বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

নির্বাচন, নাকি গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ

দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ ইতোমধ্যে সর্বমোট ৩০০টি আসনের ভাগ বাটোয়ারার কথা শোনা যাচ্ছে। বাকি আসনগুলোর মধ্যে জাপা (এরশাদ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বললেও তাদের জন্য ৪৬টি, জাসদ চারটি, ওয়ার্কার্স পার্টি চারটি, তরিকত ফেডারেশন দুটি, জেপির জন্য একটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় সেখানে কোনো প্রার্থী নেই। এ নির্বাচনে ২৫২ আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিতে আওয়ামী লীগের প থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সে অনুযায়ী নৌকা প্রতীক পেয়েছে আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও তরিকত ফেডারেশন। জাসদের চারজন, তরিকতের দুজন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির চারজনসহ আওয়ামী লীগের বাইরের মোট ১০ প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
ইসির তথ্য মতে, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত একক প্রার্থী বেড়ে সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২৭ জন, জাপার ২১ জন, জাসদের তিনজন, ওয়ার্কার্স পার্টির দুজন, জাপা (মঞ্জু) একজন। আরো ছয়টি আসনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের থেকে ওই তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফলাফল আসেনি। সেগুলো এলে সংখ্যা ১৬০ জনে দাঁড়াতে পারে বলে ইসি সূত্র বলছে। এরা বিনা ভোটেই নির্বাচিত হতে চলেছেন।
অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হলো:- ১১৮(৪) নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের েেত্র স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধানও আইনের অধীন হইবেন। ১১৯(১) রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকিবে এবং নির্বাচন কমিশন এই সংবিধান ও আইন অনুযায়ী (খ) সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করিবেন। অনুচ্ছেদ ১২২ (১) এ বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার ভিত্তিতে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
মতাসীনদের স্থূলবুদ্ধি স্তাবকেরা সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার কথা বলে বানরের পিঠা ভাগের মতো নাগরিকদের ভোটাধিকার বঞ্চিত রেখে, জনমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে সংসদীয় আসনগুলোকে ভাগাভাগি করে নিজেদের দখলে নিয়ে আবারো গদিনসীন হওয়ার পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন, এটা সংবিধানের ১২২(১) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয় কি? নির্বাচন কমিশন কি দায়িত্ব পালনের েেত্র স্বাধীন আছেন? অবস্থাদৃষ্টে কি মনে হয় না, নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে?
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা লিখিত আবেদন বা বাহকের মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এ েেত্র নোটিশ গ্রহণ বা বাতিলের কোনো এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার নেই। এবার এ বিধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মানেননি বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করলেও তা গ্রহণ করেননি এরা। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বেশ কজন প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে। জাপার অভিযোগ, রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে এরশাদের জাতীয় পার্টি পাঁচটিতেই তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তা জমা নেননি। তাদেরকেও বৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমানে সরকার যেভাবে নির্বাচন করছে তা অর্থহীন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদের বিশ্লেষণ হলো- নির্বাচনের বৈধতা-অবৈধতা, গ্রহণযোগ্যতা-অগ্রহণযোগ্যতা আইনগত, শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক দিকের ওপর নির্ভর করে। সাংবিধানিক দিক দিয়ে তারা নির্বাচন করছেন। কিন্তু রাজনৈতিক ও নৈতিকতার দিক দিয়ে এটার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার মতে যারা তিন তিনবার সরকারে ছিল, তারাই এ নির্বাচনে অনুপস্থিত। ফলে এই নির্বাচন কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না; আর যা হচ্ছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ এমন এক মাসে প্রার্থীবিহীন নির্বাচন করল যেটা বিজয়ের মাস।মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাস। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছে। প্রার্থীবিহীন নির্বাচন পৃথিবীর ইতিহাসে অতীতে কখনো ঘটেনি। বিশ্বে এ ধরনের নির্বাচন এবারই প্রথম। তার মতে, এ নির্বাচন হাস্যকর, অগ্রণযোগ্য ও প্রহসনের। দেশের জনগণ ও উন্নয়নকমী কোনো মানুষই মেনে নেবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ যদি সরকার গঠন করে তাহলে দেশের মানুষ বাকশালের নতুন রূপ দেখবে বলে তার ধারণা। ড. পিয়াস করিমের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ঘটনা সবচেয়ে প্রহসনমূলক, যা অতীতে কখনো হয়নি। ড. আসিফ নজরুলের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। শুধু তাই নয়, এ নির্বাচন প্রহসনমূলক, অগ্রহণযোগ্য, হাস্যকর ও অগণতান্ত্রিক।
তিনি আরো বলেন, অতীত নির্বাচন হতো ভোটারবিহীন। কিন্তু এখন নির্বাচন হচ্ছে প্রার্থীবিহীন। তিনি বলেন, যদি কেউ মনে করেন যে, এ ধরনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে মতায় থাকবে। তা হলে ধরে নিতে হবে ভোট সম্পর্কে তাদের ধারণা দুর্বল। (নয়া দিগন্ত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩)
সঙ্ঘাতের চূড়ান্ত পর্ব আসন্ন?
১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। জামায়াতকে নিয়ে তাণ্ডব ঘটাচ্ছেন। ভাবছেন, অনেক কিছু করে ফেলবেন। বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। মা-শিশুকে একসাথে হত্যা করবেন। তা বসে বসে দেখব না। তা সহ্য করব এটা হয় না। আমরা আরো কঠোর হবো।
প্রধানমন্ত্রী আরো কঠোর হওয়ার ঘোষণার পর দিনই মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, দেশের যেসব জেলায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে সেসব জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চালানো হবে। সাতীরায় ইতোমধ্যেই জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক থেকে আইনশৃঙ্খলা রা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ েেত্র জিরো টলারেন্স দেখাতে বলা হয়েছে। বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদ তো দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কথাই বললেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হানিফ তার দলীয় কর্মীদের দেশের সর্বত্র সরকার বিরোধীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।
দুই বিপরীত জোটের পরস্পরমুখী অবস্থান দেশে সঙ্ঘাত সহিংসতা আরো তীব্রতর করে তুলবে। দেশ এখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। বিএনপি জোটের হতে না দেয়ার ঘোষণার দৃঢ় অবস্থানের কারণেই সম্ভবত আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ঝুটঝামেলাকে এড়িয়ে গিয়ে জোটগতভাবে ১৫৪টি আসনে ভোটাভুটি ছাড়াই বিজয় নিশ্চিত করে রেখেছে। প্রহসনের নির্বাচনের এমন ডিজিটাল ব্যবস্থায় ধরে নেয়া যায় বাকি আসনগুলোতেও মহাজোট বিজয় লাভের অপোয়। বাকি আসনগুলোতে বিরোধী জোট নির্বাচন ভণ্ডুল করে দিলে, নির্বাচন না হলেও ১৫৪টি আসনের ফলাফলের গেজেট ঘোষণা করে মহাজোট আগামী ছয় জানুয়ারি ২০১৪ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনে তেমন কোনো জটিলতা নেই। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার সব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছেন। ভোট ছাড়া নির্বাচন নিয়ে লোকে হাসাহাসি করলে, বিশ্ব সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠালে তাতে তার কী আসে যায়? শুধু সুজাতা সিংরা সমর্থন দিলেই তো হলো!

আধিপত্যবাদের উসকানি
প্রতিবেশী দেশটির ষোল আনা ইচ্ছে, শেখ হাসিনা এবং তার দল আরেক মেয়াদে মতায় থাকুক। এটা শুধু ভারতীয় পত্রপত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়নি, এরশাদের সাথে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বৈঠকে ও প্রসঙ্গটি এসেছে বলে এরশাদ দাবি করেছেন। বৈঠকের পরপরই এরশাদ প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তার দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে না। সুজাতা নাকি তাকে বলেছিলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি-জামায়াত মতায় চলে আসবে। জাপা দাবি করছে এরশাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক রয়েছেন। সরকারের প থেকে বলা হচ্ছে, তিনি সিএমএইচে চিকিৎসারত আছেন। জনগণ ভাবছে, সুজাতা সিংয়ের কথায় অবাধ্য হওয়ায় তার এ দুরবস্থা।
ভারতের মতাসীন দল কংগ্রেস এখন নিজেদের নির্বাচনের ব্যাপারে যতটা না গুরুত্ব দিচ্ছে, তার চেয়েও শতভাগ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এ দেশে আওয়ামী লীগকে আবারো মতায় অধিষ্ঠিত করার ব্যাপারে। সম্ভবত এর খেসারত হিসেবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মতাসীন কংগ্রেসের চারটি রাজ্যে ভরাডুবি ঘটেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী নির্বাচনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির ভারতে সরকার গঠনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় মতায় বিজেপি আসুক, কংগ্রেস আসুক অথবা শিবসেনা আসুক, বাংলাদেশের কারোরই তো এ ব্যাপারে আগ্রহ নেই। বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার ভারত আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে, নাকি তাদের নাককে, কেউ কেউ পরম আদরে টেনে এনে আমাদের দেশে গলাতে অনুরোধ করছে, নাক গলানোকে পরম পূজনীয় ভাবছেÑ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি দেশপ্রেমিকের একান্ত জরুরি। প্রতিবেশী দেশটির প্রতি আমরা অকৃতজ্ঞ নই। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের সাহায্য সহযোগিতা সহমর্মিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
তবে বীর প্রসবিনী এ বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা যেকোনো আধিপত্যবাদী শক্তিরই আগ্রাসী মনোভাবকে শুধু অন্তরের অন্তস্তল থেকেই ঘৃণা করে না, আধিপত্যবাদকে রুখে দাঁড়ানোর হিম্মতও রাখে। ভুললে চলবে না, এ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই মুসলমান অর্থাৎ একই সম্প্রদায়ভুক্ত, ভাষা এক, সাংস্কৃতিও এক, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রার চেতনাও এক।
আধিপত্যবাদীদের আকাক্সা বাস্তবায়নের ছক অনুযায়ী কোনো সাজানো পাতানো ভোটারবিহীন নির্বাচন অথবা নির্বাচনের নামে প্রহসন এ দেশের জনগণ তো মানবেই না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। জনগণ সংবিধান প্রদত্ত ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছে, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আকাক্সায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে রাজপথে- এত রক্ত তো বৃথা যেতে পারে না! অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, আন্দোলন নির্দিষ্ট পরিণতির দিকেই দ্রুত ধাবমান। ঘূর্ণিঝড় আরো ঘনীভূত হচ্ছে সে ঝড়ের আঘাতেই পাতানো নির্বাচনের ফলাফল খড়-কুটোর মতো উড়ে যাবে। নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণের এমন নির্লজ্জ মহোৎসবের যে রাষ্ট্রীয় আয়োজন, তা আন্তর্জাতিক মহলকেও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকেই এক অমর্যাদাকর আসনে আসীন করার ত্রে প্রস্তুতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads