যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গ
সরকার যখন মানবতাবিরোধী বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করে, তখন থেকেই এই আদালত নিয়ে তামাম দুনিয়ায় নানাবিধ প্রশ্ন উত্থাপিত হতে থাকে। এর গঠন প্রণালী, সাক্ষী-সাবুদের ধারা, বিচার প্রণালী, বিচারক নিয়োগ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সে বিতর্ক ক্রমেই সম্প্রসারিত হতে থাকে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি সম্ভব হয় তাহলে তাকে স্বাগত জানায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল। এমনকি এর প্রধান টার্গেট যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, তারাও স্বাগত জানায়। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই বক্তব্য ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করা না হয়।
শুরুতেই শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন সদস্যকে সনাক্ত করেছিল। এবং তাদের বিচার করার সদম্ভ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ মিলে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ১৯৭৪ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকায় হেনরীকিসিঞ্জারের সাথে কথোপকথনে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ এর যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ বলে উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছিলেন, ১৯৭১ এর যুদ্ধ ছিলো আসলে ভিরু যুদ্ধ। তিনি তাই চাননি যে, যুদ্ধাপরাধীদের কোনো বিচার হোক। হেনরী কিসিঞ্জারের সাথে শেখ মুজিবুরের যে কথোপকথন হয়, ২০০৭ সালের ১১ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ তা প্রকাশ করেছে। এরপর একই সময়ে প্রণীত হয়েছিল দালাল আইন। সে দালাল আইনে প্রায় লক্ষাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল খুব অল্প সংখ্যক লোকেরই। অপরাধীরা বিভিন্ন দন্ডে দ-িত হয়েছিলো। তাদের মধ্যে মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছিলো মাত্র একজনের। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার দালাল আইনে আটককৃত ও সাজা প্রাপ্তদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে।
ধরে নেয়া হয়েছিল বিষয়টির নিষ্পত্তি সেখানেই হয়ে গেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার যখন ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা ঘোষণা করে তখন শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙ্গালী জাতি দেখিয়ে দিল কিভাবে ক্ষমা করতে হয়। আর দালাল যদি বলতে হয় তাহলে একথা স্বীকার করতেই হবে যে, সেই সময়ে পাকিস্তান অখন্ড রাখার পক্ষে যারা ছিলেন তারা এখন সব দলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য শেখ মুজিবসহ তারা দীর্ঘকাল আন্দোলন করেছেন। তা রক্ষার পক্ষেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এমন কি শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অখন্ড পাকিস্তানেরই প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। ফলে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে তাজউদ্দিন আহমদের শত পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও নিজ মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।
শেখ মুজিব যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন, সেটাই খুব স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। কেননা, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাতি গড়ে তুলতে দরকার জাতীয় ঐক্য। বিভেদ জিইয়ে রেখে কোন মতেই দেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই করেছিলেন চীন কিউবা ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের নেতারা। জাতিকে বিভক্ত করে নয় জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গড়ে তুলতে হয় দেশ।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় ত্রিশ বছর পর জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য বিদেশী চক্রান্ত শুরু হয়। প্রথম ত্রিশ বছর এরা সবাই যে চুপ করে ছিলেন, তা থেকেও বুঝা যায় যে তখনও এই বিদেশী দালালদের কেউ উসকে দেয়নি। তারপর গঠিত হয়েছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। যে ঘাতক বা দালালদের ত্রিশ বছর আগে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছিল তাদের নির্মূল করতে হবে কেন? তাও আবার তিন দশক পরে। সেখান থেকেই সূত্রপাত। ঐ কমিটি যখন এখানে সেখানে নানা নাটক মঞ্চস্থ করছিল, তখনও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে গাঁট ছড়া বেঁধে নানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই অবস্থাই চলছিল ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। শেখ হাসিনা কোন দিনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ তোলেননি। সে প্রসঙ্গ তুলে আনেন ২০০১ সালের পর থেকে। আর তখন তার প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়ায় জামায়াতে ইসলামী। কারণ ঐ সময় জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছেড়ে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধে। এবং ২০০১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করে তারাও ক্ষমতার অংশীদার হয়।
একদিকে জাতিকে বিভক্ত করার বিদেশী চক্রান্ত অপরদিকে ক্ষমতায় না যাওয়ার বেদনা শেখ হাসিনাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলে। আর সে কারণে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে তার নির্বাচনী ইস্যুতে যুক্ত করেন। এতে কারো বুঝতে বাকি থাকেনা যে, শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্য কী। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা যে বিদেশী চক্রান্তের ফসল ছিল সেটি এখন আর গোপন নেই। তাতে ইন্দো-মার্কিন চক্রান্ত প্রাধান্য পায়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন যে, সে নির্বাচনে মার্কিন ভূমিকা কী ছিলো এবং তাতে যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলো তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিল স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা ছিল এক আঁতাতের নির্বাচন। উল্লেখ্য সে সময় জনাব আবদুল জলিলই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তখন ‘সাবেক’ হয়ে যাননি। অর্থাৎ ভীনদেশী চক্রান্তকারীদের সুতোর টানে ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার।
ফলে বর্তমান সরকার একটি পুতুলের সরকার। যে পটুয়ারা এ পুতুল নির্মাণ করেছেন তাদের হাতের টানেই সরকারকে খেলে যেতে হবে, যা অনেক খানি পুতুল নাচের মঞ্চের মতো। সুতো টানে ভিন্ন কেউ, আর পুতুল নেচে যায়। সেভাবেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের নাটক শুরু হয়। এবং এর প্রধান টার্গেট দাঁড়ায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ আর বিএনপিরও শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা। বলা হয় এরা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যাকা-, অগ্নিকা-, ধর্ষণ প্রভৃতি যুদ্ধাপরাধমূলক কাজ করেছেন। এই বিচার কার্য ও গ্রেফতার শুরু হলে কোন কোন পত্রিকা আওয়ামী লীগের ভেতরে আশ্রয়গ্রহণকারীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কিন্তু তাদের বিষয়ে সরকার চুপ মেরে থাকে। বিচার শুরু হয়ে যায়।
এই বিচার কার্য শুরু করতে যেয়ে সরকার বার বার হোঁচট খেতে থাকে। বার বার আইন পরিবর্তন করে। নতুন আইন প্রবর্তন করে। অর্থাৎ যে করেই হোক আটককৃতদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া সম্ভব হয়। আন্তর্জাতিকভাবে যখন এই ট্রাইবুনালের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তখন সরকার বার বার বলতে থাকে যে, নাম আর্ন্তজাতিক হলেও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আদালত। সুতরাং বিদেশীদের এ বিষয়ে কিছুই বলার থাকতে পারে না। কিন্তু যদি ন্যায়বিচার না পাওয়া যায়, যদি মানবাধিকারের লঙ্ঘিত হয়, তাহলে বিদেশীরা সোচ্চার হয়ই। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্ব স্ব দেশের সরকারকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার পরামর্শ দেয়। তাতে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে না।
মস্কোপন্থী ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা’ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ সম্প্রতি পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন যে, বহিরাগতরা শেখ হাসিনাকে ‘ডিকটেট’ করছেন বা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশ চালাতে গিয়ে শেখ হাসিনাকেও বিভিন্ন পক্ষের কথা শুনতে হচ্ছে। কিন্তু এক পক্ষের মন রক্ষা করতে গিয়ে অন্য পক্ষকে অসন্তুষ্ট করলে তার খেসারত প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যা হোক, এতোদিনে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের এ উপলব্ধি হলো। ১৯৭৫ সালে তিনিও বহিরাগত হিসেবে জোট বেঁধেছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তার নাম দেয়া হয়েছিল ঐক্য জোট। তার সঙ্গে আর ছিল মনি সিংহের কমিউনিস্ট পার্টি। মনি-মোজাফ্ফরের পরামর্শে শেখ মুজিবুর রহমান সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে বাকশাল গঠন করেছিলেন। তার পরিণতি ভাল হয়নি।
তবে বিদেশী খেলোয়াড়রা যা করতে চেয়েছিলেন তাতে তারা অনেক খানি সফল হয়েছেন। জাতিকে অন্তত এই ইস্যুতে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। এটা পুরোনো নিয়মের খেলা। ডিভাইড অ্যান্ড রুল। জাতিকে বিভক্ত করে শাসন করো। বাংলাদেশকে জাতি হিসেবে বিভক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ভিনদেশীরা ‘ডিকটেট’ করতে পারছে। একদিকে শাহবাগীদের জন্ম দেয়া হচ্ছে অপরদিকে ফুঁসে উঠছে হেফাজতে ইসলাম। সরকার শাহবাগে যাদের জড়ো করেছিল তাদের সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু যে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা শাপলা চত্বরে সমবেত হয়েছিলেন তারা এদেশের সাধারণ মানুষ। সরকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কিছু পুতুল দাঁড় করিয়ে ভাবতে শুরু করেছে যে দিগি¦জয় সম্পন্ন করে ফেলেছে।
কিন্তু স্কাইপি সংলাপ ফাঁস হওয়া এবং পুনরায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় আগাম ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা এই বিচারের ক্ষেত্রে দুটি বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা। এবং দুটি ঘটনাই ট্রাইবুনালের মূল ধরে নাড়া দিয়েছে। স্কাইপি কেলেঙ্কারিতে ট্রাইবুনালের বিচারপতি দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করেছে। তাতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তিনি বেলজিয়ামে বসবাসরত এক আইনজীবীর কাছ থেকে একটি বিচারের রায় লিখিত চাইছিলেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে যে কেলেঙ্কারির সূচনা হয়েছিলো তার আর কখনো অবসান ঘটেনি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচারের রায় আইন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটারে পাওয়া যাওয়া নিয়ে তার আইনজীবীরা সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন করেছেন। তবে কী ঐ রায় আইনমন্ত্রণালয়ই লিখে দিয়েছে? সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজেও রায় শোনার পর রায়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
এই কেলেঙ্কারি নিয়েও সরকার যা করছে তাতে জনমনে সংশয় আরো ঘনীভূত হবে যে, বাস্তবিকই ডাল মে কুচ কালা হ্যায়! কেননা ঐ ঘটনার পরপর প্রথমে সরকারের তরফ থেকে বলা হলো যে, রায় ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এরপর যখন দেখা গেলো যে, ফাঁস হয়ে যাওয়া রায়ের সঙ্গে ট্রাইবুনালের রায়ের মিল আছে তারপর থেকে সরকার নানা নাটকের সৃষ্টি করছে। তারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিষ্টার ফখরুল ইসলামের চেম্বার ভেঙে সেখান থেকে তার কম্পিউটার জব্দ করে এবং আরো কিছু জিনিস নিয়ে যায়। এবং দাবি করা হতে থাকল যে, আইনমন্ত্রণালয় নয় ঐ রায় ফাঁস হয়ে গেছে ট্রাইবুনাল থেকেই। আর ফাঁস করেছে নাকি এক ঝাড়–দার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝাড়–দার হলেও সে কম্পিউটার চালনায় অত্যন্ত দক্ষ। তবে ট্রাইবুনাল প্রধানের খাস কামরায় ঢুকে একজন ঝাড়–দারের পক্ষে পেন ড্রাইভে করে ঐ তথ্য নিয়ে ফাঁস করে দেয়া এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাছাড়া এসব কম্পিউটার পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে বন্ধ রাখার কথা। যে পাসওয়ার্ড একজন ঝাড়–দারের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। ফলে সরকার যাই বলুক না কেন জনমনে এই সন্দেহ প্রবলভাবেই বহাল থাকবে যে, এই রায় আইন মন্ত্রণালয়ই লিখে দিয়েছে।
এদিকে সরকার প্রধানের অবস্থা হয়েছে বেসামাল। তিনি আর এক মেয়াদে ভোট চান, ক্ষমতা চান। তার জন্য এক এক সময় জনগণের কাছে এক এক অজুহাত তুলে ধরছেন। কখনো বলছেন, বিএনপি এলে ঘুষ রাজনীতির রাজত্ব কায়েম হয়ে যাবে অতএব আমাদের ভোট দিন। কখনো বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ রসাতলে যাবে অতএব আমাদের ভোট দিন। কখনো বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে অতএব আমাদের ভোট দিন। কখনো বলছেন, বিএনপি এলে অশান্তি হয়। আওয়ামী লীগ মানে শান্তি। অতএব আওয়ামী লীগকে ভোট দিন। সর্বশেষ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য আর এক মেয়াদে ভোট দিন। তবে কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নির্বাচনে জেতার একটি কৌশল মাত্র?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন