১.
‘কতজন মারা গেলেন আজ?’ বিপন্ন মানবাধিকার, নিঃসঙ্গ গণতন্ত্র ও রক্তাক্ত স্বদেশে প্রতিদিন হত্যা ও মৃত্যুর মিছিল দেখে সাধারণ মানুষ প্রথমেই এই প্রশ্ন করছেন একজন আরেকজনকে। মানবাধিকার যতটুকু বিপন্ন হলে এই প্রশ্ন করা যায়, ততটুকুই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বাংলাদেশে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের রাজনৈতিক দাবিকে আইন-শৃঙ্খলার শক্তিতে মোকাবিলার কারণে রক্তাক্ত হচ্ছে জনপদ। সাতক্ষীরায় কি হয়েছে, সেটা বর্বরতার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিজয়ের ডিসেম্বরে যেভাবে হানাদাররা রাজনৈতিক দাবিকে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দিয়েছিল, সেট্রাই পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান কি শক্তি ও সন্ত্রাস বা বলপ্রয়োগে সমাধান করা সম্ভব? শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী-সন্তান-পরিজনকে আটকে রেখে জনসমর্থন ও জন¯্রােত কি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে? ইতিহাসের উত্তর হলো ‘না, সম্ভব নয়; সম্ভব হয়নি।‘ বাংলাদেশে এই অসম্ভবকে সম্ভব করার কাজ চলছে রক্ত ও মৃত্যুর বিনিময়ে। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের রক্তাক্ত উপস্থিতিতে এখন যা চলছে, সেটাকে ইতিহাস একদিন কি নামে ডাকবে?
২.
এ মাসের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসেও বাংলাদেশ চলছে রক্তের ¯্রােতে ভেসে। কয়েক দফার অবরোধ-হরতালে মারা গেছে ২৬৭ জন। অগ্নিদগ্ধ শতাধিক। আহত কয়েক হাজার। জাতীয় ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিনষ্ট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের গীতা রানী যে আকুতি জানিয়েছেন, মানবাধিকারের এমন চরম প্রত্যাশা আর হতে পারে না। গীতা রানীর মতো সকল নাগরিকই বাঁচতে চায়। তারা সরকার বা বিরোধীদের বিচার করার আগে নিজের নিরাপত্তা চায়। বাঁচার মৌলিক মানবিক অধিকার এই বাংলাদেশে আজ সুদূরপরাহত। অথচ তত্ত্বগতভাবে সকলেই মানবাধিকার বলতে জানি যে, ঙহব ড়ভ ঃযব সধরহ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংবং ড়ভ বাবৎু ষবমধষ ংুংঃবস রং ঃড় ঢ়ৎড়ঃবপঃ ঃযব রহফরারফঁধষ ধমধরহংঃ ড়ঢ়ঢ়ৎবংংরড়হ. ঙৎফরহধৎরষু ঃযব ৎরমযঃং ড়ভ রহফরারফঁধষং ধৎব ঢ়ৎড়ঃবপঃবফ ড়হ ঃযব নধংরং ড়ভ ষধ.ি
আইনই বলছে, বিনা বিচারে আটক রাখা যাবে না, সঙ্গত অভিযোগ ছাড়া কাউকে ধরা যাবে না, রাতের আঁধারে গৃহে হানা দেওয়া যাবে না, বিচারের আগেই গুলী করে মেরে ফেলা যাবে না, অতিদ্রুত নিকটস্থ আদালতে হাজির করতে হবেÑএসব কি পালন করা হচ্ছে? আবার সরকারে প্রতি আক্রোশে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার যৌক্তিকতাও প্রশ্নবোধক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের ওয়েব সাইটে যঃঃঢ়://িি.িধসহবংঃু.ড়ৎম/বহ/ৎবমরড়হ/নধহমষধফবংয বাংলাদেশ সম্পর্কে কি লিখেছে, সেটা পড়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্রটি জানতে হয় না, প্রতিদিনের সংবাদপত্র, টিভি আর আশেপাশে তাকালেই সব জানা যাচ্ছে। সব দেখে শিহরিত হতে হয় ভয়ে, আতঙ্কে, শঙ্কায়; মানুষের মৌলিক অধিকার কোথায় অস্তমিত হচ্ছে, সেটা আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হয় না। কারা লুণ্ঠন করছে বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রসহ জান-মাল-সম্পদ-ইজ্জতসহ মানুষের প্রাকৃতিক-জৈবিক-মানবিক অধিকার। আমরা যদি জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাকে (১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮) আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতায় পাঠ করি, তাহলে এক চরম ও বিপরীত পরিস্থিতির দেখা পাই। মনে হবে মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণা ও অঙ্গীকার থেকে আমািেদরকে যোজন-যোজন দূরে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে মানবতা ও মানবাধিকার বিরোধী দানবীয় অপশক্তি। অথচ সভ্য সমাজে এমনটি কখনোই কাম্য হতে পারে না। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বে মত পার্থক্য, ভিন্নতা, বিরোধিতা ইত্যাদি সকল কিছুই হতে হবে শোভন, আইনানুগ ও মানবিক অধিকারের পথে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা ও নীতি থেকে বিচ্যুত হয়ে কিছু করার অবকাশ এক্ষেত্রে নেই। আমরা এখন সেটাই করছি। সবাই মিলেই করছি। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার আলোকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের বাক-ব্যক্তি-মৌলিক অধিকার ও ব্যাপক মানবাধিকারের জায়গাটুকু ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে মানবাধিকারের বিধিবদ্ধ স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকছে না, এ ব্যাপারে সবাই একমত ও শঙ্কিত। রক্ত ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের মহান অর্জন। এ অর্জন নাগরিকদের জন্য মানবাধিকারের গ্যারান্টি। গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন এই দেশে মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হলে গণতন্ত্র ও স্বাধিকারেরও যে ক্ষতি হয়Ñসেটা অনুধাবনের ক্ষমতাও মনে হচ্ছে আজ অনেকের কাছ থেকে লুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান ভঙ্গুর ও অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির সামনে মানবাধিকারের সার্বজনীন আন্তর্জাতিক ঘোষণাকে রাখা হলে সাদা চোখে যা দেখা যায়, তার নাম অবক্ষয়, নৈরাজ্য ও অধঃপতন। তত্ত্বগত ও ব্যবহারিক দিক থেকে আমরা যে ক্রমে মানবাধিকারহীনতার কালো গহ্বরে চলে যাচ্ছি, ক্রমশ দগ্ধ হচ্ছি, সে কথাটিই স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময়ে ফাসিস্টদের কথা বলতে গিয়ে লিখেছিলেন পাবলো নেরুদা। চিলির সামনে দানবের মতো স্পেন ছিল। আমাদের সামনে কে সেই দানব? ভেতরের ও বাইরের দানবের কালো পদক্ষেপ জাতি ও মানুষের অধিকারের সব মানবিক অর্জন ও নির্যাসকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমন সঙ্কুল সময়ে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে মানবাধিারের চিরায়ত-শাশ্বত শপথ। দেশ ও জনগণ অপেক্ষা করছে মুক্তির; মানুষ ও মানবাধিকের বিজয়ের। স্বাধীনতা, অধিকার বস্তুত পক্ষে মানুষের জন্মগত সম্পদ। এই অধিকারকে যে বা যারা ছিনিয়ে নেয় বা নিতে চায়, ইতিহাস তাদেরকে কখনোই ক্ষমা করে নি। ইতিহাস মানুষের পক্ষে, মানুষের স্বাধীনতা ও মানবিক অধিকারের পক্ষে। দানবিক কোনও অপশক্তির পক্ষে মানবসমাজ, সভ্যতা ও ইতিহাস কখনোই দাঁড়ায়নি। ইতিহাসের শিক্ষায় মানবিক অধিকারের বিজয়ের পথ ধরে বাংলাদেশের অমানবাধিকারের সকল জঞ্জালও চিরজীবন থাকতে পারবে না। যথাসময়ে অপসারিত হতে বাধ্য হবে। মানবাধিকারের সামনের দানবকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। কারণ, ইতিহাসে টিকে থাকবে মানুষ, মানুষের অমর মানবিক অধিকারকে নিয়ে। শতবর্ষের স্মরণে আপ্লুত ল্যাটিন অ্যামেরিকার বিপ্লবী-কবি পাবলো নেরুদা ইতিহাসের মহাকালিক কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ‘সড়কের মোড়ে মৃত্যু ও মৃতেরা’ শিরোনামের কবিতায় বলে গেছেন সেই কথাই: “আমি এখানে কাঁদতে আসিনি, যেখানে ওরা/মুখ থুবড়ে পড়েছে।/তোমরা যারা বেঁচে আছো। আমি শুধু তাদের সঙ্গেই/কথা বলতে এসেছি।/বৃক্ষহীন সমতল থেকে দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত/অনেক অনেক মানুষকে খুন করা হয়েছে.../আমাদের এই মৃতদের নামে/আমি দাবি করছি শাস্তি।/আমাদের এই পিতৃভূমি যারা রক্তে জ্যাবজেবে করেছে/আমার দাবি হচ্ছে শাস্তি।/যার নিদের্শে এই অন্যায় খুন, তার জন্যে/আমি দাবি করছি শাস্তি।/বিশ্বাসঘাতক, যে এই মৃতদেহগুলোর উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায়/আমি দাবি করছি শাস্তি, শাস্তি।” মানবাধিকারের সামনে দাঁড়ানো দানবকেও একদিন শাস্তি পেতে হবে ইতিহাসের অমোঘ বিধানে।
৩.
এই ডিসেম্বরে বিজয়ের স্মৃতি সম্পূর্ণ অন্য রকম। এমন ডিসেম্বর আগে আর দেখা যায়নি। একাকী ও নিঃসঙ্গ হাঁটছে ক্ষমতার বহর; বাংলাদেশের গণতন্ত্র। হাঁটছে নিঃসঙ্গ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন। সরকার। সবাই একাকী ও নিঃসঙ্গ। অন্যদিকে জ্বলছে দেশ। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ জেলখানা।’ মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪২তম উদযাপনের সময় এই হচ্ছে দৃশ্যপট। ১৫৪ জন যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়, সেই নির্বাচনের চরিত্র লুকানোর বিষয় নয়। বাকী ১৪৬ আসনের বিপরীতে সাকুল্যে ৩৮৭জন প্রার্থীর উপস্থিতিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্র আশ্চর্যের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব। দেখছে অভূতপূর্ব গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিশ্ব রেকর্ড। বৈধতা নামক শব্দটি এখন কিভাবে নিজের ইজ্জত ও অস্তিত্ব রক্ষা করবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। যে নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের ফায়সালা হয়ে যায়, সে নির্বাচন সত্যিই এক অতি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আবিষ্কার। গণতন্ত্রের আদিভূমি গ্রিস বা গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটেন বা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত যে ফর্মুলা উপস্থাপন করতে পারেনি, বাংলাদেশ সেটাই করলো। বিশ্ব গণতন্ত্রের ইতিহাসে বাংলাদেশ এখন নানা কারণে বহুল আলোচিত নাম। এই একাকী ও নিঃসঙ্গ গণতন্ত্র চর্চার অপর পিঠে দেশ জ্বলছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণহীন। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক সার্কাসের কবলে নিপতিত। জামায়াত-শিবির নিগৃহীত ও আক্রমণের শিকার। বি. চৌধুরী, আ. কাদের সিদ্দিকী, ড. কামালরা বিক্ষুব্ধ। নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞরা হতবাক। মিডিয়া হতচকিত। ব্যবসায়ীরা সাদা পতাকা হাতে রাজপথে। জনগণ প্রায়-জিম্মি ও গৃহবন্দী। রাজধানী দৃশ্যত বিচ্ছিন্ন। রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অরক্ষিত। বন্দর স্থবির। পণ্য ও জন পরিবহন বিপর্যস্ত। শিক্ষাঙ্গন ও পরীক্ষা অঘোষিত ছুটির ফাঁদে আক্রান্ত। একাকী ও নিঃসঙ্গ গণতন্ত্রের অর্জনের যাত্রাপথের সামনে দ-ায়মান বহু বিসর্জন। কি পেলাম আর কি হারালাম, এই অঙ্ক আসলেই মিলাতে পারছে না মানুষ। দেশ প্রকৃত অর্থে কোথায় যাচ্ছে? এই চিন্তায় সকলেই অস্থির। মুখে হাসি নেই কারো। ব্যক্তিগত জীবনে ও সামষ্টিক সমাজে জমেছে শঙ্কার কালো মেঘ। পত্রিকার ভাষ্য মতে, ২৬ নভেম্বর-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ দিনে নিহত ১৪৫ জন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে সহিংসতায় মারা গেছে কমপক্ষে ১০০ জন। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। কয়েকটি জেলায় চলছে যুদ্ধাবস্থা। সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে হাজার কোটি টাকার। আগুন আর রক্তে অঙ্কিত প্রতিদিনের সংবাদপত্র। অনেকেই বলেছেন, এমন ডিসেম্বর বাংলাদেশে আগে কখনও আসে নি। সরকার বলপ্রয়োগে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বটে। কিন্তু ফলাফল হচ্ছে ভয়াবহ। শক্তি প্রয়োগে জন্ম নিচ্ছে সহিংসতা। ফলে অচিরেই এই পরিস্থিতির উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কেউই দেখছে না। সামনের দিনগুলোর অবস্থা কেমন হবে, সেটা ভেবে সবাই প্রবলভাবে অসহায় বোধ করছে। শাসন-প্রশাসনে এক ধরনের দলীয়করণের অভিযোগের সঙ্গে গণতন্ত্রকেও দলীয় ইচ্ছার অধীন করার কারণে গভার্নেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রশ্ন সহজেই সমাধান হবেও না। সকল দলের অংশগ্রহণ ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির আগে একাকী ও নিঃসঙ্গ গণতন্ত্র সামগ্রিক সমস্যার জুতসই দাওয়াই হিসাবে বেশি দিন কার্যকরী হতে পারবে না। রক্তাক্ত স্বদেশকেও শান্তিপূর্ণ করতে পারবে না। ক্রনিক রোগের মতো সমস্যা থেকেই যাবে। আসলে গণতন্ত্র ও নির্বাচন সুশাসনের ও শান্তির বিস্তার ঘটায়। নিঃসঙ্গ পথে গণতন্ত্রের একাকী পথচলা সেই কাজটিই যদি করতে না পারে, তাহলে গৃহীত উদ্যোগকে সফল বলা যাবে না। সেই উদ্যোগই শ্রেষ্ঠ, যা সফলতা আনে। সরকারের উদ্যোগ যেমন সফল হচ্ছে না; বিরোধী দলের আন্দোলনও সফল হচ্ছে না। মাঝখান থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সমাজ ও মানুষ। অতএব কাউকে দুর্ভোগ ও বিপদে না ফেলে সফলতার পথ ও পন্থা খুঁজে বের করাই সংশ্লিষ্টদের আশু কর্তব্য হওয়া উচিত। এখনও সুবিবেচনার ও সংযমের পরিচয় না দিলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন