার গার্ডের সদস্যদের কথিত
নাশকতাকারীদের পাশে গর্বিত ছবি দেখতে তারা নিজেরাই যে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। মিল্কি খুন তার সর্বশেষ নজির। ওই
দিনই রাজধানীতে ছয়টি খুন হয়। মিল্কির মুল খুনি তারেক ক্রসফায়ারের নামে শেষ করে
দিয়ে আবার জানিয়ে দেয়া হলো হত্যার বিচার করা যাবে না। বর্তমান অবস্থায় খুনের
বিচার সম্ভব নয়। সাড়ে চার বছরে দেশে খুন গুম ও অপহরণের হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে।
স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ধরে এনে একচেটিয়া জিহাদি ও জঙ্গি তকমা দিয়ে
নাশকতা ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য বিজয়ের বিশাল হাসি দিলেও দেশে ঘটে যাওয়া খুন-গুম ও
অপহরণের একটি ঘটনাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অগ্রিম ঠেকাতে পারেনি। জলের মতো পরিষ্কার
অপরাধের কোনো কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। অপরাধীদের শনাক্ত করা ও ধরার ক্ষেত্রে
চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে তারা। চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী গুম ও তারকা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুনসহ আরো শত
শত জঘন্য ঘটনার একটির ব্যাপারেও পুলিশ কোনো অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে পারেনি। জঙ্গি
তৎপরতা দমনের চেয়ে এসব অভিযান অনেক সহজ হওয়ার কথা। যেখানে জঙ্গিরা বিশ্বের সেরা
সেরা গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে। প্রশিক্ষত গোয়েন্দা
বাহিনীকে কুপোকাত করে বিশ্বের সেরা সেরা স্থাপনায় আঘাত হানছে সাফল্যের সাথে।
আমাদের পুলিশের ক্ষেত্রে ঘটছে স¤পূর্ণ উল্টো
ঘটনা। তারা জলবৎ তরল ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে স¤পূর্ণ ব্যর্থ
আর সবচেয়ে কঠিন অপারেশনে হচ্ছে সফল! কখনোই না ঘটা ‘নাশকতা’ দমনে পুলিশের সাফল্য বড়ই হাস্যকর। এর সাথে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর
রাজনৈতিক লাঠিয়ালের ভূমিকার একটি যোগসুত্র রয়েছে। শাপলা চত্বর ক্রাকডাউনের পর
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও পুলিশের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে দেয়া বিবৃতির মিল দেখে
অবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে পুলিশের প্রতি মানুষের
আস্থা এখন তলানিতে। বিডিআরকে (বর্তমান বর্ডার গার্ড) মানুষ অপেক্ষাকৃত একটি
আস্থাভাজন বাহিনী হিসেবে দেখে থাকে। বিগত বছরগুলোতে এ বাহিনী অনেকটাই পুলিশের
কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। বিএসএফ সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশের নাগরিক
হত্যা করছে। নবগঠিত বাংলাদেশী বর্ডার গার্ডের ভূমিকা সেখানে নগণ্য বলে প্রতীয়মান
হয়। এরাই বিক্ষোভ দমনের নামে দেশের অভ্যন্তরে এসে নিজেদের নাগরিক হত্যা করতে
দ্বিধা করছে না। এখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ও বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী উভয়ের দায়িত্ব
হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা। শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের পর বর্ডার
গার্ডের পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্য সরকারি দল আওয়ামী লীগের দেয়া বক্তব্যের
সাপ্লিমেন্টারি মনে হয়েছে। মিল্কি নিজে পুলিশের কাছে জীবনহানির শঙ্কা ব্যক্ত
করেছেন। খুনিরা গুলশানে ছয় ঘণ্টার যে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন সম্ভবত তার আগেই
পুলিশের কাছে সেই আর্জি তিনি জানিয়েছিলেন। মতিঝিলে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি নিয়ে
যুবলীগের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও প্রকাশ্য ছিল। মিল্কি ও তার প্রতিপক্ষ মতিঝিলে
কয়েকবার মুখোমখি হয়েছিল। অর্থাৎ মিল্কি হত্যা হঠাৎ ঘটা কোনো ইনসিডেন্ট নয়।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ক্ষমতা ও অর্থের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে যে নীরব
মহড়া চলে আসছিল, তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের
একটি ছিল এটি। এর আরো ভয়াবহ প্রকাশ সামনে আরো ঘটতে পারে। এত সহজে শনাক্তযোগ্য
একটি ঘটনাকে পুলিশ কেন অগ্রিম ভণ্ডুল করতে পারল না?
এই প্রশ্ন সাধারণ জনগই করতে পারে। তা হলে এ বাহিনী জনগণের
নিরাপত্তার ব্যাপারে গাফেলÑ এ সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। অন্য
দিকে ‘নাশকতা’ দমনের নামে
অপ্রয়োজনীয় কাজ করে ক্রেডিট নিতে তৎপর। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন
যুবলীগ কতটা অর্থকরী মিল্কি ও তারেক খুনের পর তা প্রকাশ পেল। ইত্তেফাক লিখেছে, মহানগরী যুবলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের পদ বিক্রি হয়েছে ৫০ লাখ থেকে
এক কোটি টাকায়। যুবলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের দরদাম এতটা কেন উঠেছে পুলিশ কি কখনো এ
নিয়ে কাজ করেছে? অন্তত এ বেআইনি কর্মকাণ্ডের
প্রতি মনোযোগী হলে অযাচিত প্রাণহানির দু’টি ঘটনা ঘটত
না। বেঁচে যেতেন মিল্কি ও তার বন্ধু তারেক। এতে এটাও প্রমাণ হয়, ক্ষমতাসীনেরা দেশকে ভাগজোক করে নিয়েছে। এ জন্য অমুক লীগ, তমুক লীগ নামের শত শত সংগঠনের জন্ম হয়েছে। প্রশাসনের সমান্তরাল
আরেকটি প্রশাসন তারা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে চলছে বেআইনি সব কর্মকাণ্ড। পুলিশকে
ব্যস্ত থাকতে দেখা যচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে মিলাদ মাহফিল নিয়ে। নাশকতার
আশঙ্কার অভিযোগ এনে সেটা ভণ্ডুল করায় তাদের উৎসাহের অন্ত নেই। একই কারণে সরকারি
অফিসে জোর করে টেন্ডার দখল, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে
চাঁদাবাজি কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে না। ‘নাশকতা’ ও ‘জঙ্গি’ ইস্যু দিয়ে অপরাধকে আড়াল করার যে চেষ্টা হচ্ছে মিল্কি খুনের
ঘটনায় ঘাতক তারেক সেই ঢাল ব্যবহার করতে চাইল। টুপি-পাজামা-পাঞ্জাবিকে পুলিশ এখন
নাশকতার প্রতীক হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তারেক এ পোশাক ব্যবহার করেছে হত্যার সময়।
এর মাধ্যমে চোখে ধুলা দেয়ার চেষ্টা করেছে তারেক। পুলিশও হয়তো মিল্কি হত্যাকে
নাশকতার একটি ঘটনা হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিতে পারত এ সুযোগে; কিন্তু বাদ সেধেছে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সিসি ক্যামেরা। অপরাধীকে
আইনের আওতায় আনতে পুলিশের ব্যর্থতার অন্ত নেই; কিন্তু অপরাধকে
আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে তাদের সফলতার প্রশংসা না করে পারা যায় না। অন্তত
মিল্কির খুনি তারেকের ক্রসফায়ারের পর কারো এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকার কথা নয়।
গ্রেফতার হওয়া তারেক একই সাথে মিল্কির প্রতিপক্ষ,
যুবলীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতা স্বয়ং খুনি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে
সে একাই ছিল যথেষ্ট। পুলিশের কাছে ১ নম্বর প্রায়রিটি হওয়ার বিষয় ছিল তারেকের
নিরাপত্তা। তাকে সেইফ কাস্টোডিতে নিরাপদে রাখাই ছিল একমাত্র কাজ; কিন্তু তাকে নিয়ে যাওয়া হলো খিলক্ষেতে। এরপর তিনি হয়ে গেলেন
এনকাউন্টারের একটি গতানুগতিক কাহিনী। অন্য যারা এ হত্যার সাথে জড়িত, তাদের নামধাম প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এরা একই সাথে সন্ত্রাসী ও
যুবলীগের সদস্য। তাদের ছবিসংবলিত প্লাকার্ড-ফেস্টুন রাজধানীর আনাচে-কানাচে ভরা; কিন্তু পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
- ► সেপ্টেম্বর (107)
-
▼
আগস্ট
(95)
- সংসদের এই অধিবেশনেই নির্দলীয় সরকার বিল পাস করতে হ...
- ব্যতিক্রমী রাজনীতি, নেতৃত্ব এবং জনসম্পৃক্ততা
- সাংবিধানিক সরকার বনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- স্বাধীনতার ভাবনা, একটি সাক্ষাৎকার ও কিছু কথা
- ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিই জাতীয় ঐক্যের পথে প্রধান বাধা
- শেষ সময়ের ‘হরিলুট’
- তেঁতুল হুজুর, বেতেঁতুল ঠাকুর এবং আমাদের ঐশীমণি
- এ ধরনের প্রচারে জনমনে কোনো প্রভাব পড়ে না
- আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ
- আরে ও উজান গাঙের নাইয়া
- শেষ সময়ের দৌরাত্ম্য
- সিনেট নির্বাচন : যোগ্যপ্রার্থীকে ভোট দিন
- একচুলও না নড়ার নেপথ্যে ২১টি কারণ
- নিজেদের প্রগতির পথে নিজেরাই বাধা
- রাজনীতি কী এবং কেন
- বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থা জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও ক...
- ঐশীর বদলে যাওয়া প্রসঙ্গে-
- আমরা কি অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো?
- সংলাপের আহ্বান গণআকাঙ্ক্ষারই
- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব
- দশম সংসদ : নির্বাচন হবে তো?
- আইনের দৃষ্টিতে পুলিশের ক্ষমতা ও প্রয়োগ
- ঝোলেঝালে ইলিশ আর পিঁয়াজের গল্প
- মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন
- দোষ কার ঐশীর? বাবা-মায়ের? নাকি সমাজ ও রাষ্ট্রের?
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চীনা রাষ্ট্রদূত এবং ড...
- গণতন্ত্রহীন গণতন্ত্র,গন্তব্য কোথায়?
- আইনের শৃঙ্খলা বেআইনি প্রবেশ
- ঐশী ও তার বন্ধুরা যেন তৈরি না হয়
- সময় খুব কম : প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্...
- ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ আগস্ট
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা (গতকালের পর)
- শিয়াল ধরা পলিটিক্স
- অবশেষে বিলবোর্ড নাটকের যবনিকাপাত
- রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে
- মেয়াদ শেষে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই
- আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভেজাবো না!!
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা- তারেক রহমান
- জনস্বার্থে পুলিশের ব্যবহার
- বাতিঘর নিজেই এখন আলোহীন
- একটি পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী
- আবারও সরকারি দলের মামলা প্রত্যাহারের তোড়জোড়
- ঐশীর অধঃপাতে আমিও দায়ী
- বিলবোর্ড দখলের কেলেঙ্কারি
- ঐশী সমাজের জন্য এক বড় প্রশ্ন
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ও কিছু কথা
- কিল অ্যান্ড রুল!
- দ্রব্যমূল্য : সরকারের সাফল্য কোথায়?
- মিসরের ঘটনাবলি ও বাংলাদেশ
- আদিল এখন সরকারের গলায় কাঁটা
- অধিকারের কণ্ঠরোধ : দুনিয়া জুড়ে ধিক্কার ইসলামী জন...
- বিলবোর্ডে উন্নয়ন মহড়া ও নগদ লাভ
- সুশাসনের নাম ক্ষমতার দাপট!
- মিসরে গণহত্যা এবং গভীর রাজনৈতিক সংকট
- শেখ হাসিনা সরকারের শাসন আমল ও দুঃশাসন
- বাকশাল থেকে ডিজিটাল ও গণতন্ত্রের আবাবিল পাখি
- তত্ত্বাবধায়ক বনাম নির্বাচনকালীন সরকার ভাবনা
- ত্রাসের পরিণতি, বলপ্রয়োগের পরিণাম এবং সমঝোতার সুফল
- সরকারের সাফল্য সম্বন্ধে বিকল্প বিলবোর্ড
- সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতা বনাম মেকি বিলব...
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার! 2
- বিষাক্ত এই রাজনীতি কি দূর হবার নয়
- তত্ত্বাবধায়কের দাবি জোরদার
- ‘অধিকার’ সম্পাদকের গ্রেফতার ও সরকারের যুক্তি প্রসঙ্গে
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার!
- কেউ ফিরেও তাকায় না
- অধিকার এবং প্রোপাগান্ডা
- বিরোধী গণ বিক্ষোভের সাঁড়াশি অভিযান প্রস্তুতি
- উন্নয়নের বিলবোর্ড আত্মহননের আলামত!
- স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- সালিসের তালগাছ ছাড়তে হবে
- জয়কে দিয়ে জয় হবে না
- যে কারণে এ অস্থিরতা
- দলবাজির রাজনীতি পরিহার করতে হবে
- ভারত নেয় দেয় না কিছু
- বাঙালি মুসলমানের ঈদ
- এত কিছু করেও তারা দিশেহারা
- দলের নিবন্ধন বাতিল ও রাষ্ট্রে বহুমত চর্চা
- রানা প্লাজার কান্না
- নির্বাচন নাকি গণতন্ত্র?
- নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া আদালতের রায় ও জামায়াতের ...
- এসব কী করে ছাত্রদের কাজ হয়?
- খুন নাশকতা ও পুলিশ
- বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক নীতি
- নির্বাচনের আগে দেশে আরো রক্ত ঝরবে?
- বিভক্ত রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল : কয়েকটি প্...
- দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন নয়
- আমরা মাইনর, আপনি মেজর
- একদিকে দিল্লিতে ব্যর্থতা এবং অন্যদিকে প্রধানমন্ত্র...
- আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে
- গডফাদারকে হত্যাকারীর লাইভ টেলিকাস্ট
- সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্যাতন
- দেশতো কারো তালুক নয়
- ষোল কোটি মানুষকে অসম্মান করবেন না
- রাজনীতির দৌড়
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন