বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ এবং সেই সুবাদে সমগ্র দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমুল জল্পনা কল্পনা চলছে। এই জল্পনা শুধুমাত্র রাজনীতিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সীমাবদ্ধ নয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে, বরং এই জল্পনা কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষের মধ্যে। নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে বিরাজ করছে চরম অনিশ্চয়তা। কেন এই অনিশ্চয়তা ? সাধারণ মানুষ হয়তো সেই কারণটি নিয়ে ততো মাথা ঘামাচ্ছেন না। কারণ সেটি বোঝার সুযোগ তাদের নাই। কিন্তু যারা এই বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন তারা দেখতে পাচ্ছেন যে, সমস্ত অনিশ্চয়তা এবং অশান্তির মূলে রয়েছে বর্তমান সংবিধান। দৈনিক ‘সংগ্রামে’ এর আগের কোন একটি উপ সম্পাদকীয় নিবন্ধে আমি লিখেছিলাম যে, কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। আসলেই তাই। কিন্তু এই কাউন্ট ডাউন নিয়েও মতভেদ রয়েছে। এক শ্রেণীর রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, কাউন্ট ডাউনের টার্গেট ডেট হলো ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩। আর এক শ্রেণীর বিশ্লেষক বলছেন যে, কাউন্ট ডাউনের টার্গেট ডেট হলো ২৪শে জানুয়ারি, ২০১৪। এর মধ্যে আবার তৃতীয় একটি মতামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মতে কাউন্ট ডাউনের টার্গেট ডেট হলো সেই দিনটি যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
৩টি টার্গেট ডেট নিয়েই আলোচনা করা যেতে পারে। বিএনপি এবং সেই সাথে ১৮ দল বলছে যে, কাউন্ট ডাউনের টার্গেট ডেট হলো ২৫ শে অক্টোবর। এই কথার সপক্ষে তারা সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন।
১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে-
(ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে এবং
(খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে :
[তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ- দফায় উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ- সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।]
এখন পর্যন্ত সরকার যে অবস্থান গ্রহণ করেছে সেই অবস্থান থেকে বোঝা যায় যে, সরকার ৩ উপ অনুচ্ছেদের (ক) ধারা মোতাবেক নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সেটিকে সূত্র ধরে বিএনপি বলতে চাচ্ছে যে, যেহেতু ২০১৪ সালের ২৪ শে জানুয়ারি এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে তাই তার ৯০ দিন আগে বর্তমান সংসদ সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়বে। সেই ৯০ দিন শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ শে অক্টোবর থেকে। এই ব্যাখ্যাকে সামনে রেখে বিএনপি তথা ১৮ দল আগামী ২৫ শে অক্টোবর ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচী দেবেন। সে জন্যই বিএনপি বলতে চায় যে, সংসদীয় গণতন্ত্রে যেহেতু পার্লামেন্টই সমস্ত ক্ষমতার উৎস তাই যেদিন থেকে পার্লামেন্ট ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে সেদিন থেকে সরকারও ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে। বিএনপি তাই মনে করে যে, ২৫ শে অক্টোবর বা তার পর থেকে সারাদেশে যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ, র্যাব বা বিজিবি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নামিয়ে তেমন ফায়দা হবে না। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি অস্তাচলগামী সরকারের পক্ষে জনগণের ওপর নিষ্ঠুর দমন পীড়ন চালাবে না। তারা বরং বোঝার চেষ্টা করবে যে ৯০ দিন পর কারা ক্ষমতায় আসছে। যারা ক্ষমতায় আসছে তারা তাদের কাছে হবে উদীয়মান সূর্য। সেই উদীয়মান সূর্যের প্রতি তারা মনে মনে দুর্বল থাকবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি বিচার করছে যে, জনগণের আন্দোলন দমনের জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দিলেও তাতে বিশেষ কোন কাজ হবে না। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে না। এ কথা বরং পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, জনতার শক্তি তখন অন্য সব শক্তির চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে।
॥দুই॥
আওয়ামী লীগের অবস্থান এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা বলে যে, যেহেতু সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত, তাই সরকার চাইলে এই সময়ের মধ্যে যে কোন দিন সংসদের অধিবেশন আহ্বান করতে পারে। এখানে শুধু একটিই শর্ত আছে। সেটি হলো, একটি সংসদের অধিবেশন যে দিন শেষ হবে এবং সংসদের পরবর্তী অধিবেশন যে দিন শুরু হবে তার মধ্যবর্তী সময় যেন ২ মাস বা ৬০ দিনের বেশি না হয়।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ১ উপ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,
৭২। (১) সরকারি বিজ্ঞপ্তি দ্বারা রাষ্ট্রপতি সংসদ আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ করিবেন এবং সংসদ আহ্বানকালে রাষ্ট্রপতি প্রথম বৈঠকের সময় ও স্থান নির্ধারণ করিবেন।
[তবে শর্ত থাকে যে, ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার (ক) উপ-দফায় উল্লেখিত নব্বই দিন সময় ব্যতীত অন্য সময়ে) সংসদের এক অধিবিশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবিশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ষাট দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকিবে না।]
সংসদের বর্তমান অধিবেশন ২৪ শে অক্টোবর শেষ হবে। যদি সরকার আরেকটি অধিবেশন ডাকতে চায় তাহলে সেটি আগামী ২৪ শে ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন ডাকতে হবে। (৬০ দিনের বেশি বিরতি দেয়া যাবে না, তাই)। আর সেটি ২৪ শে ডিসেম্বরের পরে হবে না। এটি হলো সাংবিধানিক প্রভিশন। আওয়ামী লীগের এই কথা ঠিকই আছে। কিন্তু একটি হলো আইন গত দিক, আরেকটি হলো নৈতিক দিক। প্রচলিত রেওয়াজ হলো এই যে, যে দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার অন্তত ৪৫ দিন আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অবশ্য এটা যে ৪৫ দিনই হতে হবে তার কোন ধরা বাঁধা নিয়ম নাই। ক্ষেত্র বিশেষে বা বিশেষ অবস্থায় ৪০ দিনও হতে পারে বা ৩০/৩৫ দিনও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি স্তর রয়েছে। একটি হলো, নমিনেশন পেপার দাখিল করা। দ্বিতীয় স্তর, নির্র্বাচন কমিশন কর্তৃক সেটি যাচাই বাছাই করা। তৃতীয় স্তর, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কোন মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হলে তার বিরুদ্ধে আপিল করা। চতুর্থ স্তর এবং ফাইনালি, কতগুলো নমিনেশন পত্র চূড়ান্তভাবে বৈধ হলো বা টিকে গেল, সে গুলো নির্বাচন কমিশন কর্র্তৃক ঘোষণা করা। এর পর নির্বাচনী প্রচারাভিযান। নির্বাচনী প্রচারের জন্য একজন এমপি প্রার্থীকে ১ মাস সময় দেয়া উচিৎ। সেজন্যই সাধারণত নির্বাচনের ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণার রেওয়াজ রয়েছে। অবশ্য এখান থেকে যে ছোটখাটো ব্যতিক্রম হয় না তা নয়।
সেজন্যই বলছিলাম যে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার পর সংসদ অধিবেশন সাধারণত বসে না। তবে পঞ্চম সংশোধনী মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে একজন সিটিং এমপিকে যদি নমিনেশন দেয়া হয় এবং সেই সময় যদি জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকা হয়, তাহলে ঐ এমপি বেচারা কোন দিক সামলাবেন? তিনি কি এ্যাসেম্বলি সেশন এ্যাটেন্ড করবেন ? নাকি ইলেকশন ক্যাম্পেইন করবেন ? এই লেখার সময় টেলিভিশনে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে একটি কথা বলতে শুনলাম। তিনি বলেছেন যে, ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংসদ বহাল থাকবে এবং ২৪ শে জানুয়ারির আগে যে কোন সময় সংসদের অধিবেশন ডাকা যাবে। সুরঞ্জিত বাবুর এই কথা পুরোপুরি সঠিক নয়। তার ব্যাখ্যা একটু আগেই আমি দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রায়শ একটি কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবারও তিনি সে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী কত দিন ক্ষমতায় থাকবেন তার কোন সীমারেখা নাই। এ ব্যাপারে তিনি বারবার সংবিধানের ৫৭(৩) ধারা উদ্ধৃত করছেন। ৫৭ অনুচ্ছেদটি পুরোপুরি নিচে উদ্ধৃত করা হলো :
(১) প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তিনি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন অথবা
(খ) তিনি সংসদ- সদস্য না থাকলে।
(২) সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শ দান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবেন।
(৩) প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।
॥তিন॥
৫৭ এর ৩ উপ-অনুচ্ছেদ সম্পর্কে মোহাম্মদ নাসিমের কথাটি সঠিক। কিন্তু পশ্চিম বঙ্গের কৌতুক অভিনেতা ভানু ব্যানার্জীর একটি ডায়ালগ উল্লেখ করে বলতে হয়, “এখানে দুইখান কথা আছে।” প্রধানমন্ত্রী কিভাবে অনন্তকাল ক্ষমতা ধরে রাখবেন? তাকে তো ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে ইলেকশন করতেই হবে। এই ইলেকশনে তিনি যদি জয় লাভ করেন তাহলে এক কথা। আর তিনি যদি পরাজিত হন তাহলে তাকে বিজয়ীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় হয়তো ৫-৭ দিন লেগে যেতে পারে। আগেই বলেছি যে, ইলেকশন তো তাকে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪০-৪৫ দিন আগেই করতে হবে। ১২৩ অনুচ্ছেদের (খ) উপ-অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া ছেলের হাতের মোয়া নয়। কি কি কারণে বা কি পরিস্থিতিতে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া যায় সেটিও সংবিধানের ৭২ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে। কাজেই আওয়ামী লীগারদের কথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মরজি হলো, আর তিনি সংসদ ভেঙ্গে দিলেন, বিষয়টি এত সোজা নয়।
কারণটি যাই হোক না কেন, আগামী ২৪ শে জানুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশ একটি মহাসংকটে নিক্ষিপ্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী কাজ চালিয়ে যাবেন, এটি যেমন একটি অপশন, তেমনি আরো অপশন রয়েছে। সেই সব অপশন এত আগাম কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়।
এতক্ষণ ধরে যা আলোচনা করা হলো সেটির পূর্ব শর্ত ছিল এই যে, এই সংসদ বহাল থাকবে, মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এগুলো সংবিধানে রয়েছে। কিন্তু ১৮ দলীয় জোট সংবিধানের এসব অংশ তো মানছে না। তাদের কথা হলো, আওয়ামী লীগ যেমন বিএনপি ও প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার অধীনে নির্বাচন মানে নাই, তেমনি বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটও আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার আন্ডারে নির্বাচন মানবে না। এটিই হলো শেষ কথা। এতক্ষণ ধরে সংবিধানের বিভিন্ন প্রভিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম জনগণকে এ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেয়ার জন্য। এখন সব কিছু নির্ভর করছে ১৮ দলীয় জোট তাদের কথাকে কতদূর কাজে বাস্তবায়িত করতে পারে।
॥চার॥
কোন কোন সংবিধান বিশ্লেষক এবং আইনজীবী বলেন যে, বর্তমান সরকার একটি অজুহাত খাড়া করে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিরত থাকবেন এবং এই সংসদের মেয়াদ বাড়িয়ে দেবেন। কারণ তাদের রয়েছে চার পঞ্চমাংশ মেজরিটি। কিন্তু এখানেও বিষয়টি ছেলের হাতের মোয়া নয়। বিষয়টি এত সোজা নয় যে, ইচ্ছে হলো আর খেলাম, আবার ইচ্ছে হলো আর ছুঁড়ে ফেললাম। কোন অবস্থায় সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে সেটি সংবিধানে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলা আছে। একমাত্র অন্য রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ ছাড়া কোন অবস্থাতেই সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ৩ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে,
৭২। (৩) রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে
তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত থাকিবার কালে সংসদের আইন দ্বারা অনুরূপ মেয়াদ এককালে অনধিক এক বৎসর বর্ধিত করা যাইতে পারিবে, তবে যুদ্ধ সমাপ্ত হইলে বর্ধিত মেয়াদ কোনক্রমে ছয় মাসের অধিক হইবে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন