অতি সম্প্রতি মিশরের ঘটনাবলী নিয়ে নানামুখী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত ইসলামী আন্দোলনের মূলধারার ওপর নানামুখী ¯œায়ুচাপ সৃষ্টির অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা সশস্ত্র বিপ্লবের প্রবক্তা তারা মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিহার করে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ অবলম্বনের পরামর্শ বা নছিহত করছে। বিশেষ করে লাদেনের স্থলাভিষিক্ত আলকায়দার নেতা আয়মান আল জাওয়াহেরী মুসলিম ব্রাদারহুডের গণতান্ত্রিক উপায়ে বা নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ ও পন্থাকে ভুল বলে উল্লেখ করে এপথ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
যারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্যে মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দেশে দেশে যারা জঙ্গিবাদী হিসাবে চিহ্নিত বা চিত্রিত হয়েছে, তাদের বক্তব্যের মধ্যে অন্তর্নিহিত কি বার্তা আছে তা গভীরভাবে ভেবে দেখার দাবী রাখে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যারা ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় যার জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক ন্যায় ইনসাফের গ্যারান্টি দেবার মত রাষ্ট্র ব্যবস্থা উপহার দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন নির্যাতনকে সমর্থন দিয়ে মূলত: জঙ্গিবাদীদেরকেই সাহায্য করা হচ্ছে, তাদের হাতকেই শক্তিশালী করা হচ্ছে। বাস্তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আড়ালে গোটা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যে পথ ধরে ভবিষ্যতে গোটা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা অমূলক নয়। আবারো এ বিষয়টির প্রতি গণতান্ত্রিক চ্যাম্পিয়ন পশ্চিমা বিশ্বকে গভীরভাবে ভেবে দেখার জন্যে বিশেষভাবে অনুরোধ রাখতে চাই।
মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রথম সারির সব নেতৃবৃন্দই কারাগারে। এরপরও এখন পর্যন্ত নেতৃত্বের কোন সংকট হয়নি এটা আশার কথা। সেই সাথে এটাও আশার কথা যে সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাসীদের সমালোচনা তিরস্কার ও অনুরোধ কোনটারই প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে না মুসলিম ব্রাদারহুডের নীতি পদ্ধতির ক্ষেত্রে। আমরা আশা করব শেষ পর্যন্ত মুসলিম ব্রাদারহুড গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত হবে না। খোদা নাখাস্তা যদি এমনটি হয় তাহলে তাদের আন্দোলন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে যেমনটি হয়েছিল ৯০এর দশকে আলজেরিয়াতে বরং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হলে গণসম্পৃক্ততা বাড়বে, আল্লাহ্্ চাহে তো এক পর্যায়ে একটি সফল ও ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিশরের জমিনে ইসলাম বিজয়ী শক্তি হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমাদের উপরোক্ত বক্তব্যটি বিশ্বের দেশে দেশে পরিচালিত সকল ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনের প্রতি একইভাবে প্রযোজ্য। কারণ বিশ্বরাজনীতির কলকাঠি যাদের হাতে তারা ইসলামী আন্দোলনকে সর্বত্রই জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করে একে সমূলে ধ্বংস করার নীলনকশার ভিত্তিতে তাদের দেশী-বিদেশী এজেন্টদেরকে নানাভাবে ব্যবহার করছে। কখনও বন্ধু হিসেবে কখনও একান্ত শুভাকাংখী নসিহতকারী হিসেবে কখনও বা কট্টর সমালোচক হিসেবে বন্ধু বা শুভাকাংখীর ভেক ধরে ভুল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে চায়। আবার কট্টর সমালোচনার মাধ্যমে ¯œায়ুচাপ সৃষ্টি করে চিন্তার বিভ্রান্তি ঘটাতে চায়। সারা দুনিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদেরকে এব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে। সজাগ সচেতন থাকতে হবে। আন্দোলনের কৌশল অবলম্বনের ক্ষেত্রে আল্লাহর কুরআন এবং রাসুল (সঃ আঃ) সিরাতও সুন্নাহকেই প্রধান গাইড হিসাবে সামনে রাখতে হবে।কিছু অর্বাচীন ও অপরিণামদর্শী ব্যক্তি বুদ্ধি বৃত্তিক অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে বলতে চান, গণতান্ত্রিকভাবে নাকি কোন দিনই ইসলাম কায়েম হয়নি। তাই যারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলামী আন্দোলন পরিচালনা করছে, তারা নাকি ইসলামের নীতি আদর্শ থেকে সরে গেছে। তারা জ্ঞানপাপী না হন তা হলে তাদের জন্যে রাসূল (সাঃ)-এর মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েমের ঘটনাই এ বিষয়ে চোখ খুলে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট হবার কথা। কারণ আল্লাহর রাসূল কোন সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেননি। মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হচ্ছে মদিনাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের ভিত্তিতে। এটা যেমন আল্লাহর রাসূলের সিরাত ও সুন্নাহ্্র জীবন্ত শিক্ষা তেমনি আল কোরআনের নির্দেশনার স্বার্থক বাস্তবায়ন। আল কোরআনের ঘোষণা : “আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না সে জাতি নিজে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয়।”
আল্লাহর রাসূলের জন্মস্থান মক্কায়। মক্কাতেই প্রথম অহি নাজিল হয়। মক্কাতে রাসূল (সাঃ) ১৩টি বছর প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন ইসলামের ভিত্তিতে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের। কিন্তু মক্কাবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ ডাকে সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মক্কার পরিবর্তে মদিনায় ইসলাম প্রথম বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিহাসের এই অকাট্য সত্যকে কি কেউ অস্বীকার করতে পারে?
মিশরের সাম্প্রতিক অবস্থা ও পরিস্থিতিকে সামনে রেখে খোদ মুসলিম ব্রাদারহুড ঘরানার কোন বুদ্ধিজীবীও ভিন্ন আঙ্গিকে ব্রাদারহুডের নীতিপদ্ধতির ব্যাপারে নেতিবাচক বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ মুসলিম ব্রাদারহুডের অতিরিক্ত রাজনীতিমুখীনতাকে পরিত্যাগ করার নছিহত করে আধ্যাত্মিকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করছে। দীর্ঘ ৬০ বছর মুসলিম ব্রাদারহুড সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি। এই দীর্ঘ সময় তারা বু্িদ্ধবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে ইসলামী সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অসংখ্য লোক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যারা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ফলে আজকের এই ক্রান্তিকালে প্রথম সারির সব নেতৃত্ব কারাবন্দী হওয়া সত্ত্বেও সেখানে নেতৃত্বের সংকট দেখা দেয়নি। অতীতে ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঈমানের অগ্নি পরীক্ষায় যারা পরাজয় বরণ করেছে, সাধারণত তারাই আধ্যাত্মবাদের নামে বৈরাগ্যবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সম্ভব কিছু ব্যক্তি সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে।
একশ্রেণীর অপরিণামদর্শী ব্যক্তিবর্গ ইসলামের জিহাদের অপব্যাখ্যা করে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়ে ইসলাম ও ইসলামী জিহাদ সম্পর্কে বিশ্বজনমতকে বিভ্রান্ত করেছে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক পরিচালিত ইসলামী আন্দোলন সংগঠন সম্পর্কেও দুনিয়াব্যাপী বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে ইসলামের চিহ্নিত প্রতিপক্ষকে ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত বিভ্রান্ত করার হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। মূলত : এই জঙ্গিবাদের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্বারাই আজকের বিশ্বে ইসলামের ইমেজ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামের এবং ইসলামী আন্দোলনের সব চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এদের ক্ষতিকর কার্যক্রম যেন কোন অবস্থায় মূল ধারার ইসলামী আন্দোলনকে স্পর্শ করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক, সাবধান ও সজাগ থাকতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে কুরআন ও সিরাতে রাসূল অধ্যয়নের ক্ষেত্রে, কুরআন ও সিরাতে রাসূল থেকে পথনির্দেশনা লাভের ক্ষেত্রে মক্কী ও মাদানী অধ্যায়ের বাস্তবতাকে সামনে রাখতে হবে।
ইসলামের দাওয়াত উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা দলকে নয় ইসলামী নীতি-আদর্শকে উপস্থাপন করতে হবে। দাওয়াত দিতে হবে আল্লাহর দিকে। জিহাদও করতে হবে আল্লাহর জন্যে একমাত্র আল্লাহর জন্যে। এ ব্যাপারে আল্লাহর পথ ও পন্থা অপছন্দ করেন, আপাতত: দৃষ্টিতে তা যতই আকর্ষণীয় বা গুরুত্বপূর্ণ মনে হোক না কেন তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে? আর আল্লাহ্্ যেটা পছন্দ করেন সেটা আমাদের কাছে আকর্ষণীয় হোক চাই না হোক সেটাই গ্রহণ করতে হবে। “আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্যে যা কিছু নিয়ে এসেছেন তাই গ্রহণ কর, আর যা কিছু তিনি নিষেধ করেছেন তা বর্জন কর।” ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটাই হতে হবে তার চিরন্তন কর্মনীতি ও কৌশলের ভিত্তি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আহ্বান জানানোকে আল্লাহ সর্বোত্তম কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই কাজটি যারা করে তাদের কথাকে সর্বোত্তম কথা হিসাবেও উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে এটাও বুঝানো হয়েছে এইভাবে আল্লাহর দিকে ডাকার কাজটি যেহেতু উত্তম কাজ, অতএব এর বিরোধিতা করাটা সর্বনিকৃষ্টতম কাজ। আল্লাহ যেমন বলেছেন, “ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান জানায়?” তেমনি অন্যত্র বলা হয়েছে, “ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে যে ইসলামের দিকে আহ্বান শুনেও আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে।” অতএব দাওয়াত প্রদান ও দাওয়াত প্রত্যাখ্যান এক বিষয় নয়। তাই আল্লাহর ঘোষণা-“ভাল কাজ আর মন্দকাজ সমান হতে পারে না।”“অতএব তোমরা মন্দের মোকাবিলা কর ভাল কাজ দিয়ে”। এ কাজটি করার জন্যে অসীম ধৈর্য্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন, ‘এই গুণের অধিকারীগণ পরম ভাগ্যবান। এ থেকে বোঝা যায় প্রতিরোধ ও প্রতিহিংসার সাথে ইসলামের তথা ইসলামী আন্দোলনের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। মানুষের সমাজকে হিংসা হানাহানির অভিশাপ থেকে রক্ষা করার জন্যে আল্লাহ্ তার পক্ষ থেকে নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে নবী-রাসূলগণের প্রতি নাজিলকৃত কিতাব ও সহিফার মাধ্যমে মূলতঃ আল্লাহর নির্দেশনা এসেছে মানুষের সমাজকে ন্যায়, ইনসাফ, শান্তি ও কল্যাণের নিশ্চয়তা বিধানের জন্যে।
নবী রাসূলগণের উত্তরসূরী হিসাবে বিশেষ করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হিসেবে যারা দাবি করেন তাদেরকে এই দাবির সত্যতার প্রমাণ দেবার জন্যে নিজেদেরকে মানুষের কাছে তাদের একান্ত হিতাকাক্সক্ষী কল্যাণকামী হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। উপস্থাপন করতে হবে মানবতা ও মনুষত্বের মূর্ত প্রতীকরূপে। রাজনৈতিক অন্ধভাবে যারা ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে চরিত্র হননে ব্যস্ত তারাও যদি দেখতে পায়, তাদের শত বিরোধিতা সত্ত্বেও শত অত্যাচার আর নির্যাতন সত্ত্বেও এই লোকগুলো কোন প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে না। কোন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে না, গালির জবাবে গালি দিচ্ছে না তাহলে তাদের ভেতর থেকেই একদিন তারা জেগে উঠবে। তাদের দিল যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে সীলমোহর মারা হয়ে থাকে তাহলে তাদের আশপাশের লোকেরাই তাদের অন্যায় ও অমূলক সমালোচনার জবাব দেবার জন্যে এগিয়ে আসবে। শর্ত একটাই সর্বাবস্থায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে ইসলামী আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতার ওপর আপোষহীনভাবে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে বলিষ্ঠতার পরিচয় দিতে হবে। কোন মহলের উস্কানির প্রতিক্রিয়ায় অথবা কারো প্ররোচনায় ইসলামী আন্দোলনের চিরন্তন কর্মনীতি হিসাবে গৃহীত গঠনমূলক, নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। সেই ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধ থেকেও বিন্দুমাত্র নড়চড় করা যাবে না। আমাদের লক্ষ্য ক্ষমতা নয় আল্লাহকে রাজী খুশী করার জন্যে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবজাতির ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধনের জন্যেই আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহ ও তার রাসূলের মনোনীত পথপন্থায় বিজয়ী করা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন