মাসুদ মজুমদার
দুনিয়াজুড়ে বিনোদন
সংস্কৃতির বিস্তৃতি ঘটেছে। বিনোদন মানুষের জন্য আপেক্ষিক। কে কিসে আনন্দ বা বিনোদন
উপকরণ খুঁজে পাবে, সেটি ব্যক্তির বিষয়। তার পরও
বিনোদন সংস্কৃতির একটি অবয়ব আছে। মূল সংস্কৃতি থেকে এটিকে আলাদা করে ভাবার সুযোগ
কম। এটি ঠিক যে, এর প্রভাব মানুষের সামগ্রিক
জীবনে পড়েছে। আধুনিক ও পশ্চিমা সংস্কৃতির অবয়বটা দাঁড়িয়েছে ষোলোআনা বস্তুবাদের ওপর
ভর করে। বস্তুবাদ সব যুগে ছিল। সামনের দিনগুলোতেও থাকবে। বস্তুবাদনির্ভর সংস্কৃতির
ভেতর কোনো ধরাবাঁধা নৈতিক বাঁধন নেই। ভোগের জন্য, ফুর্তির জন্য, অবারিত যৌনজীবনের জন্য
সব কিছু খোলা। পশ্চিমে মূল্যবোধ নামে যে বিষয়টি শোনা যায়, তার পুরোটা নৈতিকতানির্ভর নয়, কিছুটা মৌলিক মানবীয় গুণ মিশ্রিত।
অবশিষ্টটুকু আইনি নিয়মকানুননির্ভর। সে তুলনায় প্রাচ্য সংস্কৃতিসমৃদ্ধ। পশ্চিমের বা
পাশ্চাত্যের সাথে এর মৌলিক ফারাকটা নৈতিকতার একটা ছোট্ট সীমারেখা দিয়ে চিহ্নিত করা
সম্ভব। পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে প্রাচ্যসংস্কৃতির একটা মেলবন্ধন খোঁজার চেষ্টা
চলছে। সভ্যতার সঙ্ঘাতের কারণে পুরোটা হয়ে উঠছে না। সভ্যতা ও সংস্কৃতি অনেক
ক্ষেত্রে হাত ধরাধরি করে চলে। আবার সঙ্ঘাতও সৃষ্টি করে। তবে দেয়া-নেয়ার ব্যাপারে
সভ্যতা প্রযুক্তির হাত ধরে এগোয়, স্থানান্তরিত হয়। কখনো
হয় প্রভাবক, কখনো প্রভাবিত। তবে
সংস্কৃতির সাথে সভ্যতা যায়। প্রযুক্তির সাথে সভ্যতা যতটা যায়, সংস্কৃতি ততটা যায় না। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
বলে যা চিহ্নিত হচ্ছে, সেখানেও দেয়া-নেয়ার
প্রভাব ও প্রভাবিতের বিষয়টি আছে। সবটুকু আগ্রাসন নয়। আজকের যুগটা শুধু দেয়া-নেয়ার
মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মগজ ধোলাই ও মগজ কেনার মাধ্যমে মানসিক দাসত্ব করতে অভ্যস্ত
একদল মানুষ তৈরি করা সহজ। এরা আনুগত্য করে বানরের মতো। মৌলিকত্বহীন এ ধরনের মানুষ
নামে সুশীল, কাজে গোলাম। সাংস্কৃতিক
আধিপত্যের মাধ্যমে এই মানসিক গোলাম তৈরি করা সহজ।
পশ্চিমা
সংস্কৃতি সেকুলারিজমের যে ধারণা উপস্থাপন করেছে, সেটি ১৫ শতকের আগের কিছু নয়। রাজনীতিতে সুবিধাবাদকে হাত-পা
ছড়িয়ে বসার সুবিধা করে দেয়ার জন্য বস্তুবাদেরই আরেকটি রূপ সেকুলারিজম। তারই হাত
ধরে সাম্যবাদের কথা বলে সমাজতান্ত্রিক ধারা বিকশিত হয়েছে। যদিও সেটি ১০০ বছরও
স্থায়িত্ব পায়নি। বস্তুবাদের উদর থেকে জন্ম নেয়ার কারণেই সমাজবাদ ও পুঁজিবাদকে
পরস্পর প্রতিপক্ষ মনে করা হলেও তাদের মেলবন্ধনটা অস্পষ্ট নয়।
প্রাচ্যসংস্কৃতির
স্বরূপটা দাঁড়িয়েছে মূলত পারস্য ও ভারতীয় মিথ-মিথোলজিকে ভিত্তি করে। গ্রিক যেমন
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তত্ত্বীয় ধারাকে পুষ্ট করেছে, তেমনি পারস্য ও ভারতীয় সংস্কৃতিমিশ্রিত অবয়ব নিয়ে সমৃদ্ধ হয়ে
প্রাচ্যসংস্কৃতির আলাদা একটা ধারা সৃষ্টি করেছে।
ছোট্ট
একটা উপমা দেয়া যায়Ñ লোকজ গান ও গণসংস্কৃতি
পাখা মেলেছে বাংলাদেশের মাটি থেকে। আবার মিথ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের হাত ধরে ভারতীয়
সংস্কৃতির একটা ধারা এগিয়েছে। শুরুতে এই ধারার পুরোটাই ছিল ধর্মাশ্রয়ী। ছন্দপতন
হলেও এই ধারার বিলুপ্তি ঘটেনি। বিশেষ ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে। ১৫ শতকের আগে পৃথিবীর
সব দেশে ধর্ম ছিল অপ্রতিহত। খলিফা-সুলতান, রাজা-রানী, বাদশাহ-সম্রাট সবাই হতেন মর্তে
সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি। সেই ধারার বিলুপ্তি ঘটেনি, রূপান্তর ঘটেছে।
গভীরভাবে
পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, ভারতের পুরো
সাংস্কৃতিক অবয়ব দাঁড়িয়েছে তাদের হিন্দুত্ববাদ আশ্রয়ী মিথ-মিথোলেজি থেকে। রামায়ণ-মহাভারতই
শুধু নয়, বেদ-বেদান্ত, পুরাণ নিয়ে ভারতের ধর্মীয় জগৎ ও সংস্কৃতির
ভাণ্ডার কানায় কানায় পূর্ণ করেছে। এখন বর্ণবাদভিত্তিক ভারতীয় সমাজে দেব-দেবী, পূজা-অর্চনা ধর্মীয় উপাদান নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণ। ভারত তার ধর্মকে
রাষ্ট্রীয় ও সমাজ-সংস্কৃতির ভেতর লীন করে দিয়েছে। ভিন্ন অর্থে বলা চলে, ভারত তার ধর্মকে সংস্কৃতির উপজীব্য বানিয়ে
নিতে পেরেছে। এটি নিন্দা কিংবা পরশ্রীকাতরতা নিয়ে সমালোচনার বিষয় নয়। বাস্তবতা
মেনে নেয়ার বিষয়। প্রগতিশীল নায়কেরা দেব-দেবীর মুণ্ডুপাত করছেন, আবার মন্দিরে গিয়ে দেব-দেবী দর্শন দিচ্ছেন।
পূজা-পার্বণ ও আচারগুলো ধর্মীয় হিসেবে নয়, সাংস্কৃতিকভাবে
বিনোদনের বিষয় হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে। এতে ধর্মের জাত গেল কি না সে প্রশ্ন গৌণ।
মুখ্য বিষয় হচ্ছে মানুষ বিনোদন সংস্কৃতির ভেতর একধরনের ধর্মাচার পাচ্ছে; কিন্তু সেটিকে ধর্ম পালন ভাবছে না। ভাবছে
বিনোদনের ভেতর ডুবে আছে। এটি মানুষকে এক দিকে প্রলুব্ধ করে, অন্য দিকে তুষ্টিও দেয়। ধর্মের ব্যাপারে
বিগড়ে যাওয়া তারুণ্যের মনেও একটি ধর্মীয় আবেগ ঠাঁই নেয়। এটি ধর্মের মৌলিকত্বে
বিসর্জন কি না তা ধর্মতাত্ত্বিকদের বিষয়। এর সাংস্কৃতিক দিকটা উপেক্ষার নয়। সেটি
ভেবে দেখার দায় বাড়ছে।
ধর্মকে
শুধু হিতোপদেশ ভেবে গ্রহণ করার একটা সুযোগ আছে। মৌল ধর্মগুলোর মধ্যে ইসলাম ও ইহুদি
ধর্মাবলম্বী ছাড়া অবশিষ্ট ধর্মগুলোর অনুসারীরা সামগ্রিক জীবনকে ধর্মাচারের ভেতর না
রাখলেও পারেন। এর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ প্রভাব মানুষকে
ধর্ম ও জীবনবোধের ভেতর দেয়াল নির্মাণে বাধা দেয় না। ইসলাম জীবনবোধের রন্ধ্রে
রন্ধ্রে প্রভাবক। যাপিত জীবনের ভেতর বাইরে এর সমান উপস্থিতি। বিশ্বাসের বাইরে
জীবনাচার ইসলাম অনুমোদন দেয়নি। সংস্কৃতি এখানে একাকার।
ভারতীয়
সংস্কৃতির মতো আরেকটি উপমা পারস্য। ইসলাম ধর্ম হিসেবে তো বটেই, তাদের জাতীয় সংস্কৃতির অস্থিমজ্জায়ও এটি
মিশে গেছে। জীবনবোধ ও মূল্যবোধগুলোও ধর্মাশ্রয়ী। আচার-আচরণগুলো ধর্মের উদর থেকে
জন্ম নেয়া। কিন্তু কোনো কিছুই আরোপিত নয়, যেন
লোকজ ও জাতীয় সংস্কৃতির বিষয়। তবে ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে পারস্য সংস্কৃতির ভেতর
একটা গুণগত তফাত স্পষ্ট। পারস্য একটা নৈতিক বেষ্টনী অনুসরণ করে সেটি একত্ববাদকে
আত্মস্থ করেই; যা ভারতে বহুত্ব ও
মূর্তিবাদনির্ভর হয়ে বিকশিত হয়েছে।
ধর্ম
ও দর্শন ছাড়া নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অন্য কোনো মৌলিক উৎস নেই। ধর্ম মানে না কিন্তু
কিছু মূল্যবোধ ও নৈতিকতা মানে, এমন মানুষ কম নয়। তারা
এক ধরনের মানসিক দাসত্ব এড়াবার কথা বলে প্রগতির ঢোল বাজায়, তাই ধর্মাশ্রয়ী হতে চায় না। গভীরভাবে ভেবে
দেখার বিষয় হচ্ছে, তারা যেটাকে মানসিক দাসত্ব
ভাবে, ধার্মিকজন সেটাকেই পরম ভক্তি
ও শ্রদ্ধার সাথে ধর্মাচার হিসেবে অনুশীলন করে। অনেকের ধারণা, প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা ভুবন আছে
কিংবা থাকতে পারে। এটি একজনের সাথে অন্যজনের ভুবনকে আলাদা করে দেয়। বাস্তবে
মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ও বৈশিষ্ট্যগুলো একই রেখায় অবস্থান করে। প্রত্যেক মানুষের ভেতর একটা ধর্মমন
আছে। সুকৃতির একটা ভ্রƒণও লালন করে। আরো আছে
আনুগত্য করা ও অস্বীকার করার একটা সহজাত প্রবৃত্তি। ব্যক্তিমানুষ সেটি ধারণ করে
আলাদা আলাদাভাবে। ধারণ ও লালনের এ পার্থক্যের ভেতর একটি স্বকীয়তা থাকা সম্ভবÑ এটিই ব্যক্তিসত্তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য।
আমাদের
এ বাংলার মানুষ বিনোদন সংস্কৃতির জন্য ভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখে পূজা-পার্বণে
অভ্যস্ত করার জন্য নয়। তবে অবচেতন মনেই মনের ভেতর একটা দ্বান্দ্বিক সত্তার জন্ম
নেয়। কারো জন্য এটা হয় মঙ্গলময়। কারো জন্য হয় মানসিক দাসত্ব বরণের কারণ। কেউ
আত্মতত্ত্বে বিবেকবোধে জাগ্রত হয়ে পথ চলে। কেউ নিজেকে হারিয়ে খোঁজে। এই হারিয়ে
ফেলাটাই মানসিক গোলামি বরণের নামান্তর। ভারতীয় খবরনির্ভর কোনো চ্যানেল বা
রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত টিভি স্টেশনের দিকে এ দেশের মানুষ তাকায় না। এই
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি সবার মগজে ঢুকতে হবে। এটি আকাশ ও নষ্ট সংস্কৃতির প্রতি
দুর্বার আকর্ষণ বলি, আর সাংস্কৃতিক অবয়বে
বিনোদন আগ্রাসনের প্রশ্ন তুলি, তাতে বাস্তবতা আড়াল হয়
না। অর্থনৈতিক শোষণ যেমন আছে, রাজনৈতিক আধিপত্য
বিস্তারের প্রশ্নও থাকা সম্ভব, সাংস্কৃতিক গোলামির
বিষয়টিও এড়াবার বিষয় নয়। এখানে এসে দেয়া-নেয়ার বাইরেও ভারত ও পারস্য, পারস্য ও ভারত অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণীয়।
কতটুকু নেয়া হবে সেটি ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, জাতিতে
জাতিতে এবং নৃগোষ্ঠীগুলোর ভেতর কিছু তারতম্য হতেই পারে।
পারস্য
যা পেরেছে, ভারত যা অনুশীলন করছে তা
মেনে নেয়া এক বিষয়, তবে স্বীকৃতি দেয়া
ভিন্ন বিষয়। ধর্ম, সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে
বাংলাদেশের যে আত্মা আছে সেটিও আলাদা বিষয়। বাঙালি মুসলমানের মনটা আবিষ্কারের
বিষয়। আমরা বাঙালি, কিন্তু কোথাও যেন
বাংলাদেশীদের একটা স্বাতন্ত্র্য আছে। সেটি চলনে-বলনে, বোধ-বিশ্বাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমরা না
বুঝেও স্বতন্ত্র। বুঝেও ব্যতিক্রম। এখানটায় আলাদা মানচিত্র একমাত্র কারণ নয়, মূল কারণটা সাংস্কৃতিক। বিশ্বাসনির্ভর এ
সংস্কৃতির ভেতর কিছু ফাটল অবশ্যই আছে। কিছু মিল-অমিলও আছে। মিল-অমিল নিয়েও আমরা
মানবিক আচরণে এককাতারে, কিন্তু বৈশিষ্ট্যের
স্বাতন্ত্র্যটা ছাড় না দিয়েই। আমরা ধর্মকে গতানুগতিক ও বস্তুবাদী সংস্কৃতির সাথে
লেপ্টে যেতে দিইনিÑ এটি শেষ কথা নয়। শেষ
কথা, বিশ্বাস মানুষকে যে আলাদা
বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্য দেয়, সেখানটায় আমরা মাথানত
করতে শিখিনি। এটিই আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও জাতিসত্তার অস্তিত্বকে মহীয়ান করেছে।
কিছু বিনোদন সংস্কৃতির জোয়ারে সেটি ভেসে যাওয়ার নয়। কারণ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির
একটি পরিচয় ও অবয়ব এখন স্পষ্ট। সেটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য থেকে দেয়া-নেয়ার মধ্য
দিয়েই বিকশিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে। ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে
আমরা সবাই গোলাম হয়ে গেলামÑ এ ধরনের সরল গদ্যময়
চিন্তা করার সুযোগ কম। তবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এই যুগে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক
আগ্রাসনের চেয়েও ভয়াবহ। সামরিক আধিপত্যের মতোই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন জাতির অস্তিত্ব
বিপন্ন করে। তাই আমরা কার গোলাম, কোন সংস্কৃতির ধারক-বাহক
তা অবশ্যই বিবেচ্য বিষয়। এর মৌল কারণ, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসন চিহ্নিত করা
সহজ। সেই তুলনায় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চিহ্নিত করা কঠিন। মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে
আগ্রাসন আসক্ত মানুষটি বদলে যায়Ñ মানসিক গোলাম কিংবা
দাস সেটা টেরই পায় না। তা ছাড়া রাজনৈতিক আধিপত্যবাদ যতটা স্পষ্ট বুঝা যায়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ততটা বোধগম্য হয় না।
আবার অর্থনৈতিক শোষণটা যে পরিমাণ ক্ষত সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রেখে যায়
সেটাও সাধারণ মানুষ বুঝে বিলম্বে।
যারা
একবার সাংস্কৃতিক দাসত্বটাকে হজম করে নেয় তারা রাজনৈতিক আধিপত্যটাকে গা সহা ভাবে।
ফলে মানসিক দাসত্বটা যে বিকারগ্রস্ততার জন্ম দেয় সেটা উপসর্গ দিয়ে বুঝতে হয়। যেমন
আমরা দেশের দরবেশ হটিয়ে ভিনদেশী ঠগকেও ঠাকুর ভেবে কুর্নিশ করছি।
যারা
এই স্বরূপটা উপমাসহ বুঝতে চাইবেন তাদের জন্য আমাদের এই সময়ের রাজনৈতিক কোলাহলটা
একটা বড়মাপের শিক্ষা হতে পারে। কারণ আমাদের ওপর পাকিস্তানি, আমেরিকান, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
জাতিসঙ্ঘের চাপকে ভাবছি যেভাবে, ভারতীয় চাপকে ভাবছি
ভিন্নভাবে। সমান্তরাল না ভাবার এই বিষয়টি যে মানসিক দাসত্বের একটা চিহ্নিত স্বরূপ, সেটা আমরা ক’জন উপলব্ধি করছি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন