শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৩

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চীনা রাষ্ট্রদূত এবং ড. ইউনূস


পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর রাজপথ উত্তপ্ত না হলেও একশ্রেণীর কূটনৈতিক মহল এবং এলিট শ্রেণীর প্রাসাদ সরগরম হয়েছে। গত সপ্তাহে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যেটি সহজ সরল নিরীহ সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও রাজনীতি সচেতন বোদ্ধা মহলকে বেশ কিছুটা দোলা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন। সিনিয়র জুনিয়র নির্বিশেষে সকল সাংবাদিক, বামপন্থী ডানপন্থী নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক মহল কান খাড়া করেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন যে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু বলবেন। তিনি এমন কিছু বলবেন যেটি সমস্যা সমাধান না করলেও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য এক টেবিলে বসার পথ খুলে দিতে পারে। কিন্তু কথায় বলে যত গর্জে তত বর্ষে না। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেও বলা হয়েছিলো যে এটি একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন। তাই প্রত্যাশা অনেক ছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের পর দেখা গেল, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঢাক  ঢোল পিটিয়ে যা বলা হলো সেখানে চলমান রাজনৈতিক সংকটের নাম গন্ধও নাই। বরং তার বিষয়বস্তু ছিলো দেশী পাটের জীবন রহস্য উদঘাটন। এটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘জেনম সিকোয়েনসিং’।
বক্তৃতা পর্ব শেষ হলে এলো প্রশ্নোত্তর পালা। স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বিরোধী দলের কেয়ারটেকার তথা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বললেন যে সংবিধান থেকে তিনি এক চুলও নড়বেন না। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে নির্বাচনের সময়  যে সরকার থাকবে তিনি কি সে সরকারেরও প্রধান থাকবেন? প্রধানমন্ত্রীর এক জবাব : সবকিছু সংবিধানে লেখা আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে সংবিধান মোতাবেক অর্থাৎ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মোতাবেক নির্বাচনকালে যে সরকার থাকবে সেটিরও প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা প্রবীণ ও অভিজ্ঞ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক তারা যেটি লক্ষ্য করলেন, সেটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী কি বললেন তাই নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী যখন এসব কথা বললেন তখন তারা দেখেন তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। সকলেই জানেন যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মানে শরীরের ভাষা। এখানে শরীর কথা বলে না। কিন্তু শরীরের ভেতর যেসব কথা বা চিন্তাভাবনা কিলবিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেসব চিন্তাভাবনা শরীরের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশ পায়।  শেখ হাসিনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজও ছিলো উগ্র এবং আক্রমণাত্মক।
শেখ হাসিনার আক্রমণাত্মক ভাষা এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে যা হবার তাই হলো। পরদিন রেসকোর্স ময়দানে বেগম জিয়া জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভায় কঠোর ভাষায় জবাব দেন। তিনি বলেন, আপনি যদি নিরপেক্ষ সরকারের দাবি না মানেন তাহলে এমন গরম বাতাস বইবে যে আপনার চুল তো চুল, আপনার অস্তিত্বও উড়ে যাবে।বেগম জিয়ার বক্তব্যের পর মনে হচ্ছিল যে দেশে বুঝি সহসাই রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড় শুরু হবে। কিন্তু বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং ১৮দলের বৈঠকের পর যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেততো দূরের কথা, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেতও দেয়া হয়নি। ১৮দলের ঘোষণার পর রাজনৈতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে দেখা যাচ্ছে যে আগামী ঈদুল আযহার পরবর্তী দুই এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাজনৈতিক আবহাওয়া মোটামুটি শান্ত থাকবে। আদতেই যদি ঝড় ওঠে তাহলে সেটি উঠবে নবেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে।
॥দুই॥
বিরোধী দলের উঠান শান্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টারসমূহে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি এমন ঘটনা ঘটুক, সেটি বিরোধী দল মনে মনে চাচ্ছিলো। কিন্তু বাস্তবে যে সত্যি সত্যি তাই ঘটবে, সেটি তারা ধারণা করতে পারেনি। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটলো। বাংলাদেশের ‘৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, সাবেক আইন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেছেন যে, পঞ্চদশ সংশোধনীসহ ইচ্ছামতো কাঁটা ছেড়া করে সংবিধান জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই এটি করে ১৬ কোটি মানুষের সাথে বেঈমানী করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা কোন সংবিধান? নিজেদের সুবিধামতো তড়িঘড়ি সংশোধনের মাধ্যমে যে সংবিধান দাঁড় করানো হয়েছে সেটা তো জনগণের সংবিধান নয়। প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। একই দিন অপর একটি বৈঠকের মাধ্যমে দৃশ্যপটে এসেছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া উচিত। কারণ, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এদেশে এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে।” ড. ইউনূস আরো বলেন, “দেশে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। দেশের মানুষ এই অশান্তি চায় না। এই অশান্তির জন্য তারা দায়ী নয়। কারো কারো বা কোন দলের ইচ্ছার কারণে অশান্তি নেমে এলে দেশের মানুষ দায়ীদের ক্ষমা করবে না।” নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি আকুল আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা একটা সমঝোতায় আসুন। আলাপ-আলোচনা করে একটা সমাধান বের করুন। কারণ সময় খুব কম।
শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূস নন, সকলকে অবাক করে দিয়ে মুখ খুলেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। পশ্চিমা দেশসমূহের কূটনৈতিক কর্মপদ্ধতির সাথে বিশ্বের উদীয়মান পরাশক্তি চীনের কূটনৈতিক কর্মপদ্ধতি বেশ কিছুটা ভিন্নতর। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, চীনের কূটনীতি ইনট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী। সেই চীন বাংলাদেশে তাদের কূটনৈতিক কর্মপদ্ধতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে এক্সট্রোভার্ট হয়েছে এবং প্রকাশ্যে কথা বলেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ৪২ বছরের জীবনে এবারই সর্বপ্রথম দেখা গেল যে, চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক কথা বলেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে মুখোমুখি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রদূত লি জোন রেডিসন হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গত বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে আমি অতীতেও চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠানের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।” তাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি যে চেষ্টা করছেন সেই ব্যাপারে নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন। এর উত্তরে চীনা রাষ্টদূত বলেছেন, আমার দৃঢ়বিশ্বাস জন্মেছে যে, বড় দুই দলের নেতাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রয়োজন রয়েছে। পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টির জন্য তাদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র এই পথেই একটি ঐক্যমত সৃষ্টি হবে যেটি চূড়ান্ত পরিণামে উভয়পক্ষকে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার সহায়তা করবে। তিনি বলেছেন, আমি যখন বাইরে যাই তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে আমার ধারণা কি? বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিবেশী এবং বন্ধু হিসেবে চীন সবসময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। গত বছর আমি যখন এদেশে আসি, তখন আমি অনুভব করি যে, বড় দুই দলের মধ্যে বৈঠক হওয়া প্রয়োজন। উভয় দলই বলে যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন চায়। কিন্তুু কোন পদ্ধতিতে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। আমি মনে করি যে, মতপার্থক্য একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি বিরাট একটি  কাজ হবে যদি দুই দলের শীর্ষ নেতারা মুখোমুখি বসে কথা বলেন। এই মুখোমুখি সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য প্রথমে তাদের পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। এই পর্যায়ে কোনো পক্ষেরই উচিৎ হবে না কারও বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, চীনারা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে না। কিন্তু তার এসব মন্তব্য চীনের সেই ঐতিহ্যবাহী নীতি থেকে বিচ্যুতি কি না। তিনি জানান যে, তার উক্তি চীনা নীতি থেকে কোনো বিচ্যুতি নয়। কারণ চীন সব সময় আশা করে আসছে যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যেন স্থিতিশীল হয়। কারণ আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের উন্নয়নে স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট যে কত গভীর সেটি চীনের রাষ্ট্রদূতের সর্বশেষ ভূমিকা থেকে বোঝা যায়। পরিস্থিতি গুরুতর এবং সংকটজনক না হলে চীন প্রকাশ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আসতো না।
॥তিন॥
চীনা রাষ্ট্রদূত গত বুধবার যখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন তখন বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকাও একই বিষয়ে অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে একই দিন কথা বলেছে। গত বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রধান উপায় হলো প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠান।” শুধু এরাই নন, এই সরকারের মিত্র এবং মহাজোটের প্রধান শরীক সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদও বলেছেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে জাতীয় পার্টিও সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
আমি প্রথমেই বলেছি যে রাজনৈতিক অঙ্গনে অতি দ্রুত এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলো রাজপথ না কাঁপালেও ক্ষমতার অলিন্দে ভাইব্রেশান সৃষ্টি করেছে। বল এখন প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে। তিনি কিভাবে খেলবেন, সেটি তার ব্যাপার। তবে খেলতে গিয়ে তিনি যদি একগুঁয়েমি এবং হঠকারিতা  করতেই থাকেন তাহলে তার সমস্ত দায়দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। অথচ ১৫ আগস্ট বেগম জিয়া কেন জন্মদিন পালন করলেন, সেই অজুহাতে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন যে, বিরোধী দলের সাথে কোনো সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে না। সৈয়দ আশরাফ এই কথা বললেও আসলে সেটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর কথা। তাই এখন সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রধানমন্ত্রীকেই সংলাপের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী ঘরানার একটি অংশ থেকে যুক্তি দেয়া হয় যে, বিএনপি না আসলেও নির্বাচন ঠেকে থাকবে না। কারণ ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার একাই নির্বাচন করেছিল। দরকার পড়লে এবারো তাই হবে। ৯৬এর সেই নির্বাচন একতরফা হলেও আওয়ামী লীগের কেয়ারটেকার সরকার দাবি মেনে নেয়ার জন্য সেটি অপরিহার্য্য ছিলো। কারণ কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা-গরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিএনপির ছিল না। তাই একতরফা নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তত্ত্বাবধায়কের বিল পাস করা হয়েছিলো। এখন আর সেই রকম প্রয়োজনীয়তা নেই।
মাকির্ন রাষ্ট্রদূত, চীনা রাষ্ট্রদূত, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস, জাতীয় পার্টি প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এবং ১৮ দলীয় জোট যেভাবে বলছে সেভাবে এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে, যাতে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে। এই পটভূমিতে জনগণ আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনের দিকে বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তাদের প্রত্যাশা, সংসদের আগামী অধিবেশনে আলোচনা বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে এমন কিছু আসবে যেটি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads