১৯৬৫ সালের
পাকিস্তান-ভারত ১৭ দিনের যুদ্ধের কথা অনেকেরই মনে আছে। তখন আমি প্রাইমারি স্কুলের
ছাত্র। যুদ্ধ কী জিনিস তার কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা তখন প্রথম অর্জন করেছিলাম। ৬ সেপ্টেম্বর
যুদ্ধ বাধল কাশ্মিরের কিছু ঘটনা নিয়ে। আমাদের ছোট ফেনী শহরেও সন্ধ্যায়
ব্ল্যাকআউটÑ মানে বাতি নিভিয়ে রাখা বা
আলো ঘরের বাইরে যেতে না দেয়া, সিভিল ডিফেন্স
মহড়া, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষকদের দীর্ঘ
মিছিল ইত্যাদির কথা মনে পড়ে। বোধ হয় বিমান হামলার সময়ে আত্মরক্ষার জন্য পরিখাও
খুঁড়েছিলেন অনেকে। তখন একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তরুণ
বৈমানিক এবং আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবদুল মুকিত বিমানবিধ্বস্ত হয়ে মারাত্মকভাবে আহত
হন। ঘটনাটা তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান তাকে হাসপাতালে
দেখতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। ক্যাপ্টেন মুকিত পরে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অবদান
রেখে বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন। তিনি ’৭২ সালে
বাংলাদেশ বিমানের সর্বপ্রথম ফাইটের বৈমানিকদের একজন। যা হোক, তখন টিভির আওতা ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। মানুষের ভরসা হিসেবে রেডিও
ছিল খুবই জনপ্রিয়। চট্টগ্রাম বেতারের সম্প্রচার শক্তি সে সময় পর্যাপ্ত থাকায় এই
কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেশের অনেক জায়গাতেই শোনা যেত। ’৬৫ সালের যুদ্ধের সময়ে রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিশেষ
আকর্ষণ ছিল পুঁথিপাঠ। শত্রুদেশের সাথে লড়াইয়ে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করা
ছিল এর লক্ষ্য। বাঙালি মুসলিম সমাজে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত পুঁথি ছিল সাধারণ
মানুষের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। এর রেশ রয়ে গিয়েছিল অনেক ক্ষেত্রে। ’৬৫-এর যুদ্ধের আগে ফেনীতে আমাদের প্রতিবেশী এক বৃদ্ধকে বাড়ির
সামনে গাছতলায় সুর করে পুঁথি পড়তে দেখেছি। ঢাকা বেতারে মাঝে মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী
আবদুল লতিফ পুঁথি পড়তেন। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বেতারের পুঁথিপাঠ আর
ঢাকা বেতার হিং টিং ছট’ ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। সুর করে সত্যিকারের পুঁথির ভাষায়
যিনি চলমান যুদ্ধে স্বদেশের সৈন্যদের বীরত্ব আর প্রতিপক্ষ ভারতের কাণ্ডকীর্তি
বয়ান করতেন, তার নাম বেলাল মোহাম্মদ। তার
পুঁথিপাঠ শোনার জন্য শ্রোতারা উন্মুখ হয়ে থাকত। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এটা ছিল
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে এম আর আখতার মুকুল পঠিত ‘চরমপত্র’-এর মতো। অথচ এই পুঁথিপাঠের
বিষয়টি কেউ বেলাল মোহাম্মদ স্মরণে লিখতে গিয়ে উল্লেখ করেননি। যা হোক, বেলাল মোহাম্মদ সম্পর্কে জানার সুযোগ না হলেও তার ব্যতিক্রমী নামটা
মনে গেঁথে রইল। তিনি আবার বেতার সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ
হলেন। তখন ১৯৭১ সালের মার্চ। আর বেতার কেন্দ্রটি ‘রেডিও
পাকিস্তান’ নয়, ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’। এর যে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠাতা, বেলাল মোহাম্মদ
তাদের একজন। চট্টগ্রামে কালুরঘাটের এই বেতার থেকেই মেজর জিয়ার কণ্ঠে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা শুনতে পেয়েছিল দেশের অসংখ্য মানুষ। ‘শব্দসৈনিক’ বেলাল মোহাম্মদ বেশ কিছু দিন
অসুস্থ থাকার পর গত ৩০ জুলাই ৭৮ বছর বয়সে ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি
ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুসংবাদ মিডিয়ায় গুরুত্ব পেয়েছে। বিভিন্ন
মহল জ্ঞাপন করেছে শোক। বেলাল মোহাম্মদের জন্ম প্রাচীন জনপদ সন্দ্বীপের মূসাপুর
গ্রামে। এটা উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম জনক, প্রবাদতুল্য ব্যক্তিত্ব কমরেড মুজাফফর আহমদেরও (১৮৮৯-১৯৭০) জন্মস্থান।
১৯৫৩ পর্যন্ত সন্দ্বীপ ছিল নোয়াখালী জেলার একটি থানা। সন্দ্বীপে অনেক আলেমের
জন্ম। মুজাফফর আহমদ বাল্যে মাদরাসার ছাত্র ছিলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। বেলাল
মোহাম্মদের বাবার নাম মৌলভী মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং তার এক ভাই বিখ্যাত আলেম বলে
শুনেছি। যা হোক, সন্দ্বীপের দুই ‘বেলাল’ বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক
মিডিয়ায় সুপরিচিত ছিলেন। রেডিওতে বেলাল মোহাম্মদ এবং টিভিতে বেলাল বেগ (এখন
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী)। ১৯৭৮ সালে বিটিভিতে বেলাল বেগ প্রযোজিত ‘জ্ঞান জিজ্ঞাসা’ কুইজ অনুষ্ঠানে
বিজয়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দলের একজন সদস্য হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বেলাল মোহাম্মদের শুধু বেতার-ভূমিকা
নয়, ব্যক্তি হিসেবেও তিনি ছিলেন আকর্ষণীয় এবং মনে রাখার
মতো। সুন্দর সুদর্শন স্বাস্থ্যবান মানুষটির ঝাঁকড়া চুল আর ‘ব্র্যান্ড’তুল্য লুঙ্গি ছিল মনে রাখার
মতো। তাকে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় দেখেছি বোধ হয় কোনো একটি অনুষ্ঠানে। এ
দেশের গণমানুষের পোশাক হিসেবে লুঙ্গি তার প্রিয় ছিল। মজলুম জননেতা মওলানা
ভাসানীরও পোশাক ছিল লুঙ্গি-পাঞ্জাবি। বেলাল মোহাম্মদের প্রিয় পোশাক ছিল ফতুয়া-লুঙ্গি-চটি।
সহজ-সরল, অনাড়ম্বর জীবন কাটিয়ে গেছেন
মানুষটি। বেলাল মোহাম্মদ যা বলতেন, আত্মবিশ্বাসের
সাথে জোর দিয়ে স্পষ্ট করে ও অকপটে বলতেন। তার লেখাতেও এটা দেখা যেত। তার অনেক বই
প্রকাশিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার নিয়ে লেখা তার বইটি নিঃসন্দেহে
গুরুত্বপূর্ণ। এবার তার মৃত্যুর খবরে বিভিন্ন বইয়ের উল্লেখ থাকলেও একটি বইয়ের
নাম বেশির ভাগ পত্রিকায় আসেনি। এর নাম ‘আমানটোলার
পয়গাম’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়ার সময় বন্দরনগরীর স্টেশন রোডে পুরনো বইপত্রের একটি দোকানে যেতাম মাঝে মধ্যে।
সেখানে অনেক দুর্লভ দেশী-বিদেশী বইয়ের খোঁজ পাওয়া যেত। একদিন একটা বই পেলাম।
আকারে ছোট; মলাট বেশ শক্ত। নাম ‘আমানটোলার পয়গাম’। ব্যতিক্রমী
নামটির সাথে আকৃষ্ট করেছিল আমার বাল্যকালের পরিচিত সেই নামÑ বেলাল মোহাম্মদ। তিনিই এর লেখক। একপর্যায়ে তিনি চট্টগ্রামের
মিরসরাই উপজেলার আমানটোলায় এক আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে
ছিলেন। তখন তিনি যে মানসিক প্রশান্তি পেয়েছেন, এর অভিজ্ঞতা
চমৎকারভাবে তুলে ধরেছিলেন বিস্তারিত জানিয়ে। গত মার্চ মাসে বেলাল মোহাম্মদ
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছিলেন তার জীবনের শেষ সাক্ষাৎকারটি। এতে তিনি বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ
তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিনবার দিয়েছেন বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণা। এর আগে কালুরঘাটের সেই সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কয়েকজনের কণ্ঠে
স্বাধীনতার বার্তা পঠিত হয়েছিল। বেলাল মোহাম্মদ বলেছিলেন, এ দিক দিয়ে জিয়া নবম ব্যক্তি হলেও ‘মর্যাদার দিক দিয়ে তার অবস্থান ছিল শীর্ষে। কেননা আমরা তখন
যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলাম, পাকিস্তানি আর্মি দ্বারা
আক্রান্ত ছিলাম। বেঘোরে মারা যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দলেও যে আর্মি
আছে, তা জিয়ার ঘোষণার মধ্য দিয়েই মানুষ বুঝতে পারে।
জনগণের মনোবল বাড়ানোর জন্য জিয়ার ঘোষণা দরকার ছিল।’ বেলাল মোহাম্মদ মনে করেন, তখন আকস্মিক
ঘটনাপ্রবাহে জিয়াসহ তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার ভাষায়Ñ সে দিন (২৭ মার্চ ’৭১) দুপুর ১২টা
থেকে বেলা ১টার মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় অবস্থানরত জিয়াকে আনতে
গিয়েছিলাম। তাকে আমি বেতার কেন্দ্রে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের প্রস্তাব করি।
বেলাল মোহাম্মদ বলেন, ‘জিয়াকে সে দিন বলেছিলামÑ আমরা যারা বেতার কেন্দ্রে রয়েছি,
আমরা মাইনর, আপনি মেজর’। ২৭ মার্চে জিয়ার কণ্ঠে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা শোনা যায়। বেলাল
মোহাম্মদ জানান, “২৮ মার্চ দুপুরে এবং ২৯ মার্চ
শেষবারের মতো জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। ২৮ তারিখের ড্রাফটটিতে
নিজেকে ‘প্রফেশনাল হেড এবং চিফ অব
বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মি’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে
বিদেশীদের কাছে সাহায্য চাওয়ার কথা বলা হয়। বোধ করি, ড্রাফটটি তৎকালীন ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভূঁইয়াই লিখেছিলেন। জিয়া
নিজেকে ওই পরিচয় দেবেন কি না, তা নিয়ে
প্রশ্ন তুললে তাকে বোঝানো হয়, সাহায্য চাইতে
হলে এমন পরিচয় দিতে হবে। এমন অবস্থায় জিয়া বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে জানতে চাইলে
আমি বলি, আপনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষের হয়ে
তা বলতে পারেন।” ২৯ মার্চ জিয়ার পঠিত
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রখ্যাত শিল্পপতি ও সাবেক রাজনীতিক আবুল কাসেম খান (এ কে খান) লিখে
দিয়েছিলেন। বেলাল মোহাম্মদও এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ কে খান অতীতে মুসলিম লীগ
করলেও ’৭১ সালে বাংলাদেশের
স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন। বেলাল মোহাম্মদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, জিয়াউর রহমানের গুরুত্ব ছিল বলেই তিনি নিজে চট্টগ্রাম শহর থেকে
পটিয়া গিয়েছিলেন জিয়াকে আনার জন্য। তখন সেনাবাহিনীর মেজর পদও বাঙালির জন্য ছিল
বড় ব্যাপার। একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, ‘জিয়ার কোনো
ইচ্ছা ছিল না স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের এবং তাকে জোর করে রেডিও স্টেশনে ধরে আনা
হয়। এমনকি সম্প্রতি রাজনৈতিক বিদ্বেষবশত বলা হয়েছে, জিয়া ছিলেন রাজাকার।’ আবার এটাও বলা
হয়ে থাকে, ‘জিয়া নিজেই নিজেকে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারে।’ এসব প্রচারণা কতটা সত্য এবং প্রকৃত ঘটনা কী, তা অনেকটা উপলব্ধি করা যায় বেলাল মোহাম্মদের লেখা থেকে। বিশেষ যে
তথ্য তিনি দিয়েছেন, তা হলোÑ জিয়াকে ‘লিবারেশন আর্মির প্রধান
হিসেবে উল্লেখ করে স্বাধীনতার একটি ঘোষণা লিখে দিয়েছিলেন সম্ভবত সুবিদ আলী
ভূঁইয়া। তিনি চট্টগ্রামের কুমিরার লড়াইয়ের জন্য খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা।
পরবর্তীকালে মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ১৯৯৬ সালে সেনাপ্রধান লে. জেনারেল নাসিমের
অভ্যুত্থানপ্রয়াস ব্যর্থ করে দেয়ার অন্যতম নায়ক। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের
একজন এমপি। বেলাল মোহাম্মদ ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে স্ক্রিপ্ট রাইটার
হিসেবে যোগ দেয়ার পরের বছরই ’৬৫ সালের
যুদ্ধের সময় তার নামটি সুপরিচিত হয়ে উঠেছিল। সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি
জিয়াউর রহমানের সুনামও অর্জিত হয়েছিল সেই যুদ্ধের সুবাদে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত
যুদ্ধে পাঞ্জাবের খেমকারান সেক্টরে জিয়ার নেতৃত্বে অকুতোভয় বাঙালি সৈন্যরা ভারতের
সামরিক অভিযানকে যেভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছিল, তা স্মরণীয়
হয়ে থাকবে। বাঙালি Martial Race বা যোদ্ধা জাতি
নয়Ñ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠীর এ ধারণাকে সে
দিন জিয়ার মতো সৈনিকেরা ভুল প্রমাণ করেছিলেন। মরহুম বেলাল মোহাম্মদ জিয়ার ভক্ত
কিংবা তার দলের সমর্থক ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। এই
প্রেক্ষাপটেই তার বক্তব্য মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি ২৭ মার্চ ’৭১ সালে জিয়াকে বলেছিলেনÑ ‘আমরা মাইনর, আপনি মেজর।’ এখানে মেজর বলতে নিছক পদবি
নয়, জিয়া গুরুত্বপূর্ণÑ
এটাই বোঝাতে চেয়েছেন। বাস্তবেও জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা
অর্জনের যুদ্ধে এবং পরে এই স্বাধীনতা সুসংহত করার সংগ্রামে ‘অখ্যাত’ নয়, প্রখ্যাত মেজর’ হয়ে উঠেছিলেন।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
- ► সেপ্টেম্বর (107)
-
▼
আগস্ট
(95)
- সংসদের এই অধিবেশনেই নির্দলীয় সরকার বিল পাস করতে হ...
- ব্যতিক্রমী রাজনীতি, নেতৃত্ব এবং জনসম্পৃক্ততা
- সাংবিধানিক সরকার বনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- স্বাধীনতার ভাবনা, একটি সাক্ষাৎকার ও কিছু কথা
- ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিই জাতীয় ঐক্যের পথে প্রধান বাধা
- শেষ সময়ের ‘হরিলুট’
- তেঁতুল হুজুর, বেতেঁতুল ঠাকুর এবং আমাদের ঐশীমণি
- এ ধরনের প্রচারে জনমনে কোনো প্রভাব পড়ে না
- আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ
- আরে ও উজান গাঙের নাইয়া
- শেষ সময়ের দৌরাত্ম্য
- সিনেট নির্বাচন : যোগ্যপ্রার্থীকে ভোট দিন
- একচুলও না নড়ার নেপথ্যে ২১টি কারণ
- নিজেদের প্রগতির পথে নিজেরাই বাধা
- রাজনীতি কী এবং কেন
- বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থা জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও ক...
- ঐশীর বদলে যাওয়া প্রসঙ্গে-
- আমরা কি অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো?
- সংলাপের আহ্বান গণআকাঙ্ক্ষারই
- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব
- দশম সংসদ : নির্বাচন হবে তো?
- আইনের দৃষ্টিতে পুলিশের ক্ষমতা ও প্রয়োগ
- ঝোলেঝালে ইলিশ আর পিঁয়াজের গল্প
- মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন
- দোষ কার ঐশীর? বাবা-মায়ের? নাকি সমাজ ও রাষ্ট্রের?
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চীনা রাষ্ট্রদূত এবং ড...
- গণতন্ত্রহীন গণতন্ত্র,গন্তব্য কোথায়?
- আইনের শৃঙ্খলা বেআইনি প্রবেশ
- ঐশী ও তার বন্ধুরা যেন তৈরি না হয়
- সময় খুব কম : প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্...
- ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ আগস্ট
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা (গতকালের পর)
- শিয়াল ধরা পলিটিক্স
- অবশেষে বিলবোর্ড নাটকের যবনিকাপাত
- রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে
- মেয়াদ শেষে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই
- আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভেজাবো না!!
- দেশ-মানুষকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা- তারেক রহমান
- জনস্বার্থে পুলিশের ব্যবহার
- বাতিঘর নিজেই এখন আলোহীন
- একটি পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী
- আবারও সরকারি দলের মামলা প্রত্যাহারের তোড়জোড়
- ঐশীর অধঃপাতে আমিও দায়ী
- বিলবোর্ড দখলের কেলেঙ্কারি
- ঐশী সমাজের জন্য এক বড় প্রশ্ন
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ও কিছু কথা
- কিল অ্যান্ড রুল!
- দ্রব্যমূল্য : সরকারের সাফল্য কোথায়?
- মিসরের ঘটনাবলি ও বাংলাদেশ
- আদিল এখন সরকারের গলায় কাঁটা
- অধিকারের কণ্ঠরোধ : দুনিয়া জুড়ে ধিক্কার ইসলামী জন...
- বিলবোর্ডে উন্নয়ন মহড়া ও নগদ লাভ
- সুশাসনের নাম ক্ষমতার দাপট!
- মিসরে গণহত্যা এবং গভীর রাজনৈতিক সংকট
- শেখ হাসিনা সরকারের শাসন আমল ও দুঃশাসন
- বাকশাল থেকে ডিজিটাল ও গণতন্ত্রের আবাবিল পাখি
- তত্ত্বাবধায়ক বনাম নির্বাচনকালীন সরকার ভাবনা
- ত্রাসের পরিণতি, বলপ্রয়োগের পরিণাম এবং সমঝোতার সুফল
- সরকারের সাফল্য সম্বন্ধে বিকল্প বিলবোর্ড
- সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতা বনাম মেকি বিলব...
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার! 2
- বিষাক্ত এই রাজনীতি কি দূর হবার নয়
- তত্ত্বাবধায়কের দাবি জোরদার
- ‘অধিকার’ সম্পাদকের গ্রেফতার ও সরকারের যুক্তি প্রসঙ্গে
- আওয়ামী শিবিরে শুধু হতাশা-অন্ধকার!
- কেউ ফিরেও তাকায় না
- অধিকার এবং প্রোপাগান্ডা
- বিরোধী গণ বিক্ষোভের সাঁড়াশি অভিযান প্রস্তুতি
- উন্নয়নের বিলবোর্ড আত্মহননের আলামত!
- স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার
- সালিসের তালগাছ ছাড়তে হবে
- জয়কে দিয়ে জয় হবে না
- যে কারণে এ অস্থিরতা
- দলবাজির রাজনীতি পরিহার করতে হবে
- ভারত নেয় দেয় না কিছু
- বাঙালি মুসলমানের ঈদ
- এত কিছু করেও তারা দিশেহারা
- দলের নিবন্ধন বাতিল ও রাষ্ট্রে বহুমত চর্চা
- রানা প্লাজার কান্না
- নির্বাচন নাকি গণতন্ত্র?
- নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া আদালতের রায় ও জামায়াতের ...
- এসব কী করে ছাত্রদের কাজ হয়?
- খুন নাশকতা ও পুলিশ
- বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক নীতি
- নির্বাচনের আগে দেশে আরো রক্ত ঝরবে?
- বিভক্ত রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল : কয়েকটি প্...
- দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন নয়
- আমরা মাইনর, আপনি মেজর
- একদিকে দিল্লিতে ব্যর্থতা এবং অন্যদিকে প্রধানমন্ত্র...
- আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে
- গডফাদারকে হত্যাকারীর লাইভ টেলিকাস্ট
- সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্যাতন
- দেশতো কারো তালুক নয়
- ষোল কোটি মানুষকে অসম্মান করবেন না
- রাজনীতির দৌড়
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন