মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৩

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা


ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বে চার ধরনের সরকারের মডেল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রথমত, বৈপ্লবিক সরকার পদ্ধতি; দ্বিতীয়ত, ক্ষমতা ভাগাভাগি পদ্ধতি; তৃতীয়ত, ক্ষমতাপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এবং চতুর্থত, আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-পদ্ধতি। বৈপ্লবিক সরকার দেখা যায় ১৯৪৪ সালে ফ্রান্সে, ১৯৫০ সালে কিউবায়, ১৯৬২ সালে আলজেরিয়ায়, ১৯৭০ সালে ইথিওপিয়ায় এবং ১৯৭৯ সালে নিকারাগুয়ায়। আর ক্ষমতা ভাগাভাগির মডেল দেখা যায় ১৯৮৯ সালে পোল্যান্ডে, ১৯৯৩ সালে নাইজেরিয়ায় এবং ১৯৯০-১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ক্ষমতা হস্তান্তরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে পাওয়ার শেয়ারিং মডেলতথা ক্ষমতা ভাগাভাগির পদ্ধতিউপস্থাপন করেছেন। অর্থাৎ নির্বাহী ক্ষমতায় বিরোধী দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে ওই ভাষণে, যা স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকারের একটি নতুন রূপরেখা বললেও ভুল হবে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী Karen Guttieri I Jessica Piom মনে করেন, ‘ক্ষমতা ভাগাভাগিরতখনই প্রয়োজন হয়, যখন ÔThe regime compromises with opposition forces when it is weakened and collapse. বর্তমান বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল ও ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহাল থাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থাপিত এ মডেল বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ নিবন্ধিত বেশিরভাগ দলই প্রত্যাখ্যান করেছে। 
মূলত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মধ্য দিয়েই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ শব্দগুলো বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য এ সরকারকে দাফতরিকভাবে কী নামে ডাকা হবে তা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই। সাংবিধানিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ছয় দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে ২৫ অক্টোবরের পর সরকারব্যবস্থার যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তা হচ্ছেÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন নির্বাহী বিভাগের সর্বোচ্চ পদে, অর্থাৎ তার অধীনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বহাল থাকছে সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত নির্বাচন কমিশনাররাই সম্পাদন করবেন সংসদ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর সাজানো-গোছানো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। এ রকম একটি ব্যবস্থায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নতুন বিষয় হচ্ছেÑ ‘নির্বাচনকালীন সরকার হবে সর্বদলীয়। এতে বিরোধী দল থেকেও মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এ প্রস্তাব আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ প্রস্তাবকে কিভাবে নেয় তার ওপর নির্ভর করছে এ প্রস্তাবের গ্রহণযোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ। কারণ রাষ্ট্রের নির্বাহী পদে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিরোধী দল মেনে নেবে এমন পরিবেশ বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি। আর এ পদটিতে যদি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা থাকেন তা হলে তো মেনে নেয়ার সম্ভাবনা নেই। 
প্রধানমন্ত্রী উপস্থাপিত মডেলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকছেন দলীয়ভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যমান সংবিধান ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে এত বেশি ক্ষমতা দিয়েছে যে বিশ্বের যেকোনো ক্ষমতাধর নির্বাহীর ক্ষমতার সাথে এর তুলনা করলেও অত্যুক্তি হবে না। সংবিধানবিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটি গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক নয় বলে ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এবার এ পদে যিনিই অধিষ্ঠিত হন না কেন, দৃশ্যত এ পদে নিয়োগে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়েছে বলে মনে হয়। কিন্তু কার্যত যিনি দলীয় প্রধান তিনিই প্রধানমন্ত্রী। দলীয় প্রধান হতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী হতেও ভোটাভুটির মুখোমুখি হতে হয় না। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থা যেভাবে বিকশিত হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বিশ্বের যেকোনো সরকারপ্রধানের চেয়ে অনেক বেশি। বলা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কিন্তু তাকেও প্রথমে দলীয় ফোরামে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে মনোনীত হতে হয়। তারপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। এরপর ক্ষমতা পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাকে নিজ দলের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। কংগ্রেসের ওপর প্রকৃত অর্থেই নির্ভর করতে হয়। সম্প্রতি অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে যে অর্থবিলটি পাস করা হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট ওবামা কংগ্রেসে শুধু তার নিজের দলের সমর্থন নেননি, বরং রিপাবলিকান দলীয় সংসদ সদস্যদেরও সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হতে হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাইএখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর এই সীমাহীন ক্ষমতার অধীনে সর্বদলীয় সরকার গঠন যদিও হয়, তাতে বিএনপির এ নির্বাচনে অংশ নেয়া এখন হাজার মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। কারণ সরকারকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন এটি দলীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সীমাহীন ক্ষমতাসম্পন্ন। কারণ যেহেতু সংসদ ভেঙে দেয়া হচ্ছে না সেহেতু সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সংসদ পরিচালনায় রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক লিখিতভাবে প্রদত্ত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার কথা। সুতরাং ২৫ অক্টোবরের পরও প্রধানমন্ত্রী চাইলে রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন। যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্তও সরকার সংসদের মাধ্যমে নিতে পারবে। তাতে সাংবিধানিক ও আইনগত কোনো বাধা নেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল তাতে সে সরকারের কার্যপরিধি ছিল রুটিনমাফিক কাজ এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো ধরনের কার্যপরিধি ঠিক করা নেই। সুতরাং বলা চলে, প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বা ইচ্ছাই হবে এ সরকারের কার্যপরিধি। বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় তা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন তার মন্ত্রিসভা কত সদস্যের হবে, মন্ত্রিসভায় বিরোধী দলের কজন সদস্য থাকবেন, এ মন্ত্রিসভার মেয়াদ কী হবে এবং কাজের পরিধিই বা কতটুকু হবে। যেহেতু এ ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার বাংলাদেশে প্রথম, সুতরাং বলা চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই এ সরকারের একটি রূপরেখা জনগণ দেখতে পাবে। কিন্তু একটি দেশের ক্ষমতানির্ধারণী নির্বাচনে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা এখনই ভেবে দেখতে হবে। 
সংবিধানের ৫৭ এর ৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত এ সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। অর্থাৎ কোনো কারণে যদি নির্বাচন না হয়, তত দিন পর্যন্ত এ মন্ত্রিসভা দায়িত্ব পালন করবে। অথচ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। কিন্তু এ সরকারের সে অর্থে সুনির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। অনেকটা ভারতীয় সংবিধানের আদলেই এ বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভারতের সংবিধানের ৭৫-এর ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য না থাকা সত্ত্বেও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা মন্ত্রিসভায় থাকতে কোনো বাধা নেই। এখানে একটি বিষয়ের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে যে, সব সময় এবং সবক্ষেত্রেই নির্বাচিত সদস্য হওয়ার বিষয়টি মুখ্য নয়। উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারদলীয় অনেক সংসদ সদস্য বলে আসছেন, ‘অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে কোনো ধরনের সরকার গঠন করা যাবে না। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্বাচিত, সুতরাং এটি মানার প্রশ্নই ওঠে না।কিন্তু ভারতীয় সংবিধান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি বাধ্যবাধকতায় রাখেনি। বিষয়টি একবার ভেবে দেখা উচিত। 
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে। ভারতের ক্ষেত্রে এটি তেমন করা হয়নি এবং করার দরকার হয়নি। কারণ ১৯৪৭ সালের পর ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি। কারণ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ছয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় প্রতিবারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে। সর্বশেষ, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে সংবিধানে নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয় এবং এই সরকারের অধীন দীর্ঘ দিন পর অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। পাকিস্তান সংবিধানের ২২৪ ও ২২৪এর (এ) তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ও বিদায়ী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগ দেবেন। যদি উভয় নেতা সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হন তাহলে সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে উভয় নেতা সংসদের স্পিকারের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দুইজনের নাম প্রস্তাব করবেন। স্পিকার বিদায়ী সরকারি দল ও বিদায়ী বিরোধী দলের আটজন সংসদ সদস্য সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবেন। বিশেষ কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কাউকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হলে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তর করবে। পরে নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে একজনকে বেছে নেবে। এ পদ্ধতিতে পাকিস্তানে অন্তত একটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা গেছে। 
বাংলাদেশের বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীকে আরো বেশি ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাতে হবে। দেশকে সঙ্ঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে দুই নেত্রীকেই সমঝোতা এবং পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকারের একজন প্রধান খুঁজে বের করতে হবে এবং সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। আর এটা সংবিধানের মধ্যে থেকেই করা সম্ভব। দুই নেত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করাটাই শ্রেয়। এ ক্ষেত্রে কুরআনের বক্তব্য হচ্ছে, ‘তোমরা পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করো। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads