শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের চাঞ্চল্যকর তথ্য


বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট মোচনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সবগুলো উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য বেশ কিছুদিন  ধরে বিদেশীরা চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এদের মধ্যে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচেষ্টা অধিকতর দৃশ্যমান। গণচীন সাধারণত নীরব কূটনীতি চালায়। এসব ব্যাপারে তারা গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলে। সেই গণ চীনের রাষ্ট্রদূতও কয়েক দিন আগে বলেছেন যে, এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনের উদ্দেশ্যে বড় দুই দলকে বিশেষ করে দুই দলের নেত্রীকে এক টেবিলে মুখোমুখি বসানোর জন্য  তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। তবে তার প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা নিয়মিত বলে আসছেন যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় আমেরিকা। এটি হবে এমন একটি নির্বাচন যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা থাকা উচিৎ। এটিকেই বলা হচ্ছে ‘সমতল ভূমি’ বা ইংরেজীতে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব আবেদন অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হয়েছে। তার কথার আর পাত্তা নেতৃবৃন্দ তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষও দেয় না। শোনা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি একটি বারের জন্য হলেও দেখা করার নিমিত্তে বার বার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত মজিনাকে কোন ইন্টারভিউ গ্র্যান্ট করেননি। অগত্যা মধুসূদন। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী কণ্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে ৩ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ সংকট সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে টেলিফোন করেছিলেন। ঐ টেলিফোন আলাপে তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট মোচনের জন্য বড় দুই নেত্রীর আলোচনায় বসা উচিৎ। বিরোধী দল অনেক দিন থেকেই আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠানের সপক্ষে মতামত দিয়ে যাচ্ছে। তারা এমন কথাও বলেছে যে, আলোচনার টেবিলে সব ধরনের কথা হতে পারে। কিন্তু সরকারী দল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রীদের মাধ্যমে প্রথম দিকে আলোচনার কথা বললেও এখন সে অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়িয়েছেন। এ অবস্থার পটভূমিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে পত্র দিয়েছেন। ঐ পত্রেও তিনি আলোচনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার পক্ষ বান কি মুনের টেলিফোন, গণচীনের রাষ্ট্রদূত লী জোনের উক্তি, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনার উক্তি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর পত্রকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন। পক্ষান্তরে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জন কেরীর চিঠির জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোট সব সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য কোন রকম আগ্রহ প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমন একটি অবস্থায় গত শুক্রবার সংবাদ পত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ঐ খবর মোতাবেক বাংলাদেশের সংকট  সমাধানে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাদেরকে ওয়াশিংটনে আগমনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র্র দফতরের এই সর্বশেষ উদ্যেগের ফলাফল কি হবে, সেটি এই কলাম লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন যে, দেশের সমস্যা নিয়ে বিদেশের মাটিতে আলোচনার চেয়ে দেশের মধ্যে আলোচনা করা অনেক ভালো।
॥দুই॥
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যে কি লেখা আছে তা একমাত্র আল্লাহ মাবুদ ছাড়া আর কেউ জানে না। সারা দেশ জল্পনা কল্পনায় ভরে গেছে। যেখানেই যাবেন সেখানে একটি আলোচনা ঃ নির্বাচন কি শেষ মেশ হবে? বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার আন্ডারে ইলেকশন করবেন? শেখ হাসিনা কি শেষমেশ নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেবেন? যদি তিনি দাবি না মানেন তাহলে কি রাজপথ গরম হবে? রাজপথ গরম করার শক্তি কি বিএনপির আদতেই আছে? বিএনপি যদি কার্যকর ভাবে এক তরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারে তাহলে আগামীতে কি গণতন্ত্র থাকবে? নাকি দেশ এক দলীয় এক নায়কত্বের দিকে ধাবিত হবে ? যার কাছেই এসব প্রশ্ন  করুন না কেন সেই প্রশ্নের জবাব সঠিক ভাবে কেউই দিতে পারছেন না। কারণ এসব প্রশ্নের জবাব এই মুহূর্তে কারও কাছেই নেই। আমার তো ব্যক্তিগত ধারণা এই যে, দেশের চলমান রাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ নেতাদের নিজেদেরও নাই। তাই তারা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন না। বরং ঘটনাবলীই  তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এ প্রসঙ্গে একটি টক শোর কথা উল্লেখ না করলেই নয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চ্যানেল ২৪ এ এই টকশো অনুষ্ঠিত হয়। টকশোর সঞ্চালক ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। একমাত্র আলোচক ছিলেন দেশের প্রাচীনতম দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জৈাষ্ঠ পুত্র, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি দেখতে পাচ্ছেন আগামীতে ভয়াবহ রক্তপাত। তিনি বলেন, সরকার বিশেষ করে সরকার প্রধান, বার বার শাসনতন্ত্রের কথা বলছেন (ব্যারিস্টার মঈনুল তার লেখালেখিতে এবং আলাপ আলোচনায় Constitutionকে সংবিধান না বলে শাসনতন্ত্র বলেন)। এক ঘণ্টাব্যাপী এই টকশোতে তিনি অত্যন্ত খোলামেলা কথা বলেন এবং এমন সব তথ্য প্রকাশ করেন যেগুলো অতীতে অনেকেরই জানা ছিল না। তিনি বলেন, বার বার শাসনতন্ত্রের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জনগণ কোন্ শাসনতন্ত্র মানবে ? জনগণ দেশের শাসনতন্ত্র মানবে। জনগণ দেশের শাসনতন্ত্র এবং জন প্রতিনিধিরদের শাসনতন্ত্র মানবে। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীসহ যে শাসনতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে সেটি তো আওয়ামী লীগেরও শাসনতন্ত্র নয়। সেটি হলো এক ব্যক্তির শাসনতন্ত্র। সেই এক ব্যক্তির যখন যেমন মরজি হয়েছে তখন তেমন মরজি মোতাবেক শাসনতন্ত্রের কাটা ছেঁড়া করা হয়েছে। অথচ সেই ব্যক্তি ইলেকশনের সময় জনগণের কাছে বলেননি যে নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি শাসনতন্ত্র এইভাবে বদলাবেন। এই শাসনতন্ত্রের পেছনে জনগণের ম্যান্ডেট বা অনুমোদন নাই। কাজেই সেই শাসনতন্ত্র মানতে জনগণ বাধ্য নয়।
॥তিন॥
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার আগে ইলেকশন ক্যাম্পেইনের সময় জনগণকে বলেননি যে, তিনি শাসনতন্ত্রের সংশোধন করবেন। শাসনতন্ত্র সংশোধনের সপক্ষে এক বিচারকের রায়ের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। ঐ বিচারপতি এখন একটি কমিশনের প্রধান। প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের দিকে ইঙ্গিত করে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন যে, প্রধান বিচারপতি তার সংক্ষিপ্ত রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একেবারে বিলোপের কথা বলেননি। পার্লামেন্ট ইচ্ছে করলে জাতীয় সংসদের আগামী দুইটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে খায়রুল হক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন। এই পর্যায়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে বলেন যে তার এই টকশোতে অনেক বিদগ্ধ জন এসেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ড. কামাল হোসেন, ড. আকবর আলী প্রমুখ। ড. কামাল হোসেন ঐ টকশোতে জানিয়েছেন যে, জনাব খায়রুল হক ঠিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কথা বলেননি। তিনি বরং বলেছেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচার বিভাগ থেকে কোন বিচারপতি নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। এর ফলে বিচার বিভাগ বিতর্কিত হয়ে পড়ে। তার মতে, প্রধান উপদেষ্টার পদে প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য কাকে নেওয়া যেতে পারে সে প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
॥চার॥
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ঐ টেলিভিশন টকশোতে আরও অনেক কথা বলেছেন যেগুলো আজকের লেখায় খুব একটা প্রাসঙ্গিক না হলেও রেকর্ড রাখার জন্য বলা দরকার। এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলা দরকার। সকলেই জানেন যে, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া শুধুমাত্র যে মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের বন্ধুই ছিলেন তাই নয়, তিনি শেখ মুজিবের সার্বক্ষণিক উপদেষ্টাও ছিলেন। তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত হয়। মানিক মিয়ার দুই পুত্র ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন (হিরু মিয়া) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (মঞ্জু মিয়া) শেখ মুজিবকে চাচা বলে সম্বোধন করতেন। তখন ছিলো পাকিস্তান আমল। হিরু মিয়া এবং মঞ্জু মিয়া অনেক ছোট ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন অর্থাৎ হিরু মিয়া আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। যাই হোক, আলোচ্য টিভি সাক্ষাৎকারে হিরু মিয়া জানান যে স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি (হিরু মিয়া) শেখ মুজিবকে একান্তে জিজ্ঞাসা করেন, “চাচা, আপনি পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দীকে ছেড়ে দিলেন কেন?” উত্তরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মরহুম শেখ মুজিবর রহমান বলেন, এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তিনি তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশের যে সব রাজাকার এবং দালালকে ধরা হয়েছে, তাদেরকেও তিনি ছেড়ে দেবেন। কারণ এখন জাতির মাঝে বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন, বিভক্তি নয়। তবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ, লুটতরাজ- এসব অভিযোগে কয়েক হাজার ব্যাক্তিকে আটক রাখা হবে। তাদের বিচার হবে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এই যে, যে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আটক রাখা হয়েছিলো তাদের মধ্যে বর্তমানে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা নিজামী, দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদী, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মুজাহিদ প্রমুখ কেউই ছিলেন না। ৪২ বছর আগে যাদের নামে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের কোন অভিযোগ ছিলো না, ৪২ বছর পর তাদেরকে সেই অভিযোগে জীবন দিতে হচ্ছে। এখান থেকে বোঝা যায় যে, শেখ হাসিনা তার পিতার নীতি থেকে সরে এসেছেন।
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ঐ আলোচনায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব সারা জীবন পার্লামেন্টারী গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। সেই মানুষ ১৯৭৫ সালে এক দলীয় বাকশাল করলেন কিভাবে, সেটি তার বোধগম্য নয়। বাকশাল গঠন করার প্রতিবাদে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এবং জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি জাতীয় সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, বাকশাল করার জন্য শেখ মুজিবকে পেছন থেকে কেউ কু পরামর্শ দিয়েছিলো। তেমনি শেখ মুজিব যেখানে ১৯৫ জন পাকিস্তানিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেখানে শেখ হাসিনা বাঙ্গালীদের মধ্যে বিচার এবং ফাঁসি দেওয়ার যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন সেটির পেছনেও নিশ্চয়ই বাইরের কারও হাত রয়েছে।
শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করার জন্য বেগম সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করেন। ঐ কমিটিও তত্ত্বাবধায়ক রাখার পক্ষে মত দেয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কমিটির সামনে হাজির হয়ে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মত দেন। এমিকাস কিউরির ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মত দেন। অথচ এত কিছুর পর হঠাৎ করে রাতারাতি উল্টে গেলেন শেখ হাসিনা। তিনি হুকুম দিলেন, তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে সংশোধনী আনতে। এরপর কি ঘটেছে সেটি আপনারা সকলেই জানেন।
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন প্রশ্ন করেন যে, কার বুদ্ধিতে বা কার ইশারায় হাসিনা হঠাৎ করে মত পাল্টালেন এবং সেই মত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলেন? ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মতে শেখ হাসিনা যে সব অজনপ্রিয় কাজ করেছেন, সেগুলো করেছেন অন্য কারও কু পরামর্শে বা আরও ক্ষমতাশালী কোন মহলের অঙ্গুলি হেলনে। সুতরাং ঐ সব মহলের সম্মতি যদি না হয় তাহলে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা তিনি করবেন না। এর ফলে দেশে এক তরফা নির্বাচন হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না, যদিও সেটি দেশে বিদেশে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads