নির্বাচন কমিশন ২৫ অক্টোবর
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ছিল
৫ ডিসেম্বর। নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কোনো
শরিক অংশ নেয়নি। তারা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড়।
একই অবস্থান নিয়েছে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, ডা:
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের
সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আ স ম আবদুর রবের
জেএসডি ও চরমোনাইর পীরের সংগঠন, ইসলামী আন্দোলন।
সর্বোপরি এরশাদ ‘ডিগবাজি’ দেয়ার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত
পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে বিবেচনায় নিলে নির্বাচন বয়কটকারীদের সম্ভাব্য ভোট
অন্তত ৫০ শতাংশ। অন্য দিকে এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয়
জোটের ভোট ৪০ শতাংশের বেশি হবে না।
যদি
শেষ পর্যন্ত এরশাদের প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচন হবে আক্ষরিক অর্থে
একদলীয় এবং নির্বাচনের নামে প্রহসনের নামান্তর। এতে আধা কেজি আওয়ামী লীগের সাথে
একমুঠো ওয়ার্কার্স পার্টি এবং এক চিমটি জাসদ ছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য দলের
অংশগ্রহণ থাকবে না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী
মাত্র ৮৪৭ জন। সরকার যদি শেষ পর্যন্ত ‘নির্বাচন’ করে ফেলতে চায় তবে তা হবে নিছক একটি
তামাশা। রাষ্ট্রীয় খরচে এ ধরনের হাস্যকর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে
নির্বাচন কমিশনের ঘুরে দাঁড়ানোর এখনই সময়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণের নামে
বাস্তবে তেমন কর্মকাণ্ড হবে না। বরং তা প্রধানত ঘটা করে ফল প্রকাশের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ থাকবে। আর যদি এরশাদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তা হলে এটি হবে একটি পাতানো খেলা, যার ফলাফল মূলত পূর্বনির্ধারিত। শেখ হাসিনা
দীর্ঘ দিন তার অধীনে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন হবে বলে একটি ধারণা প্রচার করে
আসছিলেন। এ প্রচারণা যে অবাস্তব তা এখন কারোই বোঝার বাকি নেই। তিনি আসলে
অঘোষিতভাবে একদলীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেই সবার আশঙ্কা। এর অপর নাম
গণবিচ্ছিন্নতা। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধের মুখে সারা দেশ থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সে জন্য বর্তমান সরকারকে কেউ কেউ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী ঢাকা সরকার’ হিসেবে অভিহিত করছেন। সরকার বর্তমান নাজুক
পরিস্থিতিতে এরশাদকে নির্বাচনে ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। এমনকি
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকা সফরকালে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
উৎসাহ জুগিয়েছেন।
শেখ
হাসিনার নির্বাচনকালীন সরকারের ছয়জন মন্ত্রী বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন। এতে বোঝা যায় তারা নির্বাচনের জন্য কী ধরনের সমতল ভূমি
সৃষ্টি করেছেন। এটি এখন স্পষ্ট, সরকার ক্ষমতায় টিকে
থাকতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে। ফলাফলের জন্য ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা
করার প্রয়োজন হয়তো নেই। স্মর্তব্য, চতুর্থ
সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে আজীবন রাষ্ট্রপতি রাখার বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত
হয়। এখনো সেই পথ অনুসরণের সুযোগ রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে বর্তমানে
ঘুমন্ত সংসদের একটি অধিবেশন আহ্বান করে অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’র উত্থান প্রতিরোধকল্পে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না
হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রহসনের
নির্বাচন পরিহার করে সরকার পুলিশ, র্যাব, বিজিবির জোরে যত দিন খুশি ক্ষমতায় থাকার
চেষ্টা করতে পারে।
বেগম
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট ও তাদের মিত্রদের বুঝতে হবে, জনগণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে
নির্বাচনের দাবিতে তাদের সাথে একাত্ম। কিন্তু রাজপথে এ দাবিকে উচ্চকিত করে তোলার
জন্য নেতাদের সামনে পাচ্ছে না। সারা দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষ যেখানে নিরপেক্ষ
সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য রাজপথে নেমে এসেছে, সেখানে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য রাজধানীতে বিরোধীদলীয় নেতাদের
অজ্ঞাতবাস সমর্থনযোগ্য নয়। সরকার যখন একতরফা নির্বাচনের জন্য মরিয়া, তখন হামলা ও মামলার ভয় উপেক্ষা করে বিরোধী
দলকে রাজপথকে উচ্চকিত করতে হবে। তারা এক কদম সামনে এগোলে সাধারণ মানুষ তাদের দিকে
দুই কদম এগিয়ে আসবে। মানুষ মনে করে, গোপন
অবস্থান থেকে ধৃত হওয়ায় চেয়ে রাজপথে নেমে মামলা-হামলার মোকাবেলা করা অনেক বেশি
মর্যাদার। সরকার যেভাবে গণদাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিরোধী দল সব দ্বিধা সংশয় উপেক্ষা করে
রাজপথে নামলে দ্রুত নির্বাচনী নাটকের যবনিকাপাত হতে পারে।
ইতোমধ্যে
সরকারের বড় শরিক এরশাদ বলে দিয়েছেন, ৫
জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। তার মতে, বিএনপি
একটি বড় দল। বিএনপি না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’ কেবল এরশাদই নন, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা দেশে-বিদেশে
আরো অনেকেই বলছেন। বাংলাদেশ সফররত জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ
তারানকোও নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক
করতে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে কি না প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান তারানকো। তফসিল
পেছানোর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত বলে তিনি তারানকোকে জবাব দেন। অথচ ২৫
অক্টোবরের তফসিল ঘোষণার বিষয়টি ইসি যে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করেনি এটি জনগণের সামনে
স্পষ্ট। এর আগের দিনও সিইসি বলেছিলেন, তাদের
হাতে সময় আছে। তারা সমঝোতার জন্য আরো অপেক্ষা করতে চান। চাঁদপুর সফরকালে নির্বাচন
কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ আভাস দিয়েছিলেন, সোমবার
তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তার ইঙ্গিত অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর সোমবার তফসিল ঘোষণা করা হয়।
সবাই বলছে, বিষয়টি কমিশন নির্ধারণ
করেনি। তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ করা সম্ভব নয় বলে অজুহাত
দেখিয়েছিল কমিশন। অথচ তফসিল ঘোষণার পরও আচরণবিধি পালনের বিষয়ে কোনো অ্যাকশনে যায়নি
ইসি। তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকায় সীমিত করা
হয়েছে। অথচ একাধিক প্রার্থী চার্টার্ড হেলিকপ্টারে চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন।
ইসি তাদের একটা নোটিশ পর্যন্ত দেয়ার মুরোদ দেখায়নি। ঢাকাসহ বড় বড় শহরে সরকারি দলের
প্রচারণামূলক বিলবোর্ড এখনো দাঁত কেলিয়ে হাসছে। ইসি কিছুই করছে না। খোদ
প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন সরকারি বাসভবনে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করছেন। ইসির এতেও কোনো
বিকার নেই। তফসিল ঘোষণার রাতে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা হান্নান শাহ গ্রেফতার হলেন।
ইসি বলল, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর ব্যাপার। ‘ইসির ব্যাপার’ তা হলে কোনটি?
পরে
গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। বেগম জিয়ার বাসভবন
ও দফতরে চলছে কড়া নজরদারি। আর এরশাদের বাসভবন ঘিরে রেখেছে সরকারি বাহিনী। ইসির এসব
ব্যাপারে ভ্রƒক্ষেপ নেই কেন? তারা যেন মনের সুখে একদলীয় নির্বাচনের
আয়োজনে ব্যস্ত। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এরশাদকে নিয়ে যে অনৈতিক খেলা চলছে তা
নিয়েও ইসির রা নেই। ৪০টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে মাত্র ১৫টি দলের মাত্র এক হাজার ১০৭ জন
মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কম মনোনয়নপত্র জমার এটিই রেকর্ড।
আর বাছাইয়ের পর বৈধ হয়েছে ৮৪৭ জনের মনোনয়নপত্র। এরশাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালে
সংখ্যাটি নেমে আসবে তিন শ’ আসনে ৫৪৮ জনে।
ইতোমধ্যে ৩৪টি আসনে একজন করে প্রার্থী আছেন। জাতীয় পার্টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
করলে এ সংখ্যাও হবে এ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কাজেই বিদ্যমান অবস্থায় নির্বাচন
হলে গণতন্ত্র, তথা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের
সম্মতির শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। বরং জনগণের ওপর চেপে বসবে সংখ্যালঘু সমর্থিত
সরকার।
এ
সরকারের সমস্যা হলো, তারা রাজনৈতিক সঙ্কট
রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা ও সমাধান না করে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপে বসার জন্য যে ফোনালাপ করেন, সেখানেও সদিচ্ছার চেয়ে কূটকৌশলই প্রাধান্য
প্রায়। চার-পাঁচ দিন আগ থেকেই তথ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রচার করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করবেন।
অথচ ফোনটি তিনি করলেন হরতাল ডাকার পর। শীর্ষপর্যায়ে ফোনালাপের আগে সামান্যতম
হোমওয়ার্ক না করে ডেড একটি ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে মিডিয়ায় প্রচার করা হলো, প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন, কিন্তু বেগম জিয়া ফোন ধরেননি। সন্ধ্যায় যখন
তিনি বেগম জিয়াকে ফোনে পেলেন, তখন শুরুটা করলেন সেই
রেড টেলিফোন ধরা-না -ধরার প্রসঙ্গ নিয়ে। বেগম জিয়া বারবার বলেছিলেন, ২৮ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তিনি গণভবনে
যেতে প্রস্তুত। কিন্তু সে আহ্বানে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেননি। এর বাইরে বিএনপির
মহাসচিব সংলাপের জন্য দুটো চিঠি দিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদককে।
সেগুলোর কোনো জবাব সৈয়দ আশরাফ দেননি। মূলত সরকার এ পর্যন্ত বিরোধী দলকে সংলাপের
জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো আমন্ত্রণ জানায়নি। তারা বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে
আগ্রহী এবং সে দিকেই এগোচ্ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাইরে উল্লেখযোগ্য ভোট ব্যাংক
আছে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে পথের একটি কাঁটা
সরানোর পর এরশাদকে কোলে তুলে নেয় সরকার। তাকে ২১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় সাতটি পদ
দেয়া হয়। কিন্তু কাজী জাফর বেঁকে বসায় বিপাকে পড়ে যান এরশাদ। তার ডিগবাজিতে বিরক্ত, বিব্রত ও ুব্ধ ব্যাপকসংখ্যক নেতাকর্মী
জাফরের পেছনে জড়ো হতে থাকেন। এরশাদ আম ও ছালা সব খোয়ানোর ভয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন।
সরকারকে হতবাক করে দিয়ে ঘোষণা দিলেন, তিনি
নির্বাচনে যাবেন না। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন। পরে
দলীয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদেরও পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর থেকেই এরশাদ নিজ
বাসভবনে কার্যত অবরুদ্ধ। তাকে নির্বাচনে রাখার জন্য সরকার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
তিনি যদি রাজি না হন তবে তার দল ভেঙে রওশন এরশাদকে দিয়ে আরেকটি জাপা গঠনের
প্রক্রিয়াও চলছে। এসব কি গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ? জাপা ভাঙা, উৎকোচ দিয়ে সমর্থন
আদায়, বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার আর
জামায়াতের ওপর স্টিমরোলার চালানোর মাধ্যমে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরকারি
দলের আতঙ্কিত নেতারা ভয় কাটানোর জন্য এখনো হুঙ্কার দিচ্ছেন, সংবিধানের বাইরে যাবেন না এবং তফসিল
অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এ সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিল। তাতে ১৮ দলের
কেউ যায়নি। বামদের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল অংশ সিপিবি, বাসদও নির্বাচনে যায়নি। নির্বাচন বয়কট
করেছে অলি আহমদের এলডিপি, বি. চৌধুরীর
বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি ও চরমোনাইর পীরের
ইসলামী আন্দোলন। পৃথিবীর কোনো দেশের সংবিধান এমন একতরফা নির্বাচনকে সমর্থন করে? রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ শ্রাদ্ধ করে এহেন
তামাশার নির্বাচন আয়োজনের নৈতিক অধিকার সরকার বা ইসি কারোরই নেই। তারানকো সফর করে
গেছেন। সমঝোতার শেষ সুযোগ সরকার কাজে লাগাতে পারে। তা না হলে নির্বাচনী প্রহসনে
ুব্ধ দেশবাসী খুব বেশি দিন দর্শকের আসনে বসে থাকবে এমন ভাবার কারণ নেই। সরকারের একের পর এক চাল ও চালাকিই দেশকে
বর্তমান সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায় সব দলের আস্থা
অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপি তার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এখন এরশাদও বলছেন, গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই, সব দল ছাড়া নির্বাচনে যাবো না। তাই একটাই
পথ খোলা অনারেবল এক্সিট। বেগম জিয়ার
সহযোগিতা ছাড়া তাও সম্ভব নয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন