সচেতন জনগণের শাসনব্যবস্থাই
গণতন্ত্র। বর্তমান যুগে গণতন্ত্র একটি জনপ্রিয় শাসনপদ্ধতি। তবে স্বৈরশাসকেরাও
শাসনকার্য পরিচালনা করে গণতন্ত্রের লেবাস পরে। এই ব্যবস্থায় শাসন পরিচালনার
দায়িত্ব দেয়ার সময় নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন হয়। সে জন্য গণতন্ত্রের সাথে
নির্বাচন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তবে এটাও ঠিক, নির্বাচনের
মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব দিলেই গণতন্ত্র হয় না। শাসনপদ্ধতিও এখানে
গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকশক্তি। গণতন্ত্রের খোলসে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন পরিচালিত হলে
যোগ্য ও মেধাবী সন্তানেরা অপাঙ্ক্তেয় হয়ে যায়। সমাজজীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে
যায় দুর্নীতি। নৈতিক মূল্যবোধ বিলুপ্ত হয়। কতিপয় ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠীর হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হয়। গ্রামীণ জনপদ অনেকটা
বিরান হয়ে যায়। বড় বড় শহরে আলো জ্বলে, ফোয়ারা চলে।
সাধারণ মানুষের জীবন তাতে আলোকিত হয় না। এসব কারণেই জনগণ স্বৈরশাসনের কবল থেকে
পেতে চায় মুক্তি। তারা আন্দোলন করে, কারাবরণ করে, রক্ত দেয়। সুযোগ পেলে নির্বাচনের মাধ্যমে শাসককুলের ভিত কাঁপিয়ে
দেয়। তাই স্বৈরশাসকেরা নির্বাচনকে ভয় পায়। আবার গণতন্ত্রের লেবাস ধারণ করার
জন্য নির্বাচন দিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়। তবে নির্বাচনকে তারা চায়
নিয়ন্ত্রণ করতে। এখানেই আসে কারচুপির প্রশ্ন। স্বাধীনতা-উত্তরকালে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ
জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ বিরোধীদল
এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছিল। মেজর এম এ জলিল, শাজাহান সিরাজ, মমতাজ বেগম, ডা: আজহার উদ্দিন আহমেদ, এম এ আওয়াল, আবদুর রশীদ ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ নেতাসহ প্রায় ৭৮ জন বিজয়ী হলেও
তাদের পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয় বলে পত্রপত্রিকায় অভিযোগ করা হয়। ন্যাশনাল
আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) ড. আলীম আল রাজী, ন্যাশনাল
আওয়ামী পার্টির (মোজাফফর) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদও নিজেরা বিজয়ী হয়েছিলেন বলে
দাবি করে ফলাফল ঘোষণায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উত্থাপন করেন। দাউদকান্দি থেকে
জাসদের প্রার্থী আবদুর রশিদ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশতাক আহমদ
পরাভূত হন বলে প্রাথমিকভাবে ঘোষিত হয়। ওই ঘোষণা স্থগিত করা হয়। হেলিকপ্টারে করে
সে আসনের সব ব্যালট ঢাকায় আনা হয়। ‘নতুন করে গণনা’ করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় খন্দকার মোশতাককে। ধামরাইতে কারচুপির
কারণে প্রবীণ রাজনীতিক আতাউর রহমান খানের বিজয় ছিনতাই হওয়ার উপক্রম হয়। তিনি
সোজা ঢাকায় এসে । প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে তাকে সব
কিছু অবহিত করেন। কেবল এরপরই ওই আসনে কারচুপি বন্ধ হয় এবং আতাউর রহমান খান বিজয়ী
হন। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ১৯৫৬ সালে আতাউর রহমান খান
পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই মন্ত্রিসভায় শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন
দুর্নীতি দমনবিষয়ক মন্ত্রী। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আতাউর রহমান খান ও শেখ মুজিব একই
সাথে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন। এই সম্পর্কের কারণে ১৯৭৩ সালের
নির্বাচনে আতাউর রহমান খানের কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিব পদক্ষেপ
নেন। কিন্তু এই আনুকূল্য অন্যরা পাননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
ও হল সংসদের নির্বাচনে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থীদের নিশ্চিত বিজয়
সূচিত হয়। তবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই অসীম প্রভাবশালী ব্যক্তির ‘সুযোগ্য’ পুত্রের নেতৃত্বে ব্যালটবক্স
ছিনিয়ে নেয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী
কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে জাসদ সমর্থক ছাত্রলীগের
পক্ষে ছাত্রছাত্রীরা ব্যাপক সমর্থন জ্ঞাপন করতে থাকে। এই ধারা ব্যাহত করার জন্য
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মাহফুজুর রহমান খানকে
নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচন শেষে ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায়, প্রোভিপি পদসহ বেশির ভাগ পদে নিশ্চিত বিজয়ের পথে ওই ছাত্রলীগের
মনোনীত প্রার্থীরা। ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। গণনার ফলাফল
তাৎক্ষণিকভাবে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল। এ অবস্থায় মুজিববাদী ছাত্র সংগঠনের জিএস
প্রার্থী তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় উঠে যান। সেখানে
পশ্চিম দিকের কক্ষে ভোট গণনা চলছিল। ওই প্রার্থীর কক্ষে প্রবেশের পর ফলাফল ঘোষণা
এবং গণনা কক্ষের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর যা হওয়ার তাই হয়েছিল। নির্বাচন
নিয়ে এসব ঘটনা ছাত্র জনতার মধ্যে এই ধারণার জন্ম দেয় যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই
সমালোচনা প্রায় দুই দশক ধরে চলেছে। ১৯৭৩ সালের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জাতীয়
সংসদের নির্বাচন করার সুযোগ আর পায়নি। এ থেকেই রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত
নির্বাচনের বিষয়ে নাগরিকেরা চিন্তাভাবনা করতে শুরু করে। সেই সাথে গড়ে ওঠে ব্যাপক
জনমত ও আন্দোলন। এর ফলেই ১৯৯৬ সালের ২৮ মার্চ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার
প্রতিষ্ঠার গণদাবি পূরণকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু বিধানের
সংশোধন করা হয়। এই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই ধরনের
সরকারের মাধ্যমেই জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয় এবং এভাবে নির্বাচিত সংসদ তার মেয়াদ
পূর্ণ করেছে। এর আগে যতগুলো জাতীয় সংসদ গঠিত হয়েছে তার কোনোটাই নির্দিষ্ট মেয়াদ
পূর্ণ করতে পারেনি। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, এই নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ সৃষ্টি হলে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর
জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চদশ সংশোধনীর
মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। তখন থেকেই রাজনৈতিক
অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে যায়। সরকার বলছে, সাংবিধানিক
বিধান মোতাবেক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন
হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট,
আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাসদ,
বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ অনেক দল
দাবি করছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের। তা সত্ত্বেও সরকারপ্রধান বলছেন, সাংবিধানিক বিধান থেকে তিনি এক চুলও নড়বেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি
এবং তার দলীয় লোকজন আদালতের রায়ের কথা বলছেন। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান বিচারপতির দেয়া সিদ্ধান্ত আদালতের রায়
বলে বিবেচিত হবে কি না। যদি হয় তাহলে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান,
বিচারপতি এ টি এম আফজাল, বিচারপতি
মোস্তাফা কামাল, বিচারপতি মাহমুদুল আমিন
চৌধুরী, বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি কে এম হাসান, বিচারপতি জে আর
মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি এম রুহুল আমিন, বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন, বিচারপতি
তাফাজ্জল হোসেন এবং বিচারপতি ফজলুল করিমের কাছ থেকে এই জাতীয় সঙ্কটে
নির্বাচনব্যবস্থা সম্পর্কে মতামত নিলে ক্ষতি কী?
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায়
বিচারপতি এ টি এম আফজাল সংবিধানসংশ্লিষ্ট একটি মামলার রায়ে বলেছেন, সমাজবদ্ধ জীবন্ত মানুষের বর্তমান ও অনাগত ভবিষ্যতের আশা-আকাক্সার
পবিত্র দলিল হচ্ছে সংবিধান, তাই এর পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা
ও এখতিয়ারকে উল্টো দিকে ব্যাখ্যা করা যায় না। সমাজে বসবাসকারী প্রাণবন্ত জনগণের
আশা-আকাক্সার প্রতিনিধিত্ব করেন গণপ্রতিনিধিরা। গণতান্ত্রিক চেতনার ওপরে আর কোনো
চেতনা সভ্য সমাজে নেই। যুগ ও প্রজন্মের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ারে
আপত্তি তোলার সুযোগ নেই। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধানের সাথে প্রচলিত
বিধানের মধ্যে স্পষ্টত কোনো বৈসাদৃশ্য দেখা দিলে আদালত সঙ্ঘাত সৃষ্টি না করে সম্ভব
হলে এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন এবং উভয় বিধানকেই বহাল রাখবেন। যদি তা সম্ভব না
হয়, তা হলে প্রচলিত সাধারণ বিধানের ওপরে সংশিষ্ট েেত্র
নবপ্রবর্তিত বিশেষ বিধানটিই প্রাধান্য পাবে। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ মতে সংবিধানে
কোনো কিছু সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা বাতিল করার পূর্ণাঙ্গ ও অসীম এখতিয়ার জাতীয়
সংসদের রয়েছে।{দ্রষ্টব্য : ৪১ ঢাকা ল
রিপোর্টার্স (আপিল বিভাগ) (১৯৮৯), পৃষ্ঠা নম্বর: ৩১৪} বর্তমান অবস্থায় যদি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয় তাহলে কিছু গুরুতর
সাংবিধানিক প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। সংবিধানের ৬৬(২)(চ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সংসদের
সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে : “প্রজাতন্ত্রের কর্ম’ অর্থ অসামরিক
বা সামরিক ক্ষমতায় বাংলাদেশ সরকার-সংক্রান্ত যে কোন কর্ম, চাকুরী বা পদ এবং আইনের দ্বারা প্রজাতন্ত্রেও কর্ম বলিয়া ঘোষিত
হইতে পারে, এইরূপ অন্য কোন কর্ম।” সে মতে জাতীয় সংসদ সদস্যরা তাদের পদের কারণে যেসব দায়িত্ব ও
কর্তব্য পালন করেন তা ‘প্রজাতন্ত্রের কর্ম’ বলেই গণ্য হয়। সংবিধানের ৬৮ অনুচ্ছেদ মতে, জাতীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা
নির্ধারিত পারিশ্রমিক, ভাতা ও বিশেষ অধিকার লাভ করে
থাকেন। এগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারের রাজস্ব খাত থেকেই দেয়া হয়। তাই এই পদ
প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ বলেই বিবেচিত। সংবিধানের ৬৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী হইবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন
লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।’ সংবিধানের ৭১(১)
অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘কোন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বা
ততোধিক নির্বাচনী এলাকার সংসদ-সদস্য হইবেন না।’ সরকার যদি
বর্তমান সিদ্ধান্তে অটল ও অনড় থাকে তাহলে আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান জাতীয় সংসদের
বিরোধীদলীয় নেতা, সরকারদলীয় প্রধান হুইপ ও
অন্যান্য হুইপ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ ও
অন্যান্য হুইপ এবং জাতীয় সংসদের সদস্যরা নির্বাচনে এক বা একাধিক আসনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে তাদের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এর সমাধান
দেয়ার জন্য আগে থেকেই ভাবতে হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাদেশ জারি বা
বিধি দিয়ে সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো বিধান করা যাবে না। তা করতে গেলে
সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদ বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল থেকে
জটিলতর হবে। সংসদ ভেঙে দেয়া হলে অন্তর্বর্তী সময়ে সরকার কে পরিচালনা করবেন, কিভাবে পরিচালনা করবেন, সেটা নিয়েও
প্রশ্ন উঠবে। এসব বিষয়ে বর্তমানে যে বিধান রয়েছে তা অস্পষ্টতায় পূর্ণ। তাই এর
সুস্পষ্ট সমাধান প্রয়োজন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একতরফাভাবে কৃত কোনো কিছুই
শান্তিপূর্ণ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান দিতে পারবে না। চাই জাতীয় ঐকমত্যের
ভিত্তিতে সর্বসম্মত সমাধান। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক
চেতনায় সংখ্যালঘুদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও গুরুত্বপূর্ণ। কেউ চিরদিন
সংখ্যাগুরু থাকে না, তেমনি কেউ চিরদিন সংখ্যালঘুও
থাকে না। ২০০৮ সালে যারা সংখ্যাগুরু ছিল তারা এখনো তাই আছেন, এটা ভাববার অবকাশ নেই। পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন এ ক্ষেত্রে
প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। যুক্তি, পরমতসহিষ্ণুতা
ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সমাধানে পৌঁছতে হবে এবং তা অত্যন্ত দ্রুত। জনগণ রাস্তায়
নেমে আসার আগেই।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
-
▼
সেপ্টেম্বর
(107)
- জাতীয় গ্রীডে ভারতীয় বিদ্যুৎ : একটি বিশ্লেষণ
- কাঙ্ক্ষিত অভিযাত্রার অপেক্ষায়
- সংসদ নির্বাচনের একটি বড় ফ্যাক্টর
- জিন্নাহর হারানো ভাষণে কী ছিল?
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের বন্যা বয়ে থাকলে ৩/৪ বার লোডশেডিং...
- জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই
- নির্বাচন সংস্কৃতি : বাংলাদেশ বনাম বহির্বিশ্ব
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যদের কথাও শুনুন
- মনে হয় মাতৃগর্ভ থেকে তাদের জন্ম হয়নি
- বাঘ, সুন্দরবন আর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যদের কথাও শুনুন
- দেশ অচল হওয়ার কিছু বাকি আছে কি?
- উন্নয়ন : খন্দকার মোশতাক থেকে সজীব ওয়াজেদ- মিনা ...
- নিজের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর হাস্যকর চেষ্টা
- জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর সফর
- তের নম্বর উপদেশ এবং দেশে দেশে ডুমুরের ফুল
- আঘাতটা স্পষ্ট এবং সরাসরি
- রাজনীতিকদের উপর পরিকল্পিত রিমান্ড
- এবার শাজাহান খান গার্মেন্টে হাত দিয়েছেন
- ঐশীদের মিছিল বন্ধ হোক
- জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন জয় পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ
- ‘মেহেদীর রং না শুকাতেই যৌতুকের বলি হলো মিরসরাইয়ের...
- কাদের মোল্লার রায় কি আসলে ন্যায়ভ্রষ্ট?
- ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ড্রেসকোড
- ফেসবুক চেনা সুখ অচেনা দুখ
- ভারতের নতুন প্রতিবেশী তত্ত্ব
- এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর
- তুষ্টির এমন প্যাকেজে জনগণ তুষ্ট নয়
- কাদের মোল্লারও ফাঁসি
- যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ব্যারিস্ট...
- সংলাপ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন
- দেশ সঙ্ঘাতের দিকে যাচ্ছে
- থামছে না আওয়ামী লীগের কূটবুদ্ধির খেলা
- নির্বাচন আসলেই ভারতীয় নেতারা সাম্প্রদায়িকতার জিগ...
- সুর পাল্টাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা মেনে নিন
- সঙ্ঘাতের ফাঁদ ও বাংলাদেশ
- জনগণের অর্থে নৌকার পালে বাতাস!
- ন্যাড়া বেলতলায় দু’বার যায় না
- মজলুম দেশগুলোর একটি মানচিত্র আঁকা প্রয়োজন
- সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সঙ্কট
- প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার আহ্বান
- নতুন কণ্ঠে সেই পুরনো কথাই
- নাস্তিকদের ছোবলে দেশের যুবসমাজ
- সরকারকে কোথায় পাওয়া যায়
- জনগণ যা পেয়েছে সরকার তা-ই দিয়েছে
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন
- জয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই প্রধানতঃ সর...
- খালেদা জিয়ার বলা জনগণের কথা শুনুন
- সঙ্ঘাত না সমঝোতা
- জঙ্গিবাদ, বিএনপি ও আগামী নির্বাচন
- সংঘাত কী অনিবার্য হয়ে উঠছে?
- দেশ গড়ার রাজনীতি কবে চালু হবে?
- সামনের দিনগুলো হতে পারে রক্তঝরা
- নির্বাচন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মানের জরিপঃ বিএনপি অ...
- কোথায়ও আলোর রেখা নেই
- ফেলানী আমাদের ক্ষমা কর!
- কিছুই না পাওয়ার পরও ভারতের বন্ধুত্বের জন্য দৌড়ঝাঁপ
- আমরা মহৎ কাজের স্বীকৃতি দিতে জানি না
- সেকালে রাজার নীতি-একালের রাজনীতি
- সরকারের বোধোদয়ের পথে হাঁটা উচিত
- নির্ভর করতে হবে জনগণের শক্তির ওপরই
- পয়েন্ট অব নো রিটার্নে রাজনীতি
- দেশটাকে লণ্ডভণ্ড করে দেবেন না, এবারে ক্ষান্ত দিন
- নিজের সাথে কথা বলাই এখন সময়ের দাবি
- এই খেলা জনগণ আর দেখতে চায় না
- আওয়ামী রাজনীতির গতিধারা
- সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন
- চুল নিয়ে মাতামাতি ও সংবিধানের আকুতি
- গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নদের দ্বিমুখী নীতি বিশ্বে মান...
- কী হবে আগামীকাল
- নির্বাচন নিয়ে জনপ্রত্যাশ
- সরকারি দলের ক্ষমতাপ্রীতি রাজনৈতিক সংকট ও বিরোধীদলে...
- খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমঝোতার পথে আসুন
- সাংবিধানিক গোলকধাঁধ
- রাজনীতির ঝড় ও বিপন্ন জাতি
- জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে কি
- দ্বিতীয় বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বিপ্লব?
- স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্র ও কারাগার
- জনগণের চাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া দরকার
- বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ও আগামী নির্বাচন
- একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু
- হাঁটতে হবে সমঝোতার পথেই
- আজ জেগেছে সেই জনতা
- সংবিধানের ভেতরে-বাইরে সমাধান
- এটা তো সুরঞ্জিতদের দলীয় স্বার্থে পরিবর্তিত সংবিধান
- নষ্ট সংস্কৃতির অভিশাপ ঐশী
- সংসদ রেখে নির্বাচন: কিছু মৌলিক প্রশ্ন
- নৈতিক অবক্ষয় ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের করুণ চিত্র
- শেষ সময়ের রাজনৈতিক অচলাবস্থা
- রাজনৈতিক যুদ্ধের পরিণতি
- সাংবিধানিক সঙ্কটের আবর্তে জাতীয় নির্বাচন
- বর্তমান বিশ্ব এবং ভাদ্রের সাত কাহন
- বিশ্বাসের জায়গাগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে
- কীর্তিমান এম সাইফুর রহমান
- কঙ্কাল কথা বলতে শুরু করেছে
- নির্ভীক চিত্তের প্রতীক মাহমুদুর রহমান
- আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গ
- হস্ত-পদ-স্কন্ধ-মাথা নাইরে...
- ফরমালিনমুক্ত রাজনীতি চাই
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
-
▼
সেপ্টেম্বর
(107)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন