গত বৃহস্পতিবার পহেলা আগস্ট ৩ সদস্য সমবায়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিভক্ত রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। রায় ঘোষণার পর জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আপীল বিভাগে আপিল করার জন্য এই বেঞ্চের নিকট থেকে সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ মোতাবেক একটি সার্টিফিকেট চান। হাইকোর্ট বেঞ্চের তিন বিচারপতিই সম্মিলিতভাবে সার্টিফিকেট প্রদানে রাজি হন।
সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (১) হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দ-াদেশের বিরুদ্ধে আপীল শুনানির ও তাহা নিষ্পত্তির এখতিয়ার আপীল বিভাগের থাকিবে।
(২) হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দ-াদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগের নিকট সেই ক্ষেত্রে অধিকার বলে আপীল করা যাইবে, যে ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ,
(ক) এই মর্মে সার্টিফিকেট দান করিবেন যে, মামলাটির সহিত এই সংবিধান-ব্যাখ্যার বিষয়ে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে।
বিভক্ত রায়ের সব বিচারপতিই স্বীকার করেন যে, এই ইস্যুটির সাথে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। তাই বিবাদী পক্ষকে আপীল বিভাগে সরাসরি আপীল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক চেম্বার জজ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কোর্টে যান। তখন তাকে বলা হয় যে কোর্টের সময় পার হয়ে গেছে। তাই সেদিন অর্থাৎ পহেলা আগস্ট শুনানি সম্ভব হলো না। তবে বিষয়টি এখন প্রথমে চেম্বার জজের কাছে যাবে এবং সেখানে যদি স্থগিতাদেশ দেয়া না হয় তাহলে আপীল বিভাগের ফুল বেঞ্চে যাবে। আপীল বিভাগ থেকে এই ইস্যুটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়েছে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হয়নি। সুতরাং দল হিসেবে জামায়াত রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারবে। তবে আগামী নির্বাচনে জামায়াত অংশ নিতে পারবে কিনা সেটি নির্ভর করবে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের ওপর। এ কারণে আমাদেরকেও এ সম্পর্কে শেষ কথা বলার আগে আপীল বিভাগের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিভক্ত রায়ে শুধুমাত্র এই কথাটি বলা হয়েছে যে, ইসি (নির্বাচন কমিশন) জামায়াতকে যে নিবন্ধন দিয়েছিলো সেটি অবৈধ ঘোষিত হলো। রায়ের বিস্তারিত পরে প্রকাশ করা হবে। এই রায়ে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের সদস্যবৃন্দ হলেনÑ বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হক। এই তিনজন বিচারপতির মধ্যে দুইজন বিচারপতি নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে রায় দেন এবং একজন বিচারপতি নিবন্ধন বাতিলের বিপক্ষে রায় দেন। নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে কি বলা হয়েছে এবং বিপক্ষেই বা কি বলা হয়েছে, সেটি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আমরাও সেই একই কারণে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে হয়তো এ সম্পর্কে আরও কিছু বলা যাবে। তবে এই রায় নিয়ে কোন কোন পত্রিকা গত শুক্রবার কোন কোন রাজনৈতিক নেতার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। আবার কোন কোন পত্রিকা তাৎক্ষণিকভাবে নিজস্ব মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যেই সংবাদপত্রে যেসব প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা প্রথমে কিছু আলোচনা করবো। এর মধ্যে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো। প্রথমে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দু’টি কথা।
॥দুই॥
দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। আওয়ামী ঘরানার পলিটিশিয়ান এবং বুদ্ধিজীবীরা মোটামুটি এক বাক্যে এই রায়টিকে অভিনন্দিত করেছেন। তারা বলেছেন যে, ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিলের এই রায়টি শক্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এই কলাম লেখার সময় (শুক্রবার) পর্যন্ত বিরোধী দলসমূহের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর দু’টি কারণ থাকতে পারে। একটি হলো, সবেমাত্র রায়টি প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের যথাযোগ্য পর্যায়ে আলোচনা করে তারা প্রতিক্রিয়া দেবেন। আরেকটি হতে পারে, এটি আইন আদালতের বিষয়, তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তাছাড়াও যেহেতু বিষয়টি আপীল বিভাগে যাচ্ছে তাই এই বিষয়টি এখনও সাব-জুডিস বা বিচারাধীন। সাব-জুডিস ব্যাপারে মন্তব্য করাকে তারা হয়তো রিস্কি মনে করছেন। তবে এ ব্যাপারে এই কলাম লেখার এই পর্যায়ে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বিএনপি’র দুইজন সিনিয়র নেতার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এরা হলেন স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মওদুদ আহমদ প্রথমে বলেছেন যে, এ রায়টি নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হবে। অতঃপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন। তবে ব্যারিস্টার মওদুদের ব্যক্তিগত মতামত এই যে, এটি মূলত নির্বাচন কমিশনের বিষয়। যেহেতু নির্বাচন দেয় নির্বাচন কমিশন বা ইসি, তাই নিবন্ধন বাতিল করার সময়ও তাদের একটি ভূমিকা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট যা করেছে তার ফলে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বিষয়ে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তার ব্যক্তিগত মতামত এই যে, জামায়াতকে যদি নির্বাচনের বাইরে রাখা হয় তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। বাবু গয়েশ্বর রায় বলেছেন, এ রায়ের ফলে দেশে রাজনৈতিক অশান্তি ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি প্রশ্ন করেন, প্রতিটি রাজনৈতিক ইস্যুতে আদালতকে টেনে আনা হচ্ছে কেন? সব ব্যাপারেই যদি আদালত সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে আর রাজনৈতিক নেতৃত্বের করণীয় থাকে কি?
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন যে, জামায়াত ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল। সেই কারণে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক- এই যুক্তিতে যদি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়ে থাকে তাহলে আরও অনেক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। জামায়াত ছাড়াও আরও অনেকগুলো ইসলামিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাহলে সেগুলোর নিবন্ধন থাকে কিভাবে? তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক দলও নিবন্ধন সমস্যায় পড়বে। তার দল বাংলাদেশকে ছয়টি প্রদেশে বিভক্ত করতে চায়। সেক্ষেত্রে ছয়টি প্রদেশে থাকবে ছয়টি প্রাদেশিক সরকার। আর ঢাকায় থাকবে সেন্ট্রাল বা ফেডারেল সরকার। এরশাদের জাতীয় পার্টি দেশ শাসনের যে রাজনৈতিক প্রশাসনের ফর্মুলা দিয়েছে সেটি হলো একটি ফেডারেল সরকারের ফর্মুলা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সংবিধানে যে ব্যবস্থা রয়েছে সেটি হলো এককেন্দ্রিক বা ইউনিটারি সরকার। সুতরাং এরশাদের আদর্শ বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংবিধানে বর্ণিত ফেডারেল সরকারের সাথে সংবিধানে বর্ণিত সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা সাংঘর্ষিক। কারণ সংবিধানে ইউনিটারি সরকারের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধরনের অনেক জটিলতার জন্ম দেবে হাইকোর্টের এই রায়।
এই লেখার সময় অপরাহ্নে টেলিভিশনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনলাম। হাজারীবাগের বিএনপি কর্মী হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন যে, বিএনপি যে কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। একটি রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। আদর্শকে আদর্শ দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু এই সরকার রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার ফন্দি-ফিকির খুঁজছে। এভাবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে তারা কুখ্যাত বাকশাল পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চায়। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, ১৮দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে বিএনপি। বেগম জিয়া ওমরাহ থেকে ফিরে আসার পর বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।
॥তিন॥
আমরা প্রথমেই বলেছি যে, পূর্ণাঙ্গ রায় না পাওয়া গেলে কোন মন্তব্য করা যাবে না। কারণ কোন কোন গ্রাউন্ডে হাইকোর্টের দুইজন বিচারপতি নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে রায় দিলেন আর কোন গ্রাউন্ডে একজন বিচারপতি নিবন্ধন বাতিলের বিপক্ষে রায় দিলেন সেটি জানা অবশ্যই জরুরি। কারণ এর আগে বিতর্ক উঠেছিল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিয়ে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটিও উঠেছিল ধর্মকে কেন্দ্র করে, বিশেষ করে ইসলামকে কেন্দ্র করে। ২০০৮ সালে জামায়াতের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছিল যে জামায়াত আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে। তারপরেও জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে। বাদী পক্ষে বলা হয় যে তখন যেহেতু সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি ঈমান ও বিশ্বাসের’ বিধানকে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো তাই আল্লাহর প্রতি সার্বভৌমত্ব তখন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়নি। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর আল্লাহর প্রতি ঈমান ও বিশ্বাসের ঐ অনুচ্ছেদটি বাতিল হয়ে যায়। পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের সার্বভৌমত্বের কথা বলা হয়। জামায়াত যেহেতু একটি ইসলামী দল তাই পঞ্চম সংশোধনী বাতিল এবং পঞ্চদশ সংশোধনী অন্তর্ভুক্তির পর দলটির গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়েছে। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের এটি প্রধান কারণ বলে অনুমিত হচ্ছে। আমরা সুনিশ্চিত করে এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। কারণ দুই লাইনের একটি সংক্ষিপ্ত রায় দেয়া হয়েছে। তবে যেটা বলা হলো সেটি যদি নিবন্ধন বাতিলের প্রধান কারণ হয়ে থাকে তাহলে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কারণ সমগ্র বিষয়টি স্পর্শকাতর। যে দলটির নাম কমিউনিস্ট পার্টি অথবা যে দলটির নাম সমাজতান্ত্রিক দল সে দলটির নিবন্ধন থেকেই যাচ্ছে। অথচ ধর্ম তথা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না কমিউনিজম। এর অর্থ হলো নাস্তিক্যবাদী দল নিবন্ধিত থাকবে আর ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী দল নিবন্ধিত থাকবে না, এটি ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে গণভোটে গৃহীত হবে না।
এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে বারবার হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্ট কেন যে নিজেদেরকে জড়িত করছে সেটি সাধারণ মানুষের বোধগম্য হচ্ছে না। হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্ট এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার ওপর থাকবে দলমত, এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা আর আস্থা। ইতোমধ্যেই অনেক পলিটিশিয়ান এবং পলিটিকাল পার্টির তরফ থেকে প্রায়শ বলা হচ্ছে যে, সরকার তার অনেক রাজনৈতিক এজেন্ডা উচ্চতর আদালতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে উচ্চতর আদালত ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলো বিচার ব্যবস্থার অভিভাবক হিসেবে উচ্চতর আদালত কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে বিবেচনা করবেন বলে জনগণ প্রত্যাশা করে। জাতীয় সংসদ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ- এই সবকিছুই তো জনগণের জন্যই। আল্লাহ্র সার্বভৌমত্বের কথা যখন বলা হয় তখনও অবধারিতভাবে জনগণ এসে পড়েন। পবিত্র সূরা বাকারার আয়াত ৩০ এবং সূরা সাদের আয়াত ২৬ মোতাবেক মানুষ হলেন আল্লাহ্র প্রতিনিধি, প্রতিভূ বা খলিফা। ইংরেজিতে ারপবমবৎবহঃ. সুতরাং সেই মানুষের মাধ্যমে আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব যদি প্রতিফলিত হয় তাহলে তার বিরোধিতা করার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টকে না জড়ানোই ভালো। কারণ সেই গানের ভাষায়,
“এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে
এই দিন নিয়ে যাবে সে দিনের কাছে।”
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন